প্রবাসীদের রান্নাকরা
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ০১:১৭:৫৬ দুপুর
আমার মনে হয়,প্রবাসীরা প্রতিদিন ডিউটি করতে যতো কষ্ট না পায়। এর চেয়ে রান্নাবান্না করা কষ্ট একটু বেশি।
এই যে মনে করেন, ডিউটি চলা অবস্থায় সারাক্ষণ মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করতে থাকে আজকে কি রান্না করা হবে। কি মাছ কিনব এই মাছের সাথে কোণ আইটেম সবজি খাটবে। এত কিছু চিন্তাভাবনা করার পরে খরিদ করিয়া বাসায় গিয়া দৌড়ের উপর থাকতে হয়।
প্রথমে কাটিং বোর্ড পরে চাকু খুঁজাখুঁজি পিয়াজ রশুন মরিচ আদা কাটাকাটি। ও আচ্ছা, পাতিল মাঝামাঝি করে পরিষ্কার করা। ভাতের জন্য চাউল পরিষ্কারকরণ করে ভাতের পাতিল চুলার উপর রাখিয়া চুলার চাবি শক্ত করে ধরে চালুকরা। চুলাটি চালু করলে ই তো শেষ না, চুলারজ্বাল ঠিক আছে কিনা চোখকান নিচের দিকে নামিয়ে ঠিক করে দেয়া।
এইবার শুরু করা সবজি কাটা মাছ কাটা। কাটাকাটি শেষকরার পরে পানি দিয়ে ভালভাবে পরিস্কার করে রেখে দেওয়া। আদা রসুন বেটে বাটিতে রেখে দেয়া। সব্জি মাছ আদা রসুন পিয়াজ রেডি করতে করতে ভাতের মাড় পেলার সময় হয়ে যায়। ভাতের মাড় পেলে তরকারীর পাতিল বসান। তরকারীর পাতিল বসানোর পরে পাতিল গরম হয়ে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করা। পাতিল শুখানো হলে তেল দিয়ে পিয়াজ রসুন আদা লবন দিয়ে ঘাঁটিতে ঘাঁটিতে মজিবার জন্য অপেক্ষা করিয়া তরকারি ডালিয়া ঘাটাঘাটির কাজটি করিতে হয়। এর মাঝে আরো একটি পাতিলে পানি ডালিয়া চুলার উপর জ্বাল দিতে দিতে গরম হবার পরে সব্জিতে ডালিয়া দিতে হয়। সবজি হবার পরে মাছ ফ্রাই করে তরকারীর উপরে আষ্টেপৃষ্ঠে কিছু সময় রাখিয়া ধনিয়াপাতা কুচিকুচি করে তরকারীর উপর ছিটিয়ে দিয়ে পাতিল শক্ত হাতে ধরে রুমে নিয়ে রেখে প্লেট পরিষ্কার করে খাওয়া শুরু করা.........
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মামুন ভাই ভালো থাকবেন নিরবধি
এক যুগের অধিক মেসে থেকেও গরম পানি-ভাত রান্না-ডিমভাজী ছাড়া কিছু শিখতে পারি নাই!
পরে একদিন বলিব....
রান্নার বিবরন তো দিলেন, কি রান্না করলেন সেটা তো বললেন না আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন। আমীন
আমরা রান্না ও করি, ঘর ও গোছাই, ছেলে পুলের ও যত্ন নেই, নামাজ কালাম ও কিছু করি, আবার ফেইস বুক, ব্লগে ও একটু উকি দেই,
তারপর ও দিন শেষে যদি শুনতে হয়, কি কর সারাদিন, খালি তো খাও আর ঘোমাও
তখন মনের অবস্থাটা কোথায় থাকে??
আপনার লিখা ও মন্তব্যগুলো পড়ে আরেকবার অনুধাবন করলাম রান্না করা আসলেই ছেলেদের জন্য অনেক দুরূহ একটি কাজ।
মহান রব আপনিসহ সকলের জীবন ও জিন্দেগীকে সহজ ও সুন্দর করে দিন। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন