সূরা ফাতিহার ২১টি নাম

লিখেছেন লিখেছেন আবু তাহের মিয়াজী ২৩ মে, ২০১৩, ০৩:২০:৩৪ রাত

সূরা ফাতেহার অনেক নাম রয়েছে। এই নামগুলো সূরাটির ফজীলত ও মর্যাদার প্রমাণ বাহক। কেননা কোন জিনিষকে অধিক নাম দ্বারা নাম করণ করলে তার বাড়তি মর্যাদার প্রমাণ বহন করে থাকে। নিম্নে সুরা ফাতিহার বেশ কিছু নাম উল্লেখ করা হলঃ

১. ফাতিহাতুল فاتحة الكتاب:

ফাতিহা অর্থ ভূমিকা বা শুরু। যেহেতু ইহার মাধ্যমে নামায শুরু করা হয় এবং যেহেতু কুরআন মযীদেরও শুরুতে ইহা লিখিত হয়েছে, তাই নবী (সাঃ) এটিকে ফাতিহাতুল কিতাব হিসেবে নামকরণ করেছেন।

২. আস্ সাবউল মাছানী السبع المثاني

যেহেতু নামাযের প্রতিটি রাকআতে এই সূরাটি বারবার পাঠ করা হয়, তাই এটিকে সাবউল মাছানী বলা হয়। মাছানী অর্থ দুই। তাই কেউ কেউ বলেছেনঃ সূরাটি দুইবার নাযিল হয়েছে বলে তাকে আস্ সাবউল মাছানী السبع المثاني বলা হয়।

৩. উম্মুল কুরআন أم القرآن:

উম্ম অর্থ মূল। সূরা ফাতিহার মধ্যে যেহেতু সমগ্র কুরআনের সারাংশ বিদ্যমান তাই ইহাকে রাসূল (সাঃ) উম্মুল কুরআন হিসেবে নামকরণ করেছেন।

৪.উম্মুল কিতাব أم الكتاب:

রাসূল (সাঃ) এটিকে উম্মুল কিতাব হিসেবে নামকরণ করেছেন। উম্মুল কুরআন আর উম্মুল কিতাবের একই অর্থ।

৫. আল-কুরআনুল আযীম القرآن العظيم:

রাসূল (সাঃ) বলেনঃ এটি হচ্ছে বারবার পঠিতব্য সাতটি আয়াত এবং আল-কুরআনুল আযীম। সমস্ত কুরআনের মর্মার্থ যেহেতু সংক্ষেপে এতে বিদ্যমান রয়েছে, তাই এটিকে মহান কুরআন বলা হয়েছে।

৬. ফাতিহাতুল কুরআন فاتحة القرآن:

ফাতিহাতুল কিতাব আর ফাতিহাতুল কুরআন একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

৭. আল ওয়াফিয়া الوافيه:

সমস্ত কুরআনের অর্থ যেহেতু ইহাতে পূর্ণরূপে বিদ্যমান তাই ইহাকে ওয়াফিয়া বলা হয়েছে। সুফইয়ান বিন উয়াইনা এই নামে নামকরণ করেছেন।

৮. আল-কাফিয়া (যথেষ্ট) الكافيه:

নামাযে যেহেতু শুধু সূরা ফাতিহা পড়লে যথেষ্ট হয় আর ইহা ব্যতীত অন্য সূরা দিয়ে যেহেতু নামায পূর্ণ হয় না তাই ইহাকে কাফিয়া বলা হয়।

৯. আল-আসাস (মূল)الأساس:

ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীছে এই নামটি বর্ণিত হয়েছে।

১০. আশ্ শাফিয়া বা আশ্ শিফা الشفاء أو الشافية:

কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ সূরা ফাতিহাতে রয়েছে প্রতিটি বিষাক্ত সাঁপ-বিচ্ছুর কামড়ের শিফা বা আরোগ্য।

১১. সূরাতুল হামদ্ سورة الحمد:

যেহেতু এই সূরার প্রথমেই আলহামদ শব্দটি এসেছে, তাই একে সূরাতুল হামদ বলা হয়।

১২. আস্ সালাহ الصلاة:

হাদীছে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমি নামাযকে বান্দা এবং আমার মাঝে দুইভাগে ভিক্ত করেছি। এখানে নামায দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে সূরা ফাতিহা।

১৩. আর্ রুকইয়াহ الرقية(ঝাড়-ফুঁকের সূরা):

যেহেতু এই সূরা দিয়ে ঝাঢ়ফুঁক করা হয় তাই রাসূল (সাঃ) একে এই নামে নামকরণ করেছেন।

১৪. সূরাতুস শুকর سورة الشكر:

কেননা এতে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।

১৫. দুআর সূরা سورة الدعاء:

কেননা এতে রয়েছে আল্লাহর কাছে দুআ। اهدنا الصراط المستقيم শেষ পর্যন্ত।

১৬. সূরাতুস সুওয়ালسورة السؤال.

যেহেতু এই সূরায় বান্দার প্রার্থনা বিদ্যমান, তাই এই সূরাকে প্রার্থনার সূরা বলা হয়।

১৭. প্রার্থনার শিক্ষার কৌশল শিক্ষার সূরা سورة تعليم المسألة:

ইমাম সুয়ুতী বলেনঃ এতে প্রার্থনা করার আদব বর্ণিত হয়েছে।

১৮. সূরাতুল মুনাজাত سورة المناجاة:

কেননা বান্দা এতে আল্লাহর সাথে মুনাজাত করে থাকে। (গাপনভাবে কথা বলে)

১৯. সূরাতু তাফভীয سورة التفويض:

কেননা বান্দা এটি পাঠ করার মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর দরবারে সোপর্দ করে দেন।

২০. সূরাতুন নূর سورة النور

২১. সূরাতুল কানজ سورة الكنز:

রাসূল (সাঃ) এটিকে আরশের গুপ্ত ধনসমূহ থেকে একটি গুপ্ত ধন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তথ্য সূত্রঃ আল-ইতকানু ফি-উলুমিল কুরআন ( الإتقان في علوم القرآن এবং নেট।

বিষয়: বিবিধ

২১৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File