৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে চোখে কত কিছু্না দেখে ফেললাম।
লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ২৪ মে, ২০১৩, ০৪:১৩:০৯ বিকাল
আমার অফিস দোকান থেকে দরজায় দাড়িয়েই দেখি খাঁ খাঁ রোদ্র দু'চোখ খোলা যাচ্ছেনা । কাউন্টার থেকে সানগ্লাসটা বের করে চোখে লাগিয়ে দিলাম নায়ক অমুকের মত । পেন্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সামনে পা ...দেব এমন সময় ভাবলাম শার্টের কলারটা ঠিক আছে কিনা, বসে ডিউটি করিত তাই শার্টের নিচও ঠিক আছে কিনা দেখে নিলাম, তার সাথে জুতাটা মাটির সাথে ঠাশ ঠাশ কয়টা বাড়ি দিলাম ক্লিন হয়ে গেল। অফিস দোকানের সামনে পুরোটা গ্লাস, এ সুবাদেই দেখেনিলাম নিজের মুখটাও...বুঝেনেইতো মাত্র এক ছেলের পিতা। এসব দেখতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় লেগেছে।
এবার সামনে দু তিন পা দিতেই একটা গাড়ী সামনে ব্রেক করল, ভাবলাম কোন বন্ধু নাকি আমার? না সে'তো এক এরাবিক, পার্কিং করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমি গাড়ীটাকে পাশ কাটিয়ে কয়েক কদম সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম রাস্তার পাশে, রোড পার হব বলে, কিন্তূ পার যে হব কোঠিন অবস্তা । এক একটা গাড়ী শোঁ শোঁ করে আসছে তো আসছেই, প্রাইবেট কার, লেন্ডক্রোজার, বাস, ট্রাক, লরি, পিকআফ, পানির টেংকার, আরো কত গাড়ী । তাদের চলার গতি একশত মিটারের উপরে , দেখতে দেখতে পারহলাম রাস্তার এক পাশ। রাস্তার মাঝখানে ফুল গাছ লাগাবার যায়গা আছে, ওখানেই দাঁড়ালাম। এবারও এখানে দাঁড়িয়ে সেই একই অবস্থা হায়! হায়! কিযে করি । এ সময় আমাদের সোনালী দেশের কথা মনে পড়েগেল। এত গাড়ী যাচ্ছে কোন জ্যাম নেই যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। যাদের গাড়ী নেই , রাস্তার পাসে দাঁড়িয়ে আছি পার হব বলে, এই খাঁ খাঁ গরমে কোন বান্দার দিল গলেনাই। কারন এই রাস্তায় ব্রেক করলে তাদের ফাইন আসবে তাই তাদেরকে দোশারোপ করলামনা। এটাতো আমাদের দেশ না যে যেখানে ইচ্ছা গাড়ী দাঁড় করবে! আমাদের দেশের মত জ্যাম থাকলে ফাঁকফুক দিয়ে যেতে পারতাম। যাক আলহামদুলিল্লাহ একটু ফাঁক পেয়েই দিলাম দোঁড়। পার হলাম রাস্তা।
যে মার্কেটে যাচ্ছি নাম তার ! আল খোর মল, (AL KHOR MALL)
সামনেই দাঁড়িয়ে আছে কাতারের পতাকা শারিবদ্বভাবে ছয়টা । পতাকা গুলা বাতাসে পত পত করে নড়ছে, দেখতে খুভ সুন্দর লাগে। এপতাকা গুলি পাথরে ঘেরা কিছু উচু নিচু ভূমিতে পিলরের মধ্যে লাগানো। এপতাকা গুলি দেখে মন বলে..... তুমি যাবে ভাই-যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়, গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়...।
আরো মনে পড়ে যায় শেই লাল সবুজের পতাকার কথা । হাত দশের পরেই গাড়ি পার্কিং এর বিষাল জায়গা। ওখানে কিছু গাছ ও আছে । দিনের বেলায় দেখলে মনে হবে , এতো সুন্দর একটা জায়গা শুকনো পাতার গাছ গুলো কেন রেখেছে! হয়তো অনেকের মনেই প্রশ্ন এমন জাগতে পারে। আর যারা রাতে আসবে বলবে আমারও যদি টাকা থাকতো, আমি ও এমন সুন্দ গাছ গুলি বাড়িতে সাজাতাম। গাছ গুলোর গায়ে মোড়ানো বাতি লাগানো। লাল, নিল, সবুজ, সাদা, গোলাপি বাতি দিয়ে রাখা। রাতে যারা আসে, খুব আনন্দ করে ওখানে দঁড়িয়ে, ছবি তোলে। আরো কয়েক পা সামনে গেলেই একটা পানির ঝর্না, ওখানে ও রাতের বেলায় মন ছুয়ে যায় । লোকজন বসার জন্য বাকা টেবিলও আছে, রাতের তারা দেখার জন্য মনে হয়!
গেইটের সামনে যেতেই আস্তে করে খুলে যায় মহা গেইটটি। মনেহয় যেন আমাকে রিসিভ করার জন্য। গেটের সাথেই দাঁড়িয়ে আছে সাদা সার্ট, নেভি ব্লু পেন্ট, গলাতে টাই পরা সিকিউরিটি গার্ড। পাশেই বসা টেবিল নিয়ে আর ও একজন সিকিউরিটি। আর ভিতরে ও দেখতে পেলাম অনেক রং বেরংগের মানুষ। সোজা সামনে চলে গেলাম ভিতরে মানুষ আর মানুষ সব দেশের। ভিতরে ঢুকতেই ফিলিপিনি ক্যাসিয়ার দাঁড়ানো। বলর গুড মর্নিং স্যার। তার কন্ঠটা মধু মিশ্রিত ভাবে আসল। কারন সে মেয়ে মানুষ, গালেতে গোলাপি রং এর ম্যাকআপ, চোখে কালো কি জানি ? গায়ে সাদা সার্ট, পরনে পেন্ট, গলাতে টাই পরেই দাঁড়িয়ে আছে। গিয়ে কিনে নিলাম পাট শাক, আর মোরগ/মুরগি!!!
লেখেছিলাম Sunday, October 21, 2012
বিষয়: বিবিধ
২৪৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন