শেখ যায়েদ মসজিদ , আবুধাবী : অভূতপূর্ব ইফতারের অভিজ্ঞতা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ১৫ জুলাই, ২০১৪, ০৫:০২:৫৪ বিকাল

শেখ জায়েদ গ্রান্ড মস্ক, আবুধাবী। আয়তন, নির্মাণশৈলী, অভ্যন্তরিন এবং বাহ্যিক সৌন্দর্য্য ইত্যাদি বিবেচনায় একটি অনন্য স্থাপনা এটি।

















রমজানে মাসে এ মসজিদে মুসল্লী এবং ভিসিটরদের জন্য ব্যাপক ইফতারের আয়োজন করা হয় শুনেছি। মুসলিম বিশ্বের প্রায় মসজিদেইতো ইফতারীর আয়োজন থাকে কম-বেশী। এখানে না হয় একটু বেশীই আয়োজন করা হয়, এই আর কি।

বেশ কয়েক বছর যাবত রমযান মাস দেশে অবস্থান করে আসছি। যে কারণে সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। এবার বিশেষ ব্যবসায়িক প্রয়োজনে পঞ্চম রমজানেই আবুধাবী চলে আসতে হলো। এই সুযোগে সরাসরি দেখতে গেলাম ইফতারী কেমনে কি।

আবিশ্বাস্য এক ইফতারীর আয়োজন। নিজের চোখে না দেখে কারো শোনা কথাকে নেহায়েত গাল-গল্পই মনে হতো। কয়েকশ বা দুয়েক হাজার নয়, ১৬ থেকে ২০ হাজার মানুষের জন্য ইফতারীর আয়োজন করা হয় দৈনিক।

এরকম শিতাপত নিয়ন্ত্রিত তাবু আছে চৌদ্দটি, যার প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ১০০০ জন। লোকজন তাবুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে-









তাবুতে গিয়ে এভাবে বসে পরেন ইফতারের মেহমানগণ :









টেন্ট ছাড়া খোলা গার্ডেনেও বসানো হয়, টেন্ট হাউজফুল হয়ে যাওয়ার পর্।











মসজিদের নিচে এবং চথুর্দিকে রয়েছে অসংখ্য পার্কিং স্পেস।



বিভিন্ন লেভার কেম্প থেকে শ্রমিক বহন করে আনা গাড়ি দূরে পার্ক করা হয়েছে।





আমি পর পর দু’দিন ইফতার করেছি ওখানে। ইফতারি পরিবেশন এভাবে-







প্রথম দিনের পরিবেশন : এক বোতল মিনারেল ওয়াটার, একটি জুস, একটি লাবান আপ, সালাদ, খেজুর, প্রায় ১২০০ গ্রাম চিকেনের অর্ধেক দিয়ে বিরিয়ানী এবং এক বাটি সব্জী। আমি সবটুকু খেতে পারিনি আবার লজ্জার কারণে নিয়েও আসতে পারিনি। তাই অর্ধেক খেয়ে বাকীটা রেখে আসতে হয়েছে।





দ্বিতীয় দিনের পরিবেশনা ছিল মাটন বিরিয়ানীর সাথে অন্য আইটেম প্রথম দিনের মতো।



মাটন বিরিয়ানী আমার খুব প্রিয়। তাছাড়া প্রথম দিন অর্ধেক রেখে দিয়ে অপচয় করার কারণে খারাপ লাগছিল। তাই লজ্জা না করে এইটুকু খেয়ে বাকীটা নিয়ে আসলাম।



লোকেরা এক বৈঠকে এতটা খাবার খেতে পারেন না। তাই প্রায় সকলেই নিয়ে যান। এ খাবারে ইফতার হয়ে সেহেরী ও খাওয়া যায়। এভাবে লোকেরা নিয়ে যান-



মসজিদের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে এসব বাহন।





সার্বক্ষণিক ফায়ার ব্রিগেড ইউনিট, এম্বুলেন্স ও ওয়েস্ট ম্যানেজম্যান্ট গাড়ী মওজুদ রাখা হয়।







এতসব আয়োজন দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগলো- তারাতো এই লক্ষ লক্ষ টাকা ইফতারির পিছনে না ঢেলে ফিলিস্তিন এবং বিশ্বের আরো আরো ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমানদের জন্য খরছ করতে পারতো। যেখানে ফিলিস্তিনি ‍মুসলিমরা বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হচ্ছে সেখানে তাদের ইফতারী বিলাস অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি নয় কি?

মাগরিবের নামাজের পর মিশুক টাইপের একজন দায়িত্বশীল গোছের লোকের সাথে পরিচিত হয়ে সালাম দোয়া বিনিময়ের পর আমার উপরোক্ত দু’টো প্রশ্ন রেখেছিলাম তার নিকট।

জবাবে ভদ্রলোক বললেন, শেখ যায়েদের অর্থ সাহায্য পৌঁছেনি- দুনিয়াতে এমন মুসলিম জনপদ বিরল। তোমার নলেজে আছে কি না জানি না, তোমাদের বাংলাদেশও বাদ যায়নি। শেখের মৃত্যুর পর তাঁর নামে যে ফাউন্ডেশন তা থেকে নিয়মিত সাহায্য চলে যাচ্ছে যায়গামতো। ফিলিস্তিনে নির্যাতিতদের জন্য প্রত্যেক মুসলিমেরই দরদ আছে, তাই বলে কেউ কি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে? ফিলিস্তিন বাদ দাও- তুমি বা আমি যদি মরে যাই তা স্বাভাবিক হোক অথবা অস্বাভাবিক পন্থায় তখন আমাদের পরিবারের লোকজন কি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেবে? - এসব সমালোচনাকারীদের বেহুদা বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা মাত্র। ভেবে দেখলাম ভদ্র লোকের যুক্তি ফেলে দেয়ার মতো নয়।

বিষয়: বিবিধ

৩০৩৩ বার পঠিত, ৯১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

244880
১৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:০৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আমার ও ইচ্ছে আছে একদিনে শেখ যায়েদ মসজিদে ইফতার করার সুধু তার সুন্দর্য দেখার লক্ষে। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করায়।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫২
190292
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনার দাওয়াত রহিল। আমি হয়ত ঈদ ইউএইতেই করবো। আশা করি দেখা হবে।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৩৫
190306
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আর যদি না আসি ইনশা আল্লহ ঈদের পর দেশে দেখা হবে
১৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
190406
সান বাংলা লিখেছেন : আস্ সালামু আলাইকুম,
শাহীন ভাই চলে আসেন একদিন!
লোকমান ভাই এবং আমার এখান থেকে খুব কাছেই শেখ যায়েদ মসজিদ।
আমি আগে একবার গিয়েছিলাম আপনি আসলে সবাই মিলে আরেকবার যাব!
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
190410
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ইনশা আল্লাহ্!
244882
১৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫২
190294
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : দুষ্টু ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
244901
১৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
সাদাচোখে লিখেছেন : পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট কাজ করার পর, সবচাইতে ইভিল কাজ টা করার পর ও - একজন ফাউল লোক একটা যুক্তি দাঁড় করাতে পারবেন।

যেখানে নবীজির সঃ অভুক্ত প্রতিবেশীর সাথে ওনার উন্মতের সম্পর্ক পরিষ্কার ভাবে বলেছেন - সেখানে অপচয় করার পর তার পক্ষে যুক্তি দেওয়া - নিতান্তই অভুক্ত থাকলে - ওনার উন্মত হতে পারেন না
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
190417
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : যেখানে নবীজির সঃ অভুক্ত প্রতিবেশীর সাথে ওনার উন্মতের সম্পর্ক পরিষ্কার ভাবে বলেছেন - সেখানে অপচয় করার পর তার পক্ষে যুক্তি দেওয়া - নিতান্তই অভুক্ত থাকলে - ওনার উন্মত হতে পারেন না ধন্যবাদ, ওরাতো ভাই অভুক্ত প্রতিবেশীকে খাওয়াচ্ছেন। শুধু এই মসজিদ নয়, প্রত্যেক শেখের বাড়ী থেকে যথেষ্ট পরিমানে খাবার সরবরাহ করে থাকেন প্রতিদিন। এতে করে গরীব শ্রমিক ভাইয়েরা যেমন খাবারের খরচটা সঞ্চয় করতে পারছেন তেমনি তুলনামূলক উন্নত খাবারও খেতে পারছেন। ধন্যবাদ আবারও।
244902
১৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৫১
সাদাচোখে লিখেছেন : নিতান্তই অমন যুক্তির মত - ঠিক যেমনটা ইসরাইল গাঁজা বাসীদের নিধনের জন্য দেয়, ঠিক যেমন আমেরিকা ইরাক ধ্বংশের জন্য দেয়, ঠিক তেমনই যেমন হাসিনা জামাত/শিবিরকে নিয়ে দেয়, ঠিক তেমনই যেমনটা শামীম ওসমান ত্বকী হত্যার পরে দেয়।
এ্যানী ওয়ে আপনি কষ্ট করে শেয়ার করেছেন বলে আমরা ঐ দেশের মানুষ ও তাদের খাবার সম্পর্কে জানতে পারলাম। আশা করি আল্লাহ ওনাদের বুঝ/জ্ঞান দেবেন এবং ওনাদের ক্ষমা করবেন।
১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৪৬
190325
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ওরাতো খাদ্যগুলো ফেলে দিচ্ছেন না। লোকজনকে খাওয়াচ্ছেন তাও নিজেদের দেশের লোক হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র, সব বিদেশীকেই খাওয়াচ্ছেন।
ধন্যবাদ।
১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:৪৩
190336
সাদাচোখে লিখেছেন : লোকমান ভাই, আপনার মনে প্রথম যে প্রশ্ন এলো - তা কোথা থেকে এলো? আপনি কি মনে করেন না আপনার মধ্যস্থিত ইসলামের জ্ঞান ও বিবেক আপনাকে সে প্রশ্ন সমূহের উদ্রেক করেছে,

এতসব আয়োজন দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগলো- তারাতো এই লক্ষ লক্ষ টাকা ইফতারির পিছনে না ঢেলে ফিলিস্তিন এবং বিশ্বের আরো আরো ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমানদের জন্য খরছ করতে পারতো। যেখানে ফিলিস্তিনি ‍মুসলিমরা বুলেটের আঘাতে ঝাঁঝরা হচ্ছে সেখানে তাদের ইফতারী বিলাস অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি নয় কি?

কিন্তু ঐ ভদ্রলোক যে যুক্তিতে ডিফেন্ড করেছে - তা কি আপনার মনে হয়না ইভিল?

আপনি কি এই নিউজ পড়েন নি, খোদ মক্কার মেয়র বলছেন - মক্কাবাসীরা ইফতারে ২৫% খাবার অপচয় করছে?
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
190414
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : প্রিয় ভাই ‘সাদাচোখে’, মানবতা এবং ইসলামের প্রতি আপনার দরদ নিঃসন্দেহে খুব ভালো লক্ষণ।
একটি জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, আরেকজনের প্রতি আঙ্গুলি নির্দেশ করার সময় একটি আঙ্গুল ওদিকে আর তিনটি আপনার দিকে নির্দেশ করে।
তাই বলছি অপচয়ের কারণে ওরা যাদ ইভিল হয়ে থাকে তাহলে আমরা ডাবল ইবিল। কেন, কিভাবে?
ওরা খাওয়াচ্ছে ঘোষণা দিয়ে তাই লোকেরা ওভাবে প্রস্তুতি নিয়ে (নিজেরা পাক না করে) যাচ্ছেন। আমাদের দেশের একটি উদাহরণ দেই? আমরা ঘরে ইফতারী তৈরী করে সাজিয়ে বসেছি, ঠিক সে মুহুর্তে এক আত্মীয় বেয়াইর বাড়ী থেকে পাঠানো অনেকগুলো ইফতারী নিয়ে হাজির। শেষ পর্যন্ত ডাস্টবিনে স্থান হয়ে এসবের। উদাহরন দিতে গেলে এভাবে অনেক দেয়া যাবে।
আমি জানিনা আপনি কোন দেশে আছেন। আমি বিগত দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে আরব দেশে আছি, আমাদের তুলনায় আমি তাদেরকে ‘িইভল’ বলবো না। ধন্যবাদ।
১৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
190488
সাদাচোখে লিখেছেন : আমি দুঃখিত।

আপনি যথার্থই সঠিক বিচার ও বিশ্লেষন করেছেন।

রমজানুল মোবারক।
১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:০৬
190518
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ফি আমানিল্লাহ্! রমাদ্বানুল মুবারক।
244910
১৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের দেশে মসজিদে ইফতারির আয়োজন অনেকটাই মানুষের দান এর উপর নির্ভরশিল। বেশিরভাগ মসজিদেই সামান্য বুট কিছুটা মুরি এক-দুই পিস পিয়াজু আর জিলাপির বেশি আয়োজন করা সম্ভব হয়না। অথচ পেট ভরে একজন এর পিছনে ইফতারির খরচ ৫০ টাকাও না।এই পরিমান টাকা ব্যায়ে সক্ষম মানুষ এই দেশে অনেকেই আছেন। তারা ৪-৫ হাজার টাকা দিয়ে ঈদে শারি-পাঞ্জাবি কিনেন কিন্তু এই ব্যায় করেননা।
ফিলিস্তিন নিয়ে আপনার প্রশ্নের সত্যিই যেীক্তিক উত্তর দিয়েছেন তিনি। যতটুক জানি এই সময় আরব দেশে অনেক শ্রমিক ভাই এই ধরনে মসজিদে ইফতারি করে কিছু টাকা সাশ্রয় করেন যা তারা ঈদের জন্য নিজেদের বাড়িতে পাঠান। এটাও তো একটি উপকার্।
১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৫৬
190330
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ সুবজ ভাই। আপনার সাথে একমত।
244931
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:০৮
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
ভালো লাগলো। সুন্দর শেয়ার। Rose Rose

"হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর ও অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না।" (আল-কুরআন-৭, আয়াত-৩১)

১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৫৮
190331
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে।
244956
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:০৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : Thank you for sharing all wonderful experience with beautiful photographs. Jajakalla khairan.
১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:১২
190332
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
245033
১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৪২
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : সুন্দর মসজিদ। ওরা যেমন দান করে তেমনি অপচয়ও করে। ভাল লাগল আপনাদের ইফতারের আয়োজন।
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
190415
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওরা দানও করে আবার অপচয়ও করে।
আমরা দান করি কম কিন্তু অপচয় করি সে তুলনায় বেশী।
245111
১৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:২১
রাইয়ান লিখেছেন : ইফতারির সুন্দর ও গোছানো আয়োজনটি দেখে ভালো লাগলো। আর মসজিদটির স্থাপত্য সৌন্দর্য আসলেই মুগ্ধ করার মত। আপনাকে ধন্যবাদ , সুন্দর বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য !
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
190418
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট উপহার দেয়ার জন্য।
১০
245115
১৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:১০
ইমরান ভাই লিখেছেন : খাও এবং পান করো, কিন্তু অপচয় কোরো না। জাজাকাল্লাহু খায়রান।
গোপনে অনেকেই দান করে কিন্তু কাউকে বলে না। এরাই সবথেকে ভালো মানুষ।
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:০৫
190421
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সত্যি বলতে কি পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম জাহানে যথেষ্ট অপচয় হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এই যে বাহারি ইফতারের আয়োজন, রমাদ্বান মানেই যেন বাহারি আহার। এই ট্রেন্ড থেকে বের হওয়ার কোন পথ দেখছিনা আপাতত, তবে আমি ব্যক্তিগত ভাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি ইফতারের পর অতিরিক্ত না খেতে। ধন্যবাদ।
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
190436
ইমরান ভাই লিখেছেন : সত্যি বলতে ভাইজান। যারা প্রাকটিসিং ‍মুসলিম তারা কখনই বেশি খায়না। যারা সিজেনাল তারাই বেশি খায়। Love Struck Love Struck
১১
245139
১৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:২২
আহমদ মুসা লিখেছেন : দারুণ সুন্দর একটি পোস্ট। খুবই ভাল লেগেছে। একজন রোজাদারের জন্য যে পরিমান ইফতারীর খরচ বা আয়োজন করা দরকার তার চেয়েও বেশী খরচ করা হচ্ছে এ ইফতারীতে। এটি নিঃসন্দেহে অপচয়ের নামান্তর। যে ভদ্রলোকটি শেখ জায়েদের পক্ষাবলম্বন করে যুক্তি দিয়েছে তার সাথে একমত হওয়ার সুযোগ নেই। পৃথিবীতে বর্তমানে দারিদ্র সীমার নীচে অবস্থান করছে অধিকাংশ মুসলমান। মুষ্টিমেয় তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের হাতে কুক্ষিগত রয়েছে অটেল সম্পদ। তাদের এসব সম্পদের বেশীর ভাগই বিভিন্ন চল চাতুরীর মাধ্যমে ভোগ করছে পশ্চিমা নাসারা এবং ইয়াহুদীরা। অথচ আল্লাহ প্রদত্ব এসব খনিজ সম্পদের দ্বারা তারা ইসলাম ও মুসলমানদের অথবা ইসলামী ফিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে ব্যয় করতে পারতো। শুধু ইফতারীর ক্ষেত্রেই তাদের অপচয়ের সীমাবদ্ধতা নেই। বর্তমান পৃথিবীতে আমোদ ফূর্তি এবং সীমাহীন অপচয়ের সাথে বিলাসীতা করার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছে আরব আমিরাতে। একটি হাদিসও আছে কেয়ামতের পূর্বে মানুষ আকাশচুম্বী ইমারত নির্মাণ করবে। অথচ মুসলমানরা এসব ভবিষ্যৎবাণী জানার পরেও নিজেরাই এসব অসুস্থ প্রতিযোগীতায় এগিয়ে আছে অন্যন্যা জাতির তুলনায়। গোটা দুনিয়ার মুসলিম জাতি এক ও অভিন্ন। উম্মাহর কোন অংশ বা অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ অথবা বিপদের সম্মুখীন হলে গোটা মুসলিম উম্মাহ যেখানে পেরেশানীতে থাকার কথা। যেখানে সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে আসার কথা সেখানে আজ আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? বার্মা, চীন (উইগুর মুসলমানদের কথা বলছি)ভারতের গুজরাট, কাশ্মীর, আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, রাশিয়া, পাকিস্তানসহ কোথায় মুসলিম উম্মাহ সামগ্রিকভাবে সমস্যায় নেই? ফিলিস্তিনের কথা আমি উল্লেখ করছি না যেহেতু আপনি প্রসংগটি উল্লেখ করেছেন।
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৩০
190422
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনার জ্ঞান-গর্ব কমেন্টের জন্য। তবে এক এমারতের পক্ষে তো সম্ভব নয় পুরা মুসলিম জাহান সামাল দেয়া। ওনারা ইসলামী খেলাফতের পক্ষে নন, যেমনটি আমাদের সরকারও রাষ্ট্র। তারপরও তারা আমাদের সরকারের চেয়ে এগিয়ে।
যেখানে আপনার সরকার আপনার প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার তালে আছে সেখানে শেখ জায়েদ ফাউন্ডেশন কি করেছে একটু খোঁজ-খবর নিয়ে দেখুন।(বিশেষ কারণে এখানে লিঙ্ক দিলাম না)এভাবে বিশ্বের প্রতিটি ‍মুসলিম জনপদে এরা সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। আমরা জানি না বলেই হয়ত সমালোচনা বেশী করে ফেলি।
ওরা শুধু এই মসজিদ ভিত্তিক নয়, সব শেখরাই রমজান এবং অন্য সময়ও বেশী বেশী খাবার দান করেন। এতে গরীব শ্রমিকদের বেশ উপকার হয়। আমিতো প্রাক্টিক্যল সাক্ষি। ধন্যবাদ।
১২
245145
১৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
সান বাংলা লিখেছেন : আস্ সালামু আলাইকুম,
আপনি ব্যাবসায়ী মানুষ কাছে থেকেও অনেক দুরে।
লোকমান ভাই অবসর পেলে চলে আসেন একদিন ইফতার করি আপনার সাথে।
১৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
190423
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ জিয়া ভাই, বরং আপনিই আসুন। আমার দোকান আপনাকে চিনিয়েছিলাম? ৬ নাম্বার টেক্সী স্ট্যন্ডেএর সাথে।
আপনার ডিউটি কয়টা থেকে কয়টা?
১৩
245409
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৫১
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন, মুহতারাম লোকমান ভাই? চিনতে পেরেছেন হয়তো। দেখা হয়েছিল চট্টগ্রামে দরজা মেলা, চট্টগ্রাম।

চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শেষ দিকে ভদ্রলোকের যুক্তিটি আমারও যুক্তি। যারা এসব প্রশ্ন উত্থাপন করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেটা উদ্দেশ্যমূলক, মুসলিমদের প্রতি আন্তরিকতার কারণে নয়। রোজাদারদের উত্তমরূপে ইফতার করানো নিঃসন্দেহে অতি সাওয়াবের কাজ।
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৩০
190630
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : জ্বি ভাই চিনেছি। স্মরণ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ওনারে লোকজনকে খাওয়াচ্ছেন, তাতে যারা উদ্দেশ্যমূলকভাকে বেজার, না খাওয়ালেও তারা এজন্য বেজার হতেন যে, ‘এমন ধনী দেশের লোকেরা ভীষণ কৃপন, রমজান মাসেও মানুষকে খাওয়া না’।

তাদের অপচয়, ভালো-মন্দ ইত্যাদির জন্য তারাই জবাব দিহি করবেন।
১৪
245414
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:২০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার লেখার যে পর্যায়ে এসে খাসির বিরিয়ানি দেখলাম,সেসময় নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। আর আল্লাহও রহম করলেন, মানে হঠাৎ ঘরি দেখলাম ইফতারির মাত্র ৩ মিনিট বাকী। যা খেলাম ভালই...কিন্তু যে ছবি দিলেন,তা না খেলে মন মানে কিভাবে ???
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
190621
গ্যাঞ্জাম খান লিখেছেন : শেখ জায়েদ ফাউন্ডেশনের ভাগ্য ভাল বলতে হবে এই বাঙ্গাল খাদকডারে দাওয়াত দেয়নি।
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৩৪
190633
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ঐ দিন ইফতার করতে বসে কেন যেন আপনার কথাই মনে পড়েছিল। এ নিয়ে পোস্ট দিলে এবং তা আপনার দৃষ্টিগোছর হলে একটা রসালো মন্তব্য আসবে খাবার সম্পর্কে। ঠিক তাই হলো Happy ধন্যবাদ এবং আবুধাবীতে দাওয়াত রহিল।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৪৭
190752
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি না আগে জেদ্দাবাসী নামে লিখতেন ?? আল্লাহ চাহে তো দেখা হবে। তবে আমি কিন্তু তেমন খাইনাRolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor আগের মত রুচী নেই
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
190840
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : না ভাই, আমি জেদ্দাবাসী নই। আমি আবুফয়সাল নামে লিখতাম একসময়।
১৫
245417
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : প্রশ্নটা তখন বেশী শোভা পায়, যখন নিজে কম খেয়ে হলেও কিছু টাকা অভাবীদের জন্য দান করে । যেমন আপনি সে মসজিদে দু'দিন ইফতার খেলেন, তো সে দু'দিনের ইফতারীর টাকাটা আপনি কোন অভাবীকে দিয়ে দিতে পারেন ।
মুসলিম মিলম মেলা সবসময় ভাল লাগে, তাই আপনার পোষ্ট অনেক ভাল লাগল ।
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
190694
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : পোস্ট পড়ে উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মোহাম্মদ নূর উদ্দীন ভাই।
যদি আপনার কম থাকে বা না থাকে তখনই প্রশ্ন দেখা দেয় না খেয়ে বা কম খেয়ে দান করার। আর যখন আপনার নিকট পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে তখন না খেয়ে দান করার কোন প্রয়োজন হয় না।
দান করা শুধু নয়, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেছেন নিজেন পরিবার পরিজনকে যা খাওয়ানো পরানো হয় তাও ছাদাকা স্বরূপ। তিনি এটি বুঝাতে গিয়ে বলেছেন, মসুলমানেরা মূসা’র(আঃ) মায়ের মতো। অর্থাৎ মূসা’র(আঃ) মা নিজ সন্তানকে দুধ পান করিয়ে ফেরাউনের নিকট থেকে ভাতা পেয়েছিলেন ঠিক তেমনি মুসলমানেরা তাদের অধিনস্তদেরকে খাওয়া পারা দিয়েও সাদাকার সওয়াব পায়, যদিও তা তাদের কর্তব্য ছিল।
দোয়া করবেন যেন আপনার কাঙ্খিত দাতা হতে পারি।
১৬
245421
১৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:৩২
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অভিনন্দন ও কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এই সুন্দর পোষ্টটিকে ষ্টিকি করার জন্য। অনেক দিন আমি ব্লগে অনিয়মিত। আপনার পোষ্টটি দেখে লগইন করতে বাধ্য হলাম, নতুবা আপনার উপর অন্যায় হয়ে যাবার ভয় ছিল।

আমার বাচ্চার পিড়াপিড়ীতে দুবার সেখানে সস্ত্রীক ইফতার করার সুযোগ হয়েছিল! ইফতারী গুলো পাঁচ তারা হোটেল থেকে আনা হয়েছিল। অবশ্যই এসব ইফতারীর বাজার মূল্য অনেক বেশী। উৎকৃষ্ট, উন্নত মান সম্পন্ন ও সুস্বাধু এসব ইফতারী প্রতিবছর হাজার হাজার, মাস শেষে তা কয়েক লক্ষ রোজাদারকে খাওয়ানো হয়।

ওদিকে সাধারণ মসজিদ গুলোতেও আরবী বসবাস কারীরা ও দামী ইফতারী পাঠিয়ে থাকে। তারা ইফতারী সরবরাহে মোটেও কার্পন্য করেনা। তবে যেসব এলাকাতে ব্যাচেলর থাকে সেখানে ইফতারীর স্বল্পতা লেগেই থাকে। আর যেসব এলাকায় ব্যাচেলর বসবাস করে সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ কমই থাকে।

যে ধরনের ইফতারী পরিবেশন করা হয়, বাংলাদেশের মেজবান কিংবা জাতীয় নেতাদের কাঙ্গালী ভোজের খাদ্যের চেয়ে এসবের পরিমান অনেক বেশী। ইফতারীর অর্থ এভাবে উদর পুর্তি করে, পেটকে ডোল বানানো নয়। পরিমানে কম হউক, সবাই যদি এসব ইফতারীর ভাগিদার হত, তবে অনেক কল্যাণকর হত।

ক্বাবার ইমাম জনাব সুদাইসের এক লাইভ টিভি সাক্ষাৎকারে আফ্রিকা থেকে একজন রোজাদারের ফোন আসে। তিনি প্রশ্ন করেন, তাদের এলাকাতে পানি ও খাদ্য নাই। যে সব পানি পাওয়া যায় সেসব বিস্বাদ। দুই তিন দিন পর হয়ত এক বেলা সামান্য খাবার জুঠে। তার প্রশ্ন ছিল, খাদ্যের অভাবে তারা সেহেরীতে কিছু না খেয়ে অবিরত রোজা রাখে, এই উপোষ রোজা কবুল হবে কিনা?

সুদাইস কান্নার জ্বালায় কথার উত্তর দিতে পারছিলেন না। কেননা দর্শকেরা বুঝে গিয়েছে তিনি কেন কান্না করছেন।

রোজার অর্থ শুধু ইফতারীতেই রোজাদারকে ভাল করে খানা খাওয়ানোর মাঝে সীমাবদ্ধ নয়, পুরো জীবনভর এটাকে অব্যাহত রাখতে হয়, তাহলেই কল্যান। সে জন্য দরদী কবি কাজি নজরুল ইসলাম তার সেই ঐতিহাসিক গানের শেষ চরণে তা তুলে এনেছিলেন এভাবে,

'যারা সারা জীবন রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী
সে গরীব ইয়াতিম মিসকিনে দে যা কিছু মফিদ'

ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ।
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৪৬
190639
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ টিপু ভাই।

আমাদের মুসলিম সমাজে রমাদ্বানকে ‘ইটিং কনটেন্ট’বানানো হয়েছে। এখান থেকে উত্তোরণের কোন পথই খোলা দেখছি না, একমাত্র দুর্ভিক্ষ ছাড়া- যা আবার কামনাই করতে পারছি না ৭৪ স্বচক্ষে দেখার কারণে।
আর যাই হোক, ওনারা খাওয়াচ্ছেন বলে কিছু লোক অবশ্যই উপকৃত হচ্ছেন। আর না খাওয়ালেও সমালোচনা হতো ’ধনী কৃপণ’ বলে।
ভালো থাকুন এবং বেড়াতে আসুন একবার। Happy
১৭
245440
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:২১
সন্ধাতারা লিখেছেন : Congratulations in sticky post lokman vhaiya. Rose Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Rose
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
190641
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : অভিনন্দন জানানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮
245452
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:৩১
রঙের মানুষ লিখেছেন : মসজিদ তো অনেক সুন্দর। ভালো লাগল।
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
190695
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : জ্বি, মসজিদটি খুবই সুন্দর। ভালো লাগলো জেনে খুশী হলাম। এবং আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৯
245462
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৪
সুশীল লিখেছেন : সন্ধাতারা লিখেছেন : Congratulations in sticky post lokman vhaiya.
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
190696
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুশীল ভাই।
২০
245464
১৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : হৃদয় ও চোখ জুড়ানো মসজিদ সাথে জনসাধারণের জন্য ইফতারির আয়োজন সত্যিই প্রসংশনীয়! স্বদেশে তো সামান্য ছোলা ও মুড়ি দিতে কার্পন্য করা হয় সেখানে বিশাল আয়োজন সত্যিই মনোমুগ্ধকর! যাযাকাল্লাহ আপনাকে
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
190697
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : জ্বি খুবই সুন্দর মসজিদটি। মসজিদ নির্মান করে অজশ্র টাকা খরছ করার কারণে কেউ কেউ সমালোচনা করলেও আমার নিকট খুব ভালো লাগে। মসজিদ তৈরী না করে এ টাকয় তো খারাপ কিছুও করতে পারতেন।
দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকার ইফতারী খাওয়ানো তাদের বদান্যতা, আমি মনে করি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২১
245489
১৭ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৪১
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : অনেক শুনেছি এই মসজিদের কথা। আজ আপনার বদ্যনতায় মনে হল নিজেই ইফতার করছি। আমরা মদিনা বা মক্কাতে এমন করে থাকি।
যে প্রশ্ন তুলেছেন এবং আপনি যুক্ত বলছেন - আমি মানতে পারছিনা।
ফিলিস্তিন সমস্যাটা কারা তৈরী করেছে? মধ্যপ্রাচ্যের রাজারা কি তাদের দ্বায় এড়াতে পারবে।
যাই হউক আমার বিশ্বাস আপনার মন্তব্য আরো পরিস্কার হত। যদি মন্তব্য করেন নি। মোবারকবাদ।
১৭ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
190699
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আলহামদু লিল্লাহ্! পবিত্র হারামাইনে শরীফাইনে আমারও ইফতার করার সৌভাগ্য হয়েছিল সপরিবারে। মসজিদে হারামাইন এবং আকসার সাথে দুনিয়ার অন্য কোন মসজিদের তুলনা হয় না, তা যত বড় আর যৌলশপূর্ণ হোকনা কেন।

্আসলে প্রশ্নাটা ছিল ইফতারিতে এত টাকা খরচ না করে তা ওখানে দান করা উচিৎ কি না? জবাবটা ছিল- ইফতারী যাদেরকে খাওয়ানো হচ্ছে তারাওতো মানুষ এবং এখানে দরিদ্রও আছে। সেখানেতো অন্য ফান্ড থেকে দেওয়া হচ্ছে, এদের রিজিক ওদেরকে দেব কেন? (আপনি অবশ্যই অবগত আছেন অনেক প্রবাসী শ্রমিক দু’চার টাকা বাঁচানোর জন্য টোকাইর মতো পেপসির ডাব্বা টোকায় আরবের রাস্তায় রাস্তায়। ইফতারী এবং সেহেরী যদি এসব শ্রমিকরা বেলাশ পায় তা তাদের জন্য লাভ নয় কি?
এখন আসুন ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে। আমি বলবো ফিলিস্তিন সমস্যা ফিলিস্তিনিরা নিজেরাই তৈরী করেছে- চড়া দামে ইহুদিদের নিকট যায়াগা বিক্রয় করে। পরে তারা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মতো জেঁকে বসেছে।

মুসলমানদের মধ্যে আরব অনারব বলে কোন পার্টিশন নেই। অর্থাৎ আরব মুসলিমের জন্য শরীয়তের যে হুকুম অনারব মুসলিমের জন্যও সে হুকুম। তাহলে এখন বলুন- ফিলিস্তিন সমস্যার জন্য শুধু আরবরা দায়ি হবেন আর আমরা হবো না, কেন?
তবে হ্যাঁ যেহেতু ফিলিস্তিন আরবের অংশ সে হিসেবে আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনিদেরকে যথেষ্ট আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন। তার মজা বুঝেছিল ‍কুয়েত, যখন সাদ্দাম কুয়েত আক্রমন করে তখন সে আশ্রিত ফিলিস্তিনিরা নিমকহারামী করে সাদ্দামের পক্ষ নেয়। বিষয়টি কত অমানবিক একটু ভেবে দেখুন।
ফিলিস্তিনে হামাসের উত্তানের পরেই অভ্যন্তরীন আন্দোলনে জোয়ার আসে। আরবরা কিন্তু হামাসকে সুবিধা দিতে নারাজ, যেহেত হামাস ইসলামী হুকুমত চায়, শেখ এবং বাদশাহ শাসিত দেশগুলো ইসলামী শাসনের পক্ষে নয়, তাই তারা হামাস বিরোধীদের সাথে যোগাযোগ রেখে সাহায্য করছেন।
বাস্তবতা হলো- মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যদি ইসলামের পক্ষে থাকতো তাহলে এতদিনে ফিলিস্তিন মুক্ত হয়ে যেত হয়ত। ধন্যবাদ।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
190875
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই। প্রথমতঃ মসজিদ ও ইফতারী নিয়ে সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। মসজিদ ঘিরে কিছু স্মৃতি আমারো আছে, ছবিও আছে। তাই পাঠে আগ্রহটা বেশীই ছিল। আরব শেখদের অপচয় দেখার দূর্ভাগ্য আমারো আছে। বিশেষতঃ শেখ মোবারক আল নাহিয়ানের প্রাসাদে একদিন লাঞ্চ খেতে গিয়ে স্বচক্ষে দেখেছি। আমি ভাই কোন ধরণের অপচয়কেই প্রশ্রয় দেয়ার পক্ষপাতি নই, সেটা নিজ দেশের হোক কিবা বিদেশের হোক। তারা আরো ভালোভাবে ব্যাপারটা ম্যানেজ করে এ আয়োজনের থেকে অর্ধেক অর্থও যদি বাঁচাতে চায় সেটা সম্ভব ছিল (যা কোটির ঘরে হতে পারে) এবং সেটা আরো বেশী উন্নয়ণশীল ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারতো। ফিলিস্তিন সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যের সাথে আমিও সহমত। এরা ইসলামী বা শরীয়তী শাসন চায়না বলেই হামাসকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু একদিন আসবে যেদিন ইসলামের সাথে এই মুনাফেকির শাস্তি কড়ায় গন্ডায় পেতে হবে তাদেরকে। আমেরিকার পদলেহন করে আর কতকাল চলবে, বলেন? এই আমেরিকাই একদিন লাত্থি মেরে দূরে ফেলে দিবে। ইরাকের সাদ্দাম, ওসামা বিন লাদেন গং এসবের জ্বলন্ত সাক্ষী। ওরা পাক কালামের স্পষ্ট নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে বিধর্মীর সাথে গলায় গলায় ভাব করছে। আসলে তো ভাব নয়, খাঁটি বাংলায় পদলেহন করা.....
২২
245527
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:১৯
বাজলবী লিখেছেন : মসজিদটি খুব সুন্দর। ইফতারের অায়োজন পরিবেশন চমৎকার। জাযাক অাল্লাহ খাইর।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৩৯
190740
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : জ্বি, মসজিদটি অনেকটা বিশ্ব বিখ্যাত বলা চলে। এটি দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়মিত ভিজিটরা ভিড় করে থাকেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩
245538
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৯
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : যেমন সুন্দর লিখা, তেমন সুন্দর মাসজিদের ছবি। আর বিরানি সেতো লাজোয়াব। সব মিলিয়ে দারুন।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৪০
190742
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ মিয়াজী ভাই। আপনিতো পাশেই আছেন, চলে আসেননা একদিন।
২৪
245570
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০৩
জাকির হোসাইন লিখেছেন : বিশাল ব্যাপার! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৪২
190744
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আনাকেও অনেক ধন্যবাদ জাকির ভাই।
২৫
245572
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২৫
ভিশু লিখেছেন : এত্তো সুন্দর সুন্দর ছবি আর ধারাবাহিক আকর্ষণীয় বর্ণনা - পড়তে গিয়ে মনে হলো যেন আপনার পাশেই ছিলাম, ইফতার করলাম! শেষের কথা এবং বিশ্লেষণটির সাথে আমিও খুব একটা দ্বিমত পোষণ করতে পারলাম না! জাযাকাল্লাহ খাইরান!
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৪৩
190748
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভিশু ভাই। জাযাকাল্লাহ্!
২৬
245576
১৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৩৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : খুব ইচ্ছে আছে সৌদি,দুবাই ও কাতার ঘুরে দেখার।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৪৪
190751
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আল্লাহ আপনার ই্চ্ছা পূর্ণ করুন। আবুধাবীতে দাওয়াত রহিল।
২৭
245650
১৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:০১
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:০০
190824
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, হাবিবুল্লাহ ভাই।
২৮
245657
১৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:৪৬
শেখের পোলা লিখেছেন : ভদ্রলোকের কথায় বলতে হয়,'মামু বাড়ী আগুন লেগেছে এই শলোকে ভাত খেয়ে নিই'
খাওয়া আর অপচয় এক নয়,আল্লাহ খেতে বলেছেন সাথে অপচয় করতে নিষেধও করেছেন৷ খাদ্যের অপচয় এই সব আরব দেশেই সব চাইতে বেশী৷৷
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
190826
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
মামু বাড়ীর আগুন যদি স্বল্প সময়ের জন্য হয় তো, আগুন নিবানোর আগে আন্য কাম চালানো যাবেই না। তবে যদি দীর্ঘ মেয়াদী আগুন হয় তাহলে....

ােআরব অনারব নির্বিশেষে বিশ্বে যথেষ্ট পরিমানে অপচয় হচ্ছে। আরবদেরটা একটু বেশী চোখে পড়ার কারণ হলো- নাস্তিক এবং ইসলাম বিদ্বেষীরা মনে করে আরব মানেই ইসলাম। তাই ইসলামের দেহে কালি লেপনের নিয়্যতে তারা আরবদের সমালোচনায় পঞ্চমুখ। যেহেতু মিডিয়া তাদের দখলে সেহেতু এসব সমালোচনা ছাড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত। তাই আমরা ওখান থেকে সংক্রামিত হয়ে অতি বানোয়াট কথা বেশী শুনে শুনে বলতে থাকি ‘আরবরা বেশী অপচয় করে’। এখানে যা হচ্ছে তা অপচয় তো নয়ই বরং গরীব ও ভ্রমনকারীদের উপকার হচ্ছে। তাদের দু’বেলোর উপাদেয় খাবার জুটছে একদম ফ্রি।

াআমেরিকার ডাস্টবিনগুলো কত কত উন্নত খাবারে ভরে যায় তার হিসেব রাখে কয়জন? প্রত্যক্ষদর্শী মুখে শুনেছি ওসব ডাস্টবিন থেকে খাদ্য সংগ্রহের জন্য এশিয়া আফ্রিকার প্রবাসীদের মেধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। উৎপাদন বেশী হলে সেদেশের উৎপাদিত গম কাউকে না দিয়ে সাগরে ফেলে দেয়া হয়।
আমাদের গরীব দেশের দু’য়েকটা উদাহরণ দিচ্ছি, যা আপনি স্বয়ং দেখছেন : আমরা ঘরে ইফতারী তৈরী করে সাজিয়ে বসেছি, ঠিক সে মুহুর্তে এক আত্মীয় বেয়াইর বাড়ী থেকে পাঠানো অনেকগুলো ইফতারী নিয়ে হাজির। শেষ পর্যন্ত ডাস্টবিনে স্থান হয়ে এসবের।
প্রতিদিন বিনা নোটিশে এঘর ওঘর থেকে আসা ইফতারীর অকেকটাই ফেলে দিতে হয়। কাজের বুয়ারাও তা নিতে চায়না। কারণ তাদের নিকট ফ্রিজ নেই সংরক্ষণের জন্য।
তারাপরও কি সব দোষ নন্দ ঘোষের হবে?
আশাকরি কিছু মনে করবেন না। আমি বাস্তব স্বাক্ষী হয়ে একটি অপপ্রচারের সঠিক জবাব দেয়াটা ঈমানের দাবী মনে করেই কথাগুলো বলেছি, আপনাকে কাউন্টার করার জন্য নয়।
ধন্যবাদ, ফি আমানিল্লাহ্!
১৯ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:১৮
190964
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার অভিযোগ আমি অস্বীকার করিনা৷ আমি নিজের হাতে পাউরুটি ফেলি, বড় কষ্ট লাগে, কেননা আমার রেষ্টুরেটে বাসী রুটি চলেনা৷ তবে ডাষ্টবীনে কখনও কাড়াকাড়ি চোখে পড়েনি৷ অনেক চাইনীজ বুড়োদের দেখেছি ঐ রুটি নিয়ে পাখি কবুতর হাঁসকে খাওয়ায়৷
একটা কথা ভুললে চলবেনা যে মুসলমানেরা পবিত্র কোরআনের ধারক ও বাহক৷সেমত অন্যের, যাদের পরকালের বিশ্বাসই নেই তাদের সমালোচনা না করাই ভাল৷ মিডিল ইস্টকে দুনিয়ার মুসলীম ইসলামের আইডল ভাবে৷৷ তাই তাদের সে মত আচরণ হওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ধন্যবাদ৷
২৯
245668
১৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:২৩
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ভাই বিশ্বাস করেন মাটন বিরানীটা দেখে এই ইফতারের একটু আগে পেটটা মোচর দিয়ে উঠলো। গত বছর আমি আ্যরিজোনায় ছিলাম। সেখানে আ্যরিজোনা ইউনিভার্সিটি মসজিদে গতবছর ১ দিন ইফতার করেছিলাম। সেখানে খেয়েছিলাম এই বিরানী।

সিরিয়ান এবং লেবানিজ মুসলমানরা মসজিদটার দায়িত্বে রয়েছে। তাই সব আয়োজন আ্যারাবিয়ান ষ্টাইলে। পাশে রয়েছে একটা সিরিয়ান রেষ্টুরেন্ট সেখানে আবার এইটা পাওয়া যেত "কুচকুচ প্যালেশিয়া" নামে। এখনো জিভে লেগে আছে। কিভাবে যে মাংস এমন মোমের মত করে রান্না করে!

১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
190827
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : প্রবাস জীবনের প্রাথমিক দিকে এ জাতীয় খাবার খুব একটা পছন্দ হতো না আমার। পরে গিয়ে তা প্রিয় খাবারের তালিকায় যোগ হয়। আসলেই সু-স্বাধু খাবার। অতিরিক্ত গরম মসলা ব্যবহার না করার কারণে খাওয়ার পর খুব একটা রি-এ্যকশানও হয় না।
ভালো লাগলো আপনার সুন্দর কমেন্ট। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩০
245715
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:০৮
আয়নাশাহ লিখেছেন : বরাবরের মত সুন্দর হয়েছে। ছবিগুলো দিয়ে আরো আকর্ষনীয় করেছেন।
যারা চুরি করে তাদেরও কিছু যুক্তি থাকে। দোকানে এক লোক কাল করে এবং কেশ থেকে চুরি করে। কেউ একজন জিজ্ঞাসা করলে বলে, আসলে আমার বেতন হওয়া উচিত ছিল আমার বেতনের চারগুন। মালিক তো বাতন বাড়ায় না। তাই চুরি করে পুষিয়ে নেই। এটা আমার পাওনা।
কি বলেন, যুক্তি ঠিক না?
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
190841
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ আয়নাশাহ ভাই।
কোন কোন যুক্তি বিবেচনা যোগ্য হলেও সব যুক্তিতো আর ধোপে টিকে না।
আপনি ঠিকই বলেছেন চোর ও কোন না কোন যুক্তি খাড়া করে চুরিটাকে যায়েজ করার চেষ্টা করে।
৩১
245741
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
হামজা লিখেছেন : ভালো লাগলো
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
190842
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ভালো লাগলো জেনে সত্যিই খুশী হলাম।
৩২
245742
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
হামজা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়ের
১৮ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
190843
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ খাইরাক।
৩৩
245765
১৮ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
হতভাগা লিখেছেন : অভূতপূর্ব ইফতারী !!

তাহলে নিশ্চয়ই এখানে '' বড় বাপের পোলারা খায় '' '' বড় লোকের মায়েরা খায় '' এই খাবার গুলো আছে ! এগুলো না হলে একটা ইফতারীকে কিভাবে অভূতপূর্ব বলা যায় ?!

খাবারের ছবি দিয়েছেন , খাবার নিয়ে ইফতারীর অপেক্ষায় বসে থাকা মানুষের ছবি দিয়েছেন । সেই সব মানুষের খাবার খাওয়ার ছবি থাকলে ভাল হত ,পূর্ণতা পেত , বিশেষ করে বাংলাদেশী ভাইদের ।
৩৪
245787
১৮ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : প্রায় মানুষকে দেখলাম খেজুর, পানি, আপেল আর জুসটা খেয়ে বিরিয়ানীগুলে পেকেট সহ নিজে যেতে। ডেরায় গিয়ে কিছু খাবে আর বাকীটা সেহেরীর জন্য রেখে দেবে হয়ত। Happy
৩৫
245808
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১৬
লোকমান লিখেছেন : ছবিগুলো খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইজান।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৩৭
190908
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ লোকমান ভাই।
৩৬
245828
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৫০
ইবনে হাসেম লিখেছেন : এদের শুধু খাবার অপচয়ের অপরাধই নয়, আরো অনেক বড় বড় অপরাধ আছে, চোখে পড়ার মতো। দুবাইকে হংকং, সিংগাপুরের সাথে অনায়াসেই তূলনা করা চলে, কোন কোন ক্ষেত্রে তো তাদের থেকেও অগ্রসর। পাঁচতারা হোটেলে আমন্ত্রিত হয়ে ওদের সেহরী আয়োজনও দেখার দূর্ভাগ্য হয়েছিল যেটা রাত বারোটার পর শুরু হয়ে সেহরীর শেষ সময় পর্যন্ত চলে, মিউজিক এর সাথে আছে সুন্দরী ওয়েট্রেস দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা। ওহ্, আর কতদূর নীচে নামার পরেও আমরা এটাকে অনাচার বলতে দ্বিধা করবো?
আমাদের এক স্থানীয় কলিগ এর সহায়তায় এ জাতির নৈতিক চরিত্র অধঃপতনের আর এক নমূনা দেখারও দূর্ভাগ্য হয়েছিল এক সময়। আমার বাসার পেছনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তিনি নিজের গাড়ী চালিয়ে নিয়ে এক আপাদমস্তক হিজাবধারিনীর পাশে গিয়ে ব্রেক করলেন। কি ইশারা করলেন বুঝলাম না। হিজাবধারী সুন্দরী (ফেস খোলা ছিল) একটানে গাড়ীর দরজা খূলে গাড়িতে বসে পড়লো। কলীগ কিছুদূরে নিয়ে গিয়ে আবার গাড়ী থামালেন, মহিলা এবার নেমে পড়লো। পরে তিনি আমাকে বললেন, এরা হলো এদেশের হাই সোসাইটির কলগার্ল। হোটেলে হোটেলে চলে এদের অভিসার.....
আশা করি আপনিও ভালোই বলতে পারবেন এদের চারিত্রিক এ দিকটি সম্পর্কে।
১৮ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫৬
190911
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ ইবনে হাসেম ভাই।
আপনি যেমন দেখেছেন অতি নিকট থেকে তেমনি আমিও দেখেছি এবং দেখেই চলেছি।
উক্ত অপচয় এবং চারিত্রিক ত্রুটি থেকে আমরা কি মুক্ত? বরং আমাদের অপচয় আর চারিত্রিক অধঃপতন এদের চেয়ে ঢের বেশী।
আমার তুলনামূলক পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- এখনো তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে। যেমন:- বড় অফিসার এখনো অফিসে প্রবেশ করার সময় ছোটদেরকে সালাম করেন। আমাদের দেশে কি কল্পনা করতে পারবেন? এখনো তারা আল্লাহর শোকর করে প্রতিটি বাক্যে,প্রতিটি পদে। আমাদের দেশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং কিছু ওলামা ছাড়া তা কি কখনো দেখেছেন? এরা এখনো শিরক মুক্ত। আমাদের আমরা কি শিরক মুক্ত?
আমাদের দেশে মায়ের সামনে মেয়েকে যেভাবে বেইজ্জত করা হয় এখনো কি ওরা এভাবে করছেন?
আপনার কাউন্টার এবং ওদের পক্ষে বলার জন্য বলা নয়, শুধুমাত্র বাস্তবতাটাই তুলে ধরলাম।

ইসলামী শরীয়তে আরব আর অনারবের জন্য কোন আলাদা সিস্টেম নেই। সকলেই সমান ‍সুবিদা প্রাপ্ত এবং দায়ী। তাহলে তাদের দোষকে বড় করে দেখব আর আমাদেরটা গোপন রাখব বা কিছুইনা মনে করবো কেন?

এখনো তারা দান যথেষ্ট করছে, সে তুলনায় আমরা যথেষ্ট পিছিয়ে।
এখানে মসজিদে মসজিদে এবং শেখের বাড়ী থেকে যে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে তাদে কিছুটা অপচয় হয়, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু গরীব শ্রমিক শ্রেনীর যথেষ্ট উপকারও হচ্ছে।
আপনার পর্যবেক্ষণ কি আমি জানিনা। আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- দুনিয়াতে এখনো আরবর অনেক সভ্য অন্যদের তুলনায়।
আমাদের মুসলিম ভাই-বোন হিসেবে এবং খোদ নবীর দেশের মানুষ হিসেবে আমার ওনাদেরকে আরো উন্নত চরিত্রের দেখতে চাই। আল্লাহ তাদের প্রতি রহম করুন এবং আমাদের প্রতিও।
মা-আসসালামা।
৩৭
245899
১৯ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:২৪
আফরা লিখেছেন : মসজিদ তো অনেক সুন্দর।এই মসজিদ দেখার জন্য যাব ইনশা আল্লাহ । বিভিন্ন দেশের মানুষদের সাথে মিশে এটা বুজতে পেরেছি আরবরা অনেক বেশী অতিথী পরায়ন ।
১৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
190983
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আসনবেন ইনশা আল্লাহ্! এদেশের মানুষ এখনো যথেষ্ট সভ্য, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষের তুলনায়। ধন্যবাদ।
৩৮
245914
১৯ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২৫
শহর ইয়ার লিখেছেন : সুন্দর মসজিদ। আকর্ষণীয় বর্ণনা। চমৎকার ছবি। লেখককে ধন্যবাদ Rose Rose
১৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
190984
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আপনার লেখাও মাশাআল্লাহ্ অনেক মানের।
৩৯
246171
২০ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৩৩
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই। প্রথমতঃ মসজিদ ও ইফতারী নিয়ে সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। মসজিদ ঘিরে কিছু স্মৃতি আমারো আছে, ছবিও আছে। তাই পাঠে আগ্রহটা বেশীই ছিল। আরব শেখদের অপচয় দেখার দূর্ভাগ্য আমারো আছে। বিশেষতঃ শেখ মোবারক আল নাহিয়ানের প্রাসাদে একদিন লাঞ্চ খেতে গিয়ে স্বচক্ষে দেখেছি। আমি ভাই কোন ধরণের অপচয়কেই প্রশ্রয় দেয়ার পক্ষপাতি নই, সেটা নিজ দেশের হোক কিবা বিদেশের হোক। তারা আরো ভালোভাবে ব্যাপারটা ম্যানেজ করে এ আয়োজনের থেকে অর্ধেক অর্থও যদি বাঁচাতে চায় সেটা সম্ভব ছিল (যা কোটির ঘরে হতে পারে) এবং সেটা আরো বেশী উন্নয়ণশীল ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারতো। ফিলিস্তিন সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যের সাথে আমিও সহমত। এরা ইসলামী বা শরীয়তী শাসন চায়না বলেই হামাসকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু একদিন আসবে যেদিন ইসলামের সাথে এই মুনাফেকির শাস্তি কড়ায় গন্ডায় পেতে হবে তাদেরকে। আমেরিকার পদলেহন করে আর কতকাল চলবে, বলেন? এই আমেরিকাই একদিন লাত্থি মেরে দূরে ফেলে দিবে। ইরাকের সাদ্দাম, ওসামা বিন লাদেন গং এসবের জ্বলন্ত সাক্ষী। ওরা পাক কালামের স্পষ্ট নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে বিধর্মীর সাথে গলায় গলায় ভাব করছে। আসলে তো ভাব নয়, খাঁটি বাংলায় পদলেহন করা....
২০ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:২০
191155
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনার সাথে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত ভাই।

একটা কমন সমস্যা আমি বেশ উপলব্ধি করেছি, আপনিও বিষয়টি নিয়ে একটু ভাববেন আশা করি।
বিষয়টি হচ্ছে- দুনিয়ার ইসলাম বিরোধীরা ‘ইসলাম এবং আরব’ একাকার করে ফেলেছেন। যে কারণে তারা আরবদের সমালোচনা করতে পারলেই ধরে নেয় ইসলামকে ঘায়েল করা হয়েছে। আপনিই বলুন এখনো আরবরা তুলনামূলক অন্যদের চেয়ে সভ্য নয় কি?
৪০
246444
২০ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৭
২১ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
191533
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File