۞۞ বউয়ের উপর জুলুম করবেন না-বউ বদদোয়া দিলে আপনার ক্ষতি হতে পারে ۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০১:১৫:০১ দুপুর
স্ত্রীর উপর জুলুম-নির্যাতন চালানো কাপুরুষের কাজ। তাদের উপর জূলুম চালালে কি কোন সওয়াব পাওয়া যাবে? বীরত্ব প্রকাশ ও অপরের উপর শাসন চালানো খাহেশ থাকলে কোন শক্তিশালী পুরুষের উপর শাসন চালিয়ে দেখান তো দেখি।
অনেক নিষ্টুর পুরুষ স্ত্রীকে সীমাহীন মারপিট করতে দ্বিধা করে না। যা কল্পনা করলেও শরীর শিউরে উঠে। স্ত্রীর উপর দৈহিক নির্যাতন চালানো নেহায়েত মূর্খতা ও কাপুরুষতা। এটা পুরুষের আত্মমর্যাদারও পরিপন্থী। কেউ কারো কাছে বন্দী এবং তার সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনাধীন থাকলে তার উপর শক্তি প্রদর্শন করা বীরত্বের কাজ নয়।
নারীরা বড় দুর্বল ও অসহায়। মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই। ফলে সর্বদা নির্যাতিত ও নিগৃহিত হতে থাকে। তবে তারা খুব অভিশাপ দিতে পারে। স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন তাদের মুখ খুব চলতে থাকে। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে যখন তারা মা-বাবার কাছে অভিযোগ করতে যায়, তখন তাদের কাছেও তাদের ঠাঁই নেই। মা-বাবা তাদেরকে ধমক দিয়ে ধমিয়ে রাখে। ফলে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা এবং অভিশাপ দেয়া ব্যতীত তাদের সামনে অন্য কোন পথ খোলা থাকে না। আর সেই অভিশাপ এমনই যন্ত্রনাদগ্ধ, যা আল্লাহর দরবারে সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা মাজলুমের ফরিয়াদ কবুল করতে দেরী করেন না।
হাদীস শরীফের ভাষ্য মতে, যার কোন সাহায্যকারী নেই, তার সাহায্যকারী আল্লাহ। মাজলুম যখন ফরিয়াদ করে তখন আল্লাহ বলেনঃ
“আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো, যদিও খানিক বিলম্বে।”
স্ত্রীর প্রতি জুলুম নির্যাতনের পরিণাম অনেক সময় দুনিয়াতেই ভোগ করতে হয়। এজন্য তার সাথে সর্বদা সদাচারণ করা উচিত। হাস্যেজ্বল ও প্রফুল্লাচিত্তে তার সামনে নিজেকে পেশ করবেন। তার উপর কখনও জুলুম নির্যাতন চালাবেন না। আল্লাহকে ভয় করুন।
অসম্ভব কিছু নয় যে, স্ত্রীর অন্তরের অভিশাপে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কোন বিপদে ফেলে দিতে পারেন। যেমন কোন মামলা-মোকদ্দমা চাপিয়ে দেয়া, কোন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত করা কিংবা কোন জালেম শাসক তার উপর চাপিয়ে দেয়া ইত্যাদি। কারণ, অপরের উপর জুলুম করার প্রতিফল মানুষকে সাধারণত দুনিয়াতেই ভোগ করতে হয়।
পরিশেষে বলতে চাই------হে বিবাহিত ভাই!
۞ স্ত্রীকে ভালবাসুন।
۞ স্ত্রীর সকল আবদার পুরণ করার চেষ্টা করুন।
۞ স্ত্রীর অন্যায় আবদার/অপরাধের কারনে মারধর করবেন না।
۞ স্ত্রীর ছোট ছোট ভুলগুলো ক্ষমা করে দিন।
۞ অপরাধ বড় হলে দুই পরিবারের (নিজের পরিবার+শশুরবাড়ী) মুরব্বীদের সাহায্য নিয়ে সমস্যার সমাধান করুন।
বিদায় হজ্জ এ নবী (সাঃ) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করে উপদেশ ও নসিহত দান করে বলেনঃ
তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার কর।…তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, অনুরূপ তোমাদের উপর তোমাদের স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে। তোমাদের অধিকার হল, তারা যেন তোমাদের বিছানায় ওই সব লোককে আসতে না দেয় যাদেরকে তোমরা অপছন্দ কর এবং তারা যেন ওই সব লোককে তোমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করার অনুমতি না দেয় যাদেরকে তোমরাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তাদেরকে ভালরূপে খেতে-পরতে দেবে।
[তিরমিজি ১১৬৩, ইবনু মাজাহ ১৮৫১; তাহকীক রিয়াযুস স্বালেহীন পৃষ্ঠা ১৬০]
প্রবাস থেকে সবাইকে ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছাসহ--------
বিষয়: বিবিধ
৩২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন