۞۞ নারীদের ইসলামী শিক্ষা কেন প্রয়োজন? ۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:০৭:৩৪ সন্ধ্যা
উচ্চবিত্ত পরিবারের মাতা-পিতারা স্বপ্ন দেখে তাদের সন্তান বড় হয়ে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/আইনজীবী/ব্যাংকার/পাইলট হবে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মাতা-পিতারা তাদের সন্তানকে কোন লক্ষ্যও ছাড়াই পড়ালেখা করিয়ে থাকে। সন্তানদের মেধার উপর নির্ভর করে সে কতদুর যেতে পারবে। নিম্মবিত্ত পরিবারের মাতা-পিতারা সন্তানকে খুব বেশী পড়ালেখা করাতে পারে না। খুব অল্প বয়সে তাদের সন্তানেরা পরিবারের হাল ধরে।
উচ্চবিত্ত পরিবারের মাতা-পিতারা তাদের সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করাতে চায়না। কারণ মাদ্রাসা থেকে পাস করে বড় বড় চাকরী করে বেশী বেশী টাকা-পয়সা উপার্জন করা সম্ভব নয়। তাই মাদ্রাসা গুলোতে বেশীর ভাগ মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পড়ালেখা করে।
আমাদের দেশের জনগোষ্টির অর্ধেকও বেশী নারী। এক সময় নারীরা ঘর থেকেও বের হতো না। খুব বেশী পড়ালেখা করতো না। আর এখন নারীরাও পড়ালেখা করে চাকরী করছে। সমাজ সেবায় অবদান রাখছে।
শহরাঞ্চল বাদ দিলে গ্রামের নারীরা এখনো গৃহবধুই রয়ে গেছে। স্কুলের গন্ডি পার হতে না হতেই তাদেরকে অন্যর ঘরে চলে যেতে হয়। তাই শুধুমাত্র স্কুলের শিক্ষায় তাদের একমাত্র সম্বল। এই শিক্ষা দিয়ে তারা তাদের সন্তানদেরকে গড়ে তুলে।
আমাদের দেশের প্রতিটি গ্রামে গার্লস্কুল আছে। কিন্তু মহিলা মাদ্রাসা নেই। গার্লস স্কুলের পাশাপাশি যদি মহিলা মাদ্রাসা থাকত তাহলে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শশুরবাড়ীতে গিয়ে নিজের সন্তানদেরকে সুশিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে সন্তানদেরকে মানুষ করাতে পারত।
আশার কথা হচ্ছে ইদানিং বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় শহর ও গ্রামাঞ্চলে মহিলা মাদ্রাসা গড়ে উঠছে। আমাদের দেশে খুব দ্রুত মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়ছে। অদুর ভবিষ্যতে প্রতিটি গ্রামে মহিলা মাদ্রাসা থাকবে বলে আশা করা যায়। আর এই মাদ্রাসাগুলোতে পড়ালেখা করে আমাদের দেশের নারী সমাজ ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবারকে ইসলামী পরিবেশে পরিচালিত করবে ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
২৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন