এসবিতে আমার সর্বশেষ পোষ্ট ۩۞۩--শাহবাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দাম্পত্য জীবনে ও অশান্তি শুরু হতে পারে--۩۞۩

লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:১৯:৫৮ রাত



শাহবাগের ঘটনায় ফেইসবুকে ভাই-বন্ধূ-আত্বীয় স্বজনের মধ্যেও স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধের নাম সাইবার যুদ্ধ। সবাই নিজ নিজ দলের কর্মকান্ড তুলে ধরছে। এই যুদ্ধে কেউ রাজপথে কেউবা অন-লাইনে সক্রিয় আছে। দাম্পত্য জীবনেও এর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিয়ের আগে কেউ পাত্র-পাত্রীর দলীয় পরিচয় জানতে চায় না। বিয়ের পরেই জানা যায় কে কোন দলকে সমর্থন করে। পরিবারের অন্য সদস্যদের ও দলীয় পরিচয় জানা যায়। বিপদের সময় পাশে দাড়ায়। আবার ঝগড়া হলে এক হাত দেখিয়ে নেয়।

সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়ে থাকে। ঝগড়ার মাত্রা বেশী হলে অনেক সময় দলীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। ইদানিং দাম্পত্য জীবনেও রাজনীতি ঢুকে পড়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৬ কোটি মানুষ এখন বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যেমনঃ

আওয়ামীলীগ-বামদল গুলো চাচ্ছে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ হোক। তাদের প্রতিষ্টান গুলো বন্ধ করে দেয়া হোক। তাদের নেতাদের ফাঁসি দেয়া হোক।

জামাত-শিবির চাচ্ছে জেল খানায় আটক তাদের নেতা-কর্মীদেরকে মু্ক্তি দেয়া হোক। তাদেরকে মিটিং-মিছিল করার সুযোগ দেয়া হোক। তারা এদেশের সন্তান। তাদেরকে কেউ নিষিদ্ধ করতে পারবে না। তাই তারা পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে রাজপথে মিটিং মিছিল করে যাচ্ছে। শত শত নেতা-কর্মী আহত-নিহত হচ্ছে, গ্রেফতার হচ্ছে। তারা সামনের কঠিন সময় গুলো মোকাবেলা করতে শপথ গ্রহন করেছে।

বিএনপি চাচ্ছে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে তাদের কোন আপত্তি নাই। জামাতের মত তাদেরকে মিটিং-মিছিল করতে দিচ্ছে না বলে তারাও সরকারের উপর ক্ষেপে আছে। তাদের ও হাজার হাজার নেতা-কর্মী জেলে আটক আছে। এই অবস্থায় তারাও যে কোন কঠিন কর্মসূচী গ্রহন করতে পারে।

জাতীয় পাটি এখন সুবিধা জনক অবস্থানে আছে। আগামী নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুতি গ্রহন করছে। সুযোগ বুঝে যে কোন দলে/জোটে ঢুকে পড়বে। ১৮ দল নির্বাচনে না আসলে তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বিরোধী দলের ভুমিকা পালন করতে পারে।

যে কথাটি বলে শেষ করতে চাই, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে জাতি এখন বিভিন্ন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দাম্পত্য জীবনেও এর প্রভাব ফেলতে পারে। আত্বীয়-স্বজনেও এখন কানাঘুষা শুরু হয়েছে। অমুক রাজাকারকে সমর্থন করে। অমুক চোরের দলকে সমর্থন করে। আর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হলে নতুন কিছু শব্দ যোগ হতে পারে--------------------------

তুমি তো রাজাকার---

তুমি তো স্বৈরাচার--

তুমি তো চোর, ভাদা--

তুমি তো পাদা--

আরো অনেক বিশ্রী শব্দ বলে থাকে-----------------

রাজনীতির ভাষা এতটাই নোংরা হয়ে গেছে যে, নতুন প্রজন্মরা রাজনীতিকে ঘৃনা করতে শুরু করেছে। তাই আসুন আমরা যে দলকে সমর্থন করি না কেন, দাম্পত্য জীবনে যাতে রাজনীতি প্রবেশ করতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখবেনে। আত্বীয়তার সম্পর্ক যাতে নষ্ট না হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১১৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File