খেজুরের রাজ্যে আম-জাম-সফেদার দখলদারী!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ২৩ জুলাই, ২০১৪, ০৮:৩০:৫১ রাত
আবুধাবীর ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি মুসাফ্ফাহ্, আসরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখলাম এক বাঙ্গালী ভাই কয়েক কার্টুন আম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রয়ের জন্য। আমাকে দেখে বললেন, ভাই আবুধাবীর আম, খুব মিষ্টি নিয়ে যান এক কার্টুন। ‘আবুধাবীর আম’ বলাতে একটু বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কী ভাই আমার সাথে মশকারা করছ নাকি? পাকা আম আসে ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড আর কেনিয়া থেকে। তুমি ‘আবুধাবী’র আম পাইলা কোথায়?
আমার কথা শুনে ফেরিওয়ালা ভাইটি জবাব দিল, এগুলো সত্যিই আবুধাবীর আম। আপনি খেয়াল করেননি হয়ত, এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দুয়েকটা আম গাছ পাবেন। তাছাড়া পুরা ইউ,এ,ই জুড়ে আমের বাগানও গড়ে উঠেছে অনেক।
তার কথা মতো এক কার্টুন কিনে খেয়ে দেখলাম। সদ্য দেশ থেকে খেয়ে আসা আম্রপালি’র মতোই সু-স্বাধু এ আম।
এবার অনুসন্ধানে লেগে গেলাম। সত্যিই কি আরবদের বাড়ীর আঙ্গিনা খেজুরের স্থান দখলে নিয়েছে আম? তাই তো! প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এক বা একাধিক আম গাছ সোভা পেতে দেখা গেল, যা এতদিন আমার দৃষ্টির অগোছরে ছিল।
শুধু কি আম? সফেদার ফলনতো আরো বেশী।
কালো জামের অবস্থা দেখেন-
আম আর জাম গাছ এভাবে বেড়ে উঠছে-
কলা গাছের তজরুবাও চলছে, আগামীতে হয়ত আবুধাবীর কলাও বাজারে পাওয়া যাবে।
খেজুর, কুল,লেবু....
মরুর দেশ। কাঁটা-গুল্মই মরু-প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বেড়ে ওঠে এখানে। সেই সুবাদে কাঁটা যুক্ত বরই(কুল), লেবু এবং খেজুর আর নাম না জানা কিছু সৌন্দয্য বর্ধক গাছ নজরে আসতো এতদিন। এখন উন্নত পরিচর্জা এবং প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহের মাধ্যমে আম,জাম, সফেদা সহ আরো নানা রকম ফলজ বৃক্ষ এবং সাথে সাথে আমাদের দেশী ভেইয়েরা কচুর লতি থেকে শুরু করে সব ধরনের শব্জি ফলাচ্ছেন এখানে। ড্রেনের পানিকে রি-সাইক্লিং এর মাধ্যমে গাছ এবং বাগানে দেওয়ার জন্য সরবরাহ করা হয়। এই পানি পেয়েই গাছগুলো বেড়ে ওঠে ইচ্ছে মতো।
বিষয়: বিবিধ
২৫৬৫ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি মনে হয় আম গাছের কাছে যেতে পারেন নি , দেওয়ালের বাইরে থেকে তুলেছেন ছবিগুলো।
সম্পূর্ণ অজানা বিষয়ে জানলাম। খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ছবিতে দেশি এত ফলের গাছ একসাথে দেখে খুব ভাল লাগল
আলআইন শহরকে আমি বৃক্ষের শহর বলে থাকি।
যদি সেই দেশে গজায় তা হলে তো তারা আর আমদানি করবেনা আমাদের দেশ থেকে। কিছু কাক,আমের পোকা এবং শাহবাগি সেই দেশে জলদি রফতানি করা দরকার।
তবে যে প্রক্রিয়াতে এই মরুর বুকে সবুজ প্রকৃতির সৃষ্টি করা হচ্ছে তা সত্যিই অবাক করার জন্য।
সত্যিই মরুর দেশ এখন যথেষ্ট সবুজ স্যামল রূপ নিচ্ছে।
গাছ বেঁচে থাকুক আজীবন এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখুক-
মন্তব্য করতে লগইন করুন