প্রসংগঃ ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণের সঠিক ব্যাখ্যা : সন্দেহ ও প্রশ্নের জবাব
লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩২:১৩ সন্ধ্যা
প্রসংগঃ ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণের সঠিক ব্যাখ্যা : সন্দেহ ও প্রশ্নের জবাব
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে একজন ভাই একটি পোস্টে কিছু প্রশ্ন ও কৌতূহল ব্যক্ত করেছন যার প্রেক্ষিতে আমার কিছু বলা-
জানতে চাই, ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণের সঠিক ব্যাখ্যা কি এবং প্রয়োগ কিভাবে?-
লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন
সেখানে করা মন্তব্যটি-ই এখানে পোস্ট আকারে দেয়া হলো
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য!
বিভিন্ন পুস্তকে আপনি অনেক কথা পাবেন/পেয়েছেন, শরয়ী দিকটা বুঝতে সেসব আপনাকে সাহায্য করবে নিঃসন্দেহে!
কিন্তু যা পূরোরুরি পাবেন না বা পেলেও বুঝতে অসুবিধা হবে/হয়েছে আমি তার উপরে সামান্য আলোকপাত করতে চাই!
আমার সীমিত জ্ঞান ও পর্যবেক্ষণ দিয়ে আসলে আপনার প্রশ্নের জবাব ও কৌতূহল নিবৃতকরণে সামান্য প্রয়াস-
বলেছেন
কেও গোজামিলের আশ্রয় নেবেন না।......
বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ ঢালাওভাবে জায়েজ নেই, বিশেষ অবস্থায় জায়েজ, কিন্তু ইসলাম জানা আর না জানাদের সবার ঘরেই দুই অথবা একটা সন্তান দেখি তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে তবে কি তারা জন্মনিন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন?নাকী এর বেশি সন্তান জন্মদানে সক্ষম নন? আসলে বিশেষ অবস্থাটা কি, কতটুকু তার পরিধি?
(১)জন্মনিয়ন্ত্রণ ঢালাওভাবে জায়েজ নেই, বিশেষ অবস্থায় জায়েজ
>>আমার জ্ঞানমতে সঠিক
(২)কিন্তু ইসলাম জানা আর না জানাদের সবার ঘরেই দুই অথবা একটা সন্তান দেখি তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে...
>> এর কয়েকটি কারণ হতে পারে-
(ক)বিশেষ অবস্থায় জায়েজ এর কারণ আছে- যা বাইরে থেকে জানা সম্ভব নয়; ঘণিষ্ঠ হলে জানা যায়!
কারণগুলো হতে পারে-
প্রথম সন্তান জন্মদানকালে বা অব্যবহিত পরে এমন মেয়েলী সমস্যা যার পরে আর সন্তানধারণ সম্ভব নয়
প্রথম সন্তান সিজারিয়ান হওয়ায় দীর্ঘবিরতি অত্যাবশ্যকীয় হওয়ার ডাক্তারী পরামর্শ! এক্ষেত্রে পরবর্তী জটিলতায় গর্ভধারণে অক্ষমতা বা চরম ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়া!
প্রথম (এবং দ্বিতীয়) সন্তান জন্মদানের পর মহিলার শারীরিক(ও মানসিক) অক্ষমতা- অপুষ্টি বা মেয়েলী রোগের কারণেও হতে পারে!
(খ)আবার অনীহাও হতে পারে! সেক্ষেত্রে আরো সন্তানের জন্য পুরুষের হাতে দুটি পথ- ২য় বিবাহ করা ১ম স্ত্রীকে রেখে অথবা বিদায় করে! উভয়টির বাস্তব সমস্যাগুলো ভেবে দেখুন!
ইসলাম কখনোই জীবনকে কঠিন করতে চায়না, সহজতাকে উতসাহিত করে! সামান্য অজুহাতে(?) বসে নামাজ পড়া, ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা ইত্যাকার অসংখ্য সুযোগ রাখা হয়েছে! সেক্ষেত্রে সংসারজীবন নিয়ে কঠোরতার তো প্রশ্নই ওঠেনা- যতক্ষণ আল্লাহ ও রাসুলﷺএর নির্দেশের বাইরে যাবার ইচ্ছা করা হয়!
যদি কারো স্ত্রী এমন হন যে তিনি কিছুতেই ১ বা ২-এর পরে আর সন্তানধারণে রাজী নন, তাহলে ঐ ইসলামী ব্যক্তির জন্য বিবিতালাক ও সন্তানদুটিকে মাতৃহারা করা উত্তম হবে, নাকি যতদিন পর্যন্ত স্ত্রীকে রাজী করানো না যায় ততদিন চেষ্টা করে যাবেন!
দাম্পত্য কলহ কতটা দুর্বিষহ ও সুদুরপ্রসারী ক্ষতিকর তা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যকে বোঝানো সম্ভব নয়!
আগের কালে মানুষের অনেক সন্তান থাকার পরেও সমস্যা হতোনা- এখন কেন হয়- এসব বিষয় খুব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে দেখেছি, যৌথপরিবারের কল্যানকর দিকটাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার!
আমার দাদা-দাদীর ১১সন্তান, আমার বাবা-মায়েরও ১১জন, বড়, মেজো চাচা-চাচীদেরও ১১জন করে, পরেরগুলো কমে ৫জনে!
আমি দাদা-দাদীর (বাপ-চাচা-ফুফুদের মাঝে) যৌথ সংসারে জন্মেছি ও বড় হয়েছি! মা-চাচী-ফুফুদের যেমন দেখেছি কঠিন পরিশ্রম করতে, তেমনি দাদা-বাবা-চাচাদের দেখেছি মহিলাদের সকল খুটিনাটি সুবিধা- অসুবিধায় খেয়াল রাখতে! আমরা ২০-২৫ ভাই-বোন-কাজিন, দাদী-ফুফু-চাচীদের কাছে যতটা সময় কেটেছে তার সিকিটাও মায়ের সাথে কাটেনি, লিন্তু কখনো সে অভাব অনুভূত হয়নি!
পক্ষান্তরে আমার বড় তিন ছেলেমেয়ে দাদা-দাদী-চাচা-চাচী-ফুফুদের সাহচর্য ও আদরযত্ন পেলেও ছোটটা তো তেমন কিছুই পায়নি! বাস্তব কর্মব্যস্ততা ও পেশাগত কারণে ভৌগলিক দূরত্নে অবস্থানের কারণে অন্যদের পক্ষে সম্ভব নয় কিছু করা! ক'জন পুরুষ সংসারে স্ত্রীকে সার্বিক সহায়তা দিতে পারে??
কাজেই সংসার সামলানোর সামর্থ্য ও সন্তানদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নে যদি কারো সীমাবদ্ধতা থাকে তবে তাকে দোষারোপ করা অনুচিত মনে করি!
ইসলাম কোনকিছুই চাপিয়ে দেয়না- বরং পুরস্কার ও সম্মানলাভের আকাঙ্খা জাগ্রত ও প্রবল করতে চেষ্টা করে যেন ব্যক্তি নিজেই কষ্ট করার সিদ্ধান্ত ও ঝুঁকি নেয়!
সিজারে ১ম ও ২য়টার পরে ৩য়টার জন্মের সময় ডাক্তারেই লাইগেশন করে দিয়েছেন অনেকটা জোর করেই- এমন ঘটনাও আমার জানা আছে!
তাই আপনাকে অনুরোধ করবো -
সন্দেহের চোখে নয়, সুধারণা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার চোখে অন্যকে দেখুন, কৌতূহলী হলে আসল কারণ জানতে চেষ্টা করুন, ঢালাওভাবে একপাল্লায় সবাইকে মাপা ঠিক নয়!
তবে হ্যাঁ, ব্যতিক্রম কিছু থাকতেই পারে- সেগুলো দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়না!
আল্লাহতায়ালা আমাদের সকল সিদ্ধান্ত তাঁরই সন্তষ্টির আলোকে গ্রহন করার তৌফিক দিন - আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৬ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ
জাযাকাল্লাহ
জাযাকাল্লাহ
অনেক ধন্যবাদ,
জাযাকাল্লাহ
জাযাকাল্লাহ
আপনি বোধ হয় কোন লিংক দিতে চেয়েছেন-
কিন্তু আসেনি, আবার দেন প্লীজ..
জাযাকাল্লাহ
ডাউনলোড করে শুনতে, ওডিও ফাইল এখানে দেখেন থাকতে পারে
আপনার নেকনজরে পোস্টটি ধন্য হলো
আপনার প্রস্তাবে সর্বপ্রথম আপনিই শুরু করলে ভালো হয়!
আবু সাইফ বড্ড বিপদে আছে, আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন
ইসলামী শরীয়ার সাধারণ নীতি হলো-
"যা নিষিদ্ধ নয় তা বৈধ"
এরপর উত্তম ও অপছন্দনীয় বলে কথা!
আরেকটি নীতি হলো-
যে কাজ বৈধ তার জন্য এমন সকল প্রক্রিয়া বৈধ যা নিষিদ্ধ নয়!
এজন্য এমন উপকরণ ব্যবহারও বৈধ যার নিষিদ্ধ হওয়া প্রমানিত নয়! কিম্বা যুক্তিসাপেক্ষে নিষিদ্ধ করতে গেলে আরো অসংখ্য বৈধ জীবনোপকরণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়!
তবে মুত্তাকীর স্বভাব হলো সন্দেহজনক বিষয় পরিহার করে চলা!
আল্লাহতায়ালা আপনার কল্যানকর জ্ঞান ও বুঝ বাড়িয়ে দিন, আমীন
তাছাড়া আধুনিক (শারীয়া নিষেধ করেনা)এমন সব পদ্ধতি যা আজল থেকে ও আরামদায়ক/সুনিধাজনক তা গ্রহন করতে বাধা থাকার কথা না।
আপনাকে পেয়ে আমারও ভালো লাগলো
ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
কিন্তু একজন সুস্থ মুসলিম মা যদি গর্ভ ধরনে অনীহা প্রকাশ করে সে কি গোনাহগার হবে না আমি এটা আর একটু পরিস্কার ভাবে জানতে চাই ।
কোরআন ও হাদিসের দিকে তাকালে তাই মনে হয়।
তবে এই ব্যাপারে ব্যাপক আলোচনা দরকার।
হা
কেউ প্রশ্ন করলে, জানতে চাইলে তার জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি- আমার কথায় যদি কারো সামান্যতম উপকারও হয়, সেটা আমার অনেক বড় সম্পদ!
আপনার প্রশ্ন: একজন সুস্থ মুসলিম মা যদি গর্ভ ধরনে অনীহা প্রকাশ করে সে কি গোনাহগার হবে না
জবাব-
ঈমানের মানে সকল মানুষ সমান নয়! জ্ঞান ও আকল অনুযায়ী যার যেমন মান তার ব্যাপারটা তেমনভাবেই বিবেচনায় নিতে হবে! আর তাই তো ক্বিয়ামতের কঠিন দিনে যে পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দেবার আগে একচুলও নড়তে দেয়া হবেনা তার একটি হলো-
"যে জ্ঞান তাকে দেয়া হয়েছিল তদনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে"
মাতৃত্ব গৌরব ও সম্মানের বিষয় এবং অধিক সন্তান মানেই সম্পদ- এ জ্ঞান না থাকাই সন্তানলাভে অনীহার মূল কারণ!
এমন কে আছে- যার অঢেল অর্থসম্পদ থাকলেও, যাকে আরো দিলে নিতে চাইবেনা?
সুতরাং জ্ঞানের অভাবই আসল সমস্যা! এ অভাব দূর করতে পারলে প্রতিবছর সন্তান চাইবে!
এমন অনেককেই আমার দেখার/জানার সুযোগ হয়েছে যাঁদের ঘরে বছর বছর সন্তান আসে, ডজন পেরিয়ে যাবার পরেও খুশী আর খুশী- যেমন বাবা-নমা, তেমনি অন্য সন্তানেরা!
সুতরাং গুণাহগার হওয়ার ব্যাপারটিকে উপেক্ষা করা হবে যতক্ষণ তাঁকে এ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান দেবার ব্যবস্থা সম্পন্ন না হয়েছে!
তারপরেও যদি কেউ অনীহা পোষণকারী/কারিনী থাকেন তবে তাঁকে মন্দ বলা উচিত নয়- তাঁর ব্যাপারটা আল্লাহতায়ালাই ফায়সালা করবেন!
কেউ বলতে পারেন এমন একজন মানুষের কথা যিনি গুনাহগার নন??
তাই অন্যে গুণাহগার কি না সেদিকে নজর না দিয়ে আমি গুণাহ থেকে কতটা বেঁচে থাকতে পারলাম সেটাই আগে দেখা কর্তব্য; আর অন্যদের জন্য দাওয়াহ ও নাসীহাহ তো আছেই!
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
তাছাড়া আপনার ব্যাপারে আমার খুউব উচ্চ ধারণা আছে!
"সে যে অতি আদরের ছোট বোন" )
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
''তাই অন্যে গুণাহগার কি না সেদিকে নজর না দিয়ে আমি গুণাহ থেকে কতটা বেঁচে থাকতে পারলাম সেটাই আগে দেখা কর্তব্য; আর অন্যদের জন্য দাওয়াহ ও নাসীহাহ তো আছেই!''
অার অাফরা অাপুর প্রশ্নের উত্তরে অামি এই টুকু যোগ করতে চাই যে, অনেক স্বামীরা ব্যবসা বানিজ্য/চাকুরী বাকরী নিয়ে বাইরে থাকে। বউ বাচ্চাদের দেখাশুনা, পড়ালেখার খবর রাখবে দূরে থাক ঠিকমতো বাচ্চাদের চেহারাই দেখেনা। বাচ্চাদের লালন-পালন থেকে শুরু করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, কোচিং করানো সব একা একা মাকেই করতে হয়। এমনকি অনেকে সংসারের বাজার পর্যন্ত করতে হয়। বিশেষ করে প্রবাসীদের বউয়েরা এসব ব্যাপারে বেশী ভুক্তভোগী। এমতাবস্হায় ২/৩ টা বাচ্চার বেশী হলে মায়ের পক্ষে একা দ্বায়িত্ব পালন কতটুকু সম্ভবপর হতে পারে। তবে যাদের কাজের লোক অাছে তাদের বিষয়টা অালাদা। এসব বিষয় চিন্তা করে কোন স্ত্রী যদি অার বাচ্চা নিতে অনীহা প্রকাশ করে তাহলে স্বামীতো অার জোর-জবরদস্তি করতে পারেনা।
এখানে আরো আলোচনা চলছে- একটু ঘুরে আসুন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আমার মেয়ে জন্মের পর আমার এক ডাক্তার বন্ধু আমাকে গোপনে বললেনঃ আপনার মেয়েকে হামের টিকা, পোলিও ইত্যাদি জাতিয় ফ্রি ভিটামিন থেকে দূরে রাখবেন, কেননা এইগুলো ইহুদি খৃষ্ঠানদের চালাকি, মুসলমানদের সন্তান যেন কম হয়, সন্তান যেন সিজারে হয়, এ নিয়ে তারা অনেক গবেষণা করে, এরই উপকরণ হিসাবে বিভিন্ন টিকা শিশুকাল থেকেই মুসলমান ছেলে মেয়েদের পুশিং করা হয় বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির অজুহাতে, আবার মেয়েরা যখন সাবালেগা হয় তখন স্কুলভিত্তিক হাইস্কুলের মেয়েদের বিভিন্ন টিকা দেওয়া হয়, উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। ডাঃ সাহেব আমাকে উদাহরণ হিসাবে বললেন দেখুন আগের যুগে কোন মাকে পেট কাটতে হতো না, বা গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগতো না। গর্ভাবস্থাকে মহিলারা লজ্জা লজ্জা ভেবে ঘরে ঘরে সবকিছু সেরে ফেলতেন। এখন গর্ভাবস্তায় সকাল বিকাল ডাক্তার, কারণ তো একটাই, বিয়ের আগে স্কুলে টিকা দিয়ে তৈরী করে রেখেছে। দেখুন কোন গরু ছাগল কুকুর বিড়াল ইত্যাদি কোন পশুর আজ পর্যন্ত পেট কাটতে হয় না। তাহলে আশরাফুল মাখলূকাত মানুষকে কেন কাটতে হবে?। কারণ একটাই, ইয়াহুদিদের চাক্রান্তের বাস্তবায়ন।
ঐ ডাক্তারের কথা সত্য নাও হতে পারে-
দলিলবিহীন কথায় কাণ দিতে নেই,
নিজের গুণাহর খাতা ভারী হয়ে যেতে পারে!
আগের যুগে মেয়েদের কঠোর কায়িক শ্রমের মধ্য দিয়ে সেভাবেই বড় করা হতো-
আর এখন তো সব ননীর পুতূল!!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
(((ঐ ডাক্তারের কথা সত্য নাও হতে পারে-
দলিলবিহীন কথায় কাণ দিতে নেই,)))
কি করে বুঝলেন ডাক্তার মিথ্যা বলেছে, দলীল বিহীন কিভাবে বুঝলেন? ডাক্তার তো ঐ মেডিসিন কিভাবে বানানো হয় তাও বলেছেন, এসকল রোগের ব্যকটেরিয়া থেকেই এন্টি ব্যাকটেরিয়া মেডিসিন বানানো হয়, আমি তো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নই, তাই নামগুলো মনে নেই, উনি আমাকে বিস্তারিত বলে ছিলেন, অবশেষে বলেছিলেন এগুলো সিক্রেট বিষয়, পুলিশ জানলে হয়তো তাকে গ্রেফতার করবে। উনি কিন্ত ওনার ছেলে মেয়ে ও নাতনাতনিদেরকেও এসকল মেডিসিন ও টিকা থেকে বিরত রেখেছেন।
বিতর্ক করা আমার উদ্দেশ্য নয়-
আমিও ডাক্তার নই- তবে বায়োলজির ছাত্র ছিলাম-
এন্টিবায়োটিক বা বিভিন্ন রোগের/ভাইরাসের টীকা যেভাবে তৈরী হয় সে ব্যাপারে আমার জানা আছে! আর তাই ডাক্তারসাহেবের কথায় অমত করতে সাহস করেছি!
এ কথাগুলো কোন দ্বীনদার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে দেখতে পারেন- হয় আপনার অথবা ঐ ডাক্তারসাহেবের মস্তিস্কের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে
[দুঃখিত অন্যভাবে নেবেননা]
আমি ব্যক্তিগতভাবে ওসব বিষয়ে খুব বেশী কিছু জানতে পারিনি- উনি কিভাবে পেরেছেন সেটা জানতে পারলে হয়তো কিছুটা বুঝতাম!!
ইহুদী-নাসারারা মুসলমানদের চিরশত্রু বটে, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রমান ছাড়া অনুমানে অভিযুক্ত করা অনুচিত!!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ...
অগ্রীম শুভেচ্ছা ও কুরবানীর ঈদ মোবারক-
ত্যাগের অনুশীলনে সমাজ আলোকিত হোক
মন্তব্য করতে লগইন করুন