۩۞۩ আমরা কেউ-ই কামনা করিনা যে, আমাদের মৃত্যু অপবিত্র অবস্থায় বা অযুহীন অবস্থায় হোক ۩۞۩
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৯:০৪:১৬ রাত
অযু শুধু মাত্র নামাজ আদায় বা কোরআন তিলাওয়াতের জন্যেই নয়, সবসময় অযু অবস্থায় থাকা খুবই নেকীর কাজ। প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। আমরা কেউ-ই কামনা করিনা যে, আমাদের মৃত্যু অপবিত্র অবস্থায় বা অযুহীন অবস্থায় হোক। মৃত্যু যে কোন সময় হানা দিতে পারে। রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ বা কোনো ধরনের দুর্ঘটনার মাধ্যমেও মৃত্যু হতে পারে এবং এ মৃত্যু কখন কি অবস্থায় আসবে, তা কারোই জানা নেই। সুতরাং মলমুত্র ত্যাগের পরেই অযু করা নবী-রাসুলদের নীতি এবং এভাবে অযু অবস্থায় যে মৃত্যুবরণ করলো সে অবশ্যই পবিত্র অবস্থায় মহান আল্লাহর আহবানে সাড়া দিলো। মৃত্যু মানুষের খবুই কাছে অবস্থান করে, মানুষ যদি দেখতে পেতো যে মৃত্যু তার কত কাছে, তাহলে সে মানুষের পক্ষে পৃথিবীতে জীবন-যাপনের জন্য কোনো ধরনের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হতো না।
মৃত্যু আমাদের তাড়া করে ফিরছে, আমাদের হায়াত ক্রমশ শেষ হয়ে যাচ্ছে, কবর আমাদের দিকে মুখ ব্যদন করে রয়েছে, কিন্তু আমাদের অনুভূতিই নেই। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে মগ্ন রয়েছি, বিশাল ধন-ঐশ্বয্য রয়েছে, তারপরেও তৃপ্তি নেই, আরো অধিক সম্পদের জন্য নানা ছল-চাতুরী ও দুর্ণিতির আশ্রয় গ্রহণ করা হচ্ছে। মৃত্যু ও পরকালে জবাবদীহির অনুভূতি না থাকার কারনেই বর্তমানে একশ্রেণীর লোকজন দ্বিধাহীন চিত্তে জনগনের সম্পদ আত্মসাৎ করছে। সুতরাং মৃত্যুর চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে সংশোধন করতে হবে।
এমনটি ঘুমানোর পূর্বেই অযু করে বিছানায় যেতে হবে। মৃত্যুকে যখন বরণ করতেই হবে,তখন মহান আল্লাহর একটি নির্দেশ পালনরত অবস্থায় অর্থাৎ অযু অবস্থাতেই মৃত্যু হোক। যেনো মহান মালিক আল্লাহ তা’য়ালার কাছে এতটুকু কথা বলতে পারি, হে আল্লাহ! তোমার নির্দেশ পালনরত অবস্থায় আমার জীবনের সমাপ্তি রেখা টানা হয়েছে, এই উছিলায় তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
۩۞۩ দুনিয়া-আখিরাতে অযুর নগদপাপ্তি ১৪টি ۩۞۩
অযু সম্পর্কিত সকল হাদিস বিশ্লেষণ করলে জানা যায় যে,যারা যথাযথ পন্থায় উত্তমরূপে অযু আদায় ও সংরক্ষণ করে, তাদের জন্য দুনিয়া-আখিরাতে ১৪ টি কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
অযু করলে গুনাহ ঝরে যায়।
গোনাহ হলো অপবিত্র, অযু করলে এই অপবিত্রতা ধুয়ে মুছে পরিছন্ন করা হয় অর্থাৎ অযু করলে গোনাহ মুছে দেয়া হয় এবং সেই সাথে ক্ষমাও করা হয়। (এখানে গোনাহ বলতে ছোট ছোট গোনাহকে বুঝানো হয়েছে)
অযু মুমিনের মর্যাদা বৃদ্ধির কারন ঘটায়।
অযু করার মধ্যে যে নেকী রয়েছে, তা জিহাদের সমতুল্য।
অযু করার সময় যে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়া হয়, কিয়ামতের দিন উত্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে আলো বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।
অযুর সময় সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধোয়া হয়, উত্ত অঙ্গসমুহ কিয়ামতের দিন জান্নাতের অলংকারে সজ্জিত করা হবে।
অযু আদায়কারীদের কিয়ামতের দিন নবী করীম (সাঃ) চিনতে পারবেন। যাকে তিনি চিনতে পারবেন, বলা-বাহুল্য সেই ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ নাজাত পাবে।
নবী করীম (সাঃ) অযু আদায়কারীর জন্যে কিয়ামতের দিন হাউজে কাউসারে অপেক্ষা করবেন।
অযু করলে হাত-পায়ের নখের নীচের গোনাহসমুহ ঝরে যায়।
অযুর হেফাযত তথা অযুর সংরক্ষণ করা ঈমানের লক্ষণ।
অযু করা ঈমানের অংশ।
অযু করে দোয়া পড়লে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়।
অযু আদায় করে যে প্রার্থনা করা হবে, তা কবুল হবার সম্ভাবনা অধিক।
অযু করার কারনে দেহ ও চেহারা কান্তিময় হয়।
সুত্রঃ
জান্নাত লাভের সহজ আমল
পৃষ্টাঃ ১৮২-১৮৭
মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, দুবাই ইউ এ ই
বিষয়: সাহিত্য
২৩৮২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন