মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে কাতার প্রবাসীদের সংগঠন বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ৩০ মার্চ, ২০১৫, ০১:৪৩:২৮ দুপুর
গত ২৭ মার্চ কাতার আল শামাল পার্কে আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুরআন সুন্নাহ পরিষদের এক বিশাল বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবারও বনভোজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় এর ব্যাপকতা এত বেশী ছিল যে, ঈদের আনন্দের ন্যায় উচ্ছাসিত।
এতে যোগ দেন কাতারের প্রতিটা অঞ্চল থেকে তিন হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী। বনভোজনে অংশগ্রণকারীর অনেকেরই গাড়ি ছিলো। এর মধ্য অনেকের নিজস্ব গাড়ি থাকা সত্বেও ভিন্ন মাত্রা পেতে এবং সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগী করে নিতে একসংগে বাসে করে আসেন। প্রবাশী দেশীয়দের পদচারণায় সামাল পার্ক হয়ে উঠে এক মিনি বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক পরিবেশ, বসন্তের মাতাল সমীরণ, ফুল আর পাখির কলকাকলিতে সবাই মেতে উঠেন পিকনিকের মিলনমেলায়।
এতে বিশেষ আর্কষণ ছিল নানা রকম খেলাধুলার ব্যবস্থা, মজাদার খাবার, পুরস্কার বিতরণী এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশীরা দিনভর ওই বনভোজনে নানা আনন্দ উপভোগ করেন। বনভোজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতার প্রবাসীদের দিশাহারা মানুষের সত্যাগ্রহীদের পথ দেখানো বি কিউ এস পি এর সংগঠনের নয়নমণি শ্রদ্ধাবান জানাব রশিদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জুবাইর আহম্মদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হা: আনোয়ার হুসাইন।খাদ্য বিভাগ পরিচালনা করেন মুহা : নজরুল ইসলাম।
যাদের সহযোগিতায় এবারের বনভোজন সফল ও সার্থক হয়েছে : জনাব ইনতেখাব বিন ইউসুফ, হিকমাত বিন মুত্তালিব, ইঞ্জিনিয়ার কামারুল আহসান মিয়া, মুহাঃরেজাউল কারিম,এইচ এম ইব্রাহীম, আব্দুল মুকিত,মুহাম্মদ ইউসুফ খোকন, নুর আলম বাবুল সহ আরো অনেকেই।
দুপুরে খাবারের পর সবাই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কিছুক্ষণের জন্য, কেহ সবুজ ঘাসে কেহ বা গাছের ছায়ায়। হঠাৎ আল হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর একঝাক শিল্পীরা একত্রীত হয়ে মনমাতানো ইসলামী সংগীত, কৌতুক, স্বরচিত গান ও নাটক নিয়ে হাজির হলে ক্লান্তি ফেলে সবাই ছুটে আসেন মঞ্চ এর সামনে, কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মঞ্চ এর সামনে দর্শক সারীর জায়গাটা।
বিশেষ অতিথি জানাব রশিদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন,আমরা আজ ৪৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করছি। তিনি বলেন লড়াকু ও দুর্বিনীত সাহসী জাতি হিসেবে আমাদের কাছে দিনটি অনন্য সাধারণ ও স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এ দিনটি শুধু পঞ্জিকার পাতায় কোনো জলজলে লাল তারিখ নয়, কেবল চৈত্রের দগদগে রৌদ্রময় একটি দিন, বাংলাদেশী জাতীর কিংবদন্তীতুল্য দেশপ্রেম, অবিরাম সংগ্রাম এবং সংহত শক্তিরও প্রতীক। মহান স্বাধীনতা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ গৌরবময় অর্জনে শহীদের আত্মোৎস্বর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগিয়ে রাখতে তাদের আত্মত্যাগ আমাদের সব সময় অনুপ্রাণিত করে। আজকের দিনে তাদের এ আত্মত্যাগ স্মরণ করি এবং সব শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দুআ মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ করা হয়।
সব শেষে প্রাণভরে বলতে পারার আনন্দে উচ্ছ্বসিত ছিল স্বদেশ থেকে দূরে থাকা সদাহাস্য কিছু প্রাণ।এর পাশাপাশি ছিল সমুদ্রের তীর ছুঁয়ে আসা বাতাস। এ বাতাস এসে পুরো বছরের ক্লান্তিগুলো যেন এক ধমকায় উড়িয়ে নিয়ে গেল। এই বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে কর্মব্যাস্ত সব বাংলাদেশী যেন সতেজ হয়ে ওঠেন নতুন করে। দিন শেষে ফেরার সময় সবাই সঙ্গে করে নিয়ে আসেন কিছু সুখস্মৃতি, যা রসদ জোগাবে সামনের একটা বছর। শেষে সবাই ঘরে ফেরেন আগামী বসন্তে আবারও মিলিত হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে।
আর ব্লগারেরা কিকি কান্ড করেছে। সে কথা পরে লিখব।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৯ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ছবি এবং পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপুজিকে ভালো থাকবে।।
তাই ....................
সুন্দর পোষ্টির জন্য আমার দোয়া, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অথচ আমরাও ব্লগার! আমাদেরও ইচ্ছে করে একসাথে হতে, কিন্তু পোড়া কপাল!!!!!!
করুন, বেশি করে করুন। সবাই কি সিনেমা হলে চড়া দামে টিকেট কেটে ছবি দেখতে পারে? পারে না, যাদের সামর্থ আছে তারাই শুধু পারে, বাকীরা বিনা পয়সায় বারান্দা শো দেখে, আমরাও বারান্দা শো দেখেই মন ভরালাম!
এটা কোন ব্যপার হল! ফেয়ার এন্ড লাভলী মাল্টি ভিটামিন আছে না! ভালো করে মাখিয়ে নিন। ব্যস।
বাঙ্গালির অনুষ্ঠানে কোন ধাক্কাধাক্কি হয়নাই এইটা অবিশ্যাস্য!!
কুরআন সুন্নাহ পরিষদ হলে বনভোজন অনুষ্ঠান হয় কি করে?
হতে পারে আমি বনভোজন এর অর্থই জানি না। ধন্যবাদ।
আর ব্লগারেরা কিকি কান্ড করেছে। সে কথা পরে লিখব - অধীর আগ্রহে রইলাম সেই মজার কান্দ গুলো পড়ার জন্য!
শুকরিয়া!
মন্তব্য করতে লগইন করুন