۞۞ বিয়ের গল্পঃ ۞۞ আপার বিয়ে ۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:০৩:৩৫ বিকাল
۞۞ বিয়ের গল্পঃ ۞۞ আপার বিয়ে ۞۞
১৯৮৮ সালে আপার এসএসসি পরীক্ষার পর বড় চাচার একমাত্র ছেলের সাথে বিয়ে হয়। সেই সময় আমি ছোট ছিলাম। তারপরেও কিছু কিছু ঘটনা এখনো মনে আছে। বিয়ে উপলক্ষে বিয়ের এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন রাতে আমাদের ঘরের উঠানে বাড়ীর বউ-ঝি-রা বিয়ের গান গেয়ে আনন্দ-উল্লাস করত। বর-কনে এক পরিবারের বলে বাড়ীর লোকজন ও আমাদের আত্বীয় স্বজনরা কেউবা কনে পক্ষ কেউবা বরপক্ষ সেজেছিল। বিয়ের আগের দিন মেহেদী অনুষ্টান হয়। আমি মেহেদী অনুষ্টানে না থেকে আমার এক দুই বছরের সিনিয়র ফুফাত ভাইকে নিয়ে আপার বিয়ের খুশীতে সিনেমা দেখেছিলাম। ৩য় শ্রেনীর টিকেট নিয়ে বড় পর্দার সামনে বসে সিনেমা দেখার দৃশ্যটা এখনো মনে পড়লে হাসতে থাকি।
সেই সময়ে গ্রামে কোন কমিউনিটি সেন্টার ছিলনা বলে বাড়ীর উঠানেই বিয়ের অনুষ্টান হয়। আমাদের পরিবারের প্রথম বিয়ে বলে অনেক আত্বীয়-স্বজন বিয়েতে অংশ গ্রহন করে। বিয়ে উপলক্ষে বিয়ের আগের দিন, বিয়ের দিন ও বিয়ের পরের দিন তিনদিন ব্যাপী আপ্যায়ন চলে। বিয়ের দিন আকদ পর্ব শেষ করে বর-কনেকে একটি মাইক্রোতে করে কয়েক মাইল ঘুরিয়ে আবারও ঘরে নিয়ে আসা হয়। এই হচ্ছে আমার আপার সাদামাটা বিয়ের অনুষ্টান।
আমাদের চট্টগ্রাম অঞ্চলের গ্রাম-গঞ্জে বড় আপার জামাইকে দুলাভাই বলে ডাকে। সবাই দুলাভাইয়ের সাথে অনেক অনেক দুষ্টামী করে। কিন্তু আমরা আপার জামাইকে দুলাভাই ডাকা তো দুরের কথা ওনার সাথে কথা বলতেও ভয় পেতাম।
আপার বিয়ের ২৭ বছর পরেও আমরা এক সাথে একি ছাদের নিচে বসবাস করে আসছি। স্কুলের মেধাবী ছাত্রীটি এসএসসিতে ভাল রেজাল্ট করেও বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়েছিল বলে আর পড়াশুনা করতে পারেনি। আপার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় মেয়ে চট্টগ্রাম কলেজে অনার্সে পড়ছে, মেঝ মেয়ে ডাক্তারী পড়ছে, ছোট মেয়ে দাখিল পরীক্ষার্থী। আর ছোট দুই ছেলে স্কুলে পড়ছে। এই হল আমার আপার সাজানো সংসার। আমার কন্যা জারিফা তার বড় ফুপ্পির জন্য পাগল। পড়াশুনায় ফাঁকি দিতে দিনের বেশীর ভাগ সময় আপার বাসায় থাকে।
(গল্পটি শেয়ার করেছি এই জন্য যে, আমার বড় চাচা মারা যাবার পর ওনার একমাত্র ছেলের হাতে আমার আপাকে তুলে দিতে আমার দাদা ওসিয়ত করেছিলেন। আমারও বাবাও সেই মহৎ কাজটি সম্পাদন করে অনেক সওয়াবের কাজ করেছিলেন)
বিষয়: বিয়ের গল্প
৬১৮৫ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনলাইনে পাত্র-পাত্রী দেখ---তারপর বিয়ে
২০০৮ সালের জুন মাসের কোন একদিন এহতেশাম ভাই ফোন করে বলে," জামাল ভাই আপনার জন্য পাত্রী ঠিক করেছি।" ওনাকে খুব শ্রদ্ধা করি বলে এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেলাম। একদিন ওনার অফিসে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে আমাকে পাত্রী পক্ষকে দেখানো হয়। ওয়েবক্যামে আমাকে দেখে নাকি সবার পছন্দ হয়। পাত্রী ও নাকি আমাকে এক নজর দেখেছিল। আর আমি পাত্রীর পরিবারের সবাইকে দেখলেও পাত্রীকে দেখতে পারিনি বলে এহতেশাম ভাইকে পাত্রীর ছবি দেখাতে বলি। কয়েক দিন পর পাত্রীর মামার বিয়েতে তোলা ছবি ও ভিডিও চিত্রের একটি সিডি আমাকে দেখতে দেয় । আমি অফিসে বসে পাত্রীর সুন্দর সাজোগুজো ছবি ও ভিডিও চিত্র দেখে পাত্রীকে পছন্দ করে ফেলি। আমার পছন্দের কথা এহতেশাম ভাইকে জানালে "আলহামদুলিল্লাহ" বলে আমাকে একটা বায়োডাটা দিতে বলে। দুই পরিবারের বায়োডাটা বিনিময়ের পর জানতে পারি যে পাত্রী আর কেউ নন এহতেশাম ভাইয়ের শালী।
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1776/ctg4bd/35325
আসলে হয়তো ফাস্টু হতাম
কিন্তু চিন্তা করলাম সবাই আছে থাক আমি নাই দিলাম। সাইকে ফাস্টু হবার চান্চটি দিয়ে দিলাম
মন্তব্য করতে লগইন করুন