۞۞۞ ইসলামের দৃষ্টিতে আকীকা দেয়ার নিয়ম ۞۞۞
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০১ আগস্ট, ২০১৩, ০২:০৬:৩৬ দুপুর
۞ ছেলে বা মেয়ে জন্মিলে সপ্তম দিবসে তাহার নাম রাখিয়া আকীকা দিবে। ইহাতে সন্তানের বালা-মুসিবত দুর হয় এবং যাবতীয় আপদ-বিপদ হইতে নিরাপদ থাকে।
۞ ছেলে হইলে আকীকায় দুইটি বকরী বা দুইটি ভেড়া আর মেয়ে হইলে একটি বকরী বা ভেড়া জবাই করিবে।
۞ অথবা কোরবানীর গরুর মধ্যে ছেলের জন্য দুই অংশ এবং মেয়ের জন্য এক অংশ লইবে।
۞ সামর্থ না থাকিলে ছেলের পক্ষ হইতে একটি বকরী আকীকা করাও জায়েজ। আকীকা না করিলে ও কোন অপরাধ হইবে না।
۞ জন্মের সপ্তম দিবসে আকীকা করা মুস্তাহাব।
۞ যদি সপ্তম দিবসে করা সম্ভব না হয় তবে যেই দিনই করা হউক, যেই বারে সন্তান জন্ম হইয়াছে উহার আগের দিন করিবে। যেমন, শুক্রবারে সন্তান হইয়া থাকিলে বৃহস্পতিবারে আকীকা করিবে। মোট কথা, হিসাব করিয়া সপ্তম দিবস ঠিক রাখিতে চেষ্টা করিবে।
۞ যেই প্রাণী দ্বারা কোরবানী দুরস্ত নহে, উহা দ্বারা আকীকা ও দুরস্ত নহে। আর যেই প্রানীর কোরবানী দুরস্ত উহা দ্বারা আকীকা ও দুরস্ত হইবে।
۞ আকীকার গোস্ত কাচাঁ ভাগ করিয়া দেওয়া, কিংবা রান্না করিয়া ভাগ করিয়া দেওয়া বা দাওয়াত করিয়া খাওয়ানো সবই জায়েজ। আকীকার গোস্ত বাপ, দাদা, নানা, নানী সকলেই খাইতে পারে।
সূত্রঃ ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তান প্রতিপালনঃ
লেখকঃ মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ)
۞ বইটি ডাউনলোড করতে চাইলে ۞
http://www.banglakitab.com/BanglaBooks/RaisingChildrenAccordingToShariat-MaulanaAshrafAliThanvi.pdf
আকীকাঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বানীঃ
সালমান বিন ‘আমের দ্বাবি রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন:
“শিশুর জন্মের পর আকীকা করা আবশ্যক। অতএব তার তরফ থেকে তোমরা রক্ত প্রবাহিত কর (পশু যবেহ্ কর) এবং তার থেকে কষ্ট দূর কর (মাথার চুল মুণ্ডাও)।”
[বুখারী: ৫৪৭২]
এই বিষয়ে আরো তথ্য থাকলে শেয়ার করুন।
বিষয়: বিবিধ
৪১১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন