বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।(২)
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ২৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:০৫:১২ রাত
ভ্রমণ কারনা ভাল লাগে! নিশ্চয় ভালো লাগে সবার। এক্ষেত্রে নেতিবাচক জবাব দেয়ার মতো কেউ থাকার কথা না। কারণ ভ্রমণের মজাটাই আলাদা।
বন্ধুদের সঙ্গে ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ানোর মাঝে কী যে মজা, যে কোন দিন ঘুরে বেড়ায়নি তার পক্ষে বুঝে উঠা কখনই সম্ভব না, যে চোখ তা কোন দিন পর্যবেক্ষণ করেনি তার পক্ষে শান্তনা-প্রশান্তির নীড় খুঁজে পাওয়া কোনভাবেই সম্ভব না। এ যেন এক হারানো মানিক খুঁজে পাওয়া। আমরা যারা প্রবাসী তাদের জীবনে এ ভ্রমণের গুরুত্ব আরো অনেকগুণ বেশী ।
আমাদের এ সফরটা আসলে শিক্ষা সফর । শিক্ষা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। একই সাথে এটি সারা জীবনের জন্য একটি স্মৃতির স্মারকও বটে।
ভ্রমণের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে আলকুরআন বলছে :‘বল,তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর। অতঃপর দেখ পূর্ববর্তীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছিল’। তাদের অধিকাংশই ছিল মুশরিক। (সূরা : আর-রূম, আয়াত- ৪২)‘বল, তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর তারপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছে।’ (সূরা : আল্আনআম, আয়াত-১১)
ভ্রমণে আল্লাহর অসংখ্য সৃষ্টি ও অপরূম মহিমার সোনালি চিত্র ফুটে ওঠে চোখের সামনে। শুনা যায় প্রবাল, পাথর, ঝিনুক-শামুকের মুখে এক আল্লাহর জিকির ধ্বনি। চোখের সামনে ভেসে ওঠে যুগে যুগে জালিম, মুশরীকদের পরিণতির বাস্তব চিত্রও। আল্লাহর এ অপরূপ সৃষ্টি দেখার পরেও যারা প্রভুর সামনে নিজেদের শীর নত করতে পারেনি তাদের মত হতভাগা আর কে থাকতে পারে!
ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে ভ্রমণের স্থান হিসেবে কাতারের আল শামাল গার্ডেন টাও গুরুত্বপূর্ণ।এবার আসি মূল কথায়, ওআচ্ছা বাসে বসেই মোবাইলে একটা ছবি তোলে ফেসবুকে দিয়ে লিখেছিলাম, পিকনিকে জাচ্ছি তবে বৃষ্টি হচ্ছে। এই লিখাটি দিয়েই নেট বন্দ করেছি। কোন, সময় আমাদের প্রিয় কবি বাক প্রবাস ভাই লিখেছিল, তাহলে গিয়ে লাভ কি! এই লিখাটি দেখেই সাথে সাথে ফোন দিলাম বাক প্রবাস ভাইকে, উনি রিসিভ করেননাই পরে দিলাম সাইফুল ভাইকে, ওনার মোবাইল বন্ধ, এদিকে হতাশায় পড়ে গেলাম। পরে ফোন দিলাম জামাল ভাইয়ের কাছে, জামাল ভাই রিসিভ করে বললেন হাবিব ভাই সাইফুল ভাই আমার গেইটের সামনে। জামাল ভাই বলল হাবিব ভাই এর সাথে কথা বলেন, হাবিব ভাইকে সালাম দিয়েই জিজ্ঞেস করলাম ফোন দিতেছি রিসিভ করেননাই কেন! প্রিয় হাবিব ভাই বললেন শুনিনি।
এবার মনের গহিনে পিকনিকের আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করলো। উনারা আসিতেছেন জেনে।
গত পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি পেপারে কি পড়েছি বাকীটা এখানে পড়ে নিন।
সন্মানিত উপস্থিতি!
ভূমিকায় কুরআন ও হাদীসের আলোকে অতি সংক্ষেপে সাদা মাটা ভাবে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেস্টা করেছি মাত্র।
ঈমানের দাবী পূরন করার জন্য নিজের আখেরাতের জীবনের কামিয়াবীর জন্যই আরো বিস্তারিত জানার প্রানান্তিক চেস্টা করতে হবে। আপনারা শুনে নিশ্চয়ই আনন্দিত হবেন যে,যখন পয়সার বিনিময়ও একটি বই পাওয়া সম্ভব নয় অথচ সকলের সহযোগীতায় কাতারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সংগঠনের লাইব্রেরী রয়েছে। যেখান থেকে বিনা পয়সায় আপনারা প্রয়োজনীয় বই-পত্র নিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আল্লহর এই প্রথম নির্দেশ অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন করা প্রধান ফরজ পালন করার তৌফিক দান করেন।
আল্লাহ্ পাক নির্দেশ করেছেন-"ইক্করা বিইসমে রাব্বিকাল্লাজি খালাক"
১)পড়ো (হে নবী),তোমার রবের নামে। যিনি সৃস্টি করেছেন।
নবীকরীম (স বলেছেন :-
তোমাদের মধ্যে সেই লোকটাই সর্বোত্তম যে নিজে কোরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়।
অতএব দীনি জ্ঞান অর্জন কোন ঐচ্ছিক কোন বিষয় বা নফল কোন এবাদত নয়। বরং অত্যান্ত জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। সংক্ষেপে আপনাদের সামনে সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং দুই দফা দাওয়াত, তিন দফা কর্মসূচী পেশ করার চেস্টা করব এবং আশা করব অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আর দেরি না করে এই মহৎ কাজ সামিল হবেন আর জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়গুলো আমরা চর্চা করতে থাকবো।
আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার তৌফিক দান করুন।
এবার সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য :- আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভিতর ইসলামের প্রচার, ইসলামের আলোকে চরিত্র সৃস্টি এবং বাংলাদেশে ইসলামী সমাজ ও শান্তীর পরিবেশ সৃস্টিতে সহযোগীতা করাই বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
দুই দফা দাওয়াত ( ১) সাধারণ ভাবে সকল মানুষ ও বিশেষ ভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আল্লাহ্র দাসত্ব ও রাসুল (সা এর আনুগত্য করার আহবান।
(২)ইসলাম গ্রহনকারী ও ঈমানের দাবীদার সকল মানুষের প্রতি বাস্তব জীবনে কথা ও কাজের গড়মিল পরিহার করে খাটি ও পূর্ণ মুসলিম হওয়ার আহবান।
চলবে ....................
বিষয়: বিবিধ
১৪০৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বলেছে দেশেগিয়ে সবুজ ভাইকেও এই মেন্যু দেখিয়ে খাওয়াবে।
জাযাকাল্লাহু খাইরান,
ধন্যবাদ আপনাকেও ভালো লাগায়।
চমৎকার একটি লিখার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
বিশাল আয়োজন মনে হচ্ছে! আবু বকর সিদ্দিক ভাই কি আপনাদের সাথে ছিলেন?
ভালো লাগলো! সামনের পর্বের অপেক্ষায়....
প্রথমে পিকনিকে ব্যাচেলার, ফ্যামিলি সাবাই যাবার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারনে ফ্যামিলি জেতে পারেনাই।
তাই আবু বকর ভাইও জেতে পারেনাই।
তবে গত শুক্রবার ফ্যামিলি পিকনিক ছিলো সেখানে গেছেন।
আপনাকেও অসংখ ধন্যবাদ।
খাদক ভাই আপনার নিকট ভালো লাগায় আমার নিকট ও ভালো লাগলো।
সাথে শুভেচছা থাকলো।
জ্ঞানহীন মানুষ যমের তূল্য ।
যদি ও আমি এখনো জ্ঞানী হতে পারি নাই তবে আপনাদের মত জ্ঞানীদের পাশে থেকে জ্ঞান আহরনের চেষ্টা করছি ।
অনেক ভাল লাগল অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ারের জন্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন