আল্লাহর স্থানে মাজার!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ১৩ আগস্ট, ২০১৫, ০১:০৫:১৪ দুপুর
বাসার অদূরে পরিচিত মুরগী ওয়ালার দোকান। সময় বাঁচানোর জন্য তাকে ফোন করে বলে দিলে সে মুরগীগুলো জবেহ এবং পরিস্কার করে রাখার পর বুয়াকে পাঠিয়ে আনা হয়।
আমার স্ত্রী একদিন মুরগীর জন্য ফোন করলো। মুরগী ওয়ালা বললো, ‘আফা আমি একটু আমনত শাহ বাবাজীর মাজারে এসেছি, এখান থেকে ফিরলে মুরগী তৈরী করে দেব’।
আমার স্ত্রী বললো, সেখানে আবার কি? এমন জিজ্ঞাসা তার কাছে খুব একটা ভালো ঠেকেনি। সে মনে করেছিল আমানত শাহ বাবাজীর মাজারে গিয়েছে শুনে এদিক থেকে একটু আনুকূল্য পাওয়া যাবে এবং উক্ত মহৎ কম্মটির জন তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার মাধ্যমে এদিকের জন্যও বাবার কাছে কোন আর্জি পেশ করার জন্য বলা হবে।
সে জিজ্ঞেস করলো, মাজারে আসা খারাপ নাকি? আমার স্ত্রী জবাব দিল;মাজারে কি কাজ, মসজিদে নামায পড়ে কোন কিছু চাইতে হলে আল্লাহর কাছে চাইলেই তো হয়ে যায়। সে বললো, ‘আমি আমানত শাহ বাবাজীর মাজারে আসার পর থেকে আমার মুরগী ব্যাবসা খুব ভালো চলছে’.....।
এক মুরগী ওয়ালা নয়, কম করে হলেও এই সমাজের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষের মধ্যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে মাজারের নিকট প্রার্থনা করার মানসকিতা তৈরী হয়ে আছে। তাদেরকে এসব অপকর্মে উৎসাহ প্রদান করে আসছেন তাও প্রায় এই সমাজের ৭০/৮০ শতাংশ মসজিদের ইমাম-মোয়ায্যিন।
আমাদের দেশে ইসলামের দাওয়াতি কাজে যথেষ্ট সময়-শ্রম এবং অর্থ ব্যয় করা হয়। এবং কাজও কিছু না কিছু অবশ্যই হচ্ছে। আমার মতে দেশের মসজিদ সমূহের ইমাম-মোয়ায্যিনদেরকে দাওয়াতের প্রথম টার্গেট বানানো উচিৎ।(তাঁদের অভাব এবং কু-শিক্ষা দূর করে সঠিক শিক্ষা পৌঁছানোর চেষ্টা) আমি দেখেছি, যেসব মসজিদের ইমাম এবং খতিব ইসলামের সঠিক আকীদা পোষণ করেন এবং মুসল্লীদেরর উদ্দ্যেশ্যে সাহসী বক্তব্য রাখেন সেসব এলাকার মানুষের মধ্য থেকে শিরক এবং বেদয়াত বিদায় নিতে শুরু করে।
আল্লাহ দ্বীনের দায়িদেরকে সঠিক পন্থায় দাওয়াতী কাজ করার তাওফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ মাজার পুঁজারী কি মুরগীগুলো জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম (বিসমিল্লাহে আল্লাহু আকবার)নেয় ?
একথা গুলি একদম বাজে হয়ে গেল।
আপনি বলতে পারেন মাজার পন্হী মসজিদের ইমাম - মুয়াজ্জিনেরা এব্যাপারে উতসাহিত করে।
আপনি কি চিন্তা করেছেন ৭০/৮০ শতাংশ অংকটা কত বড়!!!এই বিশাল অংশ যদি এরকমই হতো ,তাহলে আমাদের অবস্হা আরো খারাপ হয়ে যেত।
আল্লাহু আ'লামু।
-উনি জবাবে আমাকে ইসলঅম বিরোধী কথা-বার্তা নাবলঅর জন্য সতর্ক করে দিলেন।
(উনার ইসলাম বিরোধিতার কথা বলতে গিয়ে আমি ইসলাম বিরোধী হয়ে গেলাম!)
হা হা হা..!
আপনার সাথে সহমত পোষন করলাম। এই কাজে আমাদের কে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন