প্রবাস থেকে বলছি,দেশের ছেলে দেশে একটা কিছু করার চেস্টা করুন।
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ০৭ মে, ২০১৫, ১১:৪৮:৪৩ সকাল
প্রবাস জিবনে যারা পদার্পণ করেছেন একমাত্র তারাই প্রবাস জীবন যে কেমন নির্দয় এবং নির্মম তার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন ।শস্য-শ্যামলা সবুজেঘেরা সোনার বাংলাদেশ এবং মা-বাবা ভাই- বোন স্ত্রী-সন্তান,আত্মীয়স্বজন,, সংসারের সবার মুখে হাসি ফুটাবার জন্য , আর্থিক উন্নতির জন্যই প্রবাসের মাটিতে পা রাখতে হয় ।বিদেশ এসে চাকুরী করে অনেক টাকা পয়সা বড়ীতে পাঠাবে, সংসারে দুঃখের ছায়ার পরিবর্তে সুখের রংগিলা সংসার উজ্জ্বল হবে। এ প্রত্যাশা বুকে নিয়ে আমরা প্রবাসে এসেছি কিন্তু আমাদের সেই শুখ, সেই সুখের স্বপ্ন সবাই কি পূরণ করতে পেরেছি? না । বেশির ভাগ প্রবাসিরাই তাদের আশা-আকাংখা এবং তাদের যে উদ্দেশ্যে প্রবাসে আসা তা বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হননি।
এইতো গত তিনদিন আগের ঘটনা,
কাতারের দোহা সিটির নাজমা এলাকায় কাজ না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মিজানুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি। মিজানুর রহমানের বাড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায়।
গত তিনমাস আগে ভিসা দালালের খপ্পরে পড়ে ধারদেনা ও জমি-জমা বিক্রি করে সাত লাখ টাকা খরচ করে কাতারে এসেছিলেন মিজান। কিন্তু গত তিনমাসেও তেমন কোনো কাজ না পাওয়ায় প্রচণ্ড মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। ধারদেনা করে আসায় প্রতিনিয়ত পাওনাদারদের চাপে ছিলেন, সেই সঙ্গে পরিবারের কাছেও কোনো টাকা পাঠাতে পারছিলেন না তিনি।
তিনমাস ধরে অনেক চেষ্টা করেও তেমন ভালো কোনো কাজ খুঁজে পাচ্ছিল না মিজান। যে কাজ পেতো তাতে তার নিজের থাকা খাওয়ার খরচই ঠিকভাবে মেটাতে পারতো না। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বাড়ি থেকে টাকার জন্য তাগাদা আসতো। তাই সারাক্ষণই মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে থাকতো তিনি।
সুত্রঃ কাতারে বাংলার মুখপাত্রঃ
আমার এলাকার এমদাদের কথাই বলি!
তার দেশের বাড়িতে একটা দোকান ছিলো, মোটামোটি খারাফ ছিলোনা, ভালো ছিলো। সোনার হরিন ধরতে পাড়ি যমায় প্রবাসে। আসার দু'মাসের মাথায় হঠাৎ তার ইণ্টারভিউ! করেদিলো আনপিট। দেশে জেতে হবে। কিছু করার নেই। আসাতে খরচ হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। বলেদিলো সমবার তোমার প্লাইট। কোন দিশা নাপেয়ে রুম ছেড়ে পালিয়ে অন্যত্রে চলেগেছে। এখন সে আনলিগেল।
এখন আসি,
কাতারে আগমনে ইচ্ছুকদের জন্য, একজন কাতার প্রবাসী হিসাবে জানাচ্ছি যে,
★কাতারে ফ্রী ভিসা বলতে কোন ভিসা নাই।
★কাতারে আসার পর ২ বছরের মধ্যে কফিল বদল করা যাবেনা।
★যে কফিল বা কোম্পানীর ভিসাতে আসবেন, সেখানে ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করলে ৫০ হাজার রিয়াল জরিমারা।
★কাতারে থাকার সিট ভাড়া কমপক্ষে ৩৫০ রিআল।
★কাতারে খাওআ বাবত মাসিক খরচ কমপক্ষ ৩৫০ রিআল।
আর টেলিফোন করলে আরো যাবে ৫০/১০০ রিআল।
প্রিয় ব্লগার এবং পাঠক জনস্বার্থে বিষয়টি বললাম।
এমনি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে কোন রকমে পেটে ভাতে দিন কাটাচ্ছে অনেক বাংলাদেশী ভাইয়েরা ।সবাই যে খারাপ অবস্থায় আছে তা কিন্তু নয় , অনেক বাংলাদশী ভাইয়েরা আছেন তারা ভাল পদে চাকুরী করে বেশী বেতন পাচ্ছেন এবং দেশের পরিবার পরিজনেরা সুন্দরভাবে দিনানিপাত করছেন ।
তাই আমার অনুরোধ যারাই বিদেশে চাকুরীর জন্য নিজ মাতৄভূমি ত্যাগ করার চিন্তা ভাবনা করছেন তারা যেন একটু যাচাই বাছাই করে ভিসা এবং কন্ট্রাক ফ্রম চেক করে বিদেশে পারি জমান আর দেশের ছেলে দেশের মাটিতে থেকে কিছু একটা করার চেস্টা করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৩ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাইজান উপস্থিতি জানাবার জন্য।
কোন প্রবাসী মানুষিক ভাবে শান্তিতে নেই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
কোন কিছু করতে যাবেন প্রথমে সরকারি অফিসার দের বাধা। ঘুষ দিয়ে সেই বাধা মুক্ত হতে হবে। তারপর রাজনৈতিক চাঁদাবাজ দের উৎপাত আর চেম্বার বা ব্যবসায়ি সংগঠন এর নামে রাজনৈতিক নেতাদের সিন্ডিকেট এর বাধা।
দেশে এখন বসবাস করাই দুরহ।
দেশে যে এত্তকিছু লাগে তা আগে জানাচ্ছিল না।
ধন্যবাদনিন মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
আর ধন্যবাদনিন মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
যেখানে অন্যান্য দেশের লোক আসে ৫০০/১০০০ রিয়েল খরচ করে। আর সে জাগায় আমাদের দেশের গুনতে হ্য় সাত লাখ।
বড় ভাই,ধন্যবাদনিন মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
★কাতারে ফ্রী ভিসা বলতে কোন ভিসা নাই। ★কাতারে আসার পর ২ বছরের মধ্যে কফিল বদল করা যাবেনা। ★যে কফিল বা কোম্পানীর ভিসাতে আসবেন, সেখানে ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করলে ৫০ হাজার রিয়াল জরিমারা। ★কাতারে থাকার সিট ভাড়া কমপক্ষে ৩৫০ রিআল। ★কাতারে খাওআ বাবত মাসিক খরচ কমপক্ষ ৩৫০ রিআল। ★আর টেলিফোন করলে আরো যাবে ৫০/১০০ রিআল।
সচেতনতামূলক পোষ্টটির জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
আমার সোনার হরীণ চাই৷'
অথচ অস্ট্রেলিায়া, কানাডা,আমেরিকা,সুইডেন, জাপান, নিউজিল্যান্ড, জার্মানী, বৃটেন অনেক ভাল। ওরা ইসলামের আলো! বঞ্চিত বলেই এতটা মানবিক হতে পেরেছে??
মন্তব্য করতে লগইন করুন