নারী শাষিত রাষ্ট্রে নারীরা এত অসহায় কেন?
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৬ জুন, ২০১৪, ১২:৩২:৫৮ রাত
আমি জানি আমি কতটা বাধ্য হয়ে বাইরে কাজ করতে আসি। আমার সংসারে যদি উপার্জনশীলন একজন পুরুষ থাকতো, আমি কখনোই বাইরে কাজ করতে আসতাম না। আমার মত মেয়েরা শুধু শখের বসে বাইরে আসেনা, বাসে চড়েনা। বাসে চড়তে গিয়ে যে মেয়েদের কিসের শিকার হতে হয়,তা সবাই জানে। কিন্তু এর জন্য কোন আইন নেই, নেই ওইসব অন্যায়ের জন্য শাস্তির বিধান। রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় ইচ্ছে করে গা ছুঁয়ে দিবে। বাসে উঠার সময় গায়ে হাত দিবে। সে বাসের হেল্পার হোক, আর অন্য পুরুষ যাত্রী হোক। নামার সময়ও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মহিলা সিটে পুরুষ বসলে, অথবা সাধারণ সিটে কোন মহিলা বসলে, তার পাশের পুরুষ ঠিক ঐ মহিলার গায়ে গা চেপে বসবে। দাঁড়িয়ে থাকলে ঐ মহিলার গায়ের উপর এসে পড়বে। কিছু কিছু লোক অবশ্যই নিজেকে সংযত রাখে। তাদের প্রতি আমার সম্মান ছিল, আছে এবং থাকবে।
আচ্ছা, ওইটুকু ছোঁয়াতে তারা কি সুখ পায়??? শুধু এভাবে যাকে তাকে ছুঁয়ে দিয়েই কি তার জৈবিক চাহিদা মিটে যায়?? আমার ইচ্ছা করে সাথে সবসময় একটা ব্লেড বা ক্ষুর বা ছুরি রাখতে। যারা এভাবে ছুঁয়ে দিয়ে সুখ পেতে চায়, তাদেরকে সাথে সাথে শাস্তি দিয়ে দিতে। একদিন সত্যিই এই কাজটা করব আমি। আমার নিরাপত্তা আমাকেই তো দিতে হবে
সুত্রঃ ফেইস বুক থেকে--
================================
ব্লগ ছাড়াও ফেইসবুকে অনেক গুরত্বপূর্ন লিখা পড়ে থাকি। কিছু কিছু লিখা পড়ে মন খারাপ হয়ে যায়। ফেইসবুকে এক বোনের এই লিখাটি পড়ে ও মন খারাপ হয়ে গেল। বাংলাদেশের কর্মজীবি নারীরা ঘরের বাইরে কতটা অসহায়, কতটা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন পত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখতে পাই।
এই বোনের মত আমিও বলতে চাই যে, সংসার চালানোর জন্য নারীরা ঘরের বাইরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। চলার পথে যারা অসম্মান করে তাদেরকে শাস্তি দেয়া উচিত।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৮ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
অল্প সম্পদ যখন অধিক জনের চাহিদা থাকে সেখানে বন্টন একটা বিষয় আছে যেটা নিয়ে আমরা কথা বলি না। এক পরিবারের সবাই স্বামী-স্ত্রী জব অট্টালিকা গড়ছে করে আরেক পরিবারে বেকারত্ব।
কিন্তু বন্টন যদি এরকম না হত তা হলে দেখতে অকে সমস্যই থাকত না সমাজে।
তবে অনেক মানুষ আছেন এখনও তাদের সম্মান করে বাসের সীট ছেড়ে দেন।
শুকরিয়া ভাইয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন