আমরা কার আদেশ মানবো -পর্দা
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ২০ আগস্ট, ২০১৩, ০৪:৫৯:৩৬ বিকাল
হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব-৫৯)
আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা আন-নূর:৩১)
ইবনে মাসউদ ( রা: ) হতে বর্ণিত, নবী করীম ( স: ) বলেছেন মহিলারা হল পর্দায় থাকার বস্তু। সুতরাং তারা যখন ( পর্দা উপেক্ষা করে) বাহিরে আসে, তখন শয়তান তাদেরকে ( অন্য পুরুষের চোখে) সুসজ্জিত করে দেখায়। (তিরমিযী)
পর্দা অর্থ নারীকে চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখা নয় ,
বরং পর্দা হল নারীর সম্ভ্রম রক্ষার এক মজবুত দূর্গ। আর নারীর সেই পর্দা হচ্ছে বোরখা।
বিশ্ব জরিপে দেখা গেছে- বোরখাচ্ছাধিত নারীর তুলনায় বোরখাবিহীন নারীগণই বেশি লাঞ্ছিত হচ্ছেন প্রতিদিন।
বোরখাবিহীন নারীরই সম্ভ্রম হারানোর ঝুঁকি বেশি। ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী বোরখাচ্ছাধিত একজন নারী নিজেকে পর্দায় বন্দী মনে করেন না। তিনি নিজেকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে সংরক্ষিত মনে করেন।
নিজেকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ মনে করেন। আর পুরুষদেরকে পর্দানশীল নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে।পর্দা একটি কুরআনী বিধান। কুরআন মজীদের অনেকগুলো আয়াত পর্দা সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।
পর্দা ইসলামের ঐসকল বিধানের অন্যতম, যেগুলোর বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে কুরআন মজীদে আছে। তেমনি হাদীস শরীফেও এর আরো দিক পরিষ্কারভাবে বর্ণিত হয়েছে। তো পর্দার বিধান হচ্ছে ইসলামের একটি অটল ও অকাট্য বিধান।
কিন্তু তথাকথিত পুরুষদের এটা সহ্য হয়না, কারণ তারা ব্যাকুল থাকে পর্দার অন্তরালে লুকায়িত নারীর সৌন্দর্য কামনার আগুনে ফুঁটিয়ে তুলতে। পর্দার বিধান পরিষ্কারভাবে কুরআন-সুন্নাহয় ঘোষিত হওয়ার কারণে এ বিষয়ে গোটা মুসলিম উম্মাহর ইজমাও রয়েছে। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীন যুগে মুসলিমসমাজের ব্যবহারিক জীবনেও তা ছিল প্রতিষ্ঠিত। বস্ত্তত পর্দার বিধান হল কুরআনের ভাষায় ‘সাবীলুল মুমিনীন’, যা পরিত্যাগকারীকে জাহান্নামের কঠিন হুঁশিয়ারি শোনানো হয়েছে।
সুতরাং মুমিনমাত্রেরই অপরিহার্য কর্তব্য, পর্দা বিধানের সামনে আত্মসমর্পণ করা। নিজের ও অধীনস্তদের বাস্তব জীবনে তা প্রতিষ্ঠিত করা।
বিষয়: বিবিধ
২৬০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন