রমযান-আলোচনা:- মুমিন আল্লাহর ভয়ে ভীত

লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ০৬ জুলাই, ২০১৪, ০৪:২৫:৪৪ বিকাল

মুমিন তার অন্তরে সার্বক্ষণিক আল্লাহ তায়ালার ভয় লালন করে বিধায় শয়তান তার উপর গালিব হতে পারে না, এবং সে আল্লাহর উপর এমন আস্থাশীল যে, কোন বিপদও তাকে আল্লাহর বিধান থেকে গাফিল করতে পারে না, বরং তার ঈমানের জযবা আরো বেড়ে যায়।

মহান রাববুল আলামীন ইরশাদ করেন-প্রকৃত মুমিন তারা যারা আল্লাহর স্মরণে তাদের দিল কেঁপে উঠে, তাদের সামনে আল্লাহর বাণী উচ্চারিত হলে তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়, তারা আল্লাহর উপর আস্থাশীল ও নির্ভরশীল হয়ে থাকে।

নামাজ কায়েম করে এবং আল্লাহর প্রদত্ত রিযিক থেকে ব্যয় করে। বস্তুত: এরা হচ্ছে সত্যিকারের মুমিন। তাদের জন্য আল্লাহর নিকট উচ্চ মর্যাদা রয়েছে আরো রয়েছে অপরাধের ক্ষমা ও অতি উত্তম রিযিক (আনফাল-২-৪)

অর্থাৎ যখনই মানুসের সামনে আল্লাহর কোন হুকুম আসে এবং সে তার সত্যতা মেনে নিয়ে আনুগত্যের শির নত করে দেয় তখনই তার ঈমান বেড়ে যায়৷ এ ধরেনের প্রত্যেকটি অবস্থায় এমনটিই হয়ে থাকে৷ যখনই আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রসূলের হেদায়াতের মধে মানুষ এমন কোন জিনিস দেখে যা তার ইচ্ছা আশা-আকাংখা , চিন্তা-ভাবনা মতবাদ , পরিচিত আচার-আচরণ , স্বার্থ, আরাম-আয়েশ ,ভালোবাসা, ও বন্ধুত্ব বিরোধী হয় এবং সে তা মেনে নিয়ে আল্লাহ ও রসূলের বিধান পরিবর্তন করার পরিবর্তে নিজেকে পরিবর্তিত করে ফেলে এবং তা গ্রহণ করতে গিয়ে কষ্ট স্বীকার করে নেয় তখন মানুষের ঈমান তরতাজা ও পরিপুষ্ট হয়৷ পক্ষান্তরে এমনটি করতে অস্বীকৃতি জানালে মানুষের ঈমানের প্রাণ শক্তি নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে৷ কাজেই জানা গেলো, ঈমান কোন অনড়, নিশ্চল , এ স্থির জিনিসের নাম নয়৷ এটা শুধুমাত্র একবার মানাও না মানার ব্যাপার নয়৷ একবার না মানলে শুধুমাত্র একবারই না মানা হলো এবং একবার মেনে নিলে কেবলমাত্র একবারই মেনে নেয়া হলো এমন নয়৷ বরং মানা ও না মানা উভয়ের মধ্যে হ্রাস বৃদ্ধি রয়েছে৷ প্রত্যেকটি অস্বীকৃতির মাত্রা কমতেও পারে, বাড়তেও পারে৷ আবার এমনিভাবে প্রত্যেকটি স্বীকৃতি ও মেনে নেয়ার মাত্রাও বাড়তে কমতে পারে৷

জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই জয় পরাজয়, অথবা সফলতা ব্যর্থতার হিসেব কষে এগুতে হয়। জীবনের কোনো ক্ষেত্রে সাফল্য এলে যেমন আমরা খুশির স্রোতে ভাসি, ঠিক তেমনি কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে অনেকের জীবনেই নেমে আসে হতাশার অন্ধকার।কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ওপর যদি আমাদের পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস থাকে তাহলে জীবনের এসব কঠিন মুহূর্তেই নিশ্চিন্ত থাকা সম্ভব। দুনিয়ার জীবনের কোনো ব্যর্থতা তখন আখিরাতের পুরস্কারের তুলনায় বড় হয়ে উঠতে পারে না। জীবনের হিসেব তখন আমাদের ইচ্ছাধীন না রেখে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে সুখে শান্তিতে থাকা সম্ভব। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরানে সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব এ বলেছেন

"যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট।" (সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব -৩)

তারা নামায কায়েম করে, নামায মু'মিনের জন্য মি'রাজ। (আল্ হাদীস) আমাদের সবচেয়ে আপনজন হচ্ছে আল্লাহ্ রাববুল আলামিন। নামায আদায়ের মাধ্যমে আমারা সবচেয়ে আপনজন তাঁর সাথে কথা বলবো, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। যিনি আমার প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করেন, যিনি আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, তাঁর কাছে যাব, যার কাছে সব কথা বলা যায়। তাঁর কাছে মি'রাজ করতে যাব তাতে গাফলতি কিসের? এটাইতো বড় মজার ব্যাপার। আল্লাহ্ পাক পবিত্র কুরআনের সূরা মাউনের ৪নং আয়াতে বলেছেন, সেই নামাজীদের জন্য ধ্বংস, যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে গাফলতি করে। এ আয়াতে বলা হয়েছে যারা গাফলতি করে তাদের। আর যারা নামাজ পড়ে না অথবা মাঝেমধ্যে পড়ে তাদের অবস্থা কি হবে? আল্লাহ্ পাক কুরআনের বিরাশি জায়গায় বলেছেন, নামাজ কায়েম কর। নিজে পড় অপরকে পড়ার জন্য উৎসাহিত কর।

হাদীসে এসেছে : একবার আল্লাহ্ রাববুল আলামিন জিব্রাইল (আHappyকে বললেন, ‘হে জিব্রাইল ঐ এলাকাটাকে ধ্বংস করে এসো। জিব্রাইল (আHappy বললেন, ‘‘হে রাববুল আলামিন’’ সেই এলাকায় আপনার এমন একজন আবেদ বান্দা আছে যে বান্দা সারাক্ষণ আপনার তাসবিহ তাহলীল ও ইবাদাত বন্দেগীতে মশগুল।

আল্লাহ্ রাববুল আলামিন জিব্রাইল (আHappyকে বললেন, হ্যাঁ ঐ এলাকা ধ্বংস করে এসো। কেননা আমার সে বান্দা নিজেই জান্নাতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করতেছে। সে মানুষকে আমার (আল্লাহর) দিকে ডাকে না। আল্লাহর দ্বীনকে কায়েম করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে না। সুতরাং আমার সে বান্দাসহ এলাকা ধ্বংস করে এসো।

আল্লাহ্ বলেছেন, ‘‘জল ও স্থলে যত বিপর্যয় সব মানুষের হাতের কামাই’’।

আমাদের চিন্তার বিষয় যে, আমাদের অবস্থা কি হবে? সমাজ ও দেশের অবস্থা কি হবে? কিভাবে আল্লাহ্র কাছে পরকালে নাযাত পাব।

হযরত আমর বিন শুয়াইব (রাHappy তাহার পিতার মাধ্যমে তাহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বললেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের সন্তানদিগকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সাত বছরে পৌঁছিবে আর যখন তাহারা দশ বছর বয়সে পৌঁছিবে তখন তাদের নামাজের জন্য প্রহার করবে এবং তাদের শোয়ার জায়গা বা স্থান পৃথক করে দেবে। (আবু দাউদ)

যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ( আমার পথে) খরচ করে৷

দুনিয়ার অর্থ সম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে আখেরাতের সফলতা অর্জন করতে হবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ( আল্লাহর পথে খরচ করে) যে অগ্রিম পাঠায় তাই তার নিজের সম্পদ। আর যা সে পিছনে রেখে যায় তাই তার ওয়ারিসের সম্পদ। (বুখারী আবদুল্লাহ বিন মাসুদ রাHappy

রাসুলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন : তোমার মাল তো উহাই যা তুমি খেয়ে শেষ করে করেছ, যা তুমি পরিধান করে শেষ করেছ, আর যা তুমি দান সদকা করে সন্চ্বয় করেছ। (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ (সHappy আরো বলেছেন : ক্ষনস্হায়ী জিনিষের উপর স্হায়ী জিনিষের প্রধান্য দাউ। ( আহমাদ বায়হাকী)

যতদিন মানুষ মানুষ হিসেবে দুনিয়ার বুকে বেঁচে আছে ততদিন তার আমলনামা শুধুমাত্র উৎকৃষ্ট মানের কার্যকলাপে ভর্তি থাকবে এবং দোষ-ত্রুটি ও ভুল -ভ্রান্তি থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকবে এমনটি হতে পারে না৷ কিন্তু মহান আল্লাহর একটি বড় রহমত হচ্ছে এই যে, যতদিন মানুষ বন্দেগীর অনিবার্য শর্তসমূহ পূর্ণ করে ততদিন আল্লাহ তার ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করতে থাকেন এবং তার কার্যাবলী যে ধরনের প্রতিদান লাভের যোগ্যতা সম্পন্ন হয় নিজ অনুগ্রহে তার চেয়ে কিছু বেশী প্রতিদান তাকে দান করেন নয়তো যদি প্রত্যেকটি ভুলের শাস্তি ও প্রত্যেকটি ভাল কাজের পুরস্কার আলাদাভাবে দেবার নিয়ম করা হতো তাহলে কোন অতি বড় সৎলোকও শাস্তির হাত থেকে রেহাই পেতো না৷

আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে নামাজের মতো ফরজ কাজকে নিজে পড়ি, অপরকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করি। নিজে একা জান্নাতে না গিয়ে সবাইকে নিয়ে জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করি।

আমাদের মনে রাখতে হবে যে টাকা আল্লাহর পথে হচ্ছে সে টাকাই শুধু নিজের খাতে জমা হচ্ছে।বাকী টাকা ওয়ারীশের থেকে যাচ্ছে। তাই নিজের টাকা এখনই আখেরাতের ব্যাংকে সঞ্চয় করে নিতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৮৩৯ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242293
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
বাজলবী লিখেছেন : মা শা অাল্লাহ অনেক সুন্দর করে নামাযের গুরত্ব, অাল্লাহর পথে অার্থিক কোরবানির বর্ণনা তুলে ধরেছেন। অাল্লাহ অামাদেরকে অামল করার তাওফিক দান করুক অামিন। জাজাক অাল্লাহ খায়ের।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১৩
188171
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মুমিন আল্লাহর উপর ঈমান আনার পর আর কখনো সন্দেহে পড়ে না। সে পূর্ণতার সাথে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার উপর আস্থাশীল। যেমন মহান আল্লাহ পাক সোবহানাহু তায়ালা বলেন- ‘‘প্রকৃত মুমিন তারাই যারা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর আর সন্দেহে পড়ে না এবং নিজেদের মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে, এরাই সত্যবাদী।’’ (সূরা হুজরাত-১৫)
আপনার দোয়ার সাথে আমীন।
বারাকাল্লাহু ফীক
242295
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:০৭
আবু জারীর লিখেছেন : ঈমান আনাই যথেষ্ট নয়। সারাজীবন ঈমানের বৃক্ষটাকে বাচিয়ে রাখার জন্য আমলের পানি সিঞ্চন করতে হবে।
ধন্যবাদ।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১৭
188172
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মুমিন তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সামষ্টিক জীবনে আল্লাহর বিধান ও ফায়সালার খিলাফ করে না এবং জমিনে আল্লাহর বিধান ও ফায়সালার বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে ‘‘মুমিনদের বৈশিষ্ট্য এই যে, যখন তাদের মাঝে ফয়সালার জন্য আল্লাহ ও রাসূলের (বিধানের) প্রতি ডাকা হয়, তখন তারা বলে আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, আর এইরূপ লোকেরা প্রকৃত সফলকাম’’। (সূরা আন নুর-৫১)

ঈমান আনাই যথেষ্ট নয়। সারাজীবন ঈমানের বৃক্ষটাকে বাচিয়ে রাখার জন্য আমলের পানি সিঞ্চন করতে হবে।

আপনার মন্তব্য ও সঠিক।
বারাকাল্লাহু ফীক।
242300
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো পিলাচ
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১৯
188173
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মুমিন জিন্দেগীতে আল্লাহর স্মরণ, আল্লাহর বিধানের অনুসরণ তাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে, সে আরো অধিক হারে আল্লাহর বিধানের পায়বন্দিতে আগ্রহী হয়। যেমন মহান আল্লাহপাক সূরা রাদের ২৮ আয়াতে ইরশাদ করেন-‘‘যারা মুমিন আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর পরম শান্তি ও স্বস্তি লাভ করে থাকে’’।Good Luck
242302
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:২৪
রাইয়ান লিখেছেন : অসাধারণ সুন্দর লেখা ভাইয়া , আল্লাহ আমাদেরকে জানা ও বোঝার সাথে সাথে আমল করার ও তাওফিক দিন ... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:২২
188175
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মুমিন আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার রহমাতের ছায়ার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠি। তারা আল্লাহর হুকুমের যথাযথ অনুসরণের দরুন আল্লাহ তার রহমত দ্বারা তাদের বেষ্টন করে রাখেন। সূরা তাওবার ৭১ আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-‘‘মুমিন নারী পুরুষরা তারা পরস্পরের বন্ধু ও সাহায্যকারী। তারা একে অপরকে যাবতীয় ভাল কাজের নির্দেশ দেয়, অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, যাকাত পরিশোধ করে এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে। উহারা এমন লোক যাদের প্রতি আল্লাহর রহমত অবশ্যই নাযিল হবে।

আপনার সাথে আমি ও বলি,আল্লাহ আমাদেরকে জানা ও বোঝার সাথে সাথে আমল করার ও তাওফিক দিন। আমীন।
আপনাকে ও অনেক অনেক মুবারকবাদ।
242310
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : চমৎকার লিখেছেন, আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:২৩
188176
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীক।Good Luck Good Luck
242312
০৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
আফরা লিখেছেন : এত্ত বেশী ভাল হয়েছে ভাইয়া ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না ।আল্লাহ আমাদের ঈমানী মজবুতী দান করুন ।আমীন ।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:২৫
188178
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মহান আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা মুমিনদের একমাত্র সাহায্যকারী এবং যথাযথ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত মুমিন জনশক্তিই আল্লাহর সাহায্যের একমাত্র হকদার। সূরা আর রুমের ৪৭ আয়াতে ইরশাদ হয়েছে ‘‘অতপর আমি অপরাধীদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেছি আর মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।’’ অন্য আয়াতে বলা হয়েছে- ‘‘হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের স্থীতি ও প্রতিষ্ঠাদান করবেন।’’ (সূরা মুহাম্মদ-৭)
আল্লাহ আমাদের ঈমানী মজবুতী দান করুন ।আমীন ।Good Luck

বারাকাল্লাহু ফীক।
242344
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩২
সন্ধাতারা লিখেছেন : Very wonderful discussion. May Allah gives us strength to continue our life in which way he loves. Ramjanul Mubarak.
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:২৯
188181
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মহান আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালার ইবাদতের ও তাঁর সাথে গভীর সম্পর্কের প্রধান মাধ্যম হল সালাত। আর যারা মুমিন তারা আল্লাহ সিজদায় নিজেকে উৎসর্গী করে এক্ষেত্রে কোন প্রকার গাফিলতা প্রদর্শন করে না। সূরা মুমিনুন ২ আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- ‘‘তারা তাদের সালাতে বিনয় অবলম্বন করে’’। একই সূরার ১০ আয়াতে বলা হয়েছে- ‘‘ যারা নিজেদের নামায সমূহকে পূর্ণভাবে সংরক্ষণ করে।

আমীন।
আপনাকে ও রমযান মুবারক। Good Luck Good Luck
242380
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আল্লাহতায়লা আমাদের প্রকৃত মুমিন হওয়ার তেীফিক দিন।
সুন্দর আলোচনাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৯ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৫১
188773
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দেন,আমীন।
আপনাকে ও অসংখ মুবারকবাদ।
242396
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৫৪
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,‘বল,‘নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিযকদাতা।’ {সূরা আস-সাবা’, আয়াত : ৩৯}আল্লাহ আমাদের সবাইকে হালাল উপার্জনে উদ্যোগী ও ঈমানের সাথে চলার তাওফীক দান করুন। আমিন। Praying
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে Good Luck Good Luck
০৯ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৫৩
188774
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মুমিন হলো তাকওয়ার জ্বলন্ত উজ্জ্বল নমুনা। তাকওয়ার মাধ্যমে মুমিন নিজেকে সম্মানিত করে রাহমানের বান্দাহর উপযোগিতা অর্জন করে। মহান আল্লাহ সোবহানাহুতায়ালা সূরা হুজরাত ১৩ আয়াতে ইরশাদ করেন ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালার নিকট তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক তাকওয়ার অধিকারী, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সকল কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দেন,আমীন।
আপনাকে ও অসংখ মুবারকবাদ।
১০
242424
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:০০
ভিশু লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ! একই আলোচনায় খুব সুন্দর করে তাকওয়া, আত্মগঠন, দা'ওয়াহ, পরিবার-সমাজ পরিবর্তনের আহবান এবং গুরুত্ব চলে এসেছে! কুরআন-হাদিসের মহামূল্যবান অলংকারে সুসজ্জিত একটি লেখা! আল্লাহ আমাদেরকে এথেকে শিক্ষা নিয়ে আমল করার তৌফিক দিন! জাযাকাল্লাহ খাইরান!
০৯ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:০২
188775
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : মুমিন সর্বকাজে সবরের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনকারী,আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার দ্বীনের পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দেন,আমীন।
আপনাকে ও অসংখ মুবারকবাদ।Good Luck Good Luck
১১
243170
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের মুমিন হিসেবে কবুল করুন। রমযান উপলক্ষে যেন আমরা সকলে তাকওয়া অর্জন করতে পারি। আমিন।
এখানে আমন্ত্রণঃ
রমযান আলোচনা-বিষয়ঃ সূরা ‍মুহাম্মদ আয়াত নং ২৯-৩২
১২
243936
১২ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:০১
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আলহামদু লিল্লাহ্! খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে তাকওয়া অর্জনের তাওফিক দান করুন।

: এর পরে ) হলে হাসির ইমো হয়। সুতরাং : এর স্থলে বিশর্গ ব্যবহার করুন অথবা একটা. ডট দিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File