ঐ স্ত্রী শ্রেষ্ঠ সম্পদ, যে তার স্বামীকে দ্বীনের ব্যাপারে সব ধরনের সাহায্য করতে পারে
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ৩১ মার্চ, ২০১৪, ০৫:২২:৪৩ বিকাল
ছাওবান (রাঃ) বলেন, আমরা যদি জানতে পারতাম কোন সম্পদ সবচেয়ে উত্তম, তবে তা সঞ্চয় করতাম। রাসুল (সাঃ) বললেন, তোমাদের জন্য শ্রেষ্ট সম্পদ হচ্ছে, সবসময় আল্লাহকে স্বরণকারী জিহবা, শুকরিয়া আদায়কারী অন্তর এবং এমন ঈমাদার স্ত্রী, যে তার স্বামীকে দ্বীনের ব্যাপারে সাহায্য করে। (তিরমিযী হা/৩০৯৪, মিশকাত হা/২২৭৭)
অত্র হাদীসে তিনটি জিনিষকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলা হয়েছে।
আল্লাহর যিকিরকারী জিহবা। যার জিহবা সবসময় আল্লাহকে স্বরণ করে, তাসবীহ পাঠ করে ও ক্ষমা চায়। তার জন্য তার জিহবা শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
যার অন্তর আল্লাহ অনুগ্রহের প্রতি শুকরিয়া আদায় করে, তার জন্য তার অন্তর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
ঐ স্ত্রী শ্রেষ্ঠ সম্পদ, যে তার স্বামীকে দ্বীনের ব্যাপারে সব ধরনের সাহায্য করতে পারে।
(সুত্রঃ আদর্শ পরিবার পৃষ্ঠা-১১)
=========================
আমাদের দেশের মুসলিম নারী সমাজ ইসলামী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। মক্তবে হুজুরের কাছে কোরআন ও বিভিন্ন মাসআলা শিখে স্কুল-কলেজে পড়াশুনা করে এক সময় শশুরবাড়ীতে প্রবেশ করে। শশুরবাড়ীতে গিয়ে স্বামীর কথামতো চলার চেষ্টা করে। দ্বীনী শিক্ষা না থাকার কারণে ইসলাম সম্পর্কে তারা অনেক কিছুই জানেন না। বা জানার চেষ্টাও করেন না। তারা যদি ইসলামী জ্ঞান অর্জন করে সংসার পরিচালনা করতো তাহলে এক একটি পরিবারে জান্নাতি পরিবেশ বিরাজ করতো।
স্বামী বেনামাযী হলে,
কোরআন ও হাদীস না পড়লে,
রোযা না রাখলে,
যাকাত প্রদান না করলে,
হালাল উপাজর্ন না করলে,
দান-সাদকা না করলে,
পরিবারের প্রতি যথাযত দায়িত্ব পালন না করলে,
একজন দ্বীনদারী স্ত্রীর উচিত তার স্বামীকে বুঝিয়ে সঠ্কি পথে নিয়ে আসা। একজন দ্বীনদার স্বামীর ও উচিত তার স্ত্রীকে ইসলামের আলোকে চলতে উৎসাহ প্রদান করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা এর উল্টো চিত্র দেখতে পায়।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৭ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন