হেফাজতের আসল চেহারা !!!
লিখেছেন লিখেছেন জুলিয়া ২৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:২৪:২৫ দুপুর
"হেফাজতে ইসলাম" নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, তারা বলতেছে তাদের সমস্যা হল নাস্তিকরা। আরে ভাই নাস্তিকতা আস্তিকতা একান্তই আপনার নিজস্ব ব্যাপার। আপনি তো ইচ্ছা করলেই একজনকে না বুঝে নাস্তিক বলতে পারেন না বা একজন নাস্তিক কে আস্তিক করতে পারবেন না। আমি, আপনি শেষ নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের দায়িত্ত দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। কাওকে হেদায়েত করা নয়। আর হেদায়েতের মালিক আল্লাহ নিজে। আপনি ইচ্ছা করলেও কাওকে হেদায়েত করতে পারবেন না।
আল্লাহপাক বলেছেন,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
যে ব্যক্তি রসূলের আনুগত্য করলো সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করলো৷ আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নিলো, যাই হোক, তাদের ওপর তো আমি তোমাকে পাহারাদার বানিয়ে পাঠাইনি৷
সূরা:নিসা
আয়াত:৮০
রাসূল (সঃ) নিজেও তার চাচাকে হেদায়েত করতে পারেন নি। এখন আপনি যদি কাওকে হেদায়েতের নামে তার উপর ঝাপিয়ে পড়েন তাহলে তা হবে ইসলাম পরিপন্থী।
এখন দেখেন হেফাজতের আসল রূপঃ
যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে প্রচুর টাকা ঢালা একটি এনজিও হচ্ছে "রাবেতা আল ইসলামী" যার কান্ট্রি হেড ছিল জামাত নেতা রাজাকার মীর কাসেম আলী,
রাবেতার অঙ্গ সংগঠন মাসিক আল-হক্ব পত্রিকা, এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক এবং রাবেতা আলমে আল ইসলামীর বর্তমান বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান
"আল্লামা সুলতান যওক নদভী"।
আর এই "আল্লামা সুলতান যওক নদভী" হচ্ছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর
এবার বুঝেন, যুদ্ধাপরাধীদের কি বিচার তারা চায় !!!
*** ছাত্র শিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি হয় মীর কাশেম আলী।
এরপর রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নামে “রাবেতা আল ইসলামী” গড়ে তুলে। কক্সবাজারে এই রাবেতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আসে। “রাবেতা আল ইসলামী”র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পদে ছিল কাসেম আলী। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের সাহায্যের নামে আনা এই টাকায় রাবেতা হাসপাতালও করা হয়েছে। যেখানে ইসলামী জঙ্গিসহ রোহিঙ্গা ইসলামী জঙ্গীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে অভিযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা জঙ্গিদেরকে দেশে প্রশিক্ষণ ও বিদেশে পাঠিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে মীর কাসেম আলী সহায়তা করেছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। আর এই রাবেতার মাধ্যমে আসা কোটি কোটি টাকা দিয়ে জঙ্গিবাদে অর্থ সহায়তা এবং জামাতে ইসলামীকে অর্থনৈতিকভাবে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানোর জন্য মীর কাসেম আলী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে এমন তথ্য রয়েছে দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও।
তথ্যসূত্র :
মুক্তিযুদ্ধ কোষ/৩য় খন্ড (সম্পাদক : ড.মুনতাসীর মামুন) ***
কি বুঝলেন ??
হেফাজত হল জামাতের আরেক প্রতিচ্ছবি। নাম বলদিয়ে তারা ষড়যন্ত্র করতেছে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করার।
শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এর প্রতিবাদ করে যাব।
বিষয়: বিবিধ
২৪৭৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন