★★কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করল বনভোজনে ★শেষ পর্ব★
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ০৪ মে, ২০১৫, ০৫:২১:৩২ বিকাল
"প্রবাসে বাংলাদেশীরা ভাই ভাই, সব বাংলাদেশী মিলে একটি বড় পরিবার।সেই পরিবারের নাম একটুকরো বাংলাদেশ "দল-মত নির্বিশেষে পূর্বনির্ধারিত সময়ে একে একে সবাই জড়ো হতে থাকেন কাতারের প্রতিটা অঞ্চল থেকে আল শামাল পার্কে।
তখন ঘড়ির কাঁটায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা। প্রবাসের হাজারো ব্যস্ততা-ঝামেলার মাঝেও অনেকদিন পর একে অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হবে উপস্থিত সবাই মিলে আনন্দ করবে।
কিছুক্ষণ পরেই চলে আসলেন যাদের অপেক্ষায় ছিলাম আমাদের প্রিয় ব্লগারেরা, এবার আসি চার ব্লগারেরা কি কান্ড ঘটিয়েছে :
মজার ব্যাপার হলো হাবিব ভাই, জামাল ভাই, সাইফুল ভাই সুস্বাদু নাস্তা খেয়ে আনন্দে এতোটাই আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন যে, প্রবাসীদের এই মিলন মেলা ও বনভোজনের আনন্দ ক্যামেরাবন্দী করার কথা ভুলেই গেলেন। মনে পড়তেই ঝটপট ক্লিক, ক্লিক আর ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন সবাই। সাথে আমিও যে চিলাম না এইকথা বলার কোন সুজোগ নেই।
কিছুক্ষণ পরেই খেলা শুরু হলো, বস্তা দৌড়, হাড়ি ভাংগা খেলার ফাঁকে ফাঁকে সবাই কখন কোথায় যাবো তার পরিকল্পনা। শেষে সিদ্ধান্ত হলো গার্ডেনটা ঘুরে ঘুরে দেখার। দেখতে দেখতে হাবিব ভাই, জামাল ভাই,সাইফুল ভাই বললেন চা খাবেন, চা তো চা-ই, সাইফুল ভাই এর চা হতে হবে জাফলং দিয়ে। চা পান করে পেলাক্সে করে নিয়ে আসলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্লগার আধা শিক্ষত ভাইয়ের জন্য। নাম আধা শিক্ষিত হলেও পুরোটা পিকনিকের মূলত ভোজনপর্ব পরিচালক ছিলেন তিনি।
নাস্তা সেরে সবাই চোখ ভরে দেখে নেন অপরূপ সৌন্দর্য্য। আনন্দে উদ্বেলিত হন। উল্লাস প্রকাশ করেন। বিশাল বড় প্রাকৃতিক মনোরম ও সৌন্দর্যে ভরপুর এই পার্কে রয়েছে সবুজ গাছ গাছালি। বিশাল বড় এই পার্কের যেদিকে যাবেন, দুই চোখ যেন খুঁজে পাবেন সবুজের রূপ। যেন এপার থেকে ওপার দেখা যায় না। এছাড়া নানান ফুল বাগানের মৌ মৌ গন্ধ ,পাখির কলরব, নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকন করে মন প্রফুল্ল হয়ে উঠলো সকলের। সেই সঙ্গে মনে পড়ল লাল-সবুজের প্রিয় জন্মভূমির কথা। আসলে প্রিয় দেশটি থেকে অনেক দূরে কাতারের মাটিতে জীবনের প্রয়োজনে সুখের আসায় পরিবারের মুখে এক চিলতে হাসি ফুটাতে আসলেও মন কাঁদে সর্বদা বাংলাদেশের মানুষদের জন্যই। তাইতো কণ্ঠ খুলেই গেয়ে ওঠি,"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি"।
ভ্রমণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মজাদার স্থানের মধ্যে কাতারের শামাল গর্ডেন। পছন্দনীয় এ স্থানগুলো নির্বাচন করতে মোটেও ভুল করিনি আমাদের ভ্রমণের দায়িত্বশীলগন।
আগে থেকেই এখানে জায়গা নির্ধারণ করে নিতে হলো। আল শামাল গার্ডেন ভ্রমণ যে এত্ত মজার তা নিজে না করলে বলে বোঝানো যাবে না। এখানে সব ব্যবস্থায় আছে। যেন একটা বাড়ি। প্রথমেই সকলের বাস কোন যায়গায় পার্কিং হবে সেই জায়গা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্বরতগন দাঁড়িয়ে দেখিয়ে দিলেন। সাথে সাথে নাম্বার নোট করতে দেখা গেছে। বাস থেকে নেমে সামনে যেতেই আমাদেরকে রিসিভ করতে আগে থেকেই এসে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুগণ। আগের বন্ধুদের আন্তরিকতায় মনে হলো এ যেন জান্নাতি পরিবেশ।
এবার পেপারটির বাকী অংস পড়ে নিন,,,,,
কারন আপনারা জানেন যে,পিকনিক বললেই মানুষ মনে করে বিনোদনের নামে নাছ,গান, হাসি উল্লাস আর নারী-পুরুষের এক মিলন মেলা। যেখানে পর্দা-পুষিদার বালাই নেই, নামাযের খবর নেই, ইত্যাদি আরো কত কি। যেহেতু আল্লাহ্ সুবহানআল্লহু তাআলা আল-কুআনের একাদিক যায়গায় নির্দেশ দিয়েছেন- তোমরা ভাল কাজের প্রচলন চালু কর,আর সবধরনের অন্যায় অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহ বিবর্জিত যাবতীয় কাজ বন্দ করে দাও। (আল ইমরান -১০৪)
এই নির্দেশ যেহেতু একা একা আমল করার বিষয় নয় এবং সম্ভব ও নয় তাই আল্লাহ্ সুবহানআল্লহ তাআলা ঈমানের দাবীদারদের প্রতি তাঁর নির্দেশ হচ্ছে।
তোমাদের মধ্যে একটি দল/সংগঠন অবশ্যই থাকবে যারা মানব জাতিকে কল্যানের দিকে ডাকে,মানে দাওয়াত দিবে। (ইমরান -১০৪) শুধু এখানেই শেষ নয় আল্লাহ্ সুবহানআল্লাহ তাআলা তাঁর এই নির্দেশ পালন করার জন্য ঈমানের দাবীদারদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মিলে মিশে এককথায় জামাতবদ্দভাবে আনজাম দেওয়ার জন্য হুকুম করেছেন। আল্লাহ্ বলেছেন -"তোমরা সাবাই মিলে আমার রশি তথা ইসলাম কে ধারন কর।"
তাই বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ হলো আল্লাহ্ সুবহানাল্লাহ তাআলার এই আয়াতেরই বাস্তব নমুনা।
এই সংগঠনের যাবতীয় কর্মসূচীই হচ্ছে ফরজের অন্তর্ভুক্ত নামায আদায় করার জন্য যেমন আযুর বিকল্প নেই ঠিক তেমনি ইসলামের যাবতীয় হুকুম আহকাম আমল করার জন্য সাংগঠনিক জীবন অর্থাৎ জামাআতবদ্ধ জীবনের বিকল্প নেই। শুধু নেই বললে ঠিক হবে না বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ নেই। কোন অবস্থায়ই একজন মুসলমান একাকী জীবন যাপন করতে পারে না।
দুরুদ আর সালাম পেশ করছি বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বজাহানের নবী, বিশ্ব মানবতার একমাত্র আদর্শ, নেতা, নির্ভূল নিখুঁত শ্রেষ্ঠ চরিত্রের আঁধার পথহারা, দিশেহারা, মানবতার দিশারী নবী মুহাম্মদুর রাসুলল্লাহ (সএর শানে।আল্লাহুম্মা সল্লি আলা------
তারই সাথে বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের মুহতারাম সভাপতির পক্ষ থেকে ভ্রমণরত সকল ডেলিগেট ভাইদের কে জানাই সালাম,শুভেচ্ছা এবং মোবারক বাদ। আল্লাহ্ পাক আমাদের এই সফরকে কবুল করুন, সবধরনের বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করেন এই কর্মসূচীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বাত্মক সহযোগীতার মাধ্যমে মহত এই শিক্ষা সফরকে বাস্তবায়ন করার তৌফিক দান করুন আমিন।
এত দীর্ঘ পথ যার বিবরণ দেয়া সংক্ষিপ্ত পরিসরে সম্ভব নয় তবে এতটুকু বলা যায় যে ভহু সময় পার হতে হয়, যা আমাদের জন্য বেদনার হলেও প্রতীক্ষমাণ সেই গার্ডেন পৌঁছার পর সব ভুলে গেলাম। আরো শুভাস ছড়াতে থাকে!
এত সুন্দর, অপরূপ সৃষ্টির মাঝখান থেকে বিদায় নেয়াটা একটু কঠিনই বটে।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে কাতার প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ
বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।(১)
বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।২)
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।(১)
বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।২)>- >- >- >-
জামায়াতবদ্ধ জীবনের উপর কোরআনের কয়েয়টা আয়াত আমি পড়েছে আর কিছু হাদীস ও পড়েছি ।আমি শুধু চিন্তা করি সব মুসলমানেরা কি এগুলো পড়ে না - - - - পড়লে মুসলমানেরা একতা বদ্ধ হচ্ছে না কেন ?
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
মোবাইল থেকে লিখাটি পোষ্ট করেছি , তাই ছবি দেয়া যাচছিলোনা।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মূল্যবান উপস্থিতি এবং প্রেরণাময় মূল্যবান সুন্দর অনুভূতির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মূল্যবান উপস্থিতি এবং প্রেরণাময় মূল্যবান সুন্দর অনুভূতির জন্য।
বারাকাল্লাহু ফীক।
লেখার শিরোনাম এ আরো অনেক চিন্তা করুন।
শিরোনাম নিয়ে সময় দিন জাজাকাল্লাহ ভাইয়া।
জাযাকাল্লা,,,
বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।(১)
বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।২)
বনভোজন নাম না দিয়ে যদি মরুভোজন বা পার্ক ভোজন দিতেন তবে কেমন হতো!
>- >- >- >-
আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মূল্যবান উপস্থিতি এবং প্রেরণাময় মূল্যবান সুন্দর অনুভূতির জন্য।
জাযাকাললাহু খাইরান....।
মন্তব্য করতে লগইন করুন