মাদ্রাসার ছাত্রীরাও প্রেম করে....প্রেমিকেরা অভিমান করে আত্মহত্যা করে.....
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৫ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:১৫:০৪ সকাল
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়িতে প্রেমিকার সাথে অভিমান করে প্রান দিল যুবক। আত্মহত্যাকারী নয়ন নামের এই যুবকটি মাদ্রাসার এক ছাত্রীর সাথে প্রেম করে ঘর থেকে পালিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল। প্রেমিকা না আসায় অভিমান করে আত্মহত্যা করে পরপারে চলে গেছে।
আত্মহ্ত্যা করে কি লাভ হলো নয়নের? দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেও আখিরাতে এর পরিনাম হবে ভয়াবহ। আত্মহত্যা মহাপাপ। এ কাজ থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ্ তা’আলা বিশেষভাবে নির্দেশ দান করেছেন এবং এর পরিনামের কথা ভাববার জন্য কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে মহা পবিত্র আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন।
মহান আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন, “আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে উহা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্য আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে উহা সহজসাধ্য।” (সূরা-নিসা-২৯-৩০)
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের মত আমাদের দেশের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরাও প্রেম করে। তাদেরকে ইসলামী শিক্ষা অর্জনের জন্য মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। পড়ালেখায় ফাঁকি দিয়ে গার্ডিয়ানদেরকে বোকা বানিয়ে অন্যদের দেখাদেখি তারাও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এর জন্য গার্ডিয়ানরাই দায়ী। গার্ডিয়ানদের অবহেলার কারনে তারা প্রেম-পিরিতিতে জড়িয়ে পড়ে। মাদ্রাসায় পড়ে বলে তাদেরকে খুব বেশী বিশ্বাস করা ভুল হবে। কারণ শয়তান তাদেরকেও ডিস্টাব করে। একটু ফাঁক পেলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীরাও যে কোন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে।
সন্তানেরা যে প্রতিষ্টানেই পড়ালেখা করুক না কেন তাদের প্রতি গার্ডিয়ানদের নজরদারী করা উচিত। বিশেষ করে আদরের কন্যা কোথায় যায়, মোবাইলে কার সাথে কথা বলে, পড়ালেখা ঠিকমতো করে কিনা গার্ডিয়ানদের দেখা উচিত।
================================
ফটিকছড়িতে প্রেমিকার সাথে অভিমান করে প্রান দিল যুবক
http://ctgtimes.com/archives/16540
==================================
মীর মাহফুজ আনাম
ফটিকছড়ি:: ফটিকছড়িতে প্রেমিকার সাথে অভিমান করে বিষপানে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। তার নাম টিটু চৌধুরী প্রকাশ নয়ন (২৩)। তিনি উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর মোনাফ ফকিরবাড়ির দিদারুল আলমের ছেলে।
গতরাত দু‘টার দিকে চমেক হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বা:স ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।
সুমন নামক নিহতের ঘনিষ্ট বন্ধু জানান, নিহত নয়নের সাথে তাদের এলাকার মাদ্রাসা পড়ুয়া এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল ( ১ লা বৈশাখ) তারা উভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়েটি পালিয়ে যাওয়ার সব টিকটাক করেও বাড়ি থেকে বের হয়নি। সেই অভিমানে নয়ন সোমবার (গতরাত) আটটার দিকে পাশ্ববর্তি নানুপুর ইইনিয়নের ঢালকাটা গ্রামের পাহাড়িকা ফার্ম এলাকায় বিষপান করেন।
সুমন আরো জানান, নিহত নয়ন তাকে (সুমনকে) প্রথমে ফোন করে তার বিষপানের কথা জানায় এবং তাকে বাঁচাতে বলে। সুমন ঘটনাস্থলে এসে তাকে প্রথমে নাজিরহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংখাজনক দেখে চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চমেক হাসপাতালে রাত দু‘টার দিকে নয়ন শেষ নিশ্বা:স ত্যাগ করেন। বর্তমানে নয়নের লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই কথাটা আমার কাছে সুন্দর লাগেনি
মাদ্রাসায় পড়ে বলে এদের কাছে কি মায়া মহব্বত নেই, অনুভুতি নেই?!
ইয়ে মানে কি? সবে আছে ওদের
আর যারা খারাপ লোক তাদেরকে শয়তান কিছুই করেনা, কারন তারা তো নিজেরাই শয়তানের উত্তরসুরি, একেবারেই মা্নুষ শয়তান আর যাকে বলে
মাদ্রাসায় যারা পড়ে..হেতাগো..পিরীতি কবুতরের চাইতেও কঠিন!
মেয়েদের কথা বলতে পারবো না....
তয়..ছেলেদের অনেককেই দেখেছি!
মন্তব্য করতে লগইন করুন