“হে মূর্খেরা, তাহলে তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো দাসত্ব করতে বলো আমাকে ?”
লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ০৩ মার্চ, ২০১৭, ০৮:৪১:১৯ রাত
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
আসুন আল্লাহর কথা, পরকালের কথা স্মরণ করি-
********
৫৩) (হে নবী,) বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না৷ নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন৷ তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু৷
৫৪) ফিরে এসো তোমারে রবের দিকে এবং তাঁর অনুগত হয়ে যাও তোমাদের ওপর আযাব আসার পূর্বেই৷ তখন কোন দিক থেকেই আর সাহায্য পাওয়া যাবে না৷
৫৫) আর অনুসরণ করো তোমাদের রবের প্রেরিত কিতাবের সর্বোত্তম দিকগুলোর- তোমাদের ওপর আকস্মিকভাবে আযাব আসার পূর্বেই- যে আযাব সম্পর্কে তোমরা অনবহিত থাকবে৷
৫৬) এমন যেন না হয় যে, পরে কেউ বলবেঃ “আমি আল্লাহর ব্যাপারে যে অপরাধ করেছি সে জন্য আফসোস৷ বরং আমি তো বিদ্রূপকারীদের মধ্যে শামিল ছিলাম৷”
৫৭) অথবা বলবেঃ “কতই না ভাল হতো যদি আল্লাহ আমাকে হিদায়াত দান করতেন৷ তাহলে আমিও মুত্তাকীদের অন্তরভুক্ত থাকতাম৷”
৫৮) কিংবা অযাব দেখতে পেয়ে বলবেঃ “কতই না ভাল হতো যদি আরো একবার সুযোগ পেতাম তাহলে নেক আমলকারীদের অন্তরভুক্ত হয়ে যেতাম৷
৫৯) (আর সে সময় যদি এ জওয়াব দেয়া হয়) কেন নয়, আমার আয়াতসমূহ তোমার কাছে এসেছিলো৷ কিন্তু তুমি তা অস্বীকার করেছিলে এবং গর্ব করেছিলে৷ আর তুমি তো কাফেরদের অন্তরভুক্ত ছিলে৷
৬০) আজ যেসব লোক আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে কিয়ামতের দিন তুমি দেখবে তাদের মুখমণ্ডল হবে কাল৷ অহংকারীদের জন্য কি জাহান্নামে যথেষ্ট জায়গা নেই?
৬১) অন্যদিকে যেসব লোক এখানে তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদেরকে আল্লাহ তাদের সাফল্যের পন্থা অবলম্বনের জন্যই নাজাত দেবেন৷ কোন অকল্যাণ তাদেরকে স্পর্শ করবে না এবং তারা দুঃখ ভারাক্রন্তুও হবে না৷
৬২) আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই সবকিছুর রক্ষক৷
৬৩) যমীন ও আসমানের ভাণ্ডারের চাবিসমূহ তাঁরই কাছে৷ যারা আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে তারাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে৷
৬৪) (হে নবী,) এদের বলে দাও, “হে মূর্খেরা, তাহলে তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো দাসত্ব করতে বলো আমাকে ?”
৬৫) (তোমার উচিত তাদের একথা স্পষ্ট বলে দেয়া৷ কারণ) তোমার কাছে এবং ইতিপূর্বেকার সমস্ত নবীর কাছে এ অহী পাঠানো হয়েছে যে, যদি তুমি শির্কে লিপ্ত হও তাহলে তোমার আমল ব্যর্থ হয়ে যাবে ৭৪ এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে৷
৬৬) অতএব, [হে নবী, (সা)] তুমি শুধু আল্লাহরই বন্দেগী করো এবং তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে যাও৷
৬৭) আল্লাহকে যে মর্যাদা ও মূল্য দেয়া দরকার এসব লোক তা দেয়নি৷ (তাঁর অসীম ক্ষমমার অবস্থা এই যে,) কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী তাঁর মুঠির মধ্যে থাকবে আর আসমান তাঁর ডান হাতে পেঁচানো থাকবে৷ এবং লোক যে শিরক করছে তিনি তা থেকে পবিত্র ও অনেক উর্ধে৷
৬৮) সেদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে৷ আর তৎক্ষণাত আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা সব মরে পড়ে যাবে৷ তবে আল্লাহ যাদের জীবিত রাখতে চান তারা ছাড়া৷ অতপর আরেকবার শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে তখন হঠাৎ সবাই জীবিত হয়ে দেখতে থাকবে
৬৯) পৃথিবী তার রবের নূরে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, আমলনামা এনে হাজির করা হবে, নবী-রসূল ও সমস্ত সাক্ষীদেরও হাজির করা হবে৷ মানুষের মধ্যে সঠিকভাবে ইনসাফ মত ফায়সালা করে দেয়া হবে, তাদের ওপর কোন জুলুম হবে না৷
৭০) এবং প্রত্যেক প্রাণীকে তার কৃতকর্ম অনুসারে পুরোপুরি প্রতিদান দেয়া হবে৷ মানুষ যা করে আল্লাহ তা খুব ভাল করে জানেন৷
৭১) ( এ ফায়সালার পরে) যারা কুফরী করেছিলো সেসব লোককে দলে দলে জাহান্নাম অভিমুখে হাঁকিয়ে নেয়া হবে৷ তারা যখন সেখানে পৌছবে তখন দোযখের দরজাসমূহ খোলা হবে এবং তার ব্যবস্থাপক তাদেরকে বলবেঃ তোমাদের কাছে কি তোমাদের নিজেদের মধ্যে থেকে রসূলগণ আসেননি যারা তোমাদেরকে তোমাদের রবের আয়াতসমূহ শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছেন যে, একদিন তোমাদেরকে এ দিনটির সম্মুখীন হতে হবে ? তারা বলবেঃ “হাঁ, এসেছিলো৷ কিন্তু আযাবের সিদ্ধান্ত কাফেরদের জন্য অবধারিত হয়ে গিয়েছে৷”
৭২) বলা হবে, জাহান্নামের দরজার মধ্যে প্রবশ করো, তোমাদেরকে চিরকাল এখানেই থাকবে হবে৷ অহংকারীদের জন্য এটা অত্যন্ত জঘন্য ঠিকানা৷
৭৩) আর যারা তাদের রবের অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকতো তাদেরকে দলে দলে জান্নাত অভিমুখে নিয়ে যাওয়া হবে৷ অবশেষে তারা যখন সেখানে পৌঁছবে তখন দেখবে জান্নাতের দরজাসমূহ পূর্বেই খুলে দেয়া হয়েছে৷ ব্যবস্থাপকরা তাদের বলবেঃ তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমরা অত্যন্ত ভাল ছিলে, চিরকালের জন্য এখানে প্রবেশ করো৷
৭৪) আর তারা বলবেঃ সেই মহান আল্লাহ শুকরিয়া যিনি আমাদের সাথে কৃত তাঁর প্রতিশ্রতিকে সত্যে পরিণত করলেন এবং আমাদেরকে যমীনের উত্তরাধিকারী করে দিয়েছেন৷ এখন জান্নাতের মধ্যে যেখানে ইচ্ছা আমরা স্থান গ্রহণ করতে পারি৷ সৎকর্মশীলদের জন্য এটা সর্বোত্তম প্রতিদান৷
৭৫) তুমি আরো দেখতে পাবে যে, ফেরেশতারা আরশের চারদিক বৃত্ত বানিয়ে তাদের রবের প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করছে৷ মানুষের মধ্যে ইনসাফের সাথে ফায়সালা করে দেয়া হবে এবং ঘোষণা দেয়া হবে, সারা বিশ্ব-জাহানের রবের জন্যই সমস্ত প্রশংসা৷
আল-কুরআন: সূরা যুমার
==============================
আলহামদুলিল্লাহ....
এখনো বেঁচে আছি- দু'মাস পরে এসে সালাম জানিয়ে গেলাম-
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি আবু সাইফ [সাইফের বাবা],
আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা চাঁপাইনবাবগঞ্জে, ছাত্রজীবন কয়েকখন্ডে, কর্মজীবন বিভিন্ন জেলায়, দেশে সবচেয়ে বেশী সময় বগুড়ায়, বর্তমানেও বগুড়াকেন্দ্রিক জীবন!
১মাত্র মেয়ে ও ১ছেলের জন্ম বগুড়ায়, অন্য দু'ছেলের জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জে, ওদের নানীর বাড়িও চাঁপাইনবাবগঞ্জে!
আশা করি এতেই চলবে!
**************
"মুমিনরা পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক"
মন্তব্য করতে লগইন করুন