আবারো রাজধানীর স্বনামধন্য স্কুলে শিক্ষক কতৃক ছাত্রী ধর্ষণ

লিখেছেন লিখেছেন অচেনা প্রতিবিম্ব ২৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:৪৮:৪৫ দুপুর

নিন্মে বর্ণিত ভাবেই পটভূমি লিপিবদ্ধ করেছেন একজন অনলাইন এক্টিভিষ্ট।

পটভুমি :

এই পোস্ট আমার লেখা নয় । এই পোস্ট সম্পূর্ণটাই সামু-র ব্লগার "জাতির নানা"-র । তিনি তাঁর এই পোস্ট সর্বত্র শেয়ার করার অনুরোদ করায় আমি এই ব্লগ সাইটে শেয়ার করেছি । এর কারণ হলো বিষয়টি আমি শুক্রবারে সামান্য হলেও জেনেছিলাম । কিন্তু গুরুত্ব দেইনি । ভেবেছিলাম পত্রিকায় আসবে । সামুতে যখন দেখলাম এই পোস্ট, তখনই এটি শেয়ার করে এর সত্যতা যাচাই করার জন্য আমি আমার বাড়ি হতে বের হলাম ।

তার আগে আমি এধরণের খবর বিভিন্ন ব্লগে দিয়েছিলাম । কিন্তু গরুত্ব পায়নি । পত্রিকাতেও আসেনি । আমি মূলত আমার এই পোস্টের কথা বলছি : মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলার স্যার অলক বাবু - র যৌন হয়রানীমূলক কাজ-কারবার

এখানে আছে মুল পোষ্ট

আশা করি, এবার যাতে এমন না হয় সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে । কারণ ধর্ষণ যেভাবে মহামারির রূপ নিয়েছে তাতে যদি আমরা চুপ করে থাকি, তাহলে এমনও হতে পারে আমাদের ঘরের কেহও ধর্ষণের শিকার হলে জনসাধারণ এগিয়ে আসবে না । আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রী ধর্ষিতা হতে থাকলে মেয়েরা পড়াশোনা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেই না, বরং তারা পুরুষদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা নিয়ে বেড়ে ওঠবে ।

মূল খবর :

গত ১৪ বা ১৫ জানুয়ারী তারিখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের ইংরেজি শিক্ষক তারক চন্দ্র মন্ডলের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে ধর্ষিত হয় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (এবারের এসএসসি’র এক পরিক্ষাথী)। মেয়েটি ঘটনাটি প্রথমে স্কুলের ভিপি ম্যাডামকে (তাহমিনা শামসী) ও তার অবিভাবককে জানায়। ভিপি ম্যাডাম ঘটনা শুনার পর তাকে শাসিয়ে বলে এ কথা যেন কোনভাবে প্রকাশ না পায়। ঘটনাটা তার দু’এক জন ঘনিষ্ট বান্ধবীকে জানিয়েছে। যখন ভিপি ম্যাডাম এর কথা তার বান্দবীরা শুনে তখন তাদের কেউ একজন ঘটনাটি ফেইজবুকে দিয়ে দেয় কিন্তু একদিন পর তার ফেবু আইডি উধাও হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু ছাত্রী ও শিক্ষক/শিক্ষিকা ব্যাপারটি যেনে যায়। এই শিক্ষকই ক্লাস সেভেন এইটের মেয়েদের নোংরা SMS পাঠায় বলে জানতে পারি। ধিরে ধিরে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে।

মেয়ের অভিবাবক সম্ভবত পুলিশকে জানায়। পুলিশ সাংবাদিকসহ স্কুলে গেলে প্রিঞ্চিপাল কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার পুলিশ ও সাংবাদিককে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রিঞ্চিপ্যাল সাহেব ঐ মেয়ের অভিবাবককে কোনভাবে ম্যানেজ করে নেয় হয়তো স্কুলের সুনাম রক্ষারতে অথবা তার চাকরী রক্ষার্তে। এই ঝামেলায় জড়ালে তার চাকুরি ও প্যানশন পাওয়ায় ঝামেলায় পড়বে।

প্রিঞ্চিপাল সাহেব স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই মর্মে ধমকি দেয় যে, কোন অবস্থায় কারো মাদ্ধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ পেলে বা মিডিয়ায় প্রকাশ করলে তার চাকরী যাবে। আমি নিজে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমার সাথে কোথা বলতে অপারগতা জানায়। একজন বলে ঐ মেয়ের স্বভাবও খারাপ ছিলো। আর একজন বলে, আপনার সাথে কথা বলে নিজের চাকরী হারাতে চাই না।

গত ২৪ তারিখে অভিবাবক দিবসে অধ্যক্ষ অভিবাবকদের তোপের মুখে পড়ে। আবিভাবকরা প্রিঞ্চিপ্যাল কে অকথ্য ভাষায় আক্রমন শুরু করলে উনি করজোর ক্ষমা চেয়ে সবাইকে অনুরোধ করে ব্যাপারটা যেন মিডিয়ায় না যায় এবং তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিলোঃ ঐ ধর্ষক শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, সিসি ক্যামেরা বসানো, ওয়াসরুমের সামনে আয়া রাখা, পুরুষ শিক্ষকদের রুমের সামনে আয়া রাখা ইত্যাদি। কিছু কিছু অভিবাবক মোবাইলে ঐ মিটিং এর ভিডিও করলে তাদের মোবাইল ফোন কেডে নেওয়া হয়। পরে মেমোরী কার্ড খুলে ফোন ফেরত দেওয়া হয়।

আজ কতৃপক্ষ নোটিস বোর্ডে এই নোটিসটি এঁটে দেয়ঃ



{১। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সকল ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষককে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ করতিপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও শিক্ষকসুলভ আচরনের পরিপন্থি কাজ করাতে তারকচন্দ্র মন্ডল, সহকারী শিক্ষককে তার চাকুরী থেকে Dismiss করা হয়েছে।

২। সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য বিষয়টি জানানো হোল।

সাক্ষর

কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার}



এই সে কুলাঙ্গার।

দৃষ্টি আকর্ষণঃ সেনা প্রধান, ক্যান্ট বোর্ড ও সকল সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাংবাদিক ভাইরা একটু অনুসন্ধান করে রিপোর্ট করুন।

বিঃদ্রঃ প্লিজ পোস্টে কে গালাগালি করবেন না। যদি পারেন পোস্টটি যত তারাতারি শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে এই কুলাঙ্গারের বিচারের সম্মুখীন করেন। অনলাইন এক্টিভিস্টরাই পরিমলকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে। আপনারাই পারবেন এই কুলাঙ্গার তারক চন্দ্র মন্ডলকে আইনের হাতে তুলে দিতে।

আমি অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। নতুন তথ্য পেলে পোস্টে আপগ্রেড দিব। এই স্কুলেরই ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীর সাথেও একটি জঘন্য ঘটনা শুনেছি (সঠিক তথ্য পেলে পোষ্ট দিব)। আর কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে এখানে জানান। আমি পোষ্টে এড করে দিব।

এটি লিখেছেন একজন অনলাইন এক্টিভিষ্ট

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File