মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনাল মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করছে

লিখেছেন লিখেছেন বুদ্ধিজীবী ০১ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:১৯:২২ সন্ধ্যা

যুদ্ধাপরাধের মামলাকে জায়েয করার জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নাম দেয়ার মাধ্যমে সরকার মূলতঃ নিজের দুর্বলতার পরিচয় শুরুতেই দিয়ে ফেলেছে। তারপর সেই পুরোনো প্রবাদ- এক মিথ্যাকে ঢাকার জন্য হাজারো মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে চলেছে সরকার প্রতিনিয়ত। তেমনি মিথ্যাগুলো ঢাকা থাকেনি। সময়ের ধারায় এসে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে 'স্কাইপী কেলেংকারী' নাম নিয়ে। শুধু এ দেশবাসী কেন, বিশ্ববাসীও এ ট্রাইব্যুনালকে বিশ্বাস করতে পারেনি।

চল্লিশ বছর পর কেন দরকার হলো বিচার করার?

কেন এতদিন করা হয়নি?

কেন স্বাধীনতার পরপর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলো?

যুদ্ধাপরাধী নাম কেন বাদ দেয়া হলো?

কেন শত্রু পক্ষ পাকিস্তানকে এ বিচারের আওতায় আনা হলো না?

কেন শুধুমাত্র একটা ইসলামী দলকে প্রথম আক্রমণের টার্গেট করলো এ ট্রাইব্যুনাল?

সরকার পক্ষেও পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারী আছে, অথচ তাদেরকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না?

স্কাইপী কেলেংকারী প্রমাণ করলো যে, বিচারপতি আইন বিরোধী কাজ করেছেন, তাহলে বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ নেই কেন?

নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর বিচার কেন নতুন করে শুরু করা হবে না?

ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন-তীর এ ট্রাইব্যুনালকে ঘিরে। কিন্তু বোধশক্তি যেখানে নেই, সেখানে ব্যথার অনুভূতি আসবে কোথা থেকে? প্যারালাইজড এবং অন্ধ আইন ও আইনী যন্ত্রে পরিচালিত হচ্ছে এ ট্রাইব্যুনাল। সুতরাং এর বাতিল ঘোষণা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। আর কেউ না বলুক; অন্ততঃ "মানুষ"-এর বিবেক তাই বলছে।

নিচে কিছু লিংক শেয়ার করছি-

১। ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নতুন করে শুরু করা উচিত : ব্রিটিশ লর্ড অ্যাভেবারি

২। এডভোকেট তাজুলের আলোচনাটি আর পুনঃপ্রচার হয়নি।

৩। আহমেদ জিয়াউদ্দিন অশোভন নীতিবিবর্জিত কাজ করেছেন : সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি ঘাদানিকের

৪। স্কাইপ কথোপকথন তথ্য চুরির তদন্ত চায় নির্মূল কমিটি

৫। Eng_Skype_Conversation

৬। মালেশিয়ায় এম্বেসী ঘেরাও ও বিক্ষোভ।

৩ জানুয়ারী এ ট্রাইব্যুনালকে নতুন করে শুরুর ব্যাপারে আদেশ হবে। আমরা এ ট্রাইব্যুনালের বাতির ঘোষণা চাই।

যাইহোক, সংবাদটি নিচে আরটিএনএন এর রিপোর্টটি হুবহু দিচ্ছি-

ঢাকা: জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পুনরায় শুরুর আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের করা আবেদনের ওপর ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এ পর্যন্ত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেছেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম।

অন্যদিকে, আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

অধ্যাপক গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা পুনবির্চারের জন্য গত ১৯ ও ২৩ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি আবেদন করে আসামিপক্ষ।

বেলজিয়াম প্রবাসী বাংলাদেশি আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে ট্রাইব্যুনাল-১ এর পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি সংলাপকে কেন্দ্র করে মামলা তিনটির বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে আবেদনগুলো দায়ের করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল-১ এ গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা সাঈদী ছাড়াও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার চলছে।

এর মধ্যে গত ৬ ডিসেম্বর সাঈদীর মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রায় যেকোনো দিন দেয়া হবে উল্লেখ করে মামলাটির রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছে।

মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষীর জবানবন্দি পেশের পর আসামিপক্ষ জেরা শুরু করে।

আসামিপক্ষের দায়ের করা পুনর্বিচারের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচার কার্যক্রম মুলতবি থাকবে বলে ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে আদেশ দিয়েছে।

এছাড়া, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। তিনিও বেশক’টি আবেদন দায়ের করেছেন। এ কারণে ওই মামলার বিচারিক কার্যক্রমও বর্তমানে মুলতবি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি সংলাপ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্যা ইকোমিস্ট। পরে ওই স্কাইপি সংলাপ নিয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপর গত ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করায় ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়।

রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/জেডকে/এসআই_ ১৩১৮ ঘ.

বিষয়: রাজনীতি

১২৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File