বউরা আর কত কাজ করবে?...আসুন আমরাও তাদেরকে সাহায্য করি..............................
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ২৮ মে, ২০১৪, ০৫:১৩:১২ বিকাল
বউদের কষ্ট
۞ কাকডাকা ভোরে ঘুম ভেঙে যায় বউদের।
۞ ঝটপট বিছানা ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে ছুটতে হয় রান্নাঘরে।
۞ টেবিলে নাস্তা লাগানো,
۞ এক ফাঁকে বিছানা গোছানো,
۞ বাচ্চাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে হাত-মুখ ধোয়ানো,
۞ পরিবারের সবাইকে নাস্তা করিয়ে বাচ্চাটিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি করা,
۞ বৃদ্ধ শশুর-শাশুড়ির প্রতি খেয়াল করা,
۞ স্বামী অফিসে যাবে বলে তার তদারকি করা এসব কিছুই বিরামহীনভাবে তাকে করতে হয়।
۞ তারপর চাকরিজীবী বউদের ছুটতে হয় অফিসের উদ্দেশ্যে।
۞ বাড়ি ফিরে বিকালের নাস্তা তৈরি করে সবাইকে খাওয়ানো,
۞ কার কখন কী প্রয়োজন সবকিছুতে নজর রাখা,
۞ অতিথি এলে সমাদর করা,
۞ বাচ্চাকে পড়ানো,
۞ রাতের খাবার রেডি করে সবাইকে খাওয়ানো।
۞ ঘুমাতে যেতে রাত বারোটা কি একটা বেজে যায়।
۞ এভাবেই নিত্যদিন ঘর ও অফিস সামলিয়ে বিরামহীন পথ চলেন নারীরা।
এত কাজ করার পরেও অনেক পরিবারে বউদের কপালে সুখ থাকেনা। স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন অত্যাচার সহ্য করেই সংসার করতে হয়। সন্তানদের কথা চিন্তা করে সবকিছু হজম করতে হয়। বিশেষ করে গ্রামের বউদের উপর অত্যাচারের মাত্রা একটু বেশীই হয়।
বিবাহিত ভাইদেরকে বলব, শুধুমাত্র টাকা উপার্জন করে দায়িত্ব শেষ মনে না করে অবসর সময়ে বউকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করলে দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা-একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা-দায়িত্ববোধ আরো বাড়বে-------
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৮ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শ্বশুর শ্বাশুরিকে রাখা যাবেনা । স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া যাবে না ইত্যাদি। এই কথাগুলো তার অনেক সময় সরাসরি বলে না কিন্তু আচরণ দিয়ে করে থাকে। বেচারা স্বামী হয়ে যায় অসহায়। অনেক সময় সে সন্তানে মুখের দিকে তাকিয়ে মা-বাবাকে ত্যাগ করে !!! আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নেয় না ! তার কি করার আছে!! মা-বাবার কথা চিন্তা করলে সন্তান হবে মা হারা (কারণ স্ত্রী তার শ্বশুর শ্বাশুরিকে কোন ভাবে মেনে নেয় না এই প্রেক্ষাপটে স্ত্রীকে ত্যাগ করা ছাডা কোন উপায় থাকে না) আর সন্তানের দিকে তাকালে মা-বাবাকে ত্যাগ করতে হয়। কি ভয়ংকর পরিস্থিতি একজন পুরুষের জন্য তাই না!!!!! তাই সব পুরুয়ের উচিৎ বিয়ের আগে এগ্রিমেন্ট করা উচিৎ যে তারা তাদের শ্বশুর শ্বাশুরিকে কখনও ত্যাগ করতে পারবে না।
বৌ তো বৌ নয় আস্ত এক্কান লাউড স্পীকার
দিনের শেষে বাসায় ফিরে হয়ে যাই নির্ভিকার
আপনার পোস্টার কথা মাথায় রাখলাম সময় মত কাজে লাগাবো।
মোট কথা হল আমরা এক্ষেত্রে সুন্নাতে রাসুল সা. এর অনুসরন করা আবশ্যক।
একজন বিশ্বাসী মুসলমান হিসেবে আমিও চেষ্টা করি দাম্পত্য জীবনে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব কিছুটা হলেও পালন করার। অবশ্য এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক মজার অভিজ্ঞা যেমন অর্জন করছি নিত্য নতুন তেমনি একজন নারী হিসেবে আমার বৌয়ের বিভিন্ন সফলতা এবং দুর্বলতাও স্টাডি করার সুয়োগ পাচ্ছি। এতে করে নারীর ভিতরের অবস্থা বুঝার সুযোগ হচ্ছে।
ঝটপটাপট বিছনা ছেড়ে
একদৌঁড়ে যায় রান্নাঘরে
নাস্তা তড়িৎ তৈরি করে।
.
একফাঁকে যায় শোবার ঘরে
বিছানা-বালিশ ঠিক করে
বাচ্চার ঘুম ভাঙায় চুমু করে
নাস্তা করে সে সবার পরে।
.
শশুর-শাশুড়ির খেয়াল করা
অফিসগামী স্বামীর হাত ধরা
নিজেকে নিজ তৈরি করা
নিজের কাজে দৌঁড়পারা।
.
দিন গড়িয়ে বিকেল বেলা
নাস্তা দিয়ে,বাচ্চা নিয়ে খেলা
কার কি লাগে এই বলা
অতিথি এলে আনন্দ মেলা।
.
রাতে বাচ্চাকে হোক পড়ানো
সব্বাইকে ঠিকমত খাওয়ানো
স্বামী সুখে কিছুটা আওড়ানো
রাত বারোটায় হয় ঘুমানো।
প্রিয় ব্লগার লোকমান
হবু বউ পাগলা একখান
আনচান করে দিলখান
হবু বউই তার জানপ্রান।
বিয়ের কোন খবর নাই
এই দলে আছে নবী ভাই..
আরো আছে আশরাফ ভাই..
* ফজরের সময় লাইট জ্বালাইলে ঘুমের অসুবিধা হয়।
* নাস্তা আনতে জামাইকে দোকানে পাঠান হয়।
* চা টাও টিব্যাগ বা ইন্সট্যান্ট।
* বাচ্চাকে উঠান ও মুখহাত ধোয়ান কাজ কাজের মেয়ের।
* ট্যাক্সি নিয়া অফিসে যায়।স্বামি বাসে।
* অফিস থেকে আসার সময় অল্প নাষ্তা আনে। স্বামি বাজর সেরে আসতে আসতে সেই নাস্তা হাওয়া হয়ে যায়।
* বাজার টা কোনমতে গুছিয়ে সিরিয়ার দেখতে বসে যায়।
* বাচ্চাকে পড়ান দুরে থাক একটু খেলতে থাকলে ধমক দেয়।
* কাজের মেয়ে কাটা কুটি শেষ করলে কোন মতে চুলায় দিয়ে আবার সিরিয়াল।
আর কত আমি বলব এবার বাকিরা বলেন।
বাসার কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করা নবীজী(সাঃ) এর সুন্নাত। এতে স্ত্রী ও অন্যান্যদের কাছে পুরূষের মর্যাদা বাড়ে। কিন্তু অনেকেই এটাকে অসম্মানজনক মনে করে।
আবারও ধন্যবাদ জামাল ভাই।
স্বামী স্ত্রী উভয়ই পরস্পরকে সহায়তা করা উচিত। নিজের ঘরের কাজইতো। নিজের মনে করে করি।
তবে স্ত্রীদেরও উচিত স্বামীদের কষ্টের বিষয়টা উপলব্ধি করা ও যথাসম্ভব সহায়তা করা। অন্তত ভালবাসার বাণী দিয়ে হলেও।
মন্তব্য করতে লগইন করুন