۞ দুর প্রবাসে মায়ের কথা মনে পড়ে, মায়ের জন্য মন কাঁদে ۞

লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ২৩ জুলাই, ২০১৩, ০১:৫১:৫৩ দুপুর



অনেক দিন আগে আমার মোবাইলে একটি এসএমএস এসেছিল " আব্বু তুমি কেমন আছ? আমি ভাল নেই ,তুমি ফোন করনি তাই। আমি এখন আম্মুর কোলে ঘুমাই।"

অফিসে ব্যস্ততার কারনে কয়েকদিন বাসায় আমার কন্যার মায়ের সাথে কথা বলা হয়নি তাই আমার মেয়ের নামে এসএমএস করেছে। এসএমএসটি পাওয়ার পরপরই ফোন করতে বাধ্য হই। আমার কন্যা আরেকটু বড় হলেই প্রবাসী বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলবে, এসএমএস করবে, ছবি পাঠাবে, স্কুলের মজার মজার কাহিনী আমাকে শেয়ার করবে।



এই দুর প্রবাস থেকে কন্যাকে যে কত ভালবাসি তা ভাষায় বর্ণনা করতে পারবনা। বাবা হওয়ার পর সন্তানের প্রতি মা-বাবার কি পরিমাণ ভালবাসা,স্নেহ,মায়া-মমতা লুকিয়ে থাকে তা এখন উপলব্ধি করছি।

একসময় আমার মা-কে কতইনা জ্বালাতন করতাম। বিশেষ করে টাকা না দিলে রাগ করতাম। ঘর থেকে বেরিয়ে যেতাম। আজ সূদর প্রবাস থেকে মা-কে খুব মনে পড়ছে। প্রতিদিন নামায পড়ে মায়ের জন্য দোয়া করছি। আমার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবারও আমাদের শাসন করে, আদর করে, বাড়ীতে গিয়ে সবার খোজ-খবর নিবে এই কামনা করছি। সবাই আমার মা ও আমার কন্যার জন্য দোয়া করবেন। এই পবিত্র রমজান মাসে পৃথিবীর সকল সন্তানের মা কে সালাম ও শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের মায়েরা যেন সবসময় ভাল থাকে।



۞ যাদের মা নেই তাদের মন খারাপ করার কিছুই নেই ۞

আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) পরিণত বয়সে মায়ের সান্নিধ্য পাননি। এজন্য তিনি আফসোস করতেন। মায়ের সেবা করতে না পারার খেদ তার অন্তরে সর্বদা পীড়া দিত। এজন্য তিনি দুধমাতা হালিমা সাদিয়া (রাঃ) কে নিজের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেছেন। মায়ের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সদাচরণ করে তার কিছুটা পূরণ করার চেষ্টা করেছেন। রাসূল (সাঃ) নির্দেশ করেছেন কেউ যদি তার মায়ের সেবাযত্ন করা থেকে বঞ্চিত হয় তবে সে যেন খালা অথবা মায়ের নিকটতম আত্মীয়দের সঙ্গে সদাচরণ করে তা কিছুটা পুষিয়ে নেয়।



সন্তানের ওপর মায়ের যে হক তা কখনো আদায় হওয়ার মতো নয়।

মায়ের বুকের এক ফোঁটা দুধের মূল্য সন্তানের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিলেও আদায় হবে না।

সন্তানের জন্য মায়ের এক রাতের কষ্টের বিনিময় আদায় করা যাবে না কোনভাবেই।

মায়ের সঙ্গে নম্র আচরণ, যথাসাধ্য সেবা শুশ্রূষা এবং কায়মনোবাক্যে তার প্রতিদানের জন্য প্রভুর দরবারে দোয়া করলে মায়ের হক যৎকিঞ্চিত আদায় হতে পারে।

মা জগতের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মা সন্তানের জন্য জান্নাতের সহজ পথ।

যে সন্তান মায়ের সান্নিধ্য গ্রহণ করার পাশাপাশি মাকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে তারাই সাফল্যের সন্ধান পেয়েছে।

সন্তানের কামিয়াবী নিহিত আছে মায়ের দোয়াতে। এজন্য প্রত্যেকের উচিত ‘মা’ নামক মহানিয়ামতের যথার্থ মূল্যায়ন করা।

রাসূল (সাঃ) আক্ষেপ করে বলেছেন ‘যে ব্যক্তি মা-বাবাকে পেল, অথচ এদেরকে সন্তুষ্ট করে জান্নাতের মালিক হতে পারল না, সে ব্যক্তি বড়ই দুর্ভাগা!’

===***মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন দুবাই, ইউএই***===

বিষয়: বিবিধ

৮৪৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File