۞۞ এক বোকা প্রেমিকের আত্মহত্যা ۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:১২:১৭ দুপুর
প্রেমিকের নাম এহসানুল হক তন্ময় (১৬) ও প্রেমিকার নাম শেহরীন রহমান মীম (১৬)। দুজনই রাজধানী ঢাকার মগবাজারের প্রভাতী বিদ্যা নিকেতনের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্বপ্ন ছিল তাদের একসঙ্গে ঘর বাঁধার। একসঙ্গে বেঁচে থাকার। মরলেও একসঙ্গে মরার। সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না কারোরই। একজন জীবন দিয়ে ভালবাসার ঋণ শোধ করল। অন্যজন মরতে গিয়েও পারেনি। তারা প্রেমিক যুগল তন্ময় আর মীম। বয়সে দু’জনই কিশোর। স্কুলের সহপাঠী। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। তারপর দিন দিন প্রেমকে পরিণত করার চোখে স্বপ্ন। আজীবন একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তে বাদ সাধলো পরিবার। জোর করে প্রেমিকাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অটল প্রেমিকযুগল। বৃহস্পতিবার বিকালে বাসা থেকে পালিয়ে যায় তারা। রাতভর এলোমেলো এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা শেষে দুজনের সিদ্ধান্ত আত্মহত্যা করার। জীবনে বেঁচে থেকে যদি একে অপরকে না পাই মরে পরকালেই এক হবো। এমন সিদ্ধান্ত থেকে নেয় তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। ভোরে হাতিরঝিল ব্রিজের ওপর থেকে দেয় পানিতে ঝাঁপ। প্রথমে প্রেমিক, তারপর প্রেমিকা। মরতে চেয়েও বেঁচে গেলেন প্রেমিকা। বাঁচলো না প্রেমিক, অমর প্রেমের উদাহরণ হয়ে রইলো সে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি গতকাল ভোরের।
পুলিশ জানায়, গতকাল ভোরে হাতিরঝিলের রামপুরা অংশের এক নম্বর ব্রিজের ওপর থেকে প্রথমে পানিতে ঝাঁপ দেয় তন্ময়। তারপর মীমও ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় পাশেই সুমন নামে এক নিরাপত্তাকর্মী শব্দ শুনে দৌড়ে এসে মীমকে হাবুডুবু খেতে দেখে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন এসে লেকে দড়ি নামিয়ে দেয়। মীম দড়ি ধরে তীরে উঠলেও ডুবে যায় তন্ময়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লেক থেকে তন্ময়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
গতকাল মীম এ প্রতিবেদককে বলে, আমি অনেক চেষ্টা করেছি তন্ময়কে বোঝাতে। বলেছি, আমার সঙ্গে তোমাকে মিলতে দেবে না তো কি হয়েছে। আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমারই থাকবো। এ আত্মহত্যার চিন্তা তুমি তোমার মাথা থেকে ঝেরে ফেলে দাও। কিন্তু তন্ময় আমার কথা শোনেনি। তার একটাই কথা আমি তোমাকে চাই। তোমার যদি আর কারও সঙ্গে বিয়ে হয় সেটা আমি মেনে নিতে পারবো না। এ জন্য আমাদের আত্মহত্যা করাই প্রয়োজন। তন্ময়ের এ সিদ্ধান্তে আমিও আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেই।
সুত্রঃ মানবজবিন
তন্ময় ছেলেটা আসলেই বোকা। প্রথমে নিজে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় নিল। অন্যদিকে মীম পানিতে সাতার কাটতে গিয়ে ধরা খেয়ে এখন আদালতের কাঠগড়ায়। হয়ত কিছুদিন পর মুক্ত হয়ে বাবা-মার কথামত কাউকে বিয়ে করে সংসার করবে। মীম বিয়ে পরে তন্ময় নামক প্রেমিকের কথা আস্তে আস্তে ভুলে যাবে। আর তন্ময় নামক বোকা প্রেমিক আত্মহত্যা করে দুনিয়াও হারাল আখিরাত ও হারাল। এই আত্মহত্যার কারনে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
সন্তানেরা পড়ালেখার নাম করে কোথায় যায়, মোবাইলে কার সাথে কথা বলে, কার সাথে বন্ধুত্ব করে.. গার্ডিয়ানদের একটু খেয়াল রাখা উচিত। বর্তমানে প্রেম-পিরিতির এই কঠিন ভাইরাস থেকে সন্তানদেরকে নিরাপদ রাখতে হলে সারাক্ষণ পাহারার মধ্যে রাখতে হবে। কেননা একটু ফাঁক পেলেই ওরা যে কোন অঘটন ঘটাতে পারে......তন্ময়ের মত আত্মহ্ত্যার পথ বেচে নিতে পারে........
বিষয়: বিবিধ
২৪২৫ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আগুন ধরলে মরে যাবো তাই আমরা এক্সটিংগুইশার রাখি সাথে; কন্সট্রাকশনের সময় উপর থেকে পড়ে গেলে নির্ঘাত মরবো – তাই সেফটি ফার্ষ্ট বুলি আমাদের; গাড়ী চাপায় মরবো বুঝি তাই নিরাপদ সড়ক আন্দোলন; আরও কত কি বুঝি আমরা?
কিন্তু কিভাবে মনুষ্য-চরিত্র মরে পশু হয় মানুষ এবং এর ফলে ক্ষতি আমাদেরই বেড়ে যায় – সে ব্যাপারে আমরা অমনোযোগী; আর এরকম অমনোযোগের শিকার আমাদের-ই সন্তান, ভাই-বোন এবং অন্য অনেকেই; কেউ স্বতীত্ব হারাচ্ছে; কেউ জীবন দিচ্ছে; কেউ ধুকছে; কেউ সেদিকে আগ বাড়ছে, এরকম আরও কত কি – তবুও আমরা বুঝতে চাই না – কিসের মোহ যেন আমাদের এই বোকামীর দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
হাসান মাহমুদ
শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৩১
এখন.। এখন কি হবে ? প্রেমিকা যাবে অন্নের হাত ধরে নতুন কারও ঘরে, আর প্রেমিক যাবে নরকে !!! এই এইতো !! জ্ঞানের উপর আবেগের স্থান হলে যা হয় ! যে ইস্কুলে গিয়ে শেখার কথা জীবনকে গড়তে, সেখানে গিয়ে নিজেই শেষ ! এমনটি তো হবার কথা ছিল না তন্ময় !!!
মোহাম্মদ আবুল কালাম
শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:২৯
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা পদ্ধতির ত্রুটির কারণে ছেলে- মেয়েরা অবাধ মেলা- মেশার সুযোগ পেয়েছে, ফলে অপরিণত বয়সে এসব করূণ পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে, অভিবাবকরা হচ্ছে অনাকাঙ্খিত ও অপুরনীয় ক্ষতির সম্মুখিন, এজন্য অভিবাবকদের উচিত এসব ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকা এবং সরকারের উটিত শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করে ইসলামের আলোকে শিক্ষা ব্যাবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
Hafiz Jamil
শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ ০৯:৩১
ওরা যদি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হত তাহলে আজ এদের এই পরিনতি হত না। এরকম পরিস্তিতি এড়াতে প্রত্যাক মা বাবার উচিৎ নিজের ছেলে মেয়েদেরকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা আর এতেই রয়েছে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ। (হাফিজ জামিল)
| ৩৬ | ১৫
হাসান মাহমুদ
শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৩১
এখন.। এখন কি হবে ? প্রেমিকা যাবে অন্নের হাত ধরে নতুন কারও ঘরে, আর প্রেমিক যাবে নরকে !!! এই এইতো !! জ্ঞানের উপর আবেগের স্থান হলে যা হয় ! যে ইস্কুলে গিয়ে শেখার কথা জীবনকে গড়তে, সেখানে গিয়ে নিজেই শেষ ! এমনটি তো হবার কথা ছিল না তন্ময় !!!
| ৭ | ০
শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৩৭
আমি মনে করি পৃথিবীতে প্রেম আছে। সেই প্রেম শুধুমাত্র প্রদর্শন করা উচিত এক আল্লাহ, তার পিতা-মাতার উপর, মায়ের প্রতি সন্তানে বা সন্তানের প্রতি মায়ের। একটা ছেলে বা মেয়ের মধ্যে সে প্রেম আসলে এটা কোন প্রেমই না। আমি মনে করি এটা একটা সেক্স ছাড়া আর কিছুই না। আর যে দুইজন আত্মহত্যা করেছে তারা তো দুইজনই মুসলমান। আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, আত্মহত্যা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে। আত্মহত্যা করা মহা পাপ। এরা কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। আর পবিত্র কোরআনে বলা আছে যে, একটা ছেলে ও মেয়ের বিয়ের আগে প্রেম করা হারাম। ইসলাম কখনোে এই প্রেম কে সম্মতি দেয় না। তবে অনেকে আছে যে, তারা বলে ইসলামে তো ইউসুফ (আঃ) ও জুলেখা প্রেম করেছে তাহলে আমরা প্রেম করবো না কেন? যারা এমন কথা বলেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে করে বলব যে, আপনি হয়ত ইউসুফ ও জুলেখার কাহিনী বা তাদের জীবনী পড়েন নি বা কোন লোকের মুখে শুনেছেন যারা আপনাকে তাদের জীবনী সম্পর্কে আপনাকে ভালভাবে বোঝাতে পারিনী বা তারও জানে না। সুতরাং আমি মনে করি ছেলে ও মেয়ের মধ্যে যে প্রেম তা বলে কিছু নেই বা হারাম ।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=NTYyOA==
সময়াপুযোগী পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ
এই ঘটনাটির জন্য যেমন ছেলে এবং মেয়েটি দায়ী আমরাও এর জন্য তেমনি দায়ি তাগুতী শক্তি যেমন এ সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে ঢুকিয়ে দিচ্ছে কিন্তু আমরা পারছিনা এগুলো নিয়ে আমাদের মাঝে কিঞ্চিৎ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে।
আমাদের সবারই উচিৎ এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির।
আমি কিছু ছেলেদেরকে এই সকল বিষয় নিয়ে কাজ করেছি আলহামদুলিল্লাহ (যাদের হাত দেখলে আপনি শিওরে উঠবেন তারা হাতের কি অবস্থা করেছে আমি বুঝানোর পরে ছেলেরা তওবা করেছিলো এবং এরকম বোকামি করবেনা বলেছিলো। আলহামদুলিল্লাহ।) ভাই এ সকল বিষয়ে পরিবারের সবসময়ই সতর্ক এবং সচেতন হওয়া উচিৎ।
হায়রে প্রেম..........ধিক্কার জানাই। মরার পরে এক হবে কেমনে?? লাইলি মজনুর প্রেম পড়লেতো এরখম হবেই।
এই সকল ফালতু চিন্তা যে কিভাবে আসে....ভাবাই যায়না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন