সর্ববৃহৎ সংকলন গল্পগ্রন্থ "প্রবাসের গল্প-৩"
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৩:১৮:১৬ রাত
লেখক,সাংবাদিক সাহিত্যিক সৌদিআরব প্রবাসী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন সম্পাদিত প্রবাসের গল্প-৩ এটি দেশ ও বিদেশের ৫২জন লেখকের সর্ববৃহৎ সংকলন গল্পগ্রন্থ। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮ তে প্রকাশিত,কবি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,শিক্ষাবিদ,চিকিৎসক সহ ৫২ জন লেখকের লেখায় সমৃদ্ধ প্রবাসের গল্প-৩।আজ থেকে এই বইটি পাওয়া যাচ্ছে একুশে জাতীয় বইমেলায়। নবসাহিত্য প্রকাশনীর ৬২৪ নাম্বার স্টলে।
এবং চট্টগ্রাম বইমেলা:সালফি পাবলিকেশন্স স্টল নং-৫১
এবার বই টির রিভিউ......
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপুল অবদান যাদের বলা হয় 'রেমিটেন্স সৈনিক'। যারা মা বাবা স্ত্রী সন্তান পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজন গ্রাম শহর ছেড়ে জীবন-যৌবনের স্বাদ-আহ্লাদকে ঘামের সাথে মুছে ফেলে বিদেশ বিভুঁয়ে পড়ে আছেন। তাদের রক্ত-ঘামে দৃঢ় হচ্ছে দেশের জিডিপি। কিন্তু তাদের দু:খ-কষ্ট-বেদনার কথা কতটুকু জানেন দেশের মানুষজনেরা! তারা যে সোনার হরিণের সন্ধানে অজানা-অচেনা শহরে অহরাত্রি গুমরে মরেন তা-কি তার স্বজনরা উপলব্ধি করেন! সেই অভিজ্ঞতার আলোকে গহীনের শব্দ দিয়ে কবি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক,শিক্ষাবিদ,চিকিৎসক সহ ৫২ জনের লেখা নিয়ে প্রকাশ করেন বইটি।
*বইটির প্রথম শিরনাম স্থান করে নিয়েছে লেখক-গবেষক, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ,
ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ, চট্টগ্রাম এর ড.আ,ফ,ম খালেদ হোসেন।“থাইল্যান্ডের সৈকতে-নগরে” লেখার শিরোনামে; প্রফেসর খালেদ হোসেন সাহেব।একজন ভ্রমন পিপাসু মানুষ।সুযোগ পেলেই তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমনে বের হয়ে পড়েন।ভ্রমনকালে সে দেশের কৃষ্টি-কালচারের প্রতি খুব নজর রাখেন।সে কথাগুলো কলমবন্ধি করেন পাঠকের জন্য।তেমনী একটি লেখা “থাইল্যান্ডের সৈকতে-নগরে”
লেখায় সুন্দর একটি কথা বলেছেন লেখক
"কক্সবাজার ও কুয়াকাটাকে থাইল্যান্ডের পাতায়ার
মত বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র রূপে গড়ে তোলা সম্ভব"
লেখক নিজ চোখে দেখেছেন আমার দেশের “কুয়াকাটা”আর ভিনদেশের সমুদ্র সৈকত।উপসাগরের তীরে অবস্থিত পাতায়া সৈকত মাত্র ৪ কিলোমিটার বিস্তৃত।আর বাংলাদেশের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ১৮কিলোমিটার দৈর্ঘ। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত নির্বিঘ্নে কুয়াকাটা থেকে অবলোকন করা যায়। থাইলেন্ডের পাতায়া সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে বিভিন্ন জাতি ধর্মের ৩কোটি ২৫লাখ লোক প্রতি বছর থাইল্যান্ডে বেড়াতে আসে। এর মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ৬৫ লাখ। পর্যটন খাতে থাইল্যান্ডের বার্ষিক আয় ৩ ট্রিলিয়ন বাথ।
থাইলেন্ডের পাতায়া সমুদ্র সৈকতের মত আমার দেশের কক্সবাজার-কুয়াকাটাকে সুন্দর করে সাজাতে পারলে বিপুল পরিমান পর্যটক আসবেন এই দেশে।ফলে দেশ হবে লাভবান।লেখকের লেখায় সে দেশের পুলিশের সেবাদানের সুন্দর একটি ঘটনাও বর্ননা করেছেন।
*পরের লেখাটি লিখেছেন: কবি ও সাংবাদিক,মদীনা মুনাওয়ারাহ্ প্রবাসী,জন্ম শহর,নোয়াখালি বর্তমানে কুমিল্লা।
ফ.ই.ম ফরহাদ। লেখার শিরোনাম:”বাস ট্টেন আর মেয়ে” (একটি রম্য গল্প)দেশ হইতে আসিবার ময় ফুটপাত হইতে “৩০ দিনে আরবী শিক্ষা” বইটা খরিদ করিয়াছিল তোরাব আলী। বইটার পুরোটা পড়া হয় নাই। পড়িয়াই বা কি করিবে কিছুই বুঝিবার উপায় নাই। বইয়ের উপরে লেখা রহিয়াছে “৩০ দিনে আরবী শিক্ষা” কিন্তু বই পড়িয়া মনে হইতেছে এই বিদ্যা শিখিতে তাহার ৩০ বৎসর লাগিয়া যাইবে। তাহাকে আরবী শিখিতে দেখিয়া পাশের বাড়ির জোছনা বানু মুখ টিপিয়া হাসিয়া চলিয়া গিয়াছে। যাওয়ার সময় বলিয়া গিয়াছে, “এই ভাবে কি মুখস্ত হইবে তোরাব ভাই? তুমি বই খানা সকাল বেলায় পানির মধ্যে ভিজায়া রাখিবা তাহার পর দুপুর বেলায় সেই পানি বিসমিল্লাহ বলিয়া সেবন করিবা, তাহা হইলে কিছু মুখস্ত হইতে পারে।” জোছনার এহেন টিটকারি মূলক হাসি আর কথা সৌদি আরব আসিবে বলিয়া হজম করিয়াছে তোরাব আলী। তাহার ইচ্ছা সৌদি আরব হইতে টাকা কামাইয়া গিয়া একদিন জোছনা বানুকে উচিত শিক্ষা প্রদান করিবে। কিন্তু সমস্যা হইল জোছনা বানুকে কেমন করিয়া শিক্ষা দিবে তাহা নিয়া। একেতো মেয়ে মানুষ তাহার উপর পাশের বাড়ির। তাহাকেতো প্রহার করা যাইবে না। তাহা হইলে কি করা যায়? ইহা ভাবিতে গিয়া তোরাব আলী পূর্বের পড়া ভুলিয়া গেল। পড়া ভুলিয়া যাওয়ায় চরম মেজাজ গরম হইল তোরাব আলীর। জোছনা বানুকে মনে মনে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করিল। মনে মনে জোছনা বানুকে গালি দিলেও তোরাব আলী তাকে পছন্দ করিতেন…………………
লেখাটি একটি রম্য গল্প হলেও তাতে রয়েছে প্রবাসীদের প্রতি শিক্ষনীয় বার্তা।বাস ট্রেন আর মেয়ে একটি চলিয়া গেলে আরেকটি আসিবে। অর্থ আর সময় চলিয়া গেলে তা আর আসেনা।প্রেম ভালবাসার নামে অনেকই প্রবাসে আসিয়া অর্থ আর সময় নষ্ট করেন মেয়েদের পেছনে । রম্য গল্পের মাধ্যমে লেখক তুলে এনেছেন সে কথা।গল্পটি আপনাকে আনন্দ দিবে সাথে দিবে জ্ঞাণ।
*পরের শিরোনাম: “প্রবাসে নারী শ্রমিক” ,লিখেছেন: মোহাম্মাদ লোকমান। আরব-আমিরাত প্রবাসী (জন্ম শহর,চট্টগ্রাম)তিনি লিখেছেনঃবিড়ম্বনার গল্প স্ত্রী নুসরাত জাহান এবং তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে দুবাইতে প্রবাস জীবন যাপন করছেন ব্যবসায়ী আলম চৌধুরী। স্ত্রীর শখ জাগলো, তিনি ড্রাইভিং শিখবেন। মিঃ চৌধুরী হিসেব কষে দেখলেন, ভালই হয়। এমনিতে ছেলে মেয়েকে স্কুলে আনা নেয়া করতে গিয়ে ব্যবসায়ে ব্যঘাত ঘটছে, স্ত্রী ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলে তাঁর যথেষ্ট সহায়তা হবে। একসময় দুবাইতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া এমবিবিএস সার্টিফিকেটের চেয়েও কঠিন ছিল।সে কঠিন কাজটিই সাধন করেছেন আলম সাহেবেরে স্ত্রী।একদিন তারাহুড়া করে গাড়ী চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে ফেলেন। আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি সেদেশের আইনে ৪৫ দিনের জেল হয়।
সেখানে গিয়ে দেখতে পারেন বাংলাদেশী এক গৃহকর্মী জেলে পড়ে আছেন। এ যেন গল্পের ভেতর আরেক গল্প।
পরের লেখার শিরোনাম:জননীর প্রতিক্ষায় লিখেছেন:ডা. শাহনাজ পারভিন , একাধিক গ্রন্থের লেখক ও গবেষক(জন্ম শহর সিলেট)তিনি লিখেছেন, দূর দিগন্তে উর্দ্ধ আকাশে বিমান উড়েছে, বিমানের যাত্রীরা সবাই নিশ্চুপ সিট বল্টে বধেে হেলান দিয়ে যে যার মত করে আরামে ঘুমাচ্ছে। ঘুম নেই শুধু ফারজানার দুচোখে, সুদূর অতীতের ফেলে আসা দিনগুলো ফারজানাকে তাড়া করে ফিরছে। বাবা মা ভাই বোনদের স্মৃতিচারণ করে নীরবে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে চলেছে। সুদীর্ঘ পাঁচটি বছরে জীবন থেকে হারিয়ে গেল অনেক কিছু। সুখের চাদরে আচ্ছাদিত প্রবাস জীবন যতটা সুখ দেয় তার চেয়ে বেশী কেড়ে নেয়। যেদিন প্রথম ব্রিটেন এর উদ্দেশ্যে ফারজানা সবার কাছ থেকে অশ্রু সিক্ত নয়নে বিদায় নিয়েছিল সেদিন সে ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি বাবা মায়ের কাছ থেকে এটাই তার শেষ বিদায়। যেদিন সে চলে যায় তার দুদিন পরেই বাবা হার্ট এটার্ক করে না ফেরার দেশে চলে যান। দুই মাসের ব্যবধানে জন্মধাত্রী মা ও চলে যান রাব্বুল আল আমিনের ডাকে। বাবা মায়ের মৃত্যু সংবাদে তাহার জীবনে বিষাদের ছায়া নেমে আসে।লেখক গল্পের ফারজানার স্মৃতিচাড়নটাকে চমতকারভাবে উপস্থাপন করেছেন।লেখাটি পাঠ করলে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে হবে আপনজন হারানোর বেদনায়।
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসীদের আত্মীয় স্বজন এয়ারপোর্টে রিলিফ আনতে যায় না বা কাঙ্গালি ভোজের জন্য লাইন ধরে দাঁড়াতে যায় না- যায় তাদের সোনার মানিকদের রিসিভ করতে বা বিদায় দিতে”। লেখাটি লিখেছেন:অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান।আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।তিনি লিখেছেন , প্রবাস মানেই অনেক কিছু না পাওয়ার নাম। মা বাবা, ভাই বোন, আত্মীয় স্বজন, প্রিয় বন্ধু বান্ধব, সঙ্গী সাথী, ভালোবাসার মানুষজন, স্বামী বা স্ত্রী, প্রিয় সন্তান - সকলকে ছেড়ে সকলের মায়া মমতা ত্যাগ করে বিদেশ পাড়ি জমায় বাংলার সোনার দামাল ছেলেমেয়েরা। তারা মা বা বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে, এক কথায় পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে জীবনের স্বর্ণালী দিনগুলোতে স্বপ্নভরা চোখে অফুরন্ত সম্ভাবনার দিকে পা বাড়িয়ে দেয়। এরপর বছরের পর বছর ধরে রক্ত ঝরা ঘামে পরিশ্রম করতে থাকে। তারা জানে, পরিশ্রম করতেই হবে। কেননা আজকের পৃথিবীটা কর্মময় সংগ্রামের লীলাভূমি। মানুষ যা চায় তা মহান আল্লাহ পাক এই পৃথিবীতেই পূর্ণ করে দিয়েছেন। তবে তা পেতে হলে মানুষকে শ্রমের বিনিময়ে অর্জন করতে হবে। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান কাল পর্যন্ত যত সভ্যতার উদ্ভব ঘটেছে সবই শ্রমের ফলশ্রুতি। যে দেশগুলো আজ বিশ্বে উন্নতির শিখরে আসীন, তাদের উন্নতির মূলে রয়েছে একমাত্র জাতিগত শ্রম।.............
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসীরা আমাদের অহংকার” লিখেছেন: রাকিবুল ইসলাম'। কবিও সাহিত্যিক,কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে বেশ ক’টি।তিনি একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ।ভ্রমনের তালিকায় যোগ হয়েছে বেশ ক’টি দেশ।জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রবাসীদের নিয়ে লিখতে গিয়ে শুরু করেছেন কাব্যের ভাষায়।
লেখাটি পড়তে আপনারও ভাল লাগবে।
”আমরা শ্রমে ঘামে প্রবাসপুরে করছি উপার্জন
বিনিময়ে আমরা সোনালী সময় দিচ্ছি বিসর্জন।
সংসার চাকা ঘুরাই মাগো প্রবাসে করি কাজ
কষ্টের কাজ করি এখানে ভুলে গেছি সব লাজ।
পাঁজর ভাঙা দিন কাটিয়ে রাত্রি যখনই আসে
ক্লান্ত চোখের দুটি পাতায় তোমাদের মুখ ভাসে।”
* পরের লেখার শিরোনাম:“সফলতার গল্পকথা” লিখেছেন: যাকারিয়্যা মাহমূদ।বি.এ, অনার্স- ইসলামিক ল (শরীয়াহ) এম.এ- আইন ও বিচার ব্যবস্থাএবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান এমফিল গবেষক, আইন ও বিচার ব্যবস্থা এবং ইসলামী রাষ্ট্রবিজ্ঞান মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব। সহকারী পরিচালক, আল কুরআন মিউজিয়াম, মসজিদে নববী, মদীনা মুনাওয়ারাহ সম্পাদক, ডেইলি মাই নিউজ, মাই ইসলাম ও প্রবাসীকাল ডটকম,সহসভাপতি, মদীনা সাংবাদিক পরিষদ। লেখক খোব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন তার কিছু সফলতার কথা।তার লেখায় আপনী কিছু সময়ের জন্য হলেও ঘুড়ে আসতে পারবেন প্রিয় সোনার মদীনার অলি-গলিতে।প্রবাসের গল্প বইটি আপনাকে কিনতে বাধ্য করবে রেখকের এই লেখাটি।
*পরের লেখার শিরোনাম: “উপলব্ধি” লিখেছেন: ফজলে এলাহি মুজাহিদ।কবিও সাহিত্যিক,মদীনা মুনাওয়ারাহ প্রবাসী(জন্ম শহর,কুমিল্লা) তিনি লিখেছেন প্রবাসী! দারিদ্র্য ক্লিষ্ট দিকে দিকে এক অতি আকাংখিত শব্দ এবং প্রাপ্তির পর এক অতি বেদনাময় শব্দ। নিজের চারদিকে শ্রমের মূ্ল্যের চেয়ে জীবনোপকরণের মূল্য যখন ছাড়িয়ে যায়; তখনি তথাকার মানুষেরা স্বপ্ন দেখে পৃথিবীর এমন কোন ভূখণ্ডের, যেখানে তার শ্রমের মূল্য তার অবস্থানের চেয়ে কিছু বেশী পাবে। আর এ অর্জনের ফলে তার জীবনোপকরণের চাহিদা পূর্ণ হবে, তার কিছু সঞ্চয় হবে, তার স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ নেবে। এভাবেই মানুষ তার জীবনের সাথে পরিচয় করায়, আকাংখার তালিকায় যুক্ত করে, সর্বোপরি জড়িয়ে নেয় "প্রবাসী" নামক এক কাংখিত এবং বেদনাবিধুর উপাধিকে। ”উপলব্ধি”শিরোনামে লেখকের এই চসতকার লেখাটি পড়তে হলে সংগ্রহ করুন”প্রবাসের গল্প-৩”
* পরের লেখার শিরোনাম:”প্রবাসের দান কি করে ভুলি”লিখেছেন: নজরুল ইসলাম।তিনি লিখেছেন কাতার প্রবাসী ব্যাবসায়ী (জন্ম শহর, মৌলভী বাজার। তিনি লিখেছেন প্রবাসে পাওয়া-না পাওয়ার কথাগুলো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন প্রবাসের গল্পের পাঠকদের জন্য।লেখাটি আপনাকেও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা যোগাবে।
*পরের লেখার শিরোনাম:”প্রবাসীর বোবা কান্না” লিখেছেন:মোহাম্মদ হাসান মুরাদ
জেদ্দা প্রবাসী ব্যাবসায়ী,সৌদি আরব।(জন্ম শহর,চট্টগ্রাম)যে লেখাটি পড়তে হলে আপনাকে এক গ্লাস পানি সাথে নিয়েই পড়তে হবে কারন লেখা পড়তে পড়তে কখনো আপনার গলা শুকিয়ে যেতে পারে।অথবা আপনজন নামের মীর জাফরদের গল্প পড়ে রাগে-ঘৃনায় ,ক্ষোভে আপনী উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন”।তিনি লিখেছেন, জীবনে বহু প্রতারিত হওয়ার গল্প শুনেছি।কিন্তু নিজের আপনজন এত বড় প্রতারনা করতে পারে তা আমার কল্পনায়ও ছিলনা।প্রবাসের হাড় ভাঙা পরিশ্রমের জমানো টাকা কিভাবে নি:স করে দিল একজন প্রবাসীকে তারই আপনজন
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্যারিসের অসমাপ্ত গল্প” লিখেছেন: আলম মুহাম্মদ। কবিও সাহিত্যিক,ফ্রান্স প্রবাসী (জন্ম শহর, মৌলভিবাজার জেলা) লেখক তার লিখনীতে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ভিনদেশে কেমন কাটে প্রবাসদের জীবন।কখনো ডিউটিতে কখনো রান্নার ঘরে।কখনো বাসা পাল্টানো।কাজের সন্ধ্যানে ঘুড়ে-বেড়ানো।এসব অজানা কথা..................
পরের লেখার শিরোনাম:”অনলাইনে পাত্র-পাত্রী দেখা অত:পর বিয়ে”লিখেছেন:মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। সাবেক আরব-আমিরাত প্রবাসী(জন্ম শহর,চট্টগ্রাম জেলা) লেখক! জিবীকার সন্ধানে ২০০৩ সালে পাড়ি জমিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে।পরিচিত এক বন্ধুর মাধ্যমে অনলাইনে পাত্রী দেখে ২০০৯ সালে সেই অনলাইনে দেখা পাত্রীর সাথে ঘর বেধে আজ সুখী জীবন-যাপন করছেন।বন্ধুর উপর আস্থা রাখা,পরিবারের বাধা,আরো মজার কিছু ঘটনা নিয়ে চমকার এক উপস্তাপনা। আপনাকে কিছু শেখাবে-আনন্দ দেবে।বইটি সংগ্রহ করতে পারেন আপনী।
*পরের লেখার শিরোনাম:”মসজিদে কুবা'র সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” লিখেছেন: মোহাম্মদ এনামুল হক। কবিও সাংবাদিক,আরব-আমিরাত প্রবাসী(জন্ম শহর,ফেনী জেলা)লেখক পবিত্র ওমরা এবং ইসলামের পাচটি স্থম্ভের অন্যতম পবিত্র হ্জ্ব পালনে মক্কা-মদীনায় গিয়ে দেখে এসেছেন প্রিয় নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ) হাতে বানানো ইসলামের প্রথম মসজিদ। মসজিদে কুবা।আল্লাহর আদেশক্রমে রাসুলের প্রিয় সাথী হযরত আবুবকর (রাযি সাথে নিয়ে মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনায় এসে কিভাবে মসজিদে কুবা নির্মান করেছেন,তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেছেন “প্রবাসের গল্প”পাঠকদের জন্য।
*পরের লেখার শিরোনাম:”ইতিহাসের খোঁজে মুর্শিদাবাদ” লিখেছেন: মুহাম্মদ ওহিদুল ইসলাম জন্ম শহর,কুমিল্লা। তিনি একজন ভ্রমণ পিপাসু ও সমাজকর্মী মানুষের কল্যাণে কাজ করাটাকে ইবাদত মনে করেন।রোহিঙ্গা শিবিরে বার বার ছুটে যেতে দেখেছি।এখনও হাসপাতালে ভর্তিরত এক অসুস্থ্য বন্ধুর চিকিৎসার্থে ছুটে চলছেন এখানে -সেখানে।”ইতিহাসের খোঁজে মুর্শিদাবাদ”শিরোনামে লেখাটিতে তুলে ধরেছেন ইতিহাসের নানা কথা।ভ্রমণ মানেইযে আনন্দ-উল্লাস হৈ হুল্লোড় নয় লেখক তা বুজিয়েছেন লিখনীর মাধ্যমে।ভারত ভ্রমণের সৌন্দর্য উপভোগের মধ্য দিয়েও চমতকার এক ইতিহাস ভড়পুর ভ্রমণ কাহিনী লিখে এনেছেন ...............
*পরের লেখার শিরোনাম: “২০১৭ সালের হজ্বের চুড়ান্ত অব্যবস্থাপনা এবং আমার রিয়াদ সফর”লিখেছেন:মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাসুম। (জন্ম শহর চট্টগ্রাম জেলা)লেখক মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাসুম একজন প্রতিভাবান মানুষ।নিজের লিখিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ২৫ টিরও বেশী।সাহিত্য ম্যাগাজিন ”ইদানিং”এর সম্পাদক।নিজের ব্যাবসার সাথে সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন লেখালেখি।প্রতি বছরই হাজীদের সেবা দেয়ার জন্য নিজস্ব ট্টাভেলসের মাধ্যমে পবিত্র হজ্ব পালন করতে আসেন মক্কা-মদীনায়।হজ্ব ব্যবস্থাপনার নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেছেন তার লেখায়।লিখেছেন সৌদি আরবে রিয়াদ শহরে তার সফরের কথা।
*পরের লেখার শিরোনাম:”প্রবাসে থেকেও জড়িয়ে থাকি”!লিখেছেন: আবু তাহের মিয়াজী (জন্ম শহর,চাঁদপুর জেলা)কাতার প্রবাসী।
তিনি লিখেছেন,আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।
এই কথাটির মমার্থ একমাত্র প্রবাসীরাই বুজেন।মা-মাতৃভূমি আপনজন ছেড়ে পরবাসে শ্রমের দামে সুখ কিনতে আসা মানুষগুলো দেশ ও আপনজনকে কতটা ভালবাসেন সেকথাগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন “প্রবাসে থেকেও জড়িয়ে থাকি” শিরোনামে লেখায়। কবি ও সাহিত্যিক, আবু তাহের মিয়াজি গতবছর একুশে বইমেলায় প্রবাসের ডায়েরী নামক একটি একক বই রচনা করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। “প্রবাসের গল্প-৩”তে লেখা প্রবাসে থেকেও জড়িয়ে থাকি শিরোনামে লেখাটি আপনার ভাল লাগবে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “দূর প্রবাসে মাত্রাতিরিক্ত আঞ্চলিকতা কাম্য নয়”লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আল শাহীন .(জন্ম শহর,সিলেট জেলা)আরব-আমিরাত প্রবাসী। আব্দুল্লাহ্ আল শাহিন একজন তরুন লেখক ও কলামিস্ট,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একজন পরিচিত মুখ।গতবছর একুশে বইমেলায়”প্রবাস চিত্র”নামে একটি সংকলন প্রকাশ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।সমাজের নানা অসঙতির কথা ফুটে উঠে তার লেখায়। এবছরও একুশে বইমেলায় “অসঙতি” নামে একটি একক বই প্রকাশ করছেন।প্রবাসের গল্প-৩ তার লেখার বিষয় হল”দূর প্রবাসে মাত্রাতিরিক্ত আঞ্চলিকতা কাম্য নয়” অত্যন্ত চমতকার এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় তুলে ধরেছেন পাঠকদের জন্য।
*পরের লেখার শিরোনাম: “মধ্য প্রাচ্যে সফলতার জন্য আরবী ভাষা শিখুন”।লিখেছেন:মুহাম্মাদ ইছমাইল (জন্ম শহর,ফেনী জেলা)
আরব-আমিরাত প্রবাসী। তরুন লেখক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ ইছমাইল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একজন পরিচিত মুখ”প্রবাসের গল্প-৩”এর পাঠকদের জন্য এবারের বিষয় বেছে নিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের জন্য আরবী ভাষার গুরুত্ব্যের প্রতি।তার প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন প্রবাসে অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের জন্য আপনাকে কেন বিদেশী ভাষা শিখতে হবে।
*পরের লেখার শিরোনাম:”লন্ডনের ডায়েরী” লিখেছেন:মাহফুয আহমদ (জন্ম শহর,সিলেট জেলা)
তরুন আলেম,লেখক-গবেষক ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব,প্রেরনার ঐতিহ্য নামে এবারের বইমেলায় রয়েছে তার রচিত একটি বই,আরো কিছু রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়।লন্ডন প্রবাসী তরুন এই আলেম লিখেছেন “লন্ডনের ডায়েরী”শিরোনামের লেখাটি, দিন তারিখ দিয়ে ছোট ছোট শিরোনামে ১৩টি ঘটনা উপস্থাপন করেছেন খুব সুন্দরভাবে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “জাহিদের প্রবাস বিরম্বনা” লিখেছেন: মোহাম্মাদ মঞ্জুরুল আলম (জন্ম শহর,সিলেট জেলা)
ফ্রান্স প্রবাসী কবি ও সাহিত্যিক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম এর “জাহিদের প্রবাস বিরম্বনা”শিরোনামের লেখাটিতে আপনী পাবেন সাহিত্যের স্বাধ।এক মুসলমান প্রবাসীর বিপদে আরেক মুসলমান কিভাবে এগিয়ে এসে সাহায্য করে তার বাস্তব একটি ঘটনা উপস্থাপন করেছেন খুব নিখুতভাবে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “আবিদের ভাবনা” .(গল্প)লিখেছেন: মাসুম বিল্লাহ্ ফিরোজী (জন্ম শহর,পিরোজপুর জেলা)এমফিল গবেষক (ইসলামী অর্থনীতি),ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদীনা মুনাওয়ারা। লেখক একজন শিক্ষার্থী হলেও সে একজন প্রবাসী ,মা-বাবা,ভাই-বোন,স্ত্রী-সন্তান আর স্বজন ছেড়ে কেমন কাটে প্রবাসের শিক্ষা জীবন? একটি গল্পের মাধ্যমে জানিয়েছেন সে কথা। গল্পটিতে আপনী কখনো চলে যাবেন মসজিদে নববীর আঙিনায়-কখনো বিচড়ন করবেন মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।কখনো ভাবনায় পড়ে যাবেন এত আপনজন ছেড়ে আমি কেন প্রবাসে? প্রবাসের গল্প বইটি সংগ্রহ করে প্রবাসীদের জানুন।
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসীদের চাপমুক্ত রাখুন”।লিখেছেন: মাওলানা ওসমান গণি রাসেল (জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা)তরুন লেখক ও আলেম-সংগঠক অনেকদিন যাবত আছেন সৌদি আরবের রিয়াদে।কোম্পানীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন প্রবাসের গল্প পাঠকদের জন্য।প্রবাসীর আপনজনহীন এক নি:সঙ্গ জীবন কাটান।অনেক ফ্যামিলী থেকে প্রবাসীদের খুব চাপের মধ্যে রাখেন।প্রবাসীদের টাকায় বিলাসিতা করে দেশের লোকজন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফসল অনেকেরই ঘরে উঠেনা।চমতকার উপস্থাপনার এই লেখাটিতে........
*পরের লেখার শিরোনাম: “কাতার প্রেসিডেন্ট মসজিদের খতিব বাংলাদেশী সাইফুল ইসলাম”।লিখেছেন: মাহমুদুল হাসান চৌধুরী (জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া) রত্ন প্রসবিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন আলোকিত মানুষ হাফেজ সাইফুল ইসলাম। যিনি বাংলাদেশের সীমানা পেড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের আসন করে নিয়েছেন আপন প্রতিভা গুণে আর অবদান রাখছেন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধিতে। তার সফলতার গল্প অনেক। প্রবাসের গল্প পাঠকদের জন্য সেই সফলতার কথা তুলে ধরেছেন কাতার প্রবাসী ”মাহমুদুল হাসান চৌধূরী”
*পরের লেখার শিরনাম: “দাতা হাতেম তাঈয়ের বাড়ী”: ও কিছু কথা (ইতিহাস ঐতিহ্য)লিখেছেন: ফখরুল ইসলাম (জন্ম শহর,লক্ষীপুর জেলা।) তিনি সু-লেখক ফখরুল ইসলাম একজন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক কর্মী,তার কন্ঠে বাদ্যবিহীন সঙ্গীত বড় চমতকার লাগে।থাকেন সৌদিআরবের রাজধানী রিয়াদে ।অত্যন্ত সুনামের সাথে চাকুরীর পাশাপাশি ভিনদেশের মাটিতেও চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রীড়া ও সাহিত্যকর্ম।”দাতা হাতেম তাইয়ের বাড়ি: ও কিছু কথা” শিরোনামে লেখাটি একটি ইতিহাস নির্ভর ভ্রমণ কাহিনী।প্রবাসের গল্প-৩ সংগ্রহ করে ইতিহাস নির্ভ র এই লেখাটি পড়ার আমন্ত্রন জানাই।
*পরের লেখার শিরোনাম: “ভার্চুয়ালের অলি-গলিতে হাঁটি হাঁটি পা (একটি সমসাময়িক প্রবন্ধ)”লিখেছেন: কামরুল হাসান জনি (জন্ম শহর,চট্টগ্রাম) লেখক ও সাংবাদিক,আরব আমিরাত প্রবাসী কামরুল হাসান জনিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই।ওনি বরাবরই ভাল লিখেন।ওনি একাধারে লেখক,সাংবাদিক,সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী “ফেরা” নামে তার রচিত একটি বই আছে প্রবাস বিষয়ক উপন্যাস। প্রবাসের গল্পের পাঠকদের জন্য এবার তার লেখার বিষয় হল”ভার্চুয়ালের অলি-গলিতে হাঁটি হাঁটি পা”লেখাটি সম্পর্কে আমি এখন কিছু বলতে চাইনা।তবে ছোট্ট করে যদি বলি তাহলে বলবো খুবই ভাল একটি লিখা।যা সবার পড়া উচিত তাহলে এই ভার্চুয়াল জগত সম্পর্কে কিছু জানা যাবে।তরুন ও যুব সমাজ সচেতন হবে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসের কারাগারে তিনদিন-তিনরাত”লিখেছেন: শাহাদাত হুসাইন (সম্পাদক,প্রবাসের গল্প)জন্ম শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। তিনি লিখেছেন অন্যায় করলে অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। কিন্তু যখন কোন নিরপরাধ ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অপরাধ না করেও সাজাভোগ করে থাকে তখন মেনে নিতে হবে নিশ্চয়ই এখানে আল্লাহর কোন মঙল নিহিত আছে। কারন আল্লাহতালা তাঁর পবিত্র কোরআনমজিদে বলেছেন আমি আমার প্রিয় বান্দাদেরকে বিভিন্নরকম বালা মুসিবত দিয়ে তাদের ঈমানের পরীক্ষা নিয়ে থাকি। যারা এসব পরীক্ষায় অবিচলিত থেকে উত্তীর্ণ হতে পারে তারাই হলো সফলকাম। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিতাড়িত শয়তান আদম জাতিকে বিপথগামী করার প্রয়াস নিয়ে এসেছে। তাই মানুষরূপী শয়তানগুলো অহর্নিশি চক্রান্তিক জাল বিস্তার করে রাখে মুমিনদের ঈমান লুটে নেয়ার জন্য।দুর্ভাগ্যবশত আমিও এরকম একটি পরীক্ষায় উপনীত হয়েছিলাম। ভাগ্য বিরম্বনা কাকে বলে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।এক পাকিস্তানীর চক্রান্তে আর বাংলাদেশী একজন সুবিধাবাদি অমানুষের কারনে প্রিয় নবীজির শহর মদীনায় তিনদিন-তিনরাত থানায় থাকতে হয়েছে।কারাগারের কিছু অভিজ্ঞতা আর সরকার ও প্রবাসীদের নিকট কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন লেখাটিতে।হ্রদয় বিদারক এই লেখাটি্তে......
*পরের লেখার শিরোনাম: “সম্পর্কের বিড়ম্বনায় প্রবাসী” লিখেছেন: মাহবুবা সুলতানা লায়লা (জন্ম শহর,ফেনী জেলা)লেখিকা মাহবুবা সুলতানা লায়লা স্বামীর চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘ দিন যাবত বসবাস করছেন পবিত্র শহর মদীনা মুনাওয়ারায়।লিখেছেন প্রবাসের গল্প প্রথম এবং দ্বিতীয় সংখ্যায়। প্রবাসের গল্প-৩ পাঠকদের জন্য তার এবারের লেখার বিষয়”সম্পর্কের বিড়ম্বনায় প্রবাসী” লেখাটিতে স্থান পেয়েছে প্রবাস-প্রবাসীদের বিষয়।বিশেষ করে বউ-শাশুড়ীর সম্পর্কটা কেমন হয়-কেমন হওয়া প্রয়োজন।এমন কিছুর বাস্তব ঘটনা তুলে ধরেছেন। ভাবী আর খালাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন এই লেখাটি সবার পাঠ করা প্রয়োজন বলে মনে করি.....
*পরের লেখার শিরোনাম: “দূর প্রবাসের বন্ধুত্ব”।লিখেছেন: রাফিয়া খান নিশি (জন্ম শহর,টাঙ্গাইল)কবিও লেখক রাফিয়া খান নিশি স্বামীর সাথে বসবাস করেন আমেরিকার নিউ ইয়র্কে।স্বামী-সংসার আত্মীয়-স্বজনের অনেকই কাছাকাছি থাকার পরও অনূভব করেন দেশের টান,শেখড়ের টান।দূর পরবাসে চলতে-ফিরতে পরিচয় হয় অনেকের সাথে।সে পরিচয়ের সুবাদে একসময় বৃদ্ধি পায় আন্তরিকতা।ধীরে ধীরে যায়গা করে নেন ফ্যামিলীর সদস্য তালিকায়। আন্তরিকার এই বন্ধন কেউ ধরে রাখেন কেউবা আবার স্বার্থ ফুরালে ছিন্ন করেন ,এমনই কিছু কথা নিয়ে সাজিয়েছেন “দূঢ় প্রবাসের বন্ধুত্ব” শিরোনামে লেখাটি। লেখক একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ।ভালেবাসেন মানুষের কাছাকাছি-পাশাপাশি আপন হয়ে থাকতে।তাই সুন্দর একটি কাব্যরচনায় লেখাটির ইতি টেনেছেন:
“আমরা কজনা করেছি রচনা একটি হৃদয় অভিন্ন
লতার মত জড়িয়ে রয়েছি হবনা কখনো ছিন্ন”।
*পরের লেখার শিরোনাম: “নারীর কঠিন জীবন” লিখেছেন: হাজেরা বেগম পপি .(জন্ম শহর,মৌলভী বাজার জেলা)কবিও সাহিত্যিক হাজেরা বেগম পপি,স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন লন্ডনে। শত ব্যাস্ততায়ও কাব্যচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে।এবারের বইমেলায় ”অনূভবে তুমি” নামক একটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “লাইফ গার্ড মাইনুদ্দীন” লিখেছেন: র বি উ ল খন্দকার (জন্ম শহর,নোয়াখালি) কবি,সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিককর্মী রবিউল ইসলাম খন্দকার একজন পরিচ্ছন্ন সাদা মনের মানুষ।ভালবাসেন গান ও কবিতা লিখতে,ভাল আবৃত্তিও করেন।একজন প্রবাসী ব্যাবসায়ী।থাকেন সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের পাশে আবকীকে।প্রবাসের গল্পের পাঠকদের জন্য তার লেখার শিরোনাম হল”লাইফ গার্ড মাউনুদ্দিন” পরিবারের সুরক্ষা দিতে মাইনুদ্দিন এসেছিলেন রুক্ষ মরুভূমির দেশ সৌদি আরবে।সফলও হয়েছিলেন।পরিবারের সুরক্ষায় যা যা করনীয় তা করেও গেলেন।চোখের সামনে থেকে মাইনুদ্দিনকে দেখেছেন লেখক।চাকুরী ছেড়ে দিয়ে নেমে ছিলেন ব্যাবসায়।মাইনুদ্দিনের দোকানের কাস্টমার বেশধারী কিছু চোর তারাতে গিয়ে নিজেই তারিত হয়ে গেলেন রোড এক্সিডেন্টে।হৃদয়বিদারক সে লেখাটি ..............................
*পরের লেখার বিষয়: “প্রবাসীর হাসি কান্না” লিখেছেন:আব্দুল গাফফার (জন্ম শহর,জামালপুর)লেখক আব্দুল গাফফার একজন ব্যাস্ত মানুষ।প্রায় এক যুগেরও কাছাকাছি সময় যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে সৌদিআরবের আলকাসিম এলাকায় একটি কোম্পানীতে কর্মরত আছেন। ভাল গানও করেন। এত ব্যাস্ততার মধ্যেও “প্রবাসীর হাসি-কান্না”শিরোনামে লেখাটি দিয়েছেন প্রবাসের গল্প পাঠকদের জন্য।প্রবাসীরা নিজের সুখকে উতসর্গ করেন পরিবারের সদস্যদের জন্য এমনই কিছু হাসি-কান্নার শব্দ দিযে সাজিয়েছেন লেখাটি।
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসীর জীবন মানেই কখনও রোদ কখনও বৃষ্টি”লিখেছেন: আবু বকর সিদ্দিক (জন্ম শহর,সিলেট জেলা) লেখক আবু বকর সিদ্দিক।দীর্ঘদিন ছিলেন সৌদি আরব,এখন আছেন বাহারাইনে।”প্রবাসীর জীবন মানেই কখনও রোদ কখনও বৃষ্টি”শিরোনামে লিখেছেন কিছু অপ্রিয় সত্য কথা।প্রবাসীরা হয় সরলমনা ও সৎ।প্রবাসের আয়ের সবটাই বিলিয়ে দেন সংসারের প্রয়োজনে।সে টাকায় বাবার হাত খরচ,মায়ের ওষুধ,বোনের বিয়ে-ভাইয়ের পড়া-লেখা করেন।এক সময় প্রবাসী আগের মত আর শরীর খাটাতে পারেননা।বোনের বিয়ে হয় বড় ঘরে ভাইয়ের পড়ালেখা শেষে এখন মস্তবড় অফিসার প্রবাসী ভাইটি এখন কর্মক্ষম।একসময় যে ভাই বোনদের পড়ালেখা আর বিলাসিতার খরচের যোগান দিতে রাতের পর রাত কাটিয়েছেন মরুভুমির তপ্ত বালিতে সে ভাইয়ের খবর নেয়ার সময় পায়না অফিসার ভাই।পাওয়া না পাওয়ার অনেক কথাই উঠে এসেছে এই লেখায়।চোখের অশ্রু ঝড়াবে, আপনাকে ভাবতে শেখাবে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “ভূস্বর্গ কাশ্মিরের বাঁকে বাঁকে” (ভ্রমণ কাহিনী) লিখেছেন: আহমদ আবদুললাহ্ (জন্ম শহর,ঢাকা)
বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন:কবি ওয়ালিউল ইসলাম লেখক আহমদ আবদুললাহ্ । বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দে লেখা-পড়া করেছেন।ঘুরে-ফিরে দেখেছেন ভারত বর্ষেরে বিভিন্ন স্থাপনা্।দেখেছেন কাশ্মির । প্রবাসের গল্পের পাঠকদের জন্য লিখে এনেছেন “ভূস্বর্গ কাশ্মিরের বাঁকে বাঁকে” শিরোনামে লেখাটি।ভ্রমণ পিপাসুদের উপকারে আসবে।বইটি পাবেন মধ্য ফেব্রুয়ারীতে ইনশা আল্লাহ্।
*পরের লেখার শিরোনাম: “জীবন-তরী ঢাকা থেকে প্যারিস” লিখেছেন: খান মুফতি মাহমুদ (জন্ম শহর,মুন্সীগঞ্জ জেলা)লেখক খান মুফতি মাহমুদ।থাকেন ফ্রান্সের প্যারিস শহরে।দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দুরে আলো-ঝলমলে আধুনিক সুযোগ-সুবধিা সম্বলিত সুন্দর শহরে থেকেও ভূলতে পারেননা মা-মাতৃভূমির কথা।প্রতি নিয়তই অনুভব করেন গ্রামের মেঠোপথ,ভোরের পাখির কিচির-মিচির আওয়াজ,মসজিদের শহর ঢাকা,ফেব্রুয়ারী জুড়ে একুশের বইমেলা।তাইতো সময় পেলেই ছুটে আসেন, প্রিয়জনের অসুস্থতায়। সত্যিকার ভাবে,"নাড়ীর টানে, বাড়ীর পানে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “ভারতের দিনরাত্রি” (ভ্রমণ কাহিনী)লিখেছেন: মোস্তফা কামাল গাজী (জন্ম শহর,গাজীপুর জেলা)কবি ও সাহিত্যিক,মোস্তফা কামাল গাজী, উচ্ছ শিক্ষার জন্য বর্তমানে অবস্থান করছেন রুল উলুম আগ্রা, উত্তর প্রদেশ ভারতে।নিয়মিত লিখেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে।ভালবাসেন ভ্রমণ তাই সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়েন স্রষ্টার অপরুপ সৃষ্টি অবলোকন করার জন্য।”ভারতের দিনরাত্রি” শিরোনামে লিখেছেন ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোর কথা,ভ্রমণ পিপাসুদের উপকারে আসবে লেখাটি।
*পরের লেখার শিরোনাম:”প্রবাস জীবনের যুদ্ধ” লিখেছেন:আনিসুর রহমান (জন্ম শহর,ময়মনসিংহ জেলা)উদীয়মান কবি ও সাহিত্যিক আনিসুর রহমান।থাকেন মালয়েশীয়াতে।কাব্যের সাথে তার দারুন মিতালী।”স্বাধীনতা কাদে” এই নামে একটি কাব্যের বই ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে আরো একটি কাব্যের বই প্রকাশের অপেক্ষায়। মা-মাতৃভূমি আর আপনজনদের ফেলে আসা প্রবাসীদের নিয়ে লিখেছেন “প্রবাস জীবনের যুদ্ধ”শিরোনামে লেখাটি।
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসীদের অর্থের সঠিক পরিচর্যা”। লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আল মামুন (জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া)লন্ডন প্রবাসী।দেশের মোট আয়ের উৎসে রঙধনু সাত রঙের মতো রঙিন অবদান রাখছে প্রবাসীরা। যাদের টাকায় দেশ তথা পরিবার পাচ্ছে পূর্ণতার রঙিন চাবি। তারা মাস শেষে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকে।আর সেই অর্থের উপর নির্ভর করে পরিবারের সাচ্ছন্দ। মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো সাধারণত প্রবাসে উপার্জিত অর্থের উপর নির্ভর করে থাকে। তবে এই উপার্জন জীবনের সবটুকু সময় করা যায় না। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত করার পর আবারো ফিরে আসতে
*পরের লেখার শিরোনাম: “দায় বাড়ছে আমার! বদলে যাচ্ছি আমি”!লিখেছেন: মোবারক হোসেন ভুঁইয়া (জন্ম শহর,কুমিল্লা)লেখক ও সাংবাদিক,জেদ্দা সৌদিআরব প্রবাসী।তিনি লিখেছেন,বাস্তবতা! সবকিছু ভুলে বাস্তবতাকে মেনে এসে গ্রহণ করেছি প্রবাস জীবন। সেই যে প্রায় দশ বছর আগে পেয়েছিলাম স্বজনের অতুলনীয় ভালোবাসা। আজ তো সেই ভালোবাসা পাওয়ার কথা তো চিন্তাই করতে পারি না।তাও মনকে খানিকটা শান্তনা দিতে পারি যে, শৈশবে বাবা-মা’র আদরে শৈশবটা বেশ ভালোই কেটেছে। আর শৈশবে তো আমার অধিকার ছিলো সেটা পাওয়ার। আর প্রত্যেক বাবা-মা’র তো সে ভালোবাসাটুকু সন্তানকে দেওয়া তাদের দায়িত্ব।কিন্তু আজ আমি পারছি না, নিজের দায়িত্বের বিন্দুমাত্র পালন করতে। যেটা আমার বাবা-মা ঠিকই আমাকে দিয়েছিলেন।
এখন আমি একজন বাবা............
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসে প্রিয়জনের সান্নিধ্য” লিখেছেন: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (জন্ম শহর,চট্টগ্রাম জেলা) লেখক ও সাংবাদিক,আরব আমিরাত প্রবাসী।শুধু অজানাকে জানার আর অচেনাকে চেনা নয়, জীবিকা ও জীবনের তাগিদে, সোনালী স্বপ্নের হাতছানিতে সাত সমুদ্দুর তের নদী পার হয়ে বাংলাদেশীরা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর প্রতিটি কোণে।নিজের দেশ, নিজের জন্মভূমী, নিজের দেশের মাটি আর প্রবাস জীবনের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান............
*পরের লেখার শিরোনাম: “এক প্রবাসীর অসমাপ্ত গল্প” লিখেছেন: শাহাদাত আল মাহদী (জন্ম শহর কেরানীগঞ্জ,ঢাকা)তরুন কবি ও লেখক,শাহাদাত আল মাহদী,লেখালেখির পাশাপাশি ভাল আবৃত্তিও করেন। থাকেন সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে।
*পরের লেখার শিরোনাম: প্রবাসী: “বুকে ব্যথা মুখে হাসি” লিখেছেন:”আমিনুল ইসলাম(জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া)ডিবিসি নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন,কাতার প্রতিনিধি।তিনি লিখ ছোট বেলা থেকে প্রত্যেক মানুষের কিছু আশা প্রত্যাশা থাকে।সব পূরণ হয় না আবার কিছু পূরণ হয়।এই চাওয়া-পাওয়া থেকে মানুষের প্রবল ইচ্ছে জাগে।সময়ের সাথে সাথে ব্যক্তিত্ব বিকশিত হয়।তখনিেছেন, পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে মানুষ দেশান্তরিত হয়। কেউ টাকার জন্য, আবার কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য। উদ্দেশ্য যেটাই হোক, বিদেশে চলে আসার পর আমরা সবাই প্রবাসী....
*পরের লেখার শিরোনাম: “কষ্টের মরুভূমি”লিখেছেন: সাব্বির সাদি (জন্ম শহর,রাজবাড়ি জেলা) লেখক সাব্বির সাদি ঢাকার একটি মাদরাসায় অধ্যয়নরত।নিজে প্রবাসী না হলেও পরবাসী ছিলেন তার এক প্রতিবেশী বন্ধু হাফেজ আবু তাহের।
একবুক আশা নিয়ে আবু তাহের এসেছিলেন প্রিয় রাসুলে আরাবীর(সা দেশ সৌদিআরবে।মনে বড় তামান্না ছিল আল্লাহর ঘর জেয়ারত করবে।প্রিয় রাসুলের রওজা মুবারকে দাড়িয়ে সালাম জানাবে।অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি বহুদিন ধরে নিজের ভেতর লালিত স্বপ্ন মক্কা-মদীনা দেখে মন-প্রাণ জুড়াবে।কিন্তু আদম দালাল নামের মনুস্য জন্তুর প্রতারনার স্বীকার হয়ে চলে যেতে হল নিজ দেশে।লেখক খুব সুন্দর করে তার প্রতারিত হওয়ার কথাটি তুলে ধরেছেন।আপনার হৃদয়কে নাড়া দিবে লেখাটি।
*পরের লেখার শিরোনাম:”মরুর কৃষক: সফল প্রবাসী আবসার মিয়া”।লিখেছেন: মোহাম্মদ আলী রাশেদ (জন্ম শহর,চট্টগ্রাম)সাধারন সম্পাদক,সাংবাদিক পরিষদ,মদীনা মুনাওয়ারাহ্ সৌদি আরব।তিনি লিখেছেন বাংলাদেশের মানুষ কৃষিনির্ভর। মাটি ও কৃষিকাজের প্রতি এদেশের প্রতিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠির অন্তরে রয়েছে গভীর টান, প্রতুল মমতা। এই সত্য বারবারই প্রমাণিত হয়েছে পৃথিবীর দেশে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কৃষি সাফল্যের মধ্য দিয়ে। বিদেশে গিয়েও তারা মাটির কথা ভুলে থাকেন নি। কৃষিকাজ করে পেয়েছেন ব্যাপক সাফল্য। উত্তপ্ত মরুভূমি কিংবা কাঁকর মিশেল জমিতেও জৈব উপাদান ব্যবহার করে উৎপাদন করেছেন নানা ধরনের ফল, ফুল ও সবুজ শাকসবজি। সুন্দর ও আশাজাগানিয়া সফল এই কাজটি করেছেন চট্টগ্রাম সাতকানিয়া মির্জাখীলের কুতুব পাড়ার বাসিন্দা জনাব ফজল কবিরের ছেলে মোঃ আবসার।
*পরের লেখার শিরোনাম: “আনন্দহীন প্রবাস” লিখেছেন: দেলোয়ার হোসেন সুমন .(জন্ম শহর,নোয়াখালি)সদস্য:সাংবাদিক পরিষদ মদীনা মুনাওয়ারাহ্ ।তিনি লিখেছেন, প্রবাসীদের জীবনে সুখ বলতে কিছু নেই। প্রতিনিয়ত দুঃখের সাথে যুদ্ধ করেই সম্মুখপানে এগিয়ে যেতে হয়। জীবনের আরেক নাম যুদ্ধ। কেননা মানুষকে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয় প্রতিনিয়ত । সেই যুদ্ধের কোন প্রকার নেই। কোন সীমা নেই। জীবন যুদ্ধের সেই রণাঙ্গনে আমরা সবাই রেমিটেন্স যোদ্ধা। কেউ যুদ্ধ করি দারিদ্র্যতার সাথে, আবার কেউবা যুদ্ধ করি কল্পিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। কেউ আশেপাশে। কেউ বাড়ির পাশে। কেউবা প্রবাসে। কেউ জীবন যুদ্ধের সেই অসহনীয় কষ্ট কখনো কখনো মানুষকে আলোকিত পথ দেখাই.........
*পরের লেখার শিরোনাম: “সিডনির সৌন্দর্য” লিখেছেন: মোহাম্মদ জুমান হোসেন (জন্ম শহর,সিলেট জেলা)লেখক ও সাংবাদিক,অস্ট্রেলিয়া সিডনী প্রবাসী। সিডনি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর। সিডনিতে প্রায় ৪৩ লক্ষ লোক বাস করে। সিডনি শহরটি নিউ সাউথ ওয়েল্স অঙ্গরাজ্যের রাজধানী। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভীষণ প্রিয় একটি শহর সিডনি। পালতোলা নৌকার আদলে গড়া সিডনি অপেরা, সিডনি হারবার ব্রিজ দেখার জন্য তো বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা গিয়ে ভিড় জমান সেখানে।লেকের পারে অবস্থিত নয়নাভিরাম দৃশ্যের এই শহরটি পর্যটকদের মন কারে। তিন দিকে পানি বেষ্টিত নয়নাভিরাম এ স্থাপনাটির নাম Opera House. ...
*পরের লেখার শিরোনাম: 'কিছু স্মৃতি ইতি নয়- বিস্তৃতি হয়” লিখেছেন: মুন্সী কাউসার মাহমুদ (জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মালয়েশীয়া প্রবাসী লেখক মুন্সী কাউসার মাহমুদ ”'কিছু স্মৃতি ইতি নয়- বিস্তৃতি হয়”শিরোনামে লিখেছেন তার দেখা দুটি ঘটনা।টাঙ্গাইলের যুবক আপন আর যশোরের তরুন সবুজ।দুজনই মৃত্যুবরন করেছেন মালয়েশীয়ায়।একটি সাভাবিক অন্য একটি আত্মহত্যা।সবুজ আর আপন চলে গেছেন তাদের আপন ঠিকানায় রেখে গেছেন কিছু স্মৃতি সে কথাই জানাচ্ছেন লেখক কাউসার মাহমুদ।
*পরের লেখার শিরোনাম:”নিঝুম রাতের কান্না” লিখেছেন:মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ (জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রচ্ছদ করেছেন:কবি ওয়ালিউল ইসলাম। মালদ্বীপ প্রবাসী মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ লিখেছেন ”নিঝুম রাতের কান্না” শিরোনামে।
*পরের লেখার শিরোনাম: “অপেক্ষা” লিখেছেন: আবু আইয়ুব আনসারী (জন্ম শহর,কুড়িগ্রাম জেলা)
শিক্ষার্থী: দারুল উলুম দেওবন্দ ইন্ডিয়ায় উচ্চতর হাদীস গবেষণা বিভাগ।লেখক একজন শিক্ষার্থী,মা-মাটির প্রতি রয়েছে তার অন্যরকম টান।প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় আছেন কখন শেষ হবে তার লেখা পড়া এরপর ফিরবেন মায়েরকোলে।”অপেক্ষা”শিরোনামে পড়ুন তার এই লেখাটি।
*পরের লেখার শিরোনাম: “অতৃপ্তির প্রবাস জীবনের গল্প”, লিখেছেন: রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ (জন্ম শহর,মুন্সীগঞ্জ জেলা)
সিঙ্গাপুর প্রবাসী ।
*পরের লেখার শিরোনাম: “প্রবাসী হয়ে উঠার পেছনের গল্প” লিখেছেন: আমিনুল হক (জন্ম শহর,সুনামগঞ্জ জেলা)আরব-আমিরাত প্রবাসী।
*পরের লেখার শিরোনাম: “সাজ্জাদের প্রবাস জীবন”লিখেছেন: ওবাইদুল্লাহ্ (জন্ম শহর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
তিনি লিখছেন, তখন আমার বয়স নয় কি দশ বছর হবে।বালক থেকে কিশোর বয়সে পদার্পণ। সেই ছোট বেলাই বাবা মারা যায়। মা আর বড় ভাইয়ের সাথে থেকেই বড় হয়েছি। যখন বুঝতে শিখলাম মা ও চলে গেলেন না ফেরার দেশে......
*পরের লেখার শিরোনাম: “পরিবারকে একটু সুখে রাখতে পাড়ি জমিয়েছিলাম আমিরাতে” লিখেছেন: মুহাম্মদ মনজুর হোসেন (জন্ম শহর,চট্টগ্রাম জেলা)। সাবেক আরব আমিরাত প্রবাসী মুহাম্মদ মনজুর হোসেন লিখেছেন. ১৯ পেরিয়ে সবে মাত্র ২০ পা রাখলাম। আমার বন্ধুরা তখন স্কুল-মাদরাসা আর হৈ হুল্লোড় করে পাড়া মাতিয়ে রাখে। সে সময়ই আমাকে ধরতে হয়েছিল পরিবারের হাল।রুটি-রোজির সন্ধানে পাড়ি জমিয়েছিলাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আর-আমিরাতে।তার পর ?.................
এই মহামূল্যবান সংকলন সংগ্রহ করতে, ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারে্ন.....
শাহাদাত হুসাইন
সম্পাদক
প্রবাসের গল্প
বিষয়: বিবিধ
১৯৫২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন