۞۞ সুন্দর কথা বলুন ۞۞ সুন্দর কথা দিয়ে সহজেই মানুষের মন জয় করা যায় ۞۞

লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৩ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:০১:১১ দুপুর



۞۞ সুন্দর কথা বলুন ۞۞ সুন্দর কথা দিয়ে সহজেই মানুষের মন জয় করা যায় ۞۞

সুন্দর কথা বলাঃ

পৃথিবীতে যত আদর্শ প্রচারিত হয়েছে তা হয়েছে সুন্দর কথা দিয়েই, অসুন্দর কথা ও কুবচন দিয়ে কোন আদর্শ পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুন্দর কথা দিয়ে সহজেই মানুষের মন জয় করা যায়। শ্রেষ্ঠ মনীষীরা সুভাষী ছিলেন। সুন্দর কথার হাত, পা ও জীবন আছে। সুন্দর কথায় রোগ জীবাণু ধ্বংসের ওষুধ আছে, এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা আছে। সুন্দর কথায় শর্করার শক্তি আছে, ভিটামিনের সঞ্জীবনী আছে, আমিষের পুষ্টিগুণ আছে। একটি সুন্দর কথা ভাল গাছের মতো, মাটিতে যার বদ্ধমূল শিকড়, আকাশে যার বিস্তৃত শাখা, যে গাছ অফুরন্ত ফল বিলিয়ে দেয়। শুদ্ধভাবে, গুছিয়ে ও সুস্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে হবে।

মানুষের সাথে উত্তম ব্যবহারঃ

হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) বলেন, ভাল কথা ও সাদকা করা উত্তম কাজ। নবী করিম (সাঃ) আরও বলেন, তোমরা দোযখের আগুন থেকে বেঁচে থাক, একটি খেজুর দিয়ে হলেও। যদি তা না পাও তাহলে মধুর ভাষার বিনিময়ে। মানুষের মধ্যে তিনিই সর্বোত্তম যার দ্বারা মানব কল্যাণ সাধিত হয়। সেই খাঁটি মানুষ যে উপস্থিত অনুপস্থিত যে কোন অবস্থাতেই তার ভাইকে রক্ষা করে। মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে ইবাদতের জন্য আর মানুষের সেবা ও সৃষ্টির খেদমতই হলো শ্রেষ্ঠ ইবাদত। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) বলেন, ‘‘আল্লাহ সকল কাজে নম্রতা ভালবাসেন’’।

সর্বোত্তম ব্যবহারঃ

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সুমিষ্ট আচরণ ও বচন, ভদ্র ও মার্জিত রুচির পরিচায়ক। সদাচরণ মানুষকে কাছে টানে। সদাচরণের বাস্তব উদাহরণ আমাদের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এ ব্যাপারে আল্লাহর ঘোষণা- ‘‘খোদার অনুগ্রহেই হে নবী! আপনি বিনম্র হয়েছেন। অন্যথায় আপনি যদি রূঢ় ভাষা ও পাষাণ হৃদয়ের হতেন তা হলে আপনার চতুষ্পার্শ হতে সব লোক ভেগে যেত। (আলে ইমরান)।

সর্বোত্তম ব্যবহার, বিনয়ী চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, আনুগত্য, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সু-স্পর্কের মাধ্যমে সেবাদান নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে সদা সচেতন থাকতে হবে।

প্রতিটি সৎ কাজই সাদকাঃ

হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেকটি সৎ কাজই সাদকা। হযরত আবু মুসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মুসলমানেরই সাদকা করা অবশ্য কর্তব্য। উপস্থিত লোকজন বলল, যদি সে সাদকা করার মত কিছু না পায়? তিনি বললেন, সে যেন কারো সাথে খারাপ ব্যবহার না করে।

একজন মুসলমানের পরিচয়ঃ

সেই সবচেয়ে ভাল মুসলমান, যার স্বভাব আপন পরিবারের কাছে সবচেয়ে ভাল বলে বিবেচিত। সেই পূর্ণ মুসলমান যার আচরণ সর্বোত্তম। যে ব্যক্তি নিজের লেনদেন ও কাজ কারবারে সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত, ওয়াদা পালন করে, দায়িত্ব পালন করে, মানুষকে ধোঁকা দেয় না, আমানতের খেয়ানত করে না, মানুষের হক নষ্ট করে না, ওজনে কম দেয় না, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং সুদ ঘুষসহ যাবতীয় অবৈধ রোজগার থেকে নিজেকে রক্ষা করে চলে, সেই হলো প্রকৃত মুসলমান। খাঁটি মুসলিম সেই ব্যক্তি যার রসনা ও হাত থেকে অপর মানুষ নিরাপদ। কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে নিজের জন্যে যা চাইবে তা তার ভাইয়ের জন্যেও চাইবে।

বিষয়: বিবিধ

৩৫২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File