অনুর স্বপ্ন (বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ২৫ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:২৯:০৭ দুপুর

পার্বত্য জেলা খাগড়া ছড়ির মার্মা উপজাতির মেয়ে অনু। ফর্সা চেহারা, বাংলাদেশের উপজাতীয়রা সাধারণত যেমনটি হয়ে থাকে। ওর চেহারায় কিছুটা পাহাড়ী ছাপ থাকলেও বাঙ্গালী মেয়েদের সাথে অনেকটা মিলে যাওয়ার ফলে প্রথম দর্শনে বাঙ্গালীই মনে হবে। মনে হবে মঙ্গোলীয় চেহারার কোন বাঙ্গালী মেয়ে। কথা বার্তায় অবশ্য একটু ধরা পড়ে। যেমন 'আমি যাব, খাব, করব' ইত্যাদি বলতে গিয়ে সে বলবে - আমি যাবে, খাবে, করবে টাইপের এবং তাছাড়া বাংলা বলতে গিয়ে হালকা জড়তা থেকে ধরা পড়ে সে বাঙ্গালী নয়, বাংলাদেশী উপজাতি। পাহাড়ী হলেও মোটামুটি শিক্ষিত ওর পরিবার। মা স্কুল শিক্ষিকা, বাবা হোমিও ডাক্তার, এক মামা সাংবাদিক। তিন ভাই বোনের মধ্যে সে বড়।

অনুর সাথে আমাদের পরিচয় হয় এভাবে- আমাদের একটি ভাড়া ঘর খালী হবে তাই 'টু লেট' বোর্ড লাগিয়েছি। সন্ধ্যার দিকে এক যুবক এবং যুবতী এলেন ঘর দেখতে। মেয়েটি বোরাকা এবং নেকাব পরা। পরিচয় দিল তারা স্বামী-স্ত্রী এবং আমাদের ঘর পছন্দ হয়েছে তাই এডভান্স করতে চায়। মেয়েটি কথা বার্তা খুব একটা বলছে না। তবে দু'চারটি বাক্য বিনিময়ে আমি বুঝতে পারলাম সে উপজাতিই হবে। আমি যুবকটিকে সরাসরি বললাম, দেখেন ভাই- আমার কেন যেন সন্ধেহ হচ্ছে- আপনার স্বামী-স্ত্রী কি না। ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলবেন? আমার কথা শুনে তারা পরস্পর চোখা চোখি হলো এবং কি যেন একটু ভেবে নিয়ে যুবকটি বললো, ভাইয়া আপনিতো আমার বড় ভাইয়ের মতো। ঘটনাটি আপনার সাথে খুলেই বলি।

অতপর যুবক জানাল, তার নাম লেলিম, সে স্থানীঁয় একটি মার্কেটে রেডিমেড গার্মেন্টস এর ব্যবসা করে। তার স্ত্রীর নাম অনু, সে উপজাতি এবং তার পূর্বের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তারা দু'জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, তবে এখনো অনুষ্ঠান করেনি। আর তাদের বিয়ের ব্যাপারে মা-বাবা জানে কিন্তু আত্নীয় স্বজনকে অনুষ্ঠান করে জানানো হবে। আমি বললাম আপনার মা বাবা সাথে থাকলে এবং আপনারা যে স্বামী-স্ত্রী এর সাক্ষী দিলে ঘর ভাঢ়া দিতে কোন সমস্যা নেই।

তারা আমাদের ভাড়টিয়া হওয়ার পর আমার স্ত্রীকে বললাম, মেয়েটি যেহেতু নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছে, সে যদি বিয়ে করার জন্য কোন রকম নাম ভাঙ্গিয়ে মুসলিম হয় তো ভিন্ন কথা, যদি সে আগ্রহী হয় তাহলে যতটুকু সম্ভব আমাদের ধর্মের উপর কিছু তালিম তরবিয়ত দেয়ার চেষ্টা করো, এবং 'ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা' বইটি পড়তে দিও, ছওয়াব পাবে।

ইতিমধ্যে আমার স্ত্রীর সাথে অনুর বেশ ভাব জমে উঠেছে। আমার স্ত্রীকে সে আপু ডাকে এবং আমার স্ত্রী ওকে ডাকে 'অনু বিবি'। সপ্তাহ খানেক পর জানতে চাইলাম, "তোমার অনু বিবির খবর কি?" খবর যা শুনলাম সত্যিই অবাক হওয়ার মতো। সে জানাল, অনু নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। এবং কিছু ইসলামী বই পত্রও পড়াশুনা করে। কিছু কিছু আধুনিক মেয়ে যেমনটি হয় তেমন কোন উশৃঙ্খলতা নেই ওর চরিত্রে। তবে সেলিম কেবল জুম'য়া এবং দুই ঈদের নামাজী। যথেষ্ট প্রগতিশীল(!) ছিল একসময়। জুময়ার নামাজও পড়তো না।

আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানা হলো, আনু যখন বুঝতে শিখেছে তখন থেকেই ওদের ধর্মের রীতি-নীতি ভাল লাগতো না। তাদের ধর্ম ছাড়া বাকী তিনটি প্রধান ধর্মের উপরও সে চোখ রাখতো। ক্লাস নাইনে ওঠার পর মুসলিম বান্ধবী রীনার নিকট থেকে ওর ধর্মীয় শিক্ষা বইটি নিয়ে মাঝে মধ্যে পড়তো। তখন থেকেই সে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া শুরু করেছে। এবং তার ভাষায়, তখন থেকেই সে পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন শুরু করেছে। পুরুষ বন্ধুদের সাথে বেশী সম্পর্ক ম্যান্টেইন না করা, আজে বাজে আড্ডায় যোগ না দেয়া এবং অনেক সময় মাথায় কাপড় দিতে দেখে সহপাটিদের কেউ কেউ নাকি খোঁচা দিয়ে বলতো, কিরে- তুই শিবিরে জয়েন করেছিস নাকি? ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করতো যেন একজন মুসলিমের সাথে তার বিয়ে হয়।

এস এসসি পাশ করার পর বান্দবী রীনা এবং সে ভর্তি হয় চট্টগ্রাম শহরের একটি নার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে। পাশ করার পর দুই বান্দবী দুইটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজে চাকুরী পেয়ে যায়। থাকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের মহিলা হোস্টেলে। সেলিমের সাথে অনুর পরিচয় হয় জিইসির মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে। এক শুক্রুবার রীনা আর অনু ঠিক করে রেস্টুরেন্টে খাবে। রেস্টুরেন্টে রীনার সাথে দেখা হয় ওর বড় ভাইয়ের বন্ধু সেলিমের। সেলিম নিজেই ওদেরকে আপ্যায়ন করায়। খাওয়া দাওয়া এবং কথাবার্তার ফাঁকে অনুর মধ্যে এক ধরনের রুচিশীলতা এবং ভদ্রতা লক্ষ্য করে ওর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে সেলিম। বিদায়ের পালা, অনুর মোবাইল নাম্বার জানতে চায় সেলিম। অনু খুবই ভদ্রতার সাথে বলে, 'ভাইয়া স্যরি' আমি সাধারণত ছেলেদেরকে মোবাইল নাম্বার দেই না। মোবাইল নাম্বার না দেয়াতে সেলিম একটু নার্ভাস হয়ে বললো, আমাকে খারাপ মানুষ মনে করবেন না কিন্তু। আপনাকে ভাল লেগেছে তাই নাম্বার চেয়েছিলাম। অনু জবাব দিল- কি যে বলেন ভাইয়া, আপনাকে খারাপ মানুষ মনে করলে তো আপানার আপ্যায়নই গ্রহণ করতাম না। ঠিকাছে অন্য সময় হয়ত দেখা হবে, বলে বিদায় নিল ওরা। মোবাইল নাম্বার না দেয়ার কারণে অনুর প্রতি সেলিমের ভাল লাগার মাত্রা অনেক গুন বেড়ে যায়। একজন উপজাতীয় মেয়ে এমন দৃঢ় চরিত্রের হতে পারে তা কল্পনাও করেনি সে।

সেলিমের মতো একজন হ্যন্ডসাম যুবক অনুর যে পছন্দ হয়নি তা নয়। কিন্তু সে ভাবছে হয়ত মোবাইল নাম্বার নিয়ে একটু কথা বার্তা বলে মজা নেবে এই আর কি? কী দরকার। কিন্তু সে যে তার উন্নত চরিত্রগুনে সেলিমের হৃদয়ের মাধ্যখানে স্থান করে নিয়েছে সে কি করে জানবে?

রীনার বড় ভাই বাবর, সেলিমের বন্ধু। বিভিন্ন ব্যস্ততায় অনেকদিন যাবৎ সম্পর্ক বিচ্ছিন সেলিমের সাথে। সেলিম বাবরকে খুঁজে বের করে। রীনা এবং অনুর সাথে জিইসি মোড়ে সাক্ষাত এবং রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ঘটনা বলার পর কোন ভূমিকা ছাড়াই সরাসরি বলে ফেলে অনুকে পছন্দ হওয়ার কথা। রীনার মাধ্যমে বলতে লজ্জা হচ্ছে তাই তার সাহায্য কামনা করছে সে। বাবর বল্ল- অনু খুবই ভদ্র এবং অমায়ীক মেয়ে, ওকে পছন্দ হবেই তো। তবে সে নিজ জাত-ধর্ম ত্যাগ করে তোমার সাথে বিয়েতে রাজী হবে কি না সে বিষয়ে আমার সন্ধেহ হচ্ছে। সেলিমের অনুরোধে বাবর অনুর সাথে কথা বলে দেখার অঙ্গীকার করে সেলিমকে বিদায় করে।

এক ছুটির দিনে রীনার মাধ্যমে অনুকে খবর দেয় বাবর তাদের শহরের বাসায়। সমস্ত দ্বিধা দন্ধ ফেলে দিয়ে বাবর অনুকে বলে, আমি তোমাকে একটি কথা বলব, আশা করি কোন মাইন্ড করবা না, পছন্দ হলে গ্রহণ করবে আর না হলে 'না' বলে দেবে। অনু লজ্জায় জড়সড় হয়ে যায়, সে ভাবে হয়ত বাবর ভাই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে। অনু নিজেকে একটু প্রস্তুত করেনিয়ে বলল, বলুন ভাইয়া কি বলতে চান। অনুকে অবাক করে দিয়ে সেলিমের বিয়ের প্রস্তাব শুনায়। অনু এই প্রস্তাব শুনে যেন বিশ্বাসই করতে চায়নি যে, এমন একজন স্মার্ট ভদ্র মুসলিম যুবক তাকে পছন্দ করে বিয়ে করতে আগ্রহী।

অনু বলল- ভাইয়া, সত্যি কথা হলো- আমার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন ছিল আমি কোন একজন মুসলিমকে বিয়ে করব এবং নিজেও মুসলিম হবো। কোন অভিভাবক ছাড়া ধর্মান্তরীত হলে বিপদে পড়তে হবে তাই ধর্মের সাথে বিয়েকে জড়ালাম। তবে সেলিম সাহেবের সাথে কথা বার্তা বলেই সিদ্ধান্ত নেব। অনুর কথায় বাবর খুবই খুশী হয় এবং সুসংবাদটি সেলিমকে জানায়।

বাবরের মধ্যস্ততায় সেলিমের সাথে অনুর দুই সপ্তাহে প্রায় ৫/৬টি বৈঠক হওয়ার পর তারা পরস্পর বিয়েতে সম্মত হয় এবং কোর্টে এফিডেফিড করে বিয়ে করে ফেলে। অনুর নতুন নাম রাখা হয়- জান্নাতুল ফেরদাউস (অনু)। সেলিমের বড় ভাই সালাম এখনো বিয়ে করেনি, সে আগামী এক বছর পর মধ্য প্রাচ্য প্রবাস থেকে ফিরে এসে বিয়ে করবে। বড় ভাইয়ের সম্মানার্থে ওনার বিয়ের পরই অনুকে ঘরে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। ঘরে তোলার বাকী সময়টুকু অনু চাকুরী করবে এবং হোস্টেলে থাকবে। পরে ইচ্ছে করলে চাকুরী ছেড়ে দেবে।

অনুর মুসলিম হওয়ার সংবাদ পেয়ে ওর প্রতিষ্ঠানের এম বি বি এস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রূপা ওকে নামাজের নিয়ম এবং সূরা কেরাত ইত্যাদি শিক্ষা দিয়েছে। যথা সম্ভব মুসলিম কালচার সম্পর্কেও মোটামোটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে। তখন থেকেই অনু নিয়মিত নামাজ আদায় করে। রূপা ওকে বলেছে তাকে পেয়ে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা খুব খুশী হবে, শ্বশুর বাড়ীতে ওর যথেষ্ট সমাদর হবে ইত্যাদি...। কারণ মুসলিমরা তাদের ধর্মে নবাগতদের যথেষ্ট মূল্যায়ন করে। এসব শুনে অনু শ্বশুর বাড়ীর একটা আনন্দঘন ছবি আঁকে তার হৃদয় পটে। তারপর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে সেলিমের বড় ভাই প্রবাস থেকে আসার।

সেলিমের বড় ভাই প্রবাস থেকে এসে বিয়ে করেছে সপ্তাহ খানেক হলো। সেলিম চেয়েছিল একই দিন অনুষ্ঠান করে অনুকেও ঘরে তুলবে। কিন্তু বাঁধ সেধেছে গ্রামের মাতব্বর এবং মাতব্বরের প্রভাবে গ্রামবাসীরাও। তাদের এক কথা, গ্রামে কোন চাকমা মেয়ে বউ করে আনা যাবে না। বেশী বাড়াবাড়ি করলে সালামের বিয়েও তারা প্রত্যাখ্যান করবে এবং ওদেরকে একঘরে করবে। মাতব্বরকে না জানিয়ে নিজে নিজে বিয়ে করার কারণেই মাতব্বরের এই ফরমান। শেষমেষ বড় ভাইয়ের বিয়ের পর অনুকে ভাড়া ঘরে রাখার জন্যই আমাদের ঘরটা ভাড়া নিয়েছে সেলিম।

ওরা এক বছরেরও বেশী সময় ধরে আমাদের ভাড়া ঘরে আছে। একটি সুন্দর ফুট ফুটে বাচ্চা হয়েছে ওদের। অনু চাকুরী ছেড়েছে অনেক আগে। বাচ্চা লালন পালন আর ঘরসংসার নিয়ে ওর সময় কেটে যায়। কিন্তু হিসাব মিলাতে পারে না রূপার কথার সাথে গ্রামের মাতব্বরের ফতোয়ার। শ্বশুর বাড়ীর সখ অধরাই রয়েগেল অনুর।

এবিষয়টি নিয়ে কথা হয় সেলিমের সাথে। জানতে চাইলাম তাদের গ্রামে তো বেশ কয়েকটি মসজিদ আছে, মসজিদের ইমাম সাহেবরা মাতব্বর এবং গ্রামবাসীকে বুঝাতে পারেন না? এক সময়ের চরম প্রগতিশীল সেলিম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, 'ভাইয়া, এটা আমার পাপের ফল'। জানতে চাইলাম সেটা কিভাবে? সেলিম বলল, এই ইমামদেরকে ব্যবহার করে একসময় অনেক স্বার্থ সিদ্ধি করেছি আমরা। আসলে এসব আলেমদের বেশীর ভাগেরই চাকুরী গ্রামের মাতব্বর এবং মসজিদ কমিটির অজ্ঞ লোকদের হাতে। ওরা যা যেভাবে বলে সেভাবেই করে এসব আলেমরা। ওরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জানাজা, মিলাদ, কোরান খানী, হাঁস-মুরগী-গরু-ছাগল জবেহ্ এবং ফাতেয়া দেয়া ছাড়া বাকী কোন কাজের অধিকার রাখেন না। এমনকি শুক্রুবার জুময়ার নামাজের পূর্বে বাংলায় যে খোৎবা দেয়া হয় সেখানেও কমিটির শিখিয়ে দেয়া কথা প্রচার করতে হয়। আমার বুঝতে বাকী রইলনা যে, এসব আলেমদেরকে দিয়ে গ্রামের মাতব্বর এবং টাউটরা ফতোয়ার নামে সীমা লঙ্ঘন করানোর ফলে ফেঁসে গেলে আলেমকে ফাঁসিয়ে নিজেরা পাড় পেয়ে যায়। এভাবে চরম মূল্য দেয়ার পর সেলিমের বোধোদয় হলো।

অনু হয়ত ঘুনে ধরা সমাজ পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করছে- একদিন এই সমাজ পরিবর্তন হবে, সত্যিকার ইসলামের শিক্ষায় মুসলমানের সমাজ পরিচালিত হবে, সে তার ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে যাবে। অনুর সাথে আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম সেই নির্ভেজাল সমাজের।

বিষয়: বিবিধ

১৭০৩ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

316779
২৫ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৭
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : এই আধুনিক ডিজিটাল যুগে এসেও এসব পচ্ছাদপদতার কারণে সমাজ অন্ধকার তিমিরেই থেকে যাচ্ছে ।
আপনাকে ধন্যবাদ বাস্তব ঘঠনাটি এখানে তুলে ধারার জন্য ।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৪
258089
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : পড়ে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, বাহার ভাই।
316783
২৫ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৪৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনু হয়ত ঘুনে ধরা সমাজ পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করছে- একদিন এই সমাজ পরিবর্তন হবে, সত্যিকার ইসলামের শিক্ষায় মুসলমানের সমাজ পরিচালিত হবে, সে তার ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে যাবে। অনুর সাথে আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম সেই নির্ভেজাল সমাজের।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৬
258090
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ ‘দ্য স্লেভ’ ভাই।
316795
২৫ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ভাইয়া।
আল্লাহ তায়ালা সেলিম ও অনুর ভবিষ্যৎ জীবন আলোময় করুক, জাহেলী সমাজকে সুমতি দান করুক, এটাই কামনা করছি। বাস্তব ঘটনাটি বর্ননার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০১
258091
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু, আবু জান্নাত ভাই।
সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
316799
২৫ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৪২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আদৌ কি হবে এই সমাজের পরিবর্তন?
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০৩
258095
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সমাজের বিবেকবান মানুষেরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে হয়ত কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসতে পারে, যদি আল্লাহ চান।
316811
২৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু স্রদ্ধেয় ভাইয়া। আপনার অনেক সুন্দর মূল্যবান অনুভূতির আলোকে লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।

গ্রামের তথাকথিত আলেম ও গ্রামের মাতব্বররা এবং টাউটরা ফতোয়ার নামে সীমালঙ্ঘনের কারণে গ্রামে গ্রামে ভেসে বেড়াচ্ছে অবিচারের আহাজারিসহ চরম মূল্যের করুণ পরিণতির অবর্ণনীয় দৃশ্য আর হাজারো সেলিম অনুদের বক্ষভেদী দীর্ঘশ্বাস। তাদের খোঁজই বা আমরা কজনে রাখি।

“অনু হয়ত ঘুনে ধরা সমাজ পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করছে- একদিন এই সমাজ পরিবর্তন হবে, সত্যিকার ইসলামের শিক্ষায় মুসলমানের সমাজ পরিচালিত হবে, সে তার ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে যাবে। অনুর সাথে আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম সেই নির্ভেজাল সমাজের”।

আপনার সুন্দর স্বপ্নময় প্রত্যাশ্যার সাথে আমরাও এক বুক আশা নিয়ে সেই সুদিনের জন্য অপেক্ষমাণ।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
258097
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
জ্বি, সমাজের পরিবর্তনের আশায় যত সামান্য প্রচেষ্টা! যার যার অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা অভ্যাহত রাখলে আল্লাহ চাহেন তো পরিবর্ত আসতেও পারে। যেমনটি কিছুটা পরিবর্তন যে ইতোপূর্বে হয়েছে আমাদের শৈশবের এবং বর্তমান অবস্থা তুলনা করলে তা স্পষ্ট হয়।
সর্বোপরি আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যে খুবই অনুপ্রাণীত হলাম। জাযাকিল্লাহ্
316814
২৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মত্ত করিয়া রাখ ইহাদের, উপাসনা আর জপের মাঝে।
খানকা মেজাজ দৃঢ়তর কর,উদাসিন রাখ সকল কাজে।

এই মাতবর শ্রেনির প্রানিরা ইবলিশ এর প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০৩
258104
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ সবুজ ভাই।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
316825
২৫ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:২৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০৪
258107
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : জ্বি ভাই, ভালো লাগলো জেনে আনন্দিত হলাম।
316837
২৫ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
নিমু মাহবুব লিখেছেন : ধ্বংস হোক গ্রামের এসব মাতব্বর ও এলেমলেস আলেমরা
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০৫
258108
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আসলে তাদের মাধ্যমেই সমাজে নানা রকম সমস্যা তৈরী হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে, মাহবুব ভাই।
316867
২৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : প্রায় সব গ্রামেই এমন মাতবররা আজও আছে৷ আর সত্যিই ইমামরা ওদের হাতের পুঁতুল৷এখানেই ইসলাম বাঁধা পড়ে আছে৷ আর শুধু গ্রাম বলি কেন? বাইতুল মকার্রামও ওদের প্রভাব মুক্ত নয়৷ধন্যবাদ৷
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
258109
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ঠি বলেছেন ভাই। বায়তুল মোকাররম এমন কি ঐ যে কিশোরগঞ্জের ঈদ জামাতের ইমাম তিনিও নাস্তিকদের সহযোগী!
১০
316870
২৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:২৪
আফরা লিখেছেন : আল্লাহ অনুর স্বপ্নকে পূরন করুন । আমীন ।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০৮
258110
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আমীন।
১১
316886
২৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৩৬
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি যেনো ভেসে উঠলো এই লিখনীতে! সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন আমাদের সবার কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের শক্তির বড়ই অভাব!

অনুর মতো আমরাও সেই সুন্দর সমাজের প্রতীক্ষায়....
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:১৯
258112
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্,
ঠিক বলেছেন বোন,সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন এবং আকাঙ্খার অভাব নেই আমাদের, কিন্তু শক্তি খুবই সীমিত। আল্লাহ চাহেন তো সীমিত শক্তির মাধ্যমেও কল্যাণ দান করতে পারেন। তাই আমরা আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবো এবং চেষ্টা চালিয়ে যাবো সমাজ পরিবর্তনের। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
১২
316947
২৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৩০
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : এমন সমাস আমি চুখে দেখিনি। আমাদের এলাকায় কয়েকটি চাকমা মেয়ে মুসলিমদের কে বিয়ে করেছে। যদিও চাকমারা একটু জামেলা করেছিল প্রথমে। কিন্তু সকল মসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের কে প্রতিহত করেছে।
কিন্তু এখন দেখি তার উল্টো। খুবই খারাপ লাগল শেষের কথা গুলো।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২৪
258165
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : এখানে গ্রামের মুরুব্বী তথা সর্দার মাতব্বরদেরকে তোষণ না করে নিজের সিদ্ধান্তে বিয়ে করার কারণেই তাদের এ মর্মজ্বালা।
১৩
316986
২৬ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০২
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : এই সমাজটা উইপোকাদের হাতে।
হবেকি পরিবর্তন?
ভালো লাগলো ভাইজান।
২৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২৬
258168
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : পরিবর্তনের চেষ্টাতো চলছে। এখানে আপনি আমি সকলেই সম্পৃক্ত। আল্লাহ চাহেন তো পরিবর্তন একদিন আসবেই।
২৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪৭
258206
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : ইন শা আল্লাহ্‌।
১৪
317553
৩০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:৫৬
আবু জারীর লিখেছেন : আল্লাহ অণুর নেক মকসুদ পুরা করুন।
আমিন।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৫১
258696
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আমিন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File