৫০তম পোস্ট ] ৫০তম সুরা (আলকুরআন)
লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:০৯:১৯ দুপুর
৫০তম পোস্ট ] ৫০তম সুরা (আলকুরআন)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
১) ক্বাফ, মহিমান্বিত কল্যাণময় কুরআনের শপথ৷
২) তারা বরং বিস্মিত হয়েছে এ জন্য যে, তোমাদের কাছে তাদের মধ্য থেকেই একজন সতর্ককারী এসেছে৷ এরপর অস্বীকারকারীরা বলতে শুরু করলো এটা তো বড় আশ্চর্যজনক কথা,
৩) আমরা যখন মরে যাব এবং মাটিতে মিশে যাব (তখন কি আমাদের উঠানো হবে) ? এ প্রত্যাবর্তন তো যুক্তি-বুদ্ধি বিরোধী৷
৪) অথচ মাটি তার দেহের যা কিছু খেয়ে ফেলে তা সবই আমার জানা৷ আমার কাছে একখানা কিতাব আছে৷ তাতে সবকিছু সংরক্ষিত আছে৷
৫) এসব লোকেরা তো এমন যে, যখনই তাদের কাছে সত্য এসেছে, তখনই তারা তাকে মিথ্যা মনে করেছে৷ এ কারণেই তারা এখন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে আছে৷
৬) আচ্ছা, এরা কি কখনো এদের মাথার ওপরের আসমানের দিকে তাকায়নি ? আমি কিভাবে তা তৈরী করেছি এবং সজ্জিত করেছি৷ তাতে কোথাও কোন ফাটল নেই৷
৭) ভূপৃষ্ঠকে আমি বিছিয়ে দিয়েছি, তাতে পাহাড় স্থাপন করেছি এবং তার মধ্যে সব রকম সুদৃশ্য উদ্ভিদরাজি উতপন্ন করেছি৷
৮) এসব জিনিসের সবগুলোই দৃষ্টি উন্মুক্তকারী এবং শিক্ষাদানকারী ঐ সব বান্দার জন্য যারা সত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করে৷
৯) আমি আসমান থেকে বরকতপূর্ণ পানি নাযিল করেছি৷ অতপর তা দ্বারা বাগান ও খাদ্য শস্য উতপন্ন করেছি৷
১০) তাছাড়া থরে থরে সজ্জিত ফলভর্তি ফাঁদি বিশিষ্ট দীর্ঘ সুউচ্চ খেজুর গাছ৷
১১) এটা হচ্ছে বান্দাহদেরকে রিযিক দেয়ার ব্যবস্থা৷ এ পানি দ্বারা আমি মৃত ভূমিকে জীবন দান করি৷ (মৃত মানুষের মাটি থেকে) বেরিয়ে আসাও এভাবেই হবে৷
১২) এদের আগে নূহের কওম, আসহাবুর রাস, সামূদ,
১৩) আদ, ফেরাউন, লূতের ভাই
১৪) আইকবাসী এবং তুব্বা কওমের লোকেরাও অস্বীকার করছিল৷ প্রত্যেকেই রসূলদের অস্বীকার করেছিল এবং পরিণামে আমার শাস্তির প্রতিশ্রুতি তাদের জন্য কার্যকর হয়েছে৷
১৫) আমি কি প্রথমবার সৃষ্টি করতে অক্ষম ছিলাম ? আসলে নতুন করে সৃষ্টির ব্যাপারে এসব লোক সন্দেহে নিপতিত হয়ে আছে৷
১৬) আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি আর তাদের মনে যেসব কুমন্ত্রণা উদিত হয় তা আমি জানি৷ আমি তার ঘাড়ের রগের চেয়েও তার বেশী কাছে আছি৷
১৭) (আবার এ সরাসরি জ্ঞান ছাড়াও) দু’জন লেখক তার ডান ও বাঁ দিকে বসে সবকিছু লিপিবদ্ধ করছে৷
১৮) এমন কোন শব্দ তার মুখ থেকে বের হয় না যা সংরক্ষিত করার জন্য একজন সদা প্রস্তুত রক্ষক উপস্থিত থাকে না৷
১৯) তারপর দেখো, মৃত্যুর যন্ত্রণা পরম সত্য নিয়ে হাজির হয়েছে৷ এটা সে জিনিস যা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলে৷
২০) এরপর শিংগায় ফুতকার দেয়া হলো৷ এটা সেদিন যার ভয় তোমাদের দেখানো হতো৷
২১) প্রত্যেক ব্যক্তি এমন অবস্থায় এসে হাজির হলো যে, তাদের সাথে হাঁকিয়ে নিয়ে আসার মত একজন এবং সাক্ষ্য দেয়ার মত একজন ছিল৷
২২) এ ব্যাপারে তুমি অজ্ঞ ছিলে৷ তাই তোমার সামনে যে আবরণ ছিল তা আমি সরিয়ে দিয়েছি৷ তাই আজ তোমার দৃষ্টি অত্যন্ত প্রখর৷
২৩) তার সাথী বললোঃ এতে সে হাজির আমার ওপরে যার তদারকীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল৷
২৪) নির্দেশ দেয়া হলোঃ “জাহান্নামে নিক্ষেপ করো, প্রত্যেক কট্টর কাফেরকে- যে সত্যের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতো,
২৫) কল্যাণের প্রতিবন্ধক ও সীমালংঘনকারী ছিল, সন্দেহ সংশয়ে নিপতিত ছিল
২৬) এবং আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে বসেছিল৷ নিক্ষেপ কর তাকে কঠিন আযাবে৷
২৭) তার সহগামী আরয করলোঃ হে প্রভু, আমি তাকে বিদ্রোহী করিনি বরং সে নিজেই চরম গোমরাহীতে ডুবে ছিল৷
২৮) জবাবে বলা হলোঃ আমার সামনে ঝগড়া করো না৷ আমি আগে তোমাদেরকে মন্দ পরিণতি সম্পকে সাবধান করে দিয়েছিলাম৷
২৯) আমার কথার কোন রদবদল হয় না৷ আর আমি আমার বান্দাদে জন্য অত্যাচারী নই৷
৩০) সেদিনের কথা স্মরণ করো, যখন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করবো যে, তোমার পেট কি ভরেছে? সে বলবে, “আরো কিছু আছে না কি?”
৩১) আর বেহেশতকে আল্লাহ ভীরুদের নিকটতর করা হবে- তা মোটেই দূরে থাকবে না৷
৩২) তখন বলা হবেঃ এ হচ্ছে সেই জিনিস, যার কথা তোমাদেরকে আগাম জানানো হতো৷ এটা প্রত্যেক প্রত্যাবর্তনকারী ও সংরক্ষণকারীর জন্য,
৩৩) যে অদেখা দয়াময়কে ভয় করতো, যে অনুরক্ত হৃদয় নিয়ে এসেছে৷
৩৪) বেহেশতে ঢুকে পড় শান্তির সাথে৷ সেদিন অনন্ত জীবনের দিন হবে৷
৩৫) সেখানে তাদের জন্য যা চাইবে তাই থাকবে৷ আর আমার কাছে আরো কিছু অতিরিক্ত জিনিসও থাকবে৷
৩৭) যাদের হৃদয় আছে কিংবা যারা একাগ্র চিত্তে কথা শোনে তাদের জন্য এ ইতিহাসে অনেক শিক্ষা রয়েছে৷
৩৮) আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং তার মধ্যকার সকল জিনিসকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি অথচ তাতে আমি ক্লান্ত হইনি৷
৩৯) কাজেই তারা যেসব কথা তৈরী করেছে তার ওপর ধৈর্যধারণ করো৷ আর স্বীয় প্রভুর প্রশংসা সহকারে গুণগান করতে থাকো সূর্যোদয় ও সুর্যাস্তের আগে,
৪০) আবার রাতে পুনরায় তার তার গুণগান করো এবং সিজ্দা দেয়ার পরেও করো৷
৪১) আর শোনো যেদিন আহ্বানকারী (প্রত্যেক মানুষের) নিকট স্থান থেকে আহ্বান করবে,
৪২) যেদিন সকলে হাশরের কোলাহল ঠিকমত শুনতে পাবে, সেদিনটি হবে কবর থেকে মৃতুদের বেরুবার দিন৷
৪৩) আমিই জীবন দান করি, আমিই মৃত্যু ঘটাই৷ এবং আমার কাছেই সবাইকে ফিরে আসতে হবে সেদিন
৪৪) সেদিন পৃথিবী বিদীর্ণ হবে, এবং লোকেরা তার ভেতর থেকে বেরিয়ে জোর কদমে ছুটতে থাকবে, এরূপ হাশর সংঘটিত করা আমার নিকট খুবই সহজ৷
৪৫) হে নবী! ওরা যেসব কথা বলে, তা আমি ভালো করেই জানি, বস্তুত তাদের কাছ থেকে বলপ্রয়োগে আনুগত্য আদায় করা তোমার কাজ নয়৷ কাজেই তুমি এ কুরআন দ্বারা আমার হুশিয়ারীকে যারা ডরায়, তাদেরকে তুমি উপদেশ দাও৷
বিষয়: বিবিধ
১২৮৪ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ.
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ৫০তম পোষ্টে ।
জাযাকিল্লাহ.
আল কোরআনের ৫০তম সূরা দিয়ে ৫০তম পোষ্টটি যথার্থ এবং ইতিবাচক হয়েছে।
সুরার বাংলা অর্থ পড়লাম এবং বুঝবার চেষ্টা করলাম।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আল্লাহতায়ালা আপনার অন্তর খুলে দিন
জাযাকাল্লাহ.
হাফ মানিকের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অতি শীঘ্রই ফুল মানিক হয়ে যান সেটাই প্রত্যাশা।
আপনাকও অনেক ধন্যবাদ,
জাযাকাল্লাহ.
আপনাকও অনেক ধন্যবাদ,
জাযাকাল্লাহ.
অনেক ধন্যবাদ,
জাযাকাল্লাহ.
কোরআনের এই কথাগুলো আমাকে খুবই আলোড়িত করে। অনেক ধন্যবাদ
বুঝে পড়া ও মনযোগ দিয়ে তেলাওয়াতের মজাই অন্যরকম- দেহের প্রতিটি লোম যেন আন্দোলিত হতে থাকে
অনেক ধন্যবাদ,
জাযাকাল্লাহ.
জাযাকাল্লাহ
৬ নং আয়াতে। 'আসন' হয়েগেছে মনে হয় 'আসমান' হবে, ঠিক করে দিয়েন৷
ঠিক করে দিয়েছি
৪) অথচ মাটি তার দেহের যা কিছু খেয়ে ফেলে তা সবই আমার জানা৷ আমার কাছে একখানা কিতাব আছে৷ তাতে সবকিছু সংরক্ষিত আছে৷
অথচ সবকিছুই সংরক্ষিত রবে
কী জটিল ব্যাপার : :
জাযাকাল্লাহ
দোয়া চাই- ট্রাক না হারাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন