বনভোজনে কাতার প্রবাসী ব্লগারেরা কি কান্ড না করলেন।
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ১৯ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:৩৮:২৭ দুপুর
কি সুন্দর এই পৃথিবী! চোখ জুড়ানো বিস্তীর্ণ শ্যামল শস্য ক্ষেত। গাছের ডালে ডালে রঙ-বেরঙের ফল ফুল, তারই মাঝে রঙ-বেরঙের পাখ-পাখালি প্রজাপতির মনভোলানো খেলা। মন জুড়িয়ে যায় বিরাট আকাশটার দিকে তাকিয়ে থেকে।
মেঘের কোলে ভেসে বেড়াচ্ছে স্বাধীন ডানা মেলা পাখিরা, রোদ হাসছে ঝিকমিক। কি সুন্দর! কি সুন্দর এই সৃষ্টি! কি বিরাট বিষ্ময়কর এই সৃষ্টি! সৃষ্টির এই সৌন্দর্য উপভোগ করে শেষ করা যায় না। এর সীমা-সংখ্যা গুণে শেষ করা যায় না। বিশ্বের প্রতিটি অণু-পরমাণু মেনে চলছে আল্লাহর আইন। এই শৃংখলার কোন ব্যতিক্রম নেই।
কাতার আল শামাল
দিনটি ছিল জুম্মাবার।হঠাৎ আমাদের প্রিয় ব্লগার জামাল ভাইয়ের ফোন আসলো। আমি সালাম দিলাম উনি হাসতে হাসতে বললেন, আমরা আগামি ২৭তারিখ বনভোজনে যাব। আমি এ কথায় স্বাগত জানালাম। অনুমানিক তিন-চারদিন পরে ব্লগার বাক প্রবাস ভাই আর সাইফুল ভাইকে ফোন দিলাম। উনারাও যাবেন শুনতে পেয়ে আনন্দিত হলাম।
পিকনিকে যাবার আগের দিন মামুন ভাই এসে খাওয়ার কুপন আর সাথে একটা পেপার দিয়ে বললেন, আপনি একটা বাসের দায়িত্ব নিবেন। আর সেই বাসে আপনাকে এই পেপারটি পড়ে শুনাতে হবে।পরের দিন পিকনিক রাতে নিদ্রাহীন স্বপ্নজাল বুনানো চলছে। ঘড়ির চেইন জেনো ঘুরছেনা কিছুক্ষণ ঘুম আসলে অনেক সময় ঘুম আসছেনা। এরই মাঝে মাসজিদে ফজর এর আজান শুনতে ফেলাম। গোসল শেরে নামাজ শেষ করা অবস্থায় মামুন ভাইয়ের ফোন। আমরা রেডি কিনা।জানিয়ে দিলাম জি আমরা রেডি। এদিকে বাহিরে ঝিমঝিম বৃষ্টি হচ্ছে মহা চিন্তায় পড়ে গেলাম। কি হবে পিকনিকে গিয়ে। শরীরে ভীষণ জ্বর ছিল তারপরেও থেমে নেই মনের আগ্রহ আর সাহস নিয়ে নেমে পড়লাম পিকনিকের উদ্দেশ্য।
বাসের মধ্যে বসার পরেই আরো ঝুমুর বৃষ্টি শুরু হলো। কিছুক্ষনের মধ্যে আস্তে আস্তে বৃষ্টি পড়া বন্ধ হল। কিছু ডেলিগেট উঠিয়ে সামনে এগিয়ে ষাটজন পুরন করে কিছুটা সামনে গেলেই জাফর ভাই জানালেন ওখানে বৃষ্টি নেই আলহামদুলিল্লাহ্।
ওআচ্ছা বাসে বসেই মোবাইলে একটা ছবিতোলে ফেসবুকে দিয়ে লিখেছিলাম, পিকনিকে জাচ্ছি তবে বৃষ্টি হচ্ছে। এই লিখাটি দিয়েই নেট বন্দ করেছি। কোন, সময় আমাদের প্রিয় কবি বাক প্রবাস ভাই লিখেছিল, তাহলে গিয়ে লাভ কি! এরই মাঝে চলে গেলাম পিকনিকস্থল গার্ডেনে।
এই লিখাটি চিল ,জি ভাইজানেরা পিকনিকে যাচ্ছি,দোয়া করবেন।তবে বৃষ্টি হচ্ছে থেমে থেমে।
এবার আসি পেপারে, জেই কথা সেই কাজ। রাতেই পেপারটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়েছিলাম।
এখন আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে এ পেপারটিতে কি লিখা ছিল। তাই ঢেলে দিলাম আপনাদের সামনে।এবার পড়ে নিন আপনারাও।
বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ দোহা কাতার এর উদ্যেগে আয়োজিত বনভোজন -২০১৫ ইং আমার সাথে সফররত সন্মানিত ডেলিগাট ভাইয়েরা আচ্ছালামু আলাইকুম, প্রথমেই আমরা সকলে মিলে ভ্রমনের দোয়া পড়ে নিচ্ছি :
এবং মাবুদের শাহী দরবারে শুকুর গুজার হচ্ছি,শুকরিয়া আদায় করছি যে মহান মাবুদ প্রবাসী জীবনের নানামূখী ব্যস্ততা আর একগুয়েমী জীবনের কষাঘাত থেকে সামান্য সময়ের জন্য হলেও একটু আনন্দ উপভোগ করার অর্থাৎ এই বনভোজনের ব্যাবস্থা করে দিলেন। সাথে সাথে আমি আরো শুকরীয়া জ্ঞাপন করছি এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করছি সেই প্রানপ্রিয় সংগঠনের জন্য যে সংগঠন আমাদের আখেরাতের কঠিন আজাব থেকে বাঁচার লক্ষে আল্লাহ্ সুবহানআল্লাহ তাআলার রেজামন্দি হাসিল করে জান্নাতের চিরস্থায়ী সুখ সুবিধা হাসিল করার,নির্ভুল, নিখুঁত, সহজ সরল অত্যন্ত বাস্তবমুখী এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে যা আমরা আমাদের ডিউটি সহ অতী প্রিয়জনীয় কাজ কাম সেরে দীনি দায়িত্ব পালন করতে পারি। সার্থক করতে পারি আমাদের সৃষ্টির উদ্দ্যেশ্যকে।কারন আমাদের কিন্তু তাঁর কাছেই ফিরে জেতে হবে।এবং তাঁর দেয়া যাবতীয় নিয়ামতের হিসাব দিতে হবে।
যে সংগঠন আমাদেরকে একজন অভিবকের মত অনেক আপনজনের চেয়েও সযত্নে কুরআন সুন্নাহ জ্ঞানের আলো দান করে জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে শিরক বেদআত নামক কঠিন গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য অত্যন্ত বিজ্ঞান সম্মত পন্থায় ২দফা দাওয়াত এবং তিন দফা কর্মসূচি সহ নানামুখী কর্মসূচীর ব্যাবস্থা করেছে।তারই ধারাবাহিকতার অন্যতম কর্মসূচী হচ্ছে আজকের এই বনভোজন। আসলে এটাকে বনভোজন বা পিকনিক বলাটা সঠিক হবে না বরং এটাকে মূলত শিক্ষা সফর বলাটাই যথার্থ হবে।
সন্মানিত উপস্থিতি!
ভূমিকায় কুরআন ও হাদীসের আলোকে অতি সংক্ষেপে সাদা মাটা ভাবে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেস্টা করেছি মাত্র।
ইন শা আললাহ,চলবে......................
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৪ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাইজান, ফাস্টে মন্তব্য করার জন্য খানার কিছুই দিতে পারলামনা
আর আপনাকে পেয়েছি দেখে আনন্দে
সিক্ত হলাম।
জাযাকাল্লাহ,,,,ভালো থাকেন অবিরত,,,
কারাগার সম প্রবাসে মানষিক প্রফুল্লতায় এমন আয়োজন সাধুবাদ পাবে অবশ্যই!
মহান আল্লাহ সব সময়ই এমন নির্মল আনন্দে রাখুন সবাই কে!আমিন!!
আপনার মুল্যবান দোয়ার সাথে ছুম্মা আমীন।
জাযাকাল্লাহ ভালো সবসময়,,
আপনার মুল্যবান মন্তব্য পেয়ে মুডু মামা মামি সবাই আনন্দে সিক্ত। <:-P
একটু দুস্টামি করলাম।
সাথে বারাকাল্লাহু ফীক।
জাযাকাল্লাহ,,,,
লেখাটির প্রতি আপনার দৃষ্টি দেয়ার জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লা,,,,,,,
পরিশেষ লেখাটির প্রতি আপনার দৃষ্টি দেয়ার জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
তা
আর,শাহিন ভাইয়ের মন্তব্য আপনি পড়লেই হবে। ভালো থাকবেন অবিরত,,,
আর ইন শা আল্লাহ্ আগামী পোষ্টে অনুমতি ফেলে
জাতি জানতে চায়...........।
ভাই,সবাই বলে বিয়ে খেতে যায় কিন্তু খায় বিরানি।
তদ্রূপ বনভোজনে গিয়ে আমরা ওখানের কিছুই খাইনি।
আর আপনাকে মাত্র একটা প্রশ্ন করি,আপনিকি আমার নেয় নোয়াখালী?:
আর আপনার ভহু লেখা পড়েছি পিকনিক নিয়ে...........
লেখাটির প্রতি আপনার দৃষ্টি দেয়ার জন্য আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।
সুন্দর মনের সুন্দর মানুষদের সুন্দর মন্ত্যের জন্য এবংআমার বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য জাযাকাললাহ,
আসাকরি সাথেই থাকবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন