===বাটি চালান===
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০২ জুন, ২০১৪, ০৯:৪৪:০১ রাত
১.
বাটি চালান দিয়ে চুরি যাওয়া জিনিশ খুঁজে পেতে অনেক্বেই পুলিশের কাছে না গিয়ে এক রকমের ফকিরের কাছে যান। তা যে কতটুকু সফল হয় আমি কোনোদিন দেখিনি। তবে এই নিয়ে খুব হাসির একটা ঘটনা দেখেছিলাম আমার বাসার কাছেই!
এলাকার এক হাজী সাহেব বিশাল ধনী। মাস গেলেই লাখ দেড়েক টাকা ঘর ভাড়া পান, আরও আছে টায়ার এর ব্যাবসা। খুব ধার্মিক মানুষটার বাসায় কোন ভাড়াটিয়া ডিশের লাইন নিতে পারেনা। যাই হোক এমন ভাল মানুষকে নিয়ে আমার সেই বাটি চালানের কাহিনী।
হাজী সাহেবের বাড়ীর পাশেই কিছু একতলা সেমি পাকা ঘর আছে। অল্প আয়ের মানুষগুলি সেখানে থাকে। এক CNG চালক তার গাড়ীটি রেখে দুপুরে খেতে বাসায় আসে। খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকালে গাড়ীর কাছে গিয়ে দেখে সর্বনাশ একটি চাকাও নেই গাড়ীতে । পুলিশের কাছে গেলে চাকার যা দাম তার চাইতে ঘুষ বেশী দিতে হবে। কয়েকজনের পরামর্শে এক ফকিরকে ডাকে। চুরির বৃত্তান্ত শুনে সে বাটি চালান দেয় আর বলা বাহুল্য সেই বাটি গিয়ে ওঠে বিত্তশালী, ধার্মিক হাজী সাহেবের বাসার বারান্দায়!!! বুঝতেই পারছেন কতো বড় ফকির অতঃপর এলাকার লোকজনের গণপিটুনি খেয়ে ফকিরের জান নিয়ে এলাকা ত্যাগ। অনেকদিন যাবৎ এই ঘটনা মানুষের কাছে হাসির খোরাক ছিল।
২.
এক মেয়ে খুব পছন্দ করে এক ছেলেকে। কিন্তু দুই পরিবার এমন অবস্থা যে খুন স্বীকার করলেও এই বিয়ে স্বীকার করে নেবেনা! মেয়ের উপর যতো রকম শাসন চালানো যায় সব প্রয়োগ করা হয় কিন্তু ফল ০। এরপর ধারা হয় ভিন্ন পথ। মেয়ের কাছে বলা হর ‘’তোর সুখ আমাদের সুখ। ছেলের মা-বাবার নাম বল আমরা যাই প্রস্তাব নিয়ে’’! কিন্তু যেমন মা-বাবা চালাক মেয়ে যে তার চাইতেও বেশী সেয়ানা।
ছেলের মা-বাবার নাম নিয়ে তাঁরা যান এক হুজুরের কাছে। সব কিছু খুলে বলেন আর বলেন যে ভাবেই হোক ছেলের নাম মুছে দিতে মেয়ের মন থেকে! হুজুর ৩টি রুটি নিয়ে আসতে বলেন হাতে বানিয়ে। এই রুটি গুলি দিনে একটা করে তিন দিনে তিন রাস্তার মাথায় একটা কালা কুকুরকে খাওয়াতে হবে। অনেক কষ্টে কুত্তার মুখের সামনে রুটি ধরে তিন রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয়। যারা এই দায়িত্ব পালন করেন কুত্তারে রুটি খাওয়ানোর তারা বেজায় খুশী। মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু মেয়ের সাফ জবাব ঐ ছেলে ছাড়া সে কাউকে বিয়ে করবে না, দরকার হলে এমনি থাকবে আজীবন! তবে কালা কুত্তারে রুটি খাওয়ানো এতো কষ্ট করে সব বিফল? ভেবেই পান না কি করে এমন হয়। হুজুরের তদ্বির তো বিফলে যাবার কথা না? যাই হোক শেষ কথা হচ্ছে দুইজনের মহা ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছে উভয় পক্ষ খুব খুশী। হুজুরের রুটি খাওয়ানো কেন কাজে আসেনি জানেন? মেয়ে বুঝেছিল বাবা-মা এমন কিছু করবে তাই ছেলের মা-বাবার ভুল নাম বলেছিল!!!
লিখেছেনঃ লিলি ফারুকী
মজার বিষয় দুটি লিলি আপার ফেইস বুক স্টাটাস থেকে সংগ্রহ করেছি। লিলি আপাকে ব্লগে লিখালিখি করার জন্য বারবার অনুরোধ করে যাচ্ছি। আশাকরি খুব শীঘ্রই আপাকে ব্লগে দেখতে পাব। সবাই লিলি আপার জন্য দোয়া করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৭ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন