মক্কা-মদিনার স্মৃতি : পর্ব-(১২)
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ১৪ মে, ২০১৬, ০৮:০৫:৩৫ রাত
হাবিব ভাইয়ের মামা শ্বশুর গাড়ী নিয়ে হাজির নতুন জামাইআদর করবে বাসায় নিয়ে.....
চলে গেলেন শ্বশুরালয় আমাকে যে বলেনা তা কিন্তু না। আমাকে ও বলেছে! মক্কায় আমি শান্তির অন্বেষণে নির্মল সুকোমল প্রত্যাশায় থেকে গেলাম। দিলের মধ্যেছিল একটি ব্যাকুলতা। আমার প্রভুর ঘর আঁখি ভরে দেখবো।
হাবিব ভাইকে বিদায় দিয়ে হেরেমে চলে গালাম। সাধ্যমতো ইবাদতে নিজেকে মশগুল রাখলাম।
দিনে-রাতে কোরআন তেলাওয়াত, সালাত আদায়, তাওয়াফ বিভিন্ন ইবাদতে মশগুল থাকলাম।
উমরাহ পালনের জন্য মক্কা যওয়া। পবিত্র মদিনায় যাওয়া প্রানের নবীর রওযা শরীফের পাশে দাঁড়িয়ে জেয়ারত করতে যাবো। ব্লগারদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেছিলাম যাওয়ার আগের দিন। তার ও আগে সাইফুল ভাই কে জানিয়েছি। সাইফুল ভাইয়ের একটাই কথা ছিলো উনার জন্য দোয়া কতে হবে। যেন উনার ঘরে সন্তান আসে। আমারো কেন যেন প্রতি নামাজে প্রতি তাওয়াফে মনেছিল সাইফুল ভাইয়ের আবেদনীয় কথাটি। আমিও ক্বাবার গিলাফ ধরে মহান মালিকের দরবারে একান্ত প্রাণের আকুতি মিনতি জানিয়েছি। হে মালিক! আপনিই শুধু পারেন অসম্ভবকে সম্ভব করতে। আমার আত্মার আত্মীয় সাইফুল ভাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করে দিতে। তাঁর একমাত্র স্বপ্নসাধ সন্তানের বাবা হওয়া। আপনি তা কবুল করুণ। তাঁর বাসনাকে বাস্তবরূপ দিন।
মক্কায় অবস্থানকালে যা দেখলাম।নিবিড় আকুতি নিয়ে মক্কায় একের পর এক হাজী সাহেবদের দলবেঁধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে ওমরা পালন করছেন।পৃথিবীতে এটিই একটি জায়গা যেখানে লক্ষ লক্ষ আল্লাহর বান্দাহ তাওয়াফে নিয়োজিত থাকে। নারী পুরুষ তওয়াফ করে যাচ্ছে, কোন বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয় না। দুনিয়াবি অন্য সব কর্মকান্ডে আমরা কি দেখি - ৫ হাজার নারী পুরুষও যদি একত্রিত হয়ে কোন কর্মসূচি পালন করতে যায়, সেখানে কত গণ্ডগোল ও ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হয়। কিন্তু আল্লাহর দাওয়াতে আল্লাহর ঘরে আসা এসব নারী পুরুষের আগমনে ও তওয়াফে কোন গণ্ডগোল বা বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয় না। আমার আহবান নারী পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত বলে দাবীদার ব্যক্তিদের উচিৎ ওমরাহ ও হজ্জকালীন মুসলমানদের এ অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করা ও উদাহরণ হিসেবে পেশ করা।
হেরেম শরীফের পাশে মূল সড়ক হজরত ইব্রাহিম স্ট্রীট এখনো কাবা ঘরের সাথে স্মৃতিময় হয়ে আছে। আমি দেখেছি মক্কায় হেরেম শরীফের প্রবেশ দ্বারে সুউচ্চ সুন্দর মিনারে একটি ঘড়ি যা বহু দূর থেকে দৃশ্যমান হয়। সেভাবে মক্কার চতুর্পাশ্ব থেকে কিবলা ঠিক করে মসজিদ তৈরি করা আছে তবুও ঐ ঘড়িরও গুরুত্ব অনেক। মুনাজাতে আমি বিবি মরিয়ম ও ঈসা (আঃ) কে স্মরণ করি যাদের নাম অসংখ্যবার পবিত্র কুরআনে এসেছে। হজরত মুসা (আঃ) নামও স্মরণ করি। যার নাম পবিত্র কুরআনে এসেছে। বাংলাদেশে অনেকে এসেছিলেন আরব সাগর পার হয়ে। সেদিক থেকে বাংলাদেশের মাটি সৌদী আরব বা পারস্যের কাছে সব সময়ই গুরুত্ব পেয়েছে। যদিও সেই দিন আর নাই। মক্কাতে অবস্থানকালে আমার গ্রামের অনেক আত্মীয় যেমন-ভগ্নীপতি জাকির ভাই,ছোট ভাইয়ের শ্বশুর, ইমাম হোসাইন, ছোট ভাই হারুনুর রশিদ, আলমগির, ভাগিনা কামাল হোসাইন,তারা সর্বসময়ে আমার খোজ খবর নিয়েছে।
চলবে..........
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৪ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু আমাদের জন্য দুয়া করেছিলেন কি????????????
আমাদের জন্য কেউ দোয়া করে না
আমি প্রতিদিন তাওফ করতাম কেন যেন সাইফুল ভাইয়ের নাম মনে পড়তো আল্লাহ্ ভালো জানেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান
আমাদের জন্য দোয়া করার কেউ নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন