۩۞۩ কথা কম বললে ভাল না হোক ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে ۩۞۩
লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ০৮ মে, ২০১৩, ১২:৪৮:৫০ দুপুর
কথা বলতে প্রায় লোকেই ভালবাসে। কিন্তু বেশি কথা বলার পরিণাম ভাল নয়।বেশী কথা বললে শ্রোতা অসন্তুষ্ট হয়। অনেকেই আছেন যারা কোথায় থামতে হবে জানেন না। অনেকে কথা বলার কোন সুযোগই দিতে চান না।
বেশি কথা যারা বলে তারা বেশির ভাগ সময় পরচর্চা ও পরনিন্দাই করে থাকে। বেশি কথা অনেক সময় বাজে কথায় রূপান্তরিত হয়। সময় নষ্ট হয়। কখনও আবার শত্রুতারও সৃষ্টি হয়। বেশি কথা বললে অনেক সময় আমরা মানুষকে লোভী, স্বার্থপর, মিথ্যাবাদী, শয়তান ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করি।
যা অন্যের প্রতি অবিচার মূলক হয়ে থাকে।
আমরা সাধারণত মানুষের কমই প্রশংসা করে থাকি, অপরে করলেও ঈর্ষান্বিত কিংবা বিরক্ত হই। কম কথা বলা জ্ঞানীর লক্ষণ। নিজেকে আমরা সবাই জাহির করতে চাই। আমরা জ্ঞান আহরণ করি দু’চোখে ও দু’কানে। কিন্তু মনের ভাব প্রকাশের জন্য মুখ একটিই। সুতরাং দেখা শোনার চাইতেও কম প্রকাশ করা উচিত। বেশি বাচালতা কখনও কাম্য হওয়া উচিত নয়। ভাল বক্তার চাইতে ভাল শ্রোতা হওয়া অনেক ভাল।
তাইতো বলি কথা কম বললে ভাল না হোক ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। এই ব্যপারে আমাদের প্রিয় নবী হযরম মুহাম্মদ (স.) দুটি হাদিস পেশ করলাম।
আশাকরি ......আজ থেকে আমরা কথা কম বলব আর বেশী বেশী করে কল্যাণকর কাজ করব।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, " মানুষ যে কথায় উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তাদের নিকটেই রয়েছে।" (সূরা ক্বাফ)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলিয়াছেনঃ- যাহারা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর ঈমান আনিয়াছে তাহাদিগকে বলিয়া দাও তাহারা যেন ভাল কথা ব্যতীত আর কিছু না বলে অথবা নীরব থাকে।
রাসুলুল্লাহ (স.) আরো বলিয়াছেনঃ- যে ব্যক্তি অতিরিক্ত কথা বলে তাহার কথায় অধিক অপরাধ ও ভুল থাকে। যাহার কথায় অধিক অপরাধ ও ভুল হয় সে বড় পাপী। দোযখের অগ্নিই তাহার জন্য প্রকৃত স্থান।
আবু দাউদ ও তিরমিযী শরীফে আছে,
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন ভাল কথা বলে অথবা চুপ করে থাকে
বিষয়: বিবিধ
২২৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন