শখে নয়, প্রয়োজনে বিয়ে : শত বছরের বৃদ্ধের ২২ বছরের বধূ
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১২ জুন, ২০১৪, ১০:০২:২৩ সকাল
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নের ফকিরাঘাট গ্রামের হাজী মত্তুল হোসেন বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করেছেন ২২ বছরের এক তরুণীকে। শতবর্ষী বৃদ্ধের সঙ্গে ২২ বছরের তরুণীর এই বিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এটি হাজী মত্তুল হোসেনের দ্বিতীয় বিয়ে। এই বয়সে বিয়ে কেন? বৃদ্ধ মত্তুল হোসেনের নিঃসংকোচ উত্তর ‘শখের বশে নয়; প্রয়োজনের তাগিদে বিয়ে করেছি।
হাজী মত্তুল হোসেন দাবি করেন তার বয়স ১১৭ বছর। ১৮৯৭ সালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ফকিরাঘাট গ্রামে তার জন্ম হয়। গত ৯ জুন সোমবার উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নের ছুপিপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ২২ বছর বয়সী মেয়ে খতিজা বেগমকে এক লাখ টাকা কাবিন দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে ঘরে তোলেন।
১৯৩২ সালে উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের দৈবকিনন্দন গ্রামের সফুরা খাতুনকে বিয়ে করেন হাজী মুত্তুল হোসেন। ১৯৯২ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান প্রথম স্ত্রী সফুরা খাতুন। তাদের সংসারে জন্ম নেয় তিন ছেলে ও চার মেয়ে সন্তান। হাজী মুত্তুল হোসেনের সন্তানদের ঘরেও ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনি রয়েছে।
বিয়ে প্রসঙ্গে মত্তুল হোসেন বলেন, বিয়ে করার মতো শক্তি-সামর্থ্য আমার আছে, তাই কারো ওপর নির্ভরশীল না হতে শরিয়ত মতে বিয়ে করলাম। শখের বশে নয় প্রয়োজনের তাগিদে বিয়ে করেছি। পরিবারের সবাই এই বিয়ে মেনে নিয়েছেন।
ছেলেমেয়ে নাতি-নাতনি, আত্মীয়স্বজন গিয়েই নতুন বউকে ঘরে তুলে এনেছে। নিজের মৃত্যুর পর নববধূ খতিজার নিরাপত্তার জন্য সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দেবেন বলেও জানান তিনি।
সুত্রঃ মানবকন্ঠ
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/80801
===============================
শিশুরা মা-বাবার পরিচর্চা ছাড়া বেড়ে উঠতে পারে না। বৃদ্ধরাও শিশুর মত। তাদেরকেও কারো না কারো সেবা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু তারা কি শিশুদের মত সেবা পায়? কয়জন তাদের বিধবা মাতা অথবা স্ত্রী হারানো পিতার খবর রাখে? বেশীর ভাগ পরিবারে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকে অবহেলা করা হয়। মরেগেলেই যেন তারা খুশী।
বৃদ্ধ বয়সে কেউ বিয়ে করলে পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। কেউবা এটা নিয়ে হাসি-তামাশাও করে। কিন্তু একজন বৃদ্ধ কেন বিয়ে করছেন তা আর খতিয়ে দেখে না।
আমাদের উচিত আমাদের বৃদ্ধ মা-বাবার সেবা করার জন্য কর্মচারী রাখা..সামর্থ না থাকলে নিজেদেরকে সেবা করতে হবে। কোন ভাবেই তাদেরকে অবহেলা করা যাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৭৪৩ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাবাস এই বৃদ্ধকে। সাধুবাদ তার সাহসিকতায়
একটি বাস্তব ঘটনা শেয়ার করি - আমাদের গ্রামে একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা/মুরব্বী স্ত্রী বিয়োগ হন আনুমানিক ৭০ বছর বয়সে। প্রথম বছর একাকীই পার করেন ত্যাগ স্বীকার করে। কিন্তু যখন আর কুলিয়ে উঠতে পারেননা (ঠিক সময়ে তার অসুধ এগিয়ে দেওয়া,সময় মতো চাপকল থেকে গোসলের পানি চেপে দেওয়া, সময়মতো খাবার দেওয়া ইত্যাদি) তখন নিজ উদ্যেগেই ৪৫-৫০ বছর বয়সী এক বিধবাকে বিয়ে করে নিয়ে আসে। এতে তার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা সহজেই পূরন হচ্ছে আর ছেলের বউদের বিরক্তিকর উক্তিও শুনতে হচ্ছেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন