ভয়ন্কর প্রেমিকা থেকে সাবধান (প্রেমিকা সেজে বিত্তশালী বিভিন্ন লোকজনকে নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে এনে ব্ল্যাকমেইল এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়)
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৫১:৩৬ সকাল
‘প্রথমে মিস কল দিতাম। একবার নয় একাধিকবার। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নম্বর থেকে কল ব্যাক করতো। আমি একটু কথা বলে বলতাম ‘রং নাম্বার’। লাইন কেটে দিতাম। ঘণ্টাখানেক পর আবারও মিস কল দিতাম। আবার কল ব্যাক করলে কথা বলতাম। মেয়ের গলা পেয়ে অপর প্রান্তের লোক এমনিতেই কথা বলতো। এভাবেই শুরু হতো ফোনালাপ। তারপর একদিন উনিই (ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি) আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইতো। প্রথমে রাজি হতে চাইতাম না। পরে রাজি হয়ে যেতাম। প্রথমে দেখা করতাম কোন একটি রেস্টুরেন্টে। পরে ফোনের কথোপকথন এডাল্ট বিষয়ে নিয়ে যেতাম আমি নিজেই। এরপর উনিই আমাকে কোন ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতে চাইতো। কখনও কক্সবাজার বা অন্য কোথাও বেড়াতে নিয়ে যেতে চাইতো। আমি বলতাম, আমার খালার বাসা ফাঁকা। এলে এখানে আসেন। বাসা ফাঁকা শুনে তিনি সহজেই রাজি হয়ে যেতেন। এভাবেই আমার কাজ ছিল ফ্ল্যাট পর্যন্ত এনে দেয়া। বাকি কাজ অন্যরা করতো।’
প্রেমিকা সেজে বিত্তশালী বিভিন্ন লোকজনকে নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে এনে ব্ল্যাকমেইল এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় চক্রের সদস্য দোলা আক্তার বলছিল এসব কথা।
গত মঙ্গলবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দোলা ও তার পাঁচ সহযোগীকে মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দোলার আপন খালা সালমা বেগম ও চাচা আবু তালেবও রয়েছে। তালেব-সালমা বিবাহিত দম্পতি। ভাগ্নি দোলাকে দিয়ে তারা এই প্রেম-প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল।
গ্রেফতারকৃত ভয়ন্কর প্রেমিকা দোলা জানান, বিভিন্ন ব্যক্তিদের ফোন নাম্বার এনে দিতো তার চাচা আবু তালেব ও আজহার। তার কাজ ছিল শুধু ওইসব ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করা। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদের নিজের ফ্ল্যাটে এনে দিলেই তার কাজ শেষ।
মধ্য পাইকপাড়ার ৩৬/২ নম্বর বাসার পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় আজহার। দুই বেডরুম ও ড্রয়িং-ডাইনিংয়ের ওই বাসায় তার খালা, চাচাসহ সে নিজেও মাঝে মধ্যে থাকতো। ওই বাসায় নেয়ার পরই বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি ও ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতো তারা।
দোলা জানান, একটি লোককে পটিয়ে বাসা পর্যন্ত আনতে তার সময় লাগতো সর্বোচ্চ ১৫ দিন।
এদিকে গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এই চক্রটি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের পুরুষ ব্যক্তিরা প্রথমে বিত্তশালী লোকজনের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতো। পরে ওই নাম্বারটি দেয়া হতো দোলকে। দোলা প্রেমের অভিনয় করে লোক পটিয়ে ওই ব্যক্তিকে নিজেদের ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতো।
ফ্ল্যাটে ঢোকার পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মাথায় আবু তালেব, আজহার, মোস্তফা ও শামিম শিকদার ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে পরলো। তাদের হাতে থাকতো খেলনা পিস্তল, হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেট। শামীম শিকদার নিজেকে ফটোসাংবাদিক ও অন্যরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল ও ভয়ভীতি দেখাতো। অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি পরিবারকে জানিয়ে দেয়া ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিপুল অর্থ আদায় করতো তারা।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ২৬ই আগস্ট এই চক্র লন্ডন প্রবাসী এক ব্যবসায়ীকে এভাবে নিজেদের ফ্ল্যাটে নিয়ে ২৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।
চলতি বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি সরকারি এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে একই কায়দায় ১৭ লাখ টাকা আদায় করে।
সর্বশেষ রংপুরের এক রাজনীতিক এই চক্রের প্রেম-প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলে তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ চক্রটি শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রহমত উল্লাহ চৌধুরী জানান, প্রেম-প্রতারণার ফাঁদে ফেলে চক্রটি বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এই ফাঁদে পা দেয়া ব্যক্তিরা সাধারণত সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপও নিতে চায় না। এই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে তারা। এদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সুত্রঃ
- মানব জমিন
======================
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হাজারো সুন্দরী দোলা এই পেশায় জড়িত। তাদের কাজ হচ্ছে মোবাইলে প্রেমের অভিনয় করে সমাজের বিত্তশালী ও সম্মানিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া। দোলাদের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়। প্রতারিত হয়। প্রতারিতা কেউ লজ্বায় মুখ খুলতে চায় না। তাই আমাদের উচিত অপরিচিত নারী কন্ঠের সাথে বেশী কথা না বলা। তাদের ফাঁদে পা না দেয়া...
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৮ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
https://www.facebook.com/bd.ohidul/posts/10201933669208971?notif_t=like
(বিস্তারিত এক্কান পোস্ট দিমু কুনো একদিন)
..........।
কুকুর গুলো ভাবতেছে এই রকম ঘটনা কি মানবজগতে ঘটে?
এক আম্র পাব্লিক আমারে ফোন কইরা রাইত বিরাইতে জ্বালাইতো...
তয়...তাইনে..মোর আশে পাশের কেউ!
ফুন কইরা কইতো...আপনে আজকে বাড়ী আইছেন, ওমুক কালারের টিশার্ট, তমুক কালারের জিন্স পরা ছিলেন....
বাট তাইনেকে ট্রেস করতে পারি নাই!@
এত বিরক্ত করেছে...যে তাইনেরে একদিন কইলাম, আপনার যদি কিছু বলার থাকে আমার আম্মার সেল ফোন নং নেন...০১৮১৭.......
তাঁর সাথে কথা বলেন...আপনার বাড়ীতে ইনভাইট করেন....আম্মা গ্রিণ সিগনাল দিলে...আমি ভেবে দেখব কি করা যায়!
ওমা তাইনে কয়, আমি পারব না!..তয়, ফুন মারেন ক্যান?...
কয়, আমি আপনের শুভাকাঙ্খি!
আমি কইলাম...মোর শুভাকাঙ্খির অভাব পড়ে নাই!ফুটেন!...
তাইনে আর ফুন করে নাই!
লুজ পাব্লিক হলে ধরা তো খাইবেই ই!
হাসিনার!
মোহরানা যেখানে বেশিহবে জেনার বাজার সেখানে চঙ্গা হবে---শায়খ আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল।
মানুষের শিক্ষা হ্ওয়ার জন্য এসব ঘটনাগুলো তুলে ধরা দরকার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন