۞۞۞ মসজিদে জামাআত থেকে দূরে থাকার কঠোর হুঁশিয়ারী ۞۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৪ আগস্ট, ২০১৩, ০২:১৪:৫৬ দুপুর
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, ইশা ও ফজরের সালাত মুনাফিকদের নিকট বেশী ভারী বলে মনে হয়। তারা যদি ইশা ও ফজরে কি ফযিলত নিহিত আছে তা জানত, হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা এ দু’টি সালাতে শামিল হত। আমার ইচ্ছে হয় আমি সালাতের নির্দেশ দেই অতঃপর জামাআত শুরু করা হোক। আর এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দেই লোকদের সালাত পড়াবার । অতঃপর যাদের কাছে জ্বালানী কাঠ আছে ওদের সাথে ওই সকল লোকদের নিকট গিয়ে তাদের ঘর-বাড়ী আগুনে জ্বালিয়ে দেই যারা সালাতে হাজির হয় না ।
ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে নিবেদন করলাম, “ আমি বৃদ্ধ ও অন্ধ। আমার বাসস্থান ও একটু দুরে। উপরন্ত আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত কেউ নেই। এমতাবস্থায় আপনি কি আমাকে জামাআত ত্যাগ করার অনুমুতি দিবেন? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন- তুমি কি আযান শুনতে পাও? বললাম জ্বি হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমাকে আমি অনুমতি দেবার কোন পথ দেখছি না।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, এক ব্যক্তি সারাদিন রোযা রাখে এবং সারা রাত নফল সালাত পড়ে, কিন্তু জুমআ ও জামাআতে হাজির হয় না। তার সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, লোকটি জাহান্নামী।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নামাযের আযান শুনে এবং জামা’আতে যেতে তার কোন প্রকার ওযর ও নেই অথচ সে ঘরে নামায পড়ে তার নামায কবুল হবে না। জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যে ওযরের কথা বলেছেন তা কি? তিনি বললেন : ভয় অথবা কোন রোগ।” (আবু দাউদ)
হাদিসগুলো থেকে শিক্ষাঃ
۞ যারা ঘরে সালাত পড়ে; মসজিদে হাজির হয় না তাদের ব্যাপারে হুমকি ও কঠোর সতর্কবানী উচ্চারণ করা হয়েছে।
۞ যে ব্যক্তি ঘরে সালাত পড়ে সে অসুস্থ হৃদয় ও অশুদ্ধ ঈমানে অধিকারী।
۞ মসজিদের জামাআত ত্যাগ করা মুনাফিকের লক্ষণ। পথ-ভ্রষ্টতার নিদর্শন।
۞ কোন ওজর ছাড়া কোন অবস্থাতে জামাত ত্যাগ করা যাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৪০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন