۞۞ আমাদের বউরা কি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন? ۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:১৪:০৬ সন্ধ্যা
নারীর ওপর স্বামীরা চার ধরনের নির্যাতন চালায়ঃ
১. শারীরিক,
২. যৌন,
৩. মানসিক ও
৪. অর্থনৈতিক।
এর মধ্যে-----------------
৮২ শতাংশ নারী স্বামীর মাধ্যমে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় এবং
৬৫ শতাংশ নারীকে স্বামীরা চড়, ঘুষি বা লাথি মেরে আহত করে।
৩৬ শতাংশ নারী স্বামীর যৌন নির্যাতনের শিকার হয় এবং
২৬ শতাংশ নারী নির্যাতনের সময় আহত হয়।
উল্লেখ্য, চার শতাংশ নারী স্বামী ছাড়াও পরিবারের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়।
(জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত বছর (২০১৩) ডিসেম্বরে নারী নির্যাতনের ওপর ‘ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ)’ শীর্ষক জরিপ)
মনে পড়ে সেই পুতুল খেলার দিনগুলো,
এখন কত দূরে,
আর আসে না রাজার কুমার পঙ্খিরাজে উড়ে।
এখন আর কোনো কল্পলোকের রাজার কুমার স্বপ্ন হয়ে আসে না স্বপ্নাবিষ্ট কোনো তরুণীর মান ভাঙাতে;
বরং আসে বাস্তব জগতের জল্লাদেরা তরুণীদের অ্যাসিডদগ্ধ করতে,
কেরোসিন গায়ে ঢেলে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করতে,
খুন্তি আগুনে গরম করে শরীরের স্থানবিশেষে ছ্যাঁক দিতে।
নারী নির্যাতন বন্ধের প্রতিবাদে মানব বন্ধন।
(আমারদেশ প্রত্রিকায় প্রকাশিত শাহরিয়ার সুলতান এর এই লিখাটি পড়ে খুব ভাল লেগেছে তাই শেয়ার করে দিলাম)
এক সরকারী জরীপে দেখা গেছে দেশের বিবাহিত মেয়েদের ৮৭ শতাংশই নির্যাতনের শিকার। কি ভয়াবহ চিত্র।
১. শারীরিক, ২. যৌন, ৩. মানসিক ও
৪. অর্থনৈতিক।
এই চারটির বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনা করলে পোষ্ট দীর্ঘ হয়ে যাবে। তাই এক কথায় বলতে চাই যে, দিন শেষে রাত আসে আর রাতে যার সাথে একি ছাদের নীচে বসবাস করবেন তার সাথে কেমন আচরণ করা উচিত একটু কি ভেবে দেখবেন?
প্লিজ বিনা কারনে বউয়ের উপর নির্যাতন করবেন না । আপনার এই কর্ম মহাপাপ। বউয়ের বদ-দোয়ায় আপনার অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। বউ কোন অপরাধ করে থাকলে দুই পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৯ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যক্তিগতভাবে ডোনার ফান্ডেড কনসালটেন্ট বেইজড এজাতীয় বেশ কিছু স্টাডির সাথে বিভিন্ন সময়ে আমি জড়িত ছিলাম। এ জাতীয় স্টাডি গুলো ডোনারের উদ্দেশ্য কিংবা চাওয়া পাওয়া বুঝে সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে করা হয়। ফ্যাক্টচুয়াল চিত্র এমন নয় - যদিও তার কিছু কিছু বর্তমান। সবচেয়ে যে বিষয়টি কনসালটেন্টরা এ জাতীয় স্টাডিতে এড়িয়ে যান - তা হল কি কারনে এ নির্যাতন হয়? এবং ঐ সমস্ত কারনে ক্ষুদ্ধ পক্ষ তথাকথিত 'নির্যাতন' ভিন্ন অন্য কোন বিকল্প উপায়ে ঐ ক্ষুদ্ধতা হতে মুক্তি পেত? এসব উত্তর কখনো উপস্থাপন করা হয়না।
এছাড়া যে ক্যাটাগরী সেট করা হয় (শারীরিক, মানুষিক, যৌন ও অর্থনৈতিক) - তা আমাদের উপমহাদেশ, আমাদের কৃষ্টি কালচার কিংবা আমাদের ধর্মীয় বোধ এর আলোকে নয়। বরং ঐ ক্যাটাগরী সমূহ পাশ্চাত্যের এবং ঐ ক্যাটাগরী সমূহ পশ্চিমে যে অর্থ করে - আমাদের উপমহাদেশে ঠিক একই মিনিং করেনা - স্বভাবতঃ রেজাল্ট যা শো করে - তা বাস্তব হয়না। তাই ডাটাগুলো আপনার পরিচিতজন, আপনার আত্মীয়স্বজন, আপনার পাড়াপ্রতিবেশীর শোনা জানা তথ্যের সাথে মিলবে না।
আজকের বিশ্বের গরীব বিদ্বেষী, অন্যভাবে বললে 'শ্রম-শোষক' কিংবা ক্রীতদাস-শিকারী আগামীর 'বিশ্ব নিয়ন্ত্রক' রা বেশ অনেকগুলো কারনে মহিলা ও পুরুষ বিভাজনে বিলিয়নস অব ডলার বিনিয়োগ করছে। এর অন্যতম কারন ঐ হবু শাসক শ্রেনী (যারা প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার হতে চান না) এ্যাবসুলুট শাসক হতে চান - তারা সিস্টেমেটিক্যালী মানবজাতিকে ডিমোরালাইজ করে প্রতিবাদের ও প্রতিরোধের শক্তি ধ্বংশ করে দিতে চান - এর জন্য দরকার পুরুষ ও মহিলার মধ্যে শত্রুতা।
তারা চান মানুষকে চুড়ান্ত দাসে পরিনত করে সর্বোচ্চ শ্রমঘন্টা ফরমাল ইকোনমিক কার্যক্রমে আনতে - যার জন্য প্রয়োজন পারিবারিক বন্ডেজ এ সন্দেহ, ভীতি, অহমিকা ইত্যাদির বীজ বপন। যাতে করে পুরুষ ও মহিলা উভয়ে বাধ্য হয়ে ফরমাল ইকোনোমিক এ্যাকটিভিটি তে জড়ায়।
সে সাথে তারা চান হোমোসেকচ্যুয়ালীটি প্রমোট করতে - যা আলটিমেটলী ড্রাগ, সেক্স, গ্লামার সহ অতি লাভজনক ব্যবসা সম্প্রসারনে সহায়ক।
ইসলাম ধর্ম মহিলাদের জন্য মেইনস্ট্রীম অর্থনীতিতে শ্রমঘন্টা বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করেনি - যা পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। আবার ইসলাম ধর্মই সুস্থ্য ও সুষম প্রোডাক্টিভ সন্তানের দায়িত্ব মহিলাদের কাছে ন্যাস্ত করেছে। যে প্রিন্সিপালসমূহ - সরাসরি এই নব্য মাস্টার তথা প্রভূরূপী শ্রেনীর উদ্দেশ্যের সাথে কন্ট্রাডিক্টরী।
আমি আমার এক লিখায় দেখিয়েছিলাম - কিভাবে আমাদের মহিলাদের ঘর হতে বের করে গার্মেন্টস এ ডুকানোর মাধ্যমে - তাদের মোট ১০৪ কোটি শ্রমঘন্টা ফরমাল ইকোনমিক একটিভিটিতে জড়িয়েছে এবং তার মাধ্যমে ঐ মহিলাদের কাছ হতে নীট ১২০০ কোটি ডলার - প্রতিমাসে লাভ করছে।
অথচ ইসলামিক নীতিমালায় এই মহিলারা থাকলে শ্রমখোর মানুষেরা এই ১২০০ কোটি ডলার প্রতিমাসে লাভ করতে পারতো না।
ইসলাম ধর্ম মূলতঃ পুরুষ ও মহিলাকে একে অপরের জন্য পরিপূরক হিসাবে সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে একজন তার দায় দায়িত্ব না পালন করলে - অন্যজন তার দায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা। স্বভাবতঃই তা বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে। বিশৃংখল অবস্থায় যাই ঘটুক - তা অস্বাভাবিক হবে, তা আইনানুযায়ী হবেনা - এটাই স্বাভাবিক।
সুতরাং আমাদের দরকার ইসলাম ধর্ম গ্রহন করা - যা আমরা ইতোমধ্যে ছেড়ে দিয়ে - ধন সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি সহ আরো কিছু দেবতাকে পূজ্য বানিয়ে ফেলেছি - তার মধ্যে একটা ইউ এন ও।
মন্তব্য করতে লগইন করুন