۩۞۩-----CLOSE TO HEART----۩۞۩
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৩৪:৪৫ দুপুর
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আমরা মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলি। বাংলা আমাদের অফিসিয়াল ভাষা। বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজী ভাষায় ও কথা বলি। অফিসে ও ইংরেজী ভাষা ব্যবহার করতে হয়। ইংরেজী বহি বিশ্বের সাথে যোগাযোগের অন্যতম ভাষা। বিদেশে ভাল চাকরী করার জন্য আমাদেরকে ইংরেজী শিখতে হয়। তাই ইংরেজী ভাষার গুরত্ব অনেক। ঠিক তেমনি আরবী ভাষা শেখা আরো অনেক বেশী গুরত্বপূর্ন। আরবী ভাষা না শিখলে নামায পড়া যাবে না। কোরআন পড়া যাবে না। অন্যান্য দোয়া ও পড়া যাবে না। ইংরেজী ভাষা শিখে আমি/ আপনি দুনিয়াতে লাভবান হই। কিন্তু আরবী ভাষা শিখলে দুনিয়া ও আখিরাতে লাভবান হবো। কিন্তু আমরা কয়জন আরবী ভাষা জানি? আমরা কয়জন শুদ্ধ করে আরবী উচ্চারন করতে পারি? আরবী ভাষা শিখা কেন প্রয়োজন জানেন?
১. আরবী ভাষায় আযান দেয়া হয়।
২. আরবী ভাষায় কুরআন থেকে সুরা পড়ে নামায পড়তে হয়।
৩. নামাযের অন্যান্য দোয়া ও আরবী ভাষায় পড়তে হয়।
৪. নামায শেষে আরবী ভাষায় দোয়া করা হয়। (মাতৃভাষায় ও দোয়া করা যায়)
৫. আমরা আরবী ভাষায় সালাম বিনিময় করে থাকি।
পবিত্র কুরআনুল কারিম আরবী ভাষায় নাযিল হয়। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
১. হা-মীম
২. শপথ সুষ্পষ্ট কিতাবের;
৩. আমি এটা (অবতীর্ণ) করেছি আরবী ভাষায় কুরআনরূপে, যাতে তোমরা বুজতে পার। (সুরা-যুখরূফ)
মহানবী (সাঃ) এর হাদিসগুলোও আরবী ভাষায় লিপিবদ্ধ করা হয়। মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, “তিন কারনে আরবী ভাষাকে ভালবাস। ১. পবিত্র কোরআনের ভাষা আরবী ২. জান্নাতের ভাষা আরবী ৩. আমার ভাষাও আরবী।”
আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত সহজ ভাষায় কুরআন নাযিল করেছেন। কিন্তু আমরা না শেখার কারনে আমাদের কাছে কঠিন মনে হয়। ছোট বেলায় আমরা মক্তবে গিয়ে আরবী শিখেছি। নামাযের জন্য বিভিন্ন সুরা মুখস্ত করেছি। বিভিন্ন দোয়া শিখেছি। প্রতিদিন পাচঁ ওয়াক্ত নামায পড়ার কারনে আমরা সেই সুরা ও দোয়া গুলি মুখস্ত বলতে পারি। আজ আমাদের অনেক মুসলিম ভাই-বোন আরবী না শেখার কারনে কুরআন পড়তে পারে না। আর কোরআন পড়তে না পারলে শুদ্ধ করে নামায পড়বে কিভাবে? এর জন্য দায়ী কে? অবশ্যই মা-বাবা। আরবী ভাষা শিক্ষা না দেবার কারনে মা-বাবাকে গুনাহগার হতে হবে। তাই আমাদের প্রত্যেক মা-বাবার উচিত নিজেরা শুদ্ধ করে আরবী ভাষায় কুরআন তেলোয়াত করা, আর সন্তানদেরকে শিক্ষা দেয়া।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, যার ভেতরে সামান্যতম কোরআন ও নেই সে পতিত বা উজাড় বাড়ীর মত (মেশকাত)
বর্তমানের এই পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে বেশী বেশী কোরআন তেলোয়াত করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে হবে। আল্লাহ যেন মসুলমানদেরকে সঠিক পথে চলার তওফিক দান করেন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
২৪৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন