۞۞ বিয়েতে খরচাপাতি আরেকটু কম করা যায় না? (মধ্যবিত্ত ব্লগারদের জন্য) ۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:২৯:১৫ সন্ধ্যা
মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন অবিবাহিত যুবককে বিয়ের আগে সর্ব প্রথম স্বর্ন ক্রয় করার জন্য টাকা জমা করতে হয়। কারণ স্বর্ণ ছাড়া আজকাল বিয়েই হয় না। বর যতই গরীব হোক না কেন তাকে স্বর্ণ দিতে হবে। এটাই আজকাল সিস্টেম হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দাম বৃদ্ধির কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারের অবিবাহিত যুবকেরা স্বর্নের দোকানে প্রবেশ করতেও ভয় পায়। দাম বৃদ্ধির কারনে তাদের পক্ষে ৪/৫ ভরি স্বর্ন ক্রয় করাও সম্ভব নয়। কনের জন্য একটি গলার হার কিনতে ও ৩/৪ ভরি স্বর্নের প্রয়োজন হয়।
বর্তমানে দেন-মোহরের টাকার পরিমানটাও অনেক অনেক বেশী ধায্য করা হয়। তালাকের পরিমার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বরপক্ষকে টেনশনের রাখার জন্য মুলত এর প্রধান কারণ। বরপক্ষের ডিমান্ডের উপর অনেক সময় মোহরানা উঠা-নামা করে। বরপক্ষের ডিমান্ড কম হলে মোহরানার পরিমানও কম হয়। তাই মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারের উচিত কম ডিমান্ড করে কম মোহরানা ধার্য করে বিয়ের কার্য সম্পাদন করা। কিন্তু আজকাল কে শুনে কার কথা। বর-কনে উভয়পক্ষের দর কষাকষির কারনে দুই পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়।
আমরা কি পারি না একটু কম খরচ করে বিয়ে অনুষ্টান করতে?
সমাধান ছেলে পক্ষ থেকেই হতে পারেঃ
পাত্রী পছন্দ হওয়া মাত্রই বলে দিন আমাদের কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। শূধুমাত্র ১০০ অথবা ২০০ জন অতিথি নিয়ে আপনার বাড়ীতে গিয়ে আপনার মেয়েকে ঘরে তুলতে চাই। কোন আসবাবপত্র ও দেয়ার দরকার নেই। এই রকম প্রস্তাব পেলে কন্যার পিতা আলহামদুলিল্লাহ বলে অবশ্যই বলতে বাধ্য হবে "আপনারা খূশী হয়ে একটা মানসম্মত দেন-মোহর ধার্য করে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করেন।"
মধ্যবিত্ত পরিবারের লক্ষ লক্ষ অবিবাহিত যুবক বিয়ে নিয়ে টেনশনে আছে। বিয়েতে দুই পক্ষের দাবী-দাওয়ার কাছে তারা অসহায়। বিয়ের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তাদের বয়স বেড়ে যায়। অন্যদিকে অর্থের অভাবে ঘরে বিবাহ যোগ্য কন্যা রেখে পিতা-মাতারা টেনশনে থাকে।
বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথমে বরপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে তারপর কন্যা পক্ষ ও এগিয়ে আসবেন। অমুকের বিয়েতে কি দিয়েছে না দিয়েছে সেই দিকে না তাকিয়ে আপনারা কম খরচে কিভাবে বিয়ের অনুষ্টান করবেন সেই চিন্তা করার সময় এসেছে।
আগের দিনের সেই গোলা ভরা ধান-পুকুর ভরা মাছ-গোয়াল ভরা গরু আর নাই। তাই বর্তমানে বিয়ের এই সিস্টেমকে পরিবর্তন করার জন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসা উচিৎ। যুব সমাজই পারে সমাজ পরিবর্তন করতে। সমাজের বাজে কালচারকে পরিবর্তন করতে।
হে অবিবাহিত যুবক ভাইয়েরা মনে রাখবেনঃ——————
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি।
লোভ থেকে যার জন্ম।
আর লোভ মানুষকে কখনো
প্রকৃত সুখ দিতে পারে না।
তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এটিকে ঘৃণা করতে শিখতে হবে।
ইসলামে যৌতুকের কোন স্থান নেই।
এটি ভিনদেশি কালচার।
বিষয়: বিবিধ
৩৩৫৫ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাইজান ।
বিয়ে দেন
এক মাত্র পাত্রী ছাড়া কোন ডিমান্ড করিনি !
বরযাত্রী সাকুল্যে ১০০ জন যাবার কথা বলেছি , তারপরও পাত্রী পক্ষের ডিমান্ড শুনুন :
১)দেনমোহর ৭ লক্ষ টাকা !
২)স্বর্ণ কমপক্ষে ৫ ভরি দিতে পবে কণেকে .
৩)বরযাত্রী ১৫০ হলেও সমস্যা নেই তবে গাড়ী নিতে হবে কমপক্ষে ১০ টি এবং সবগুলো একসাথে কণের বাড়ীতে উপস্থিত হবে.
৪)কণের ফুল ফ্যামিলিসহ নানী,দাদী,চাচী,মামী,খালা,ফুফু... এদের জন্য মানসম্মত কাপড় দিতে হবে !
৫)বিয়ের গেইটে কণের ভাই+বোনের হাতে কড়কড়ে নোটের ২৫০০০/= টাকা মাত্র ফি দিয়ে গেইট পাশ নিতে হবে !
৬)কণের পোষাক এবং কসমেটিকসগুলো বিদেশী/ভালো ব্রান্ডের হতে হবে!
৭)বিয়ে পরবর্তী বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে কণে পক্ষ থেকে মেহমান যাবেন ১৫০ জন
উপরের সবগুলো কিন্তু একটাও আমাদের ডিমান্ড না , সবগুলো কণে পক্ষ থেকে করা ! আর কারণ হিসেবে একটাই কথা বংশের প্রথম বিয়ে(জেনারেশনের) এবং কণের বাবার সামাজিক মান সম্মান !!!
বি:দ্র:কণে পক্ষ থেকে খরচের ব্যাপারে আমরা কোন ডিমান্ড না করলেও উনারা নিজ উদ্যোগেই ব্যাপক খরচের প্ল্যান করেছেন !!
এদিকে আমাদের ত্রাহি অবস্থা !গত এক বছরে গ্রামের বাড়িতে নতুন বিল্ডিং করা হয়েছে এবং মাত্র ১ মাস আগে ফ্যামিলিতে আরও একটি বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে !
চোখে এখন ঠিকই সর্ষে ফুল দেখছি !
খরচ করতে হবে জানি কিন্তু টাকা কিভাবে আসবে জানি না !
আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, পাড়া প্রতিবেশি সবার মাঝে ব্যপক প্রস্তুতি আর আমরা আছি মহা চিন্তায় !!!
কি করা !
সময় আছে আর মাত্র ১০ দিন !
মন্তব্য করতে লগইন করুন