একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলের ছাত্রশিবির জীবন

লিখেছেন লিখেছেন জুলিয়া ২২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৩৫:২৯ বিকাল



দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হল। পরীক্ষা যে খুব ভালো হল তা বলব না। কারন পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় পুরাই অপদার্থের মত কাজ করে আসছি। শুধু আমি একা না, আমার মত আরও বেশ ক'জন বন্ধুরও অবস্থা বেশ শোচনীয় ছিল। যাই হোক, পরীক্ষা যা হওয়ার হয়েছে এই চিন্তা বাদ দিয়ে আমরা এস এস সি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক কোচিং করার জন্য কোচিং খুজতে লাগলাম। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়ে জানলাম যে সেই সময়ের সব চেয়ে ভালো কোচিং হল "রেটিনা কোচিং সেন্টার।" তো আমরা কয়েক বন্ধু মিলে রেটিনায় ভর্তি হয়ে গেলাম। কোচিং এর দিনগুলো ভালোই কাটছিল। অতি দ্রুতই কোচিং এর সব কিছুর মধ্যে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেলাম।

আমাদের ক্লাসগুলো নিত আমাদের এলাকায় অবস্থিত মেডিকেল কলেজ এর ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। রেটিনা কোচিং যে ছাত্রশিবিরের বা যারা এটা চালায় তারা যে সবাই ছাত্রশিবিরের সমর্থক এটাও আমরা জানতাম। কিন্তু সেই সময়ে শিবিরের কাজ সম্পর্কে ধারনা তেমন ভালো ছিল না, তাই ছাত্রশিবিরকে আমি অন্য ছাত্র সংগঠকের মতই একটা কিছু ভাবতাম। তবে আমি যখন বেশ ছোট তখন আমার এক চাচা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। তখন ছাত্রশিবিরের অন্যদের হাতপায়ের রগ কেটে নেওয়ার কথা শুনতাম। কিন্তু আমাদের অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তখন অনেক সহিংসতা করত, এখনও করে। তাই সত্যি বলতে আমি শিবিরকে তখন খুব একটা খারাপ দৃষ্টিতে দেখতাম না। এর একটা কারন হতে পারে আমি জামাত-শিবিরের ইতিহাস তখন খুব একটা ভালোভাবে জানতাম না। দেখতে দেখতে কোচিং এর দিনগুলো শেষ হয়ে গেল। আমাদের কোচিং এর যেদিন শেষ দিন সেদিন আমাদের কোচিং এ এলো আমাদের জেলা শাখার শিবিরের তৎকালীন সভাপতি। একটা কথা আমাকে বলতেই হয় যে উনার মধ্যে কেমন আলাদা একটা ব্যাপার ছিল। তো আমাদের ক্লাস শেষ হওয়ার পড়ে তিনি আমাদের ক্লাস রুমে এলেন। এসে আগে তিনি শিবিরের ইতিহাস, লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ বিভিন্ন ব্যাপারে আমাদের বয়ান দিলেন। এর পরে তিনি আমাদের বললেন যে, "আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে আমাকে করতে পারেন।" অন্যরা বিভন্ন ধরনের প্রশ্ন করছিল, আর উনি উনার যুক্তি দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন। একজন উনাকে প্রশ্ন করছিল যে, "আপনারা ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান না কেন??" উত্তরে উনি বললেন, "আমরা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাই। আমরা মিলাদ মাহফিল করি, উনাদের জন্য দোয়া করি। শহীদ মিনারে ফুল দেইনা কারন ফুল দেওয়া মানে পূজা করা।মুসলমান হয়েত আমরা হিন্দুদের মত পূজা করতে পারি না।" আরও বিভন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছিল উনাকে। উনি সব প্রশ্নের উত্তরই অত্যন্ত বুদ্ধি,বিবেচনার সাথে দিচ্ছিলেন। যাই হোক, আমাকে মুগ্ধ করতে উনার বেশি সময় লাগল না। আমি তখন ধরেই নিলাম যে উনি অসাধারন একজন মানুষ। আমি এটাও বিশ্বাস করতে শুরু করলাম যে শিবিরের উপরে কিছু নাই এবং আমি তৎক্ষণাৎ শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু যোগ দিতে চাইলেইতো আর দেওয়া যায়না। কোথায়, কিভাবে, কার সাথে যোগাযোগ করে আমি শিবিরের একজন হব এটা বুঝতে পারছিলাম না। যদিও রেটিনা কোচিং এর পরিচালকরা সবাই শিবির তাদেরকে বললেই তারা আমাকে খুশি মনে সব কিছু বলে দিত। কিন্তু আমার কেন জানি ওদের মাধ্যমে শিবিরে যোগ দিতে ইচ্ছে করছিল না।

আমার চেয়ে ২ বছরের বড় এক বন্ধু তখন কলেজে পড়ে। ওকে আমি সব কিছু খুলে বলে শিবিরে যোগদানের কথা বললাম। শুনে সে বলল, "শিবিরের সেই সভাপতির সাথে আমার কিছুটা পরিচয় আছে। আমি উনার সাথে কথা বলব এই ব্যাপারে।" বন্ধুর কথা শুনে আমি বেশ আশ্বস্ত হলাম। আমার শিবিরে যোগদান হয়ে যাচ্ছে! আমি কি খুশী! আমার ঐ বন্ধুটি কয়দিন পড়ে আমাকে জানালো যে উনার সাথে কথা হইছে। আমাদের শহরের প্রত্যেকটা এলাকাতে আবার শিবিরের একজন করে এলাকাভিত্তিক সভাপতি আছে। আমাদের এলাকাতেও তখন একজন ছিল। আমাদের উনার সাথেই দেখা করতে হবে। উনি তখন আমাদের এলাকার এক ছাত্রাবাসে থাকতেন। শুক্রবারের এক সকালে গেলাম আমরা উনার সাথে দেখা করতে। আমার ঐ বন্ধুটি উনার সাথে আগেই পরিচিত হয়েছিল। আমি প্রথম সেইদিন উনার সাথে পরিচিত হলাম। উনিও বেশ অমায়িক ভঙ্গিতে আমার সাথে কথা বলছিলেন। মনে হচ্ছিল আমি উনার কত দিনের চেনা! তবে শিবির যে মুখে একরকম আর ভেতরে অন্য রকম এটা বুঝতে আমার বেশ সময় লাগছে। উনার সাথে কথা হওয়ার পর উনি আমাদের শিবিরের নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করতে দিলেন। এটা ছিল শিবিরের "কর্মী" হওয়ার ফর্ম। ওদের তিনটা ভাগ আছেঃ

১। কর্মী

২। সাথী

৩। সদস্য

কর্মী থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে উপরের দিকে যেতে হয়। ।"কর্মী" থেকেই আমার শিবির জীবন শুরু হল। আমাকে ওরা কিছু হাদিসের বই আর মউদুদি সাহেবের বই দিল। এর সাথে দিল আমার দৈনন্দিন কাজের হিসাব লেখার জন্য একটা বই। এতে আমি দৈনিক কয় ওয়াক্ত নামায পড়লাম, কয়টা হাদিস পড়লাম, কয়টা কোরআনের আয়াত পড়লাম, কয় পৃষ্ঠা ইসলামী বই পড়লাম সব কিছু লিখে রাখতে হতো। আর প্রতি শুক্রবার সেটা আমাদের এলাকার শিবিরের সভাপতি ভাইকে দেখাতে হতো। উনি ওইটা দেখে আমাদের অনেক কিছু ঠিক করে দিত। আরও বেশী বেশী করে ধর্ম- কর্ম করতে আর সংগঠনের কাজ করতে বলত। তবে সত্যি বলতে আমরা শুধু ধর্মের কাজ মানে নামায পড়া, কোরআন-হাদিস পড়া এসবই করছিলাম। শিবিরের অন্য কোন কাজে সেইরকমভাবে কখনো জড়াই নাই। আস্তে আস্তে ছাত্রশিবিরের প্রতি আমার বিশ্বাস আর ভালোবাসা বাড়ছিল। সংগঠনটিকে একদম নিজের মনে করতাম। এখানে একটা কথা বলা দরকার যে, আমি শিবিরে জড়িত হওয়ার কথা আমি কাউকেই বলছিলাম না। কারন আমি জানতাম আমার পরিবার বা অন্যরা এটা সহজভাবে নিবে না। কিন্তু আমিত তখন শিবিরে একদম জমে গেছি। আমাকে ছাড়ায় কে!! তবে আস্তে আস্তে মনে হল আমার সব বাঁধ, জড়তা কেটে গেল। আমি মানুষের কাছে শিবিরের একজন বলে পরিচয় দেওয়া শুরু করলাম। ছোট ভাইবোনদের শিবিরের বিভিন্ন স্টিকার, বই বিলানো শুরু করলাম। আমাকে বলা হয়েছিল শিবিরের কথা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে, সবাইকে শিবিরে টানার জন্য। আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাইকে শিবিরের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসব কথা আমার বাড়িতে যেতে বেশী সময় লাগল না। আমার বাড়িতেও শিবিরের স্টিকার লাগিয়ে দিয়ে নিজের সাহসিকতার চূড়ান্ত দেখিয়ে ফেললাম।

তবে এত কিছু করলেও আমি শিবিরের কোন ধ্বংসাত্মক কাজে অংশগ্রহন করি নাই। কয় মাসের শিবির জীবনে শুধু একবারই শিবিরের একটা কর্মী সন্মেলনে অংশ নিয়েছিলাম। এর মাঝে একদিন আমাদের এলাকার শিবির সভাপতি আমাকে নিয়ে গেল আমাদের জেলা ছাত্রশিবিরের সেই সভাপতির কাছে, যার কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে আমি আমার ছাত্রশিবির জীবন বেছে নিয়েছিলাম। উনার সাথে আমার বেশী কথা হয় নাই সেদিন, খুব সামান্য কিছু কথা হয়েছিল। রেটিনায় প্রথম দিন বুঝতে পারিনি, তবে সেদিন উনাকে দেখে বুঝলাম যে উনার একটা চোখ ট্যারা। সেই চোখ দিয়েই উনি আমাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেন। যাই হোক উনার সাথে দেখা করে চলে আসলাম। খুব ভালো লাগছিল নিজের মধ্যে যে উনার মত একজনের সাথে এভাবে সরাসরি কথা বলতে পারছি। কারন আমার কাছে উনি তখন "হিরু!"

এভাবেই দিনগুলো চলে যাচ্ছিল। শিবিরের প্রতি ভালোবাসা দিন দিন বাড়ছিল। এর মধ্যেই প্রথম আঘাতটা এলো আমার এক মামার কাছ থেকে। আমার মামা অন্য একটা রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত। তার কানেও চলে যায় যে আমি শিবিরের সাথে জড়িয়ে গেছি। আমার সেই মামা একদিন আমার মা'কে বলে যে, আমার শিবিরের সাথে জড়ানো তার পছন্দ না। আমার মা'কে বলে দেয় যে আমি যেন অতি তাড়াতাড়ি এসব ছেড়ে দিয়ে "ভালো" হয়ে যাই।আমার মা পড়ে এসে আমাকে এই কথাগুলো বলে। আমার মাকে যখন মামা এই কথাগুলো বলে তখন আমার অন্য একটা চাচা ছিল সাথে, তবে সেই চাচা জানত না যে আমি শিবিরে জড়িয়ে গেছি। আমার সেই চাচাও যে একটা ধাক্কা খাইছে সেটা আমি বুঝতে পারছি। কারন আমার এই চাচাই আগে পড়ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি তখন বেশ ছোট। একবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চাচা রাজশাহী ছেড়ে আমাদের বাসায় এসে হাজির। কারন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন ছাত্রশিবির গনহারে মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটছে। আমার চাচা নিজের রগ বাঁচানোর জন্য আমাদের বাসায় চলে আসে। আমি আমার মামার কথাগুলোকে খুব একটা পাত্তা দিলাম না। নিজের মনেই আগের মত শিবিরের সাথে জড়িয়ে থাকতাম। তবে সব চেয়ে বড় আঘাতটা এলো আমার বাবার কাছ থেকে। প্রসঙ্গত আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় উনার বয়স ছিল ১৭-১৮ বছর। ব্যাপারটা আমার মাথায় সব সময়ই থাকে যে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। বেশ গর্ব অনুভব হয়। কিন্তু শিবিরে এত অন্ধ হয়ে গেছলাম যে তখন আর এত কিছু পাত্তা দেইনি। তো একদিন আমার বাবা আমাকে ডেকে বলল, "শুনলাম তুমি নাকি শিবিরের সাথে যুক্ত হইছ। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হয়ে তুমি শিবির কর মানে? এটা কি তোমার ঠিক হচ্ছে?" তার এই কথাগুলো আমাকে পুরো স্তব্ধ করে দিল। মনে হচ্ছিল যে আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে, আমি নিচের দিকে তলিয়ে যাচ্ছি। আমি তার কথার কোন জবাব দিতে পারিনি। শুধু মাথা নিচু করে মাতির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আর তখনই আমি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারলাম যে আমি কি ভুল করেছি। নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিলাম, নিজেকে খুব ছোট মনে করছিলাম। বাবার কাছ থেকে চলে আসলাম। কিন্তু লজ্জায় আর তাকে বলা হল না যে আমি ভুল করছি বা এসব আর কখনো করব না। নিজের ঘরে এসে অনেক্ষন ঝিম মেরে বসে থাকলাম। আর নিজেকে গালাগালি করলাম। সেইদিনই সিদ্ধান্ত নিলাম এতদিন যা করার করছি আমাকে এখন যেভাবেই হোক শিবির থেকে বের হতে হবে। আমি আস্তে আস্তে শিবিরের লোকজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলাম। তাদের থেকে দূরে দূরে থাকতাম। তারা ডাকলেও যেতাম না। তাদেরকে আমার রিপোর্ট বই দেখাতাম না। আমি ভেবেছিলাম আমি হয়তো অত সহজে শিবির থেকে বের হতে পারব না। ওরা হয়তো আমাকে ছাড়বে না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে আমি বেশ সহজেই ছাত্রশিবির থেকে বের হয়ে আসলাম। ওদের প্রতি আমার আর কোন আগ্রহ নেই দেখে ওরাও আমাকে আর বেশী ঘাঁটাঘাঁটি করল না। এভাবেই শেষ হল আমার শিবির জীবন। সেই ছাত্রশিবির যারা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি, সেই ছাত্রশিবির যারা হাত পায়ের রগ কাটাটাকে মোটামুটি একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

আমি এখন অনেক গভীরভাবে বুঝতে পারি যে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হয়ে শিবিরে যুক্ত হয়ে আমি এদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের কতটা ছোট করেছি, কতটা তাদেরকে কষ্ট দিয়েছি। আমি শহীদদের আত্তাকেও কষ্ট দিয়েছি। অমর্যাদা করেছি একাত্তরের সকল বীরাঙ্গনাকে। আমি এই ঘটনার জন্য বিশেষভাবে অনুতপ্ত। ছাত্রশিবিরের মত একটা জঘন্য সংগঠনের সাথে জড়ানো আমার মত একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলের একদমই উচিৎ হয়নি। আমার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুলগুলোর মধ্যে এটা একটা। তবে ভুল মানুষই করে। আমি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধর জন্য এখন গলা ফাটাচ্ছি ফেবুতে, শাহবাগে। এজন্য আমাকে "নাস্তিক" উপাধিও পেতে হয়েছে। তবে আমি এটা পাত্তা দেইনা। আমি মনে করি আমি "আস্তিক" নাকি "নাস্তিক" সেটা বিচার করবে সৃষ্টিকর্তা। জামায়াত-শিবির বা হেফাজতে ইসলামের মত ভণ্ডদের কাউকে নাস্তিক বলার অধিকার কেউ দেয়নি। আমার বিশ্বাস আমার সোনার বাংলাদেশ থেকে সকল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন ভণ্ডামি। আমাদের পবিত্র মসজিদের মাইক থেকে আর মিথ্যা ঘোষণা শুনতে হবে না, দেখতে হবে না দেশের জাতীয় মসজিদের কার্পেটে আগুন দিয়ে একদল নরপশু উল্লাস করছে। আমি ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত হয়ে যে ভুল করছিলাম আশা করি আর কেউ আমার মত এত বড় ভুল আর কেউ করবে না। বাংলাদেশ ভালো থাকুক, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকুক।

(নগর বাউল র লেখা থেকে)

বিষয়: বিবিধ

২৮১৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

285003
১৭ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫৭
যা বলতে চাই লিখেছেন : মন্তব্যের অনুপোযুক্ত। তাই সকলেই বিরত রয়েছেন মনে হয়। তবে এতটুকু বলতে চাই সত্যিই একদিন আমাদেরকে এ সমস্ত আত্মপ্রবঞ্চনার জন্য জবাব দিতে হবে। আপসোস!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File