ক্ষমতার দম্ভ ধ্বংশ অনিবার্য
লিখেছেন লিখেছেন আবু সাইফ ২১ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৪০:৩৩ রাত
ক্ষমতার দম্ভ ধ্বংশ অনিবার্য
সারা দুনিয়া জুড়ে চলছে ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন ও অপপ্রচার! বিশেষ করে ব্লগ-ফেবু-নেটমিডিয়ায় কুযুক্তি ও কটুক্তির উতপাত নিঃসন্দেহে মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়!
এতে মুমিনদের মনে যে কত কষ্ট হয় তা আল্লাহতায়ালা ভালই জানেন! আর এ কষ্টভোগের পরকালীন পুরস্কারও অনেক বড়!
কিন্তু শুধু পরকালের অপেক্ষায় থাকা- দুনিয়াতে কিছুই না পাওয়া দুর্বল মানুষের মন মেনে নিতেও কষ্ট পায়! তাই মহান রব সান্ত্বনা দিয়েছেন!
যারা মুমিনদের এমন কষ্টের কারণ, তাদের ধ্বংশ অনিবার্য এবং পরকালীন শাস্তিও অবধারিত! শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র!
=====================
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
حم
[১] হা-মীম৷
.
تَنزِيلُ الْكِتَابِ مِنَ اللَّهِ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
[২] এ কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত যিনি মহাপরাক্রমশালী, সবকিছু সম্পর্কে অতিশয় জ্ঞাত,
.
غَافِرِ الذَّنبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ ۖ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ
[৩] গোনাহ মাফকারী, তাওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তিদাতা এবং অত্যন্ত দয়ালু৷ তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই৷ সবাইকে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে৷
مَا يُجَادِلُ فِي آيَاتِ اللَّهِ إِلَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِي الْبِلَادِ
[৪] আল্লাহ আয়াতসমূহ নিয়ে কেবল সে সবলোকই বিতর্ক সৃষ্টি করে যারা কুফরী করেছে, এরপরও দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে তাদের চলাফেরা যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে৷
كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَالْأَحْزَابُ مِن بَعْدِهِمْ ۖ وَهَمَّتْ كُلُّ أُمَّةٍ بِرَسُولِهِمْ لِيَأْخُذُوهُ ۖ وَجَادَلُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ فَأَخَذْتُهُمْ ۖ فَكَيْفَ كَانَ عِقَابِ
[৫] এর পূর্বে নূহের (আ) কওম অস্বীকার করেছে এবং তাদের পরে আরো বহু দল ও গোষ্ঠী এ কাজ করেছে৷ প্রত্যেক উম্মত তার রসূলকে পাকড়াও করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারা সবাই বাতিলের হাতিয়ারের সাহায্যে হককে অবদমিত করার চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি৷ দেখে নাও, কত কঠিন ছিল আমার শাস্তি৷
====================্
অতএব আল্লাহর দিকে ধাবিত হও৷
=================্
বৃষ্টির ব্যবস্থাপনা, পৃথিবীর গঠনাকৃতি, আসমানের সৃষ্টি, মানুষের নিজের অস্তিত্ব, গোটা বিশ্ব-জাহানে জোড়া বেঁধে সৃষ্টির নীতির বিস্ময়কর, কর্মকাণ্ড ও ফলাফল, এসব জিনিস যেমন আখেরাতের সম্ভাব্যতা ও অনিবার্যতার সাক্ষী তেমনি তা এ সাক্ষ্যও পেশ করেছে যে, এ বিশ্ব-জাহান আল্লাহহীনও নয় কিংবা বহু খোদার রাজত্ব নয় বরং এক মহাজ্ঞানী ও মহাশক্তিমান আল্লাহই এর সৃষ্টিকর্তা, মালিক এবং ব্যবস্থাপক, ও শাসক ।
তাই এসব যুক্তি-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাওহীদের দাওয়াত পেশ করা হচ্ছে ।
তাছাড়া আখেরাত বিশ্বাস করার অনিবার্য ফল হচ্ছে মানুষ আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহাত্মক আচরণ পরিত্যাগ করে আনুগত্য ও দাসত্বের পথ অবলম্বন করে ।
মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহবিমুখ থেকে যতক্ষণ সে মনে করে যে, তাকে কারো সামনে জবাবদিহি করতে হবে না । এবং তার পার্থিব জীবনের কাজ -কর্মের হিসেবও কারো কাছে দিতে হবে না ।
যখনই এ ভ্রান্ত ধারণা দূরীভূত হবে সে মুহূর্তেই ব্যক্তির বিবেকের মধ্যে এ অনুভূতি জাগ্রত হয় যে, সে নিজেকে দায়িত্বমুক্ত মনে করে বড় ভুল করেছিলো । এ অনুভূতিই তাকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে বাধ্য করে ।
فَفِرُّوا إِلَى اللَّهِ ۖ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
[৫০] অতএব আল্লাহর দিকে ধাবিত হও৷ আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমার জন্য স্পষ্ট সাবধানকারী৷
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ ۖ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
[৫১] আল্লাহর সাথে আর কাউকে উপাস্য বানাবে না৷ আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সাবধানকারী৷
[আয যারিয়াত]
বিষয়: বিবিধ
১০২১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Let us do what we can do...
And Allah (swt) is enough for the arrogant and munafiq.
আল্লাহতায়ালা তো অবশ্যই দেখবেন ঈমানের দাবীতে কারা সত্যবাদী আর কারা নয়!!
আর যারা অটল থাকে তাদের জন্য সুসংবাদ
লেখা ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ।
সমস্যার জায়গাটা আমি অন্যরকম বুঝি-
আমি কেন বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবার যোগ্য হলামনা- এ প্রশ্নের জবাব দেবার ভয়েই মরি!
অন্যেরা কী করছে তার জবাব তো আমাকে দিতে হবেনা!!
আমরা দিনকে দিন দুনিয়া দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হলাম - যা করতে আল্লাহ আমাদের নিষেধ করেছেন। ফলাফল স্বরূপ আল্লাহ বলেছেন অমন অমান্য করলে তথা ট্রান্সগ্রেশান করলে - তিনি অন্য জাতিকে আমাদের উপরে বসিয়ে দিবেন। আমরা তাই আল্লাহর ওয়াদানুযায়ী প্রতিফল পেয়েছি - অন্য জাতিকে ইতোমধ্যে তিনি মুসলিম উম্মাহর উপর বসিয়ে দিয়েছেন এবং আমাদেরকে এ্যানস্লেইভমেন্ট এ ফেলে দিয়েছেন। সো আল্লাহর ওয়াদা সত্য - আমাদের কেউ তা দেখি আর কেউ তা দেখি না।
জাতি হিসাবে আমরা সুপথে আসতে পারবো - ব্যক্তিগতভাবে আমার তা মনে হয় না। আমার মনে হয় - পুরো বিশ্বে ইন্ডিভিজ্যুয়ালী মোহাম্মদ সঃ এর প্রফেসী অনুযায়ী বিরাট সংখ্যক মুসলিম দীন ইসলামকে শক্ত করে আকড়ে ধরবে এবং গ্রাজু্য়ালী জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে - আনটিল অর আনলেস ইমাম মেহেদী আঃ নেতৃত্বে না আসা পয্যন্ত।
এর মানে এই নয় যে আমাদেরকে গাঁ ছেড়ে দিতে হবে। বরং এর মানে হল কনটিনিউয়াস আস্তাগফের করা, দুনিয়াবী জ্ঞানের উপর ইসলামী জ্ঞানকে সামহাউ তুলনামূলক বেশী প্রাধান্য দেওয়া এবং আল্লাহর কাছে লিডারশিপ এর জন্য দোয়া করা।
আবু সাইফ ভাই অবশ্য চ্যালেন্জিং প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন - যার কোন সন্তুষজনক উত্তর মাথায় আসছে না। মেইন পোষ্ট টি ভাল লেগেছে।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে গাজার নিধন যজ্ঞ দেখে কষ্ট সহ্য করতে না পারলে - ঐ হাদীসটি বেশীবেশী করে মনে করি - যেখানে রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন পাথর ও গাছ ডেকে ডেকে আমাদের ইয়াহুদী হত্যা করতে বলবে। কারন তাদের নির্মমতা আমাদের কে তৈরী করছে অমন হত্যা নিশ্চিত করার মত মানুষিক অবস্থা বিনির্মানে - ধন্যবাদ
"আল্লাহর কাছে লিডারশিপ এর জন্য দোয়া করা" তো বটেই,
কিন্তু এ দোয়া কবুলের জন্য নিজেদের করণীয়গুলো আগে শেষ করা-
যেমন-
জাতীয় লীডারশীপ তৈরী করার জন্য তেমন মানের বিশেষ কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন.. ইত্যাদি
আর সে কারণেই ভয় শুধু বাড়ছেই.।
অন্যেরা কী করছে তার জবাব তো আমাকে দিতে হবেনা!!
আমি কেন বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবার যোগ্য হলামনা- এ প্রশ্নের জবাব কী!
আমিও সেকথাই বলতে চেয়েছি,
তবে নিজের অক্ষমতাকে আগে এনে
মন্তব্য করতে লগইন করুন