۞۞۞ যে সমস্ত কারনে আলেমরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপদে পড়ে ۞۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:৩৭:৫৬ রাত
আলেমদের মর্যাদা দানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর তাদেরকে দায়িত্বশীল বানিয়ে দেয়া। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, আলেমরা কেন তাদেরকে পাপ কথা বলতে এবং হারাম ভক্ষণ থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করে না? (মায়েদা : ৬৩)।
যে সমস্ত কারনে আলেমরা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপদে পড়ে তার কয়েকটি হলঃ-----------
۞ বেনামাযীকে নামায পড়তে বললে--
۞ অবৈধ মেলামেশা থেকে দুরে থাকতে বললে--
۞ হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকতে বললে--
۞ সুদ খেতে নিষেধ করলে--
۞ নারীদেরকে বেপর্দা চলাফেরা করতে নিষেধ করলে--
۞ নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কথা বললে---
۞ কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করতে বললে--
আরো অনেক কারনে আলেম সমাজকে বিভিন্ন প্রকারের নাজেহালের শিকার হতে হয়। তবে শেষ দুটি পয়েন্টের কারনে বেশী নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
আলেমরা নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কথা বলুক, আল্লাহর আইন-কানুন বাংলার জমিনে প্রতিষ্টিত করতে রাজনীতি করুক অনেকে সহ্য করতে পারে না। আর সহ্য করতে পারে না বলে তারা আলেমদের উপর নির্যাতন-অত্যাচার শুরু করে। আলেমদের বিরুদ্ধে খুৎসা রটিয়ে থাকে। তারা আলেমদেরকে রাজনীতি থেকে দুরে থাকতে অনুরোধ করে।
গতকাল চ্যানেল আইয়ের ট্কশোতে এক মহিলা আল্লামা শফি সাহেবের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন। শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছে।
নাস্তিকদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে গিয়ে আলেমদেরকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। আলেমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আজে-বাজে কথা প্রচার করে জনগনকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে। যারা আলেমদেরকে নিয়ে আজে-বাজে কথা বলে তারা কি জানে না আলেমদের মর্যাদা কি?
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আলেমদের উচ্চমর্যাদা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। যেমন এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘যারা আলেম এবং যারা আলেম না; তারা কি সমান হতে পারে?’ (জুমার : ৯)।
মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘একজন আলেমের মর্যাদা একজন সাধারণ মানুষের ওপর ততটুকুন, যতটুকুন তোমাদের ওপর আমি একজন নবীর মর্যাদা।’ (সহি তিরমিজি)।
অন্য হাদিসে মহানবী (সাঃ) বলেন,‘দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষিত একজন আলেম শয়তানের মোকাবেলায় একজন অজ্ঞ ব্যক্তির চেয়ে হাজার গুণ অধিক শক্তিশালী। (সহি তিরমিজি ও ইবনু মাজাহ)।
অপর দিকে মানুষের মধ্যে যার কল্যাণ চাওয়া হয় তাকেই কেবল আলেম হওয়ার সুযোগ প্রদান করা হয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করেন। (সহিহ বুখারি, মুসলিম ও ইবনু মাজাহ)।
মহানবী (সাঃ) আরো বলেন, নিশ্চয় আলেমরা হলেন নবীদের উত্তরাধিকারী। (সহি তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে হিব্বান ও হাকিম)।
মহানবী (সাঃ) আলেমদের সম্মান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আলেমকে সম্মান করল সে যেন আমাকেই সম্মান করল।’ (দারেমি)।
ইলম এবং আলেমের মর্যাদা আকাশ সমতুল্য। ইলমের পথই হলো সমৃদ্ধির পথ। আর যারা আলেম তাদেরকে সম্মান করা অবশ্য কর্তব্য। এতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টি এবং বরকত নিহিত রয়েছে।
তাই আসুন আমরা ইলম অর্জন করি এবং আলেমদের যথাযথ সম্মান করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দিন।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন