★★__আমিও লিখলাম -বিষয়ঃ “মা” ।__★★
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ১০ মে, ২০১৫, ০৩:২৩:২৯ রাত
আজকে অনেকেই “মা” কে নিয়ে লিখবেন । তাই আমিও লিখলাম -
বিষয়ঃ “মা” ।
আজ বিশ্ব মা দিবস। দিনটি নিয়ে আমার আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই আমার মায়ের কথা মনে হয়। মায়ের কথা ভেবে বুক ফেটে কান্না চলে আসে। 'মা' শব্দটি কেন এতোটা মধুর আমি ভেবে পাইনা। পৃথিবীর সবাই আমাকে ত্যাগ করতে পারে, কিন্তু মা? সেই প্রশ্নটি এখানে বেমানান। মা তো মা-ই। মা সন্তানকে কখনোই ছেড়ে যান না। সবসময়ই বুকের ভেতরে আগলে রাখেন। শত কষ্ট-বেদনা সহ্য করে মা-ই ছেলের খোঁজ-খবর রাখেন। এই পৃথিবীতে কেউ মায়ের মতো ভালোবাসা দেয় না। দিতে পারবেও না। আমার মায়ের সহজ-সরল মুখটির কথা চোখের সামনে ভেসে উঠলে নিজেকে খুব নির্দয় মনে হয়।
আমরা প্রতিদিন ভালোবাসি, একদিন কেন? "মা"কে ভালবাসায় দিবস লাগবেনাকি? সবসময় সর্বঅবস্থায় স্বরনালী সময় ভালোবাসার একমাত্র স্থানটিকে মাত্র একদিনে আটকে রাখতে চাইনা।প্রতিদিন প্রতিটা সময় শ্রদ্ধার সাথে দেখতে চাই আমাদের "মা"কে।
ত্রি-ভুবনের সবচেয়ে মধুরতম শব্দ "মা", গর্ভে ধারণ করে পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখানো থেকে শুরু করে বেড়ে ওঠা, এমনকি প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত প্রতি পদে পদে সন্তানকে সাহস, উৎসাহ ও ভরসা দেন মা।
মায়ের ঋণ শোধ করা যাবে না কখনোই। যিনি কোনো শর্ত ছাড়াই সন্তানদের ভালোবাসেন এবং যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করেন।
কবির ভাষায়- “মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই, এর চেয়ে প্রিয় নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।”
আরো আছে : “মা কথাটি মধুর বড় সুধার সমান-মা বিনে কি কারো জুড়ায় পরান?”‘
মা হলেন তিনিই, যার সন্তান পানিতে ডুবলে নিজের জীবন বিপন্ন হলেও পানিতে ঝাঁপ দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। সন্তানের প্রতি ত্যাগই নারীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে, নিজের শরীর ক্ষয় করে বাচ্চার দেহাকৃতি দান করেন।
মা মৃত্যুসম কষ্ট সহ্য করে সন্তান প্রসব করেন।নিজ শরীরের রক্ত গোশত গলানো বুকের অমৃত পান করায়ে সন্তানকে প্রতিপালন করেন।
তাইতো রাসূলুল্লাহ সা: নিজের দুধ মাকেও নিজের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিয়ে বসতে দিতেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবত্রি কুরআনের অনকে জায়গায় পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আসুন, আজকের মিলন মেলার মাধ্যমে আমরা মা বিষয়ে যা কিছু জানি তার সবটুকু শেয়ার করি।
★আজকে আমরা জানবঃ- ★
★-১. ইসলাম একজন “মা” কে কতটুকু মর্যাদা দিয়েছে?
★-২. আপনার মায়ের সাথে সদাচরণের একটি শিক্ষামূলক গল্প বলুন।
★-৩. আমাদের সমাজে মায়েরা কতটুকু সন্মান পেয়ে থাকেন?
এছাড়াও মা বিষয়ে যে কোন শিক্ষামূলক স্মৃতি চারণ শেয়ার করতে পারেন!
তাহলে শুরু হোক।
সাবার জন্য শুভ কামনা।
বিষয়: বিবিধ
১১৭০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা দিল মোহাম্মদ মামুন ভাই, প্রথম কমেন্টের জন্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন