বিয়ের কথা শুনেই ১৭ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া তানিয়ার তিন দিন কান্না
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৬ জুন, ২০১৪, ১২:১০:৪১ রাত
বিয়ের কথা শুনেই ১৭ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া তানিয়ার তিন দিন কান্না
আজ সন্ধ্যায় আমার এক বন্ধুকে নিযে রেষ্টুরেন্টে চা খেতে ছিলাম। বন্ধুর এক সিনিয়র বন্ধু রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলে ওনার সাথেও পরিচিত হই। ধরা যাক ওনার নাম করিম সাহেব। দুই দিন আগে হয়ে যাওয়া করিম সাহেবের মেয়ের বিয়েতে আমার বন্ধুটি দাওয়াত না পেয়ে খোটা দিতে থাকে। করিম সাহেব তাড়াহুড়া করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বলে সবাইকে দাওয়াত দিতে পারেননি বলে জানান।
করিম সাহেব আমাদেরকে আরো বললেন,মাত্র চার দিন আগে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব পাই। পাত্র দুবাইতে লাখ টাকা বেতনের চাকরী করে। তাই মেয়ের বয়স কম হলেও বিয়ে দিতে রাজী হয়ে যাই। আমার মেয়ে কলেজ থেকে বাসায় এসে বিয়ের আয়োজন দেখে কান্না শুরু করে। মেয়ের সাথে মেয়ের মা ও কান্না করে। বিয়েতে ৭০০ জন বরযাত্রীকে আপ্যায়ন করেছি। ফার্নিচার,টিভিও ফ্রিজ সব দিয়েছি। মেয়ের বয়স আটারোর কম বলে একটা সাটিফিকেট বানাতে হবে। আগামীকালকে আরো ৩০,০০০ হাজার টাকার আরো খরচ আছে। এই বলে করিম সাহেব বিদায় নিলেন।
বিদায়ের পর আমিও আমার বন্ধু দুজনই করিম সাহেবকে ধিক্কার দিতে থাকি। টাকার লোভে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে কি ভাল কাজ করেছেন?
আমাদের সমাজে বেশীর ভাগ পরিবারে মেয়ের মতামত না নিয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে দেখা যায় যে, এই মেয়েরা সংসার জীবনে সুখী হয় না। আমাদের উচিত নয় কি বিয়েতে মেয়ের মতামত নেওয়ার? আমরা কেন জোর করে মেয়েকে বিয়ে দিই?
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে সকল ভাই বোন নিজের প্লেট এর খাবার মাছি-মশা হতে রক্ষা করতে পারেনা, আর মাছি-মশা তা কন্টামিনেট করলে - তা পরিশুদ্ধ করতে পারেনা - সে সকল ভাইবোনরা যখন কোন এক পিতা মাতাকে তার মেয়ের পরিমলিয় উপাদান হতে রক্ষার চেষ্টা করতে দেখে, লীগিয় টিজিং হতে নিরাপদ করার চেষ্টা করতে দেখে, কিংবা ভিডিও আগ্রাসন হতে রক্ষা করতে দেখে ঐ পিতামাতাকে ভৎসনা করার চেষ্টা করে - তাদের জন্য 'করুনা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করা ছাড়া আর কি করা যায়?
যেখানে মানুষের স্রষ্টা মানুষকে এ মর্মে অনুমতি/আদেশ দেয় যে - তারা যেন তাদের সন্তান-সন্তানাদিকে বালেগ হওয়া মাত্র - উপযুক্ত পাত্র/পাত্রী পেলে বিয়ে দিয়ে দেয় - যাতে সামাজিক ব্যাধি তথা ইভটিজিং, ধর্ষন, ব্যাভিচার ইত্যাদি হতে সমাজ পরিশুদ্ধ থাকে - সেখানে তথাকথিত স্যেকুলার ধ্যান ধারনার আলোকে দাসে পরিনত হওয়া মানুষেরা, 'গনতান্ত্রিক সরকার' নামক একটা কুফরকে মুসলমানদের উপর 'শিরক' তথা স্রষ্টার আইনকে কিংবা বিধানকে বুড়ো আংগুল দেখানেওয়ালা পার্লামেন্টারিয়ানদেরকে 'এন্টি্গড' এর পরামর্শের আলোকে বিধান বদলাবার অধিকার দেয় (স্রষ্টার বালেগ আইনকে পরিবর্তন করে ১৮ বছর করে) এবং সমাজকে ধর্ষন, ব্যভিচার, ইভটিজিং, জেনা ইত্যাদি উপহার দেয় - তাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ও প্রিচিং - মুমিন বান্দাহ মাত্রই রিজেক্ট করেছে এবং করবে। ইনশাল্লাহ্।
আল্লাহ আমাকে সহ - না জানা, না বোঝা ভাইবোনদের নিশ্চয়ই ক্ষমা করবেন এবং আমাদের সকলের জানাশোনা ও বিচার বিশ্লেষন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।
৩> উপযুক্ত হলেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া/করা।
বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চিন্তাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু টাকার কাছে সুখ খোঁজা, যৌতুক এর ব্যাপারটা আর মেয়ের পছন্দ/ অপছন্দ যাচাই না করায় বিয়ে দেওয়াটা ভাল মনে হচ্ছে না।
বয়সের ব্যাপারটা বললেন যে, আমাদের সমাজে কি অবৈধ ভাবে প্রেগন্যান্ট হচ্ছে না? বা নিজের ইচ্ছায় অবৈধ মিলন করছে না?
মন্তব্য করতে লগইন করুন