ঢাকা ইউনিভার্সিটির ষ্টুডেন্ট বাস ‘চৈতালী’.... এরা কি মানুষ?

লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ২৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:৫৮:৪০ বিকাল

বিঃ দ্রঃ এটী কোন গল্প বা উপন্যাস নয়। খবরটি খুব ছোট করে ০২ অক্টোবরের প্রথম আলো তে এসেছিল।

মোজাফফর হোসেন মানিক আমার খুব ছোটবেলার বন্ধু। ভাল এবং ভদ্র হিসেবে আমাদের বন্ধুমহলে তার সুনাম অনেকদিনের।

তার উপর তারই ইউনিভার্সিটির ছেলেদের এরকম নির্মম আচরনে আমরা হতভম্ব এবং লজ্জিত।

যাদের বাসাইয় ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া ছেলে, ভাই, বন্ধু, বা আত্মিয় আছে দয়া করে তাদের জিজ্ঞেস করুন তারা চৈতালী নামক বাসে যাতায়াত করে কিনা। যদি করে তবে ভালকরে তাদের হাত ধুয়ে দিবেন, কারন তাদের হাতে লেগে আছে আমার বন্ধু মানিকের রক্ত।

দয়া করে এই পোষ্টটিতে হিট দিন আর শেয়ার করুন সব জায়গায়। নইলে পরবর্তিতে যেকেউ তাদের এই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন।


:তানভীর আহমেদ::

মানিকের দিকে তাকিয়ে দেখেন মানিক নিথর হয়ে পড়ে আছে। প্রায় বেহুশ হয়ে গেছে। সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে, মাথায় বোধহয় ধারালো কোন কিছু দিয়ে আঘাত করেছে , চার-পাচ জায়গা দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে ।

একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে বিনা কারন এরকম ভাবে মারতে পারে এটা উনি কখনো ভাবতে পারেননি।

আশেপাশে কত কত লোক দাঁড়ানো ছিল, একজন মানুষ এগিয়ে আসেনি তাকে সাহাজ্য করার জন্য।

মানুষের দোষ দিয়ে আসলে লাভ নেই এসময় কেউই এগিয়ে আসেনা।

পুলিশ পালিয়ে গেল!

পুলিশ ই বা কেন পালাবেনা,

ঢাকা ইউনিভার্সিটির ষ্টূডেণ্ট, এদের গায়ে হাত তুললেই মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করে মেধাবী ছাত্রকে পুলিশ বিনাকারনে মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে।

এদের সাথে ঝামেলায় গেলে এরা শাহবাগে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে দিবে। তারপর আস্তে আস্তে পুরো দেশে সে আগুন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মত ছড়িয়ে যাবে।

জ়ীবনে প্রথমবারের মত আবদুল হক সাহেবের প্রছন্ড লজ্জা লাগল যে তার ছেলে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছে।

যে ইউনিভার্সিটির ষ্টূডেন্টরা বিনা কারনে তাদের সিনিয়র ভাইকে এভাবে মারতে পারে, তাদের বাবার বয়সী একজন লোককেও যারা একটূও ছাড় দেয়নি।

তারা আর যাই হোক মানুষ না।

কারন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে মনুষ্যত্ব প্রয়োজন নেই, নির্দ্রিষ্ট পরিমান নাম্বার পেলেই চলে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটির ষ্টুডেন্ট বাস ‘চৈতালী’ অথবা একদল অমানুষের গল্প

বিষয়: বিবিধ

১৪৫৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347049
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
আবু জারীর লিখেছেন : ওটা আর এখন শ্রেষ্ঠ্য বিদ্যা পীঠ নয় বরং কবি আল মাহমুদের ভাষায় 'ডাকাতদের গ্রাম'।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৬
288201
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ওটা ডাকাতদের দখলে- এ কথা ঠিক!
কিন্তু ওটাতো আমারই সম্পত্তি!!!
ওটাকে ডাকাতমুক্ত করতে হবে, আমার জীবদ্দশায় না পারলেও আমার বংশধর একদিন সে কাজটা করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ!
347051
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
শেখের পোলা লিখেছেন : বিদ্যাপিিঠ আর নাই, এখন ওটা হিংস্র বন্যপশুদের অভয়াণ্য৷
347055
২৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৯
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

কিন্তু ওটাতো আমারই সম্পত্তি!!!
পশুগুলোকে শৃংখলিত করে ওটাকে মানুষ গড়ার কারখানাই বানাতে হবে,
একদিন হবেই ইনশাআল্লাহ!
347071
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অতি মেধাবিরাই দেশের বড় সমস্যা!!
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:২৯
288224
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ধারালো হাতিয়ার দক্ষতার সাথে ব্যবহার করতে না জানলে বিপদ অনিবার্য
347077
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৫৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : ঐটা এখন জারয প্রজনন খামার।
২৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩০
288225
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

এত সরল নেতিবাচক সমীকরণে একমত নই!!
হয়তো দু-আনা খারাপ!!
আসলে বিচারব্যবস্থার ধ্বংসের কারণে সাধারণেরা প্রতিবাদ প্রতিকারের ঝুঁকি নিচ্ছেনা!
347393
২৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৫
হতভাগা লিখেছেন : ঢাবি বাংলাদেশে যে সব অপরাধ হয় সে সবের সূতিকাগার । হেন কোন অপরাধ নেই যেটা ঢাবি থেকে স্টার্ট হয় নি ।

২৮ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৩
288569
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

জমিন উর্বর হলে ফসলের সাথে আগাছাও ভালো জন্মে, নিড়ানির ব্যবস্থা না থাকলে যা হয়- ওখানেও তা-ই হয়েছে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File