۞۞ বিয়ের পরে ভাই-বোন পর হয়, শালা-শালী আপন হয়। কেন? ۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৩২:১৮ বিকাল
এক বিবাহিত ভদ্রলোক দুবাইতে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে ওনার প্রিয় শালাদেরকে ভিসা দিয়ে নিয়ে এসে দুবাইতে বিভিন্ন কোম্পানীতে কাজ দেন। ভদ্রলোকের ছোট ভাই অনেক বছর ধরে দেশে বেকার। একবার আমাকে আপসোস করে বলেছিল, আমি যদি আমার ভাইয়ের ভাই না হয়ে শালা হতাম তাহলে আমাকেও বিদেশ নিয়ে যেত। ওনার এই কথাটা আমি এখনো মনে রেখেছি। অনেক মূল্যবান কথা বটে।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বিয়ের পরে কিছু কিছু মানুষ দ্রুত বদলাতে থাকে। কোন এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় নিজের ভাই-বোনদেরকে পর ভাবতে শুরু করে। বিভিন্ন কারনে-অকারনে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়ে এক সময় ভাই-বোনদের সাথে দুরত্ব বাড়তে থাকে। তখন শালা-শালীরা হয়ে উঠে আপনজন। তাদের জন্য সব কিছু উজাড় করে দিতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করে। অনেকে নিজের ঘর ছেড়ে শশুরবাড়ীর লোকজনদের সাথে বসবাস করে।
এই কাজটি যারা করে তাদের মনে রাখা উচিত যে, বিয়ের আগে ভাই-বোনদের সাথে মিলেমিশে সুখে-দুঃখে একাকার হয়ে বসবাস করার স্মৃতি খুব সহজে ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। বিয়ের পরে ও ভাই-বোনদেরকে নিয়ে সুন্দরভাবে একত্রে বসবাস করা উচিত। সংসারে সামান্য ভুল-বুঝাবুঝি থাকতেই পারে। হাসি-মুখে সমাধান করলে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
নিজের বেকার ভাইয়ের কর্মসংস্থান করে অবিবাহিত বোনকে বিয়ে দিয়ে তারপর নিজের প্রিয় শালা-শালীদেরকেও সেবা দেয়া যেতে পারে। এতে করে পরিবার-আত্বীয়-স্বজন ও সমাজে মান-মর্যাদা আরো বাড়বে। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে বুঝার তওফিক দান করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৫৯৯৪ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নীড়হারা পাখি বলেছেনঃ
এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা সবসময়ই স্ত্রী নামক মহিলাটির দোষ দিয়ে থাকি। তবে এটাও ঠিক মহিলারা সাধারনত আত্নকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তারা সবসময়ই নিজের মা বাবা ভাই বোনদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চায়। কিন্তু স্বামী নামের সেই পুরুষটিরও উপলব্ধি করা উচিত যে আমি শুধু কারো স্বামী বা কারো জামাতা বা করো ভগ্নিপতি নই। কারো ভাই এবং কারো ছেলেও বটে। এবং এদের প্রতিই আমার কর্তব্য ও দায়িত্ব অনেক বেশী। এদের প্রতি পূর্ণ দায়িত্ব পালনের পর যদি আমার সামর্থ্য থাকে তাহলে স্ত্রী পক্ষের আত্নীয়দের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি। স্বামী নামের পুরুষটির উচিত কখনো নিজে স্ত্রীর হাতের পুতুল না বনা। আমাদের সমাজের অনেক পুরুষ কে দেখা যায় বিয়ের পর তারা স্ত্রীর হাতের পুতুল বনে যায়। তখন তাদের ভালোমন্দ বিচার করার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। বিবেক স্বত্তা লোপ পায়। তখন তারা সবকিছুই স্ত্রীর চোখ দিয়ে দেখে, স্ত্রী যা বলে তাই ন্যায় তাই সত্য আর পৃথিবীর বাকী সবার কথা অন্যায় ও মিথ্যা। তখন ঐ পরিবার থেকে শান্তি নামক বায়বীয় জিনিসটি উধাও হয়ে যায়। ঠিক তেমনি ভুক্তভোগী আমার পরিবার।
===========================
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেনঃ
বিয়ের পর মানুষ ঠিক কোন দিক দিয়ে বদলে যায় নিজেও টের পায়না, নিজের চোখে পরিবর্তনটা ধরা পড়েনা আরকি। একেকজন একেক ভাবে বদলায়।
============================
নতুন বলেছেনঃ
বিয়ে মানুষের জীবনে একটা বড় পরিবত`ন....
তার প্রভাব সবকিছুতেই পড়বে...
পরিবারের সবাই যদি চেস্টা করে মিলেমিশে থাকবার তবে তা সম্ভব... কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই হয়ে উঠেনা...
পরিবারে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার>>>নতুন কাউকে মেনে নেয়ার ব্যপার...>> ইগো প্রবলেম>> যৌতুক>>
তাই নিজের মাঝে পরিবারে অশান্তি আর সমস্যা বনাম শালা/শালীদের আদরে মাঝে মানুষ >> আদরের দিকেই ঝুকে পরতেই পারে...
বিয়ের পরে নতুন বউ আর ছেলেকে বুঝতে চেস্টা করাও কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব...
============================
Ekramul Hoque বলেছেনঃ
মানুষের ক্ষুদা যতটা না পেটে তার চাইতে বেশী ক্ষুদা তার চোখে, পেটের ক্ষুদা মেটানো যায় ২টা রুটি দিয়ে, চোখের ক্ষুদা মেটে না সারা পৃথিবী দিয়ে, মিটে শুধু কবরের মাটি দিয়ে। আর এই অসম্ভব ক্ষুদার কাছে হার মানে সমস্ত বন্ধন, মায়া- মমতা, ভালবাসা ইত্যাদি। মায়া- মমতা, ভালবাসার এই সুন্দর বন্ধনগুলির সামনে যদি অসম্ভব ক্ষুদা পরাজিত হত তা হলে ভাইয়ে ভাইয়ে কেন কোন সম্পর্কই নষ্ট হত না।
তাই আপনার শালী নাই.
কিন্তু আমার হ্যাসবেন্ড এর শালা-শালী নেই, আমারো ননদ,দেবর নেই। তাই আমাদের দুজনে কাছেই নিজের ভাই বোন বেশি আপন!
ওরে বাপরে শালা-শালীরা যা দুষ্টামী করে না..আমার একমাত্র শালা একদিন আমাকে বলেছিল ভাইয়্যা আপনার ল্যাপটপে কি গান আছে? আমি তাকে বলেছিলাম..গান নাইরে ভাই ..তবে ইসলামী সঙ্গীত আছে..জারিফার নানী এই কথা শুনতে পেয়ে বলেছিল.......আমার ছেলেকে একটু দু'আ করে দাও............হাহাহা..এবার বুঝুন আমি কেমন দুলাভাই...
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পরিবার-পরিজনদের মাঝে সমতা ও ন্যায়ানুগ অবস্থা বজায় রাখার তাওফীক দিন।
তবে আমার দৃষ্টিতে ঐ ধরণের বউদের তাড়িয়ে দেয়া উচিৎ (পোলাপান হয়ে গেলেও) - যা পারে কইরা খাউক গিয়া নয় আরেকখানে বিয়া বহুক গিয়া – অনেকেই এটা করে না – এভাবে সমাজে এটা বাসা বেধেছে আজকাল এবং নারীদের কূট-ছলনা প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে – ভুক্তভোগী-ভাইয়েরা ওদেরকে তাড়িয়ে না দেয়ার কারণে।
আমি এখানে জামতী মেয়ে খুজতেছি; কিন্তু জামাতী ভাইয়েরা মনে হয় নাই মেয়ে দেয়ার জন্য; এভাবেতো হবে না। তাদের পরিবার গঠনে এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে – নইলে সমাজ বদলাবে কিভাবে? তারপর রাষ্ট্র নিয়া চিন্তা করতে হবে।
ভদ্রলোকের ছোটভাই কি কখনো তাকে বলেছেন যে সে বিদেশে যেতে চায় ? এমনও তো হতে পারে ছোটভাই অলস, অথবা নাকউঁচু স্বভাবের, বিদেশে গিয়ে খেটে খেতে চায়না, বা তার কোন যোগ্যতা নাই। অথবা হয়তো ছোটভাইয়ের ইচ্ছা দেশে সেটেল হওয়ার, আর শ্যালকদের ইচ্ছা বিদেশে যাওয়া। এজন্য শ্যালকদের বিদেশে নিয়ে গিয়েছেন, আর ছোটভাইকে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করছেন, বা ভবিষ্যতে তাকে সাহায্য করবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন।
এরকম আরেকটা ঘটনা দেখা যায় প্রবাসীদের ক্ষেত্রে যখন তারা দেশে আসে। শ্বশুরবাড়ীর জন্য কোন গিফট আনলে নিজের বাড়ির লোকজন মনে করে শ্বশুরপক্ষদের বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আবার নিজের বাড়ীর জন্য গিফট আনলে শ্বশুরবাড়রি লোকজন ভাবে, আমরাতো পর, তাই আমাদের জন্য কিছু আনেনি।
আমার ধারণা, এসকল সমস্যার মূল কারণ হচ্ছে - বাবা মা বউকে নিজের মেয়ের মতো নয়, বরং অন্য বাড়ির মেয়ে হিসেবে দেখে; এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের জামাইকে নিজের ছেলের মতো মনে করে সবটুকু অধিকার আদায় করে নিতে চায়। এই উভয়পক্ষের দ্বন্দের ফলে ছেলে মেয়ের নতুন সংসারে অশান্তির বীজ রোপিত হয়। তার উপর ছেলে যদি হয় প্রবাসী, তাহলে এই সমস্যা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
আমার বড় দুই ভাইয়ের মধ্যে আপনার বর্ণিত ভাইদের মতো কেউ নন; সিস্টেমটা সম্পর্কে ভালো জানি না।
তবে বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে কারো কারো পরিবারে এমন সমস্যার কথা শুনি।
রেহনুমা ম্যাডাম রিমেডি বলে দিয়েছেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন